ফুলের ছবি ও পিক ডাউনলোড HD | গোলাপ, কদম, জুঁই, বকুল, জবা এবং হাসনাহেনা ফুল ওয়ালপেপার
এই একটি পোস্টেই আপনি পাবেনঃ
- সাদা গোলাপ ফুলের ছবি
- কালো গোলাপ ফুল
- হলুদ গোলাপের ছবি
- জবা
- জুঁই
- রজনীগন্ধা ফুলের ছবি
- হাসনাহেনা এবং
- কাঠ গোলাপ ফুলের ছবি
লাল গোলাপ ফুলের ছবি
সব প্রজাতির ফুলের মধ্যে জনপ্রিয় ফুল হলো গোলাপ।গোলাপের মধ্যেও আছে নানা প্রজাতি- লাল,কালো, হলুদ, গোলাপি সহ বিভিন্ন রঙের হয় এই ফুল।কিন্তু লাল গোলাপ প্রাচীন কাল থেকেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে।লাল গোলাপ সৌন্দর্য ও ভালোবাসার প্রতীক। যে কোনো প্রিয় মানুষকে ফুল উপহার দিতে চাইলে সবার আগেই মাথায় আসে লাল গোলাপের কথা।দেখতে যেমন আকর্ষণীয়, সুবাসও তেমন মন মাতানো।
বিয়ে বাড়ি থেকে রাজনৈতিক যে কোনো অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা জানাতে,ডেকোরেশন করতে অথবা রমণীর চুলের প্রসাধনী হিসেবে লাল গোলাপের জুরি মেলা ভার।
লাল গোলাপ সাধারণ শীতকালে বেশি ফোটে তবে কম বেশি সারা বছরই পাওয়া যায়। বাড়ির ছাদে, বাগানের চারপাশে,বাড়ির আঙিনায়,বেলকনিতে শোভা বর্ধনের জন্য লাগানো হয় লাল গোলাপ গাছ।লাল গোলাপের খুব বেশি পরিচর্যারও দরকার হয় না,তাই চাইলেই যে কেউ শখের বসে দু একটা লাল গোলাপ রোপণ করে।
বিশ্ব বাজারে লাল গোলাপের অনেক চাহিদা থাকায়,বানিজ্যিক ভাবে ব্যপক হারে এই ফুল চাষ করা হচ্ছে।উপহার,ডেকোরেশন, প্রসাধনী তৈরি,ভেষজ ঔষধ তৈরি সহ নানা কাজে লাল গোলাপ ব্যবহার করা হয়।
- লাল গোলাপ ফুলের ছবি
- শুধুই লাল গোলাপ ফুলের আরো অনেক গুলো ছবি দেখতে আমাদের এই পোস্ট ভিজিট করুনঃ লাল গোলাপ ফুলের পিকচার
সাদা গোলাপ ফুলের ছবি
সাদা গোলাপ বাংলাদেশে অলংকারিক ফুল হিসেবে বিবেচিত এক ধরনের গোলাপ গোত্রের ফুল,যার আরেক নাম শ্বেত গোলাপ।সাদা গোলাপ শুভ্রতা ও পবিত্রতার প্রতীক।বাড়ির বা বাগানের শোভা বর্ধন করতে সাধারণত টবে এই ফুল রোপন করা হয়।সাদা গোলাপ সাধারণত ছোট থেকে মাঝারি আকারের হয় এবং গাছও খুব বেশি লম্বা হয় না।একটু ঝোপঝাড় টাইপের হওয়ার বাগানের চারপাশে বাউন্ডারির কাজে এই গাছ ব্যবহার করা যায়।
ফুলের বীজ থেকে অথবা কলম করে নতুন চারা তৈরি করা হয়। তবে বংশবিস্তারের ক্ষেত্রে সাদা গোলাপের কলম পদ্ধতিই বেশি জনপ্রিয়। সাদা গোলাপ ফোটে সাধারণত শীত ঋতুতে,তবে বাকি সময়েও কম বেশি সাদা গোলাপ ফোটে। যদিও সাদা গোলাপের সংরক্ষণ ও চাষের উদ্যোগ তুলনামূলক কম,কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে কম বেশি সবাই সাদা গোলাপ পছন্দ করে।
- ৩০টির বেশি সাদা গোলাপ ফুলের ছবি দেখুন এই পোস্টেঃ সাদা গোলাপ ফুলের পিকচার
হলুদ গোলাপের ছবি
মানুষের জীবনের সব থেকে চমৎকার একটি সম্পর্ক হলো বন্ধুত্ব।এই মূল্যবান সম্পর্কের মধ্যে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে আছে হলুদ গোলাপ।হ্যাঁ, হলুদ গোলাপ বন্ধুত্বের প্রতীক।প্রিয় বন্ধুর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে উপহার হিসেবে সবার প্রথম সারিতে থাকে হলুদ গোলাপ।হলুদ গোলাপ আনন্দ, সুস্বাস্থ্য ও হুল্লোড়েরও প্রতীক।হলুদ গোলাপ পুরো শীতকাল জুড়ে ভরপুর ফুল দেয়।সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস হলুদ গোলাপ রোপনের উপযুক্ত সময়।পুরোনো গাছ হলে ডালপালা ছেটে আগাছা পরিষ্কার করে শীতের মৌসুমের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।তাহলে পুরো শীত ঋতুতে গাছ ফুলে ভরা থাকবে।
গোলাপের গোড়ায় পানি জমলে গাছ পচে যায়,তাই সেচ দেয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে মাটিতে পানি জমাট বেধে না থাকে।
কালো গোলাপ ফুলের ছবি বা পিক
অদ্ভুত এক প্রজাতির ফুল কালো গোলাপ, যাকে নিয়ে চলছে অনেক জল্পনা, কল্পনা ও নানা মতবাদ।আসলেই কালো গোলাপ আমাদের দেশে উৎপাদন করা যায় কিনা তা নিয়েও আছে তর্ক বিতর্ক।একদল বলছেন কালো গোলাপের বীজ আমদানি করে গোলাপ উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন, আবার অন্য দল বলছেন এটা অসম্ভব।
কালো গোলাপের জন্য তুরস্কে ফোরাত বা ইউফ্রেটিস নদীর পূর্ব উপকূলে অবস্থিত সানলুরফা প্রদেশের ফালফেতি জেলা পৃথিবী বিখ্যাত। বিশেষজ্ঞরা বলেন এই অঞ্চলের মাটির বৈশিষ্ট্য, জলবায়ু ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারনে ব্যতিক্রম জাতের এই দুর্লভ ফুল ফোটে।বসন্তে নিজস্ব সৌন্দর্যের গুনে পুরো জেলায় ফুটিয়ে তোলে সৌন্দর্যের সমারোহ। শীতের শুরুতে লাল বর্ণ নিয়ে ফোটা এই ফুল আস্তে আস্তে খয়েরি হয়ে এক সময় পুরোপুরি কালো বর্ন ধারন করে।
আসল কালো রঙের গোলাপের জাত শুধু তিনটি।এগুলো হলোঃ
- Black Baccara
- Black Zed
- Black Prince
যতো বাদ প্রতিবাদই থাকুক না কেন, কালো গোলাপের প্রতি সবারই আগ্রহ অনেক বেশি। তাই উচ্চমূল্যে বিক্রি হলেও বাজারে এই ফুল,ফুলের বীজ ও চাড়া ক্রয়ের জন্য ক্রেতার কোনো কমতি নেই।দিন দিন বরং এর চাহিদা বেড়েই যাচ্ছে।
কালো গোলাপ মূলত শোক, দুঃখ ও একাকীত্বের প্রতীক।
কাঠ গোলাপ ফুলের ছবি
কাঠগোলাপ খুবই সৌখিন ও মোহময় একটি ফুলের নাম।কাঠগোলাপের বিশেষত্বই হলো এর সৌন্দর্য। কাঠগোলাপের রূপে মুগ্ধ হয়ে কবির কালির আচড়ে সৃষ্টি হয়েছে কত শত কবিতা।দেখতে ধবধবে দুধের মতো সাদা।মাঝাড়ি আকারের ছোট এই ফুলের আছে পাঁচটি পাপড়ি। পাপড়িগুলো যেন মখমলের মতো মোলায়েম। সাদা পাপড়ির ওপর কোনোটিতে হলুদাভ ছোপ আবার কোনোটিতে হালকা লাল বা গোলাপি ছোপ। যে কেউ একবার দেখলেই এই ফুলের মায়ায় পড়ে যাবে।
কাঠগোলাপের ইংরেজি নাম Frangipani. বাংলাদেশের একেক অঞ্চলে এই ফুল একেক নামে পরিচিত। যেমন : গোলকচাপা,গরুড়চাঁপা, গুলাচ, , গোলাইচ, ,কাঠচাঁপা, চালতা গোলাপ,গুলাচিচাঁপা ইত্যাদি।
কাঠগোলাপ ফুল সারাবছর ফুটলেও গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শরৎ ঋতুতে এই ফুল বেশি ফোটে।এই গাছ সাধারণত ৮ থেকে ১০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।শাখা, প্রশাখা খুবই নরম ও অনেকটা স্বচ্ছ হয়।
কাঠগোলাপ এর সৌন্দর্য ও মন মাতানো সুবাসে মুগ্ধ হতে অনেকেই শখ করে টবে বা বাগানে কাঠ গোলাপ রোপণ করে।নার্সারি থেকে চারা কিনে,ডাল রোপন করে অথবা বীজ থেকে চারা উৎপাদন করে কাঠ গোলাপের বংশ বৃদ্ধি করা যায়।
কদম ফুলের ছবি
ঋতুবৈচিত্রে ভরপুর সোনার বাংলাদেশে একেক ঋতুতে প্রকৃতি সাজে একেক রঙের ফুলের গহনায়।তারই ধারাবাহিকতায় বর্ষা ঋতুর আগমন ঘটে কদম ফুলকে সাথে নিয়ে।বর্ষা আর কদম যেন একে অপরের পরম বন্ধু।- দেখুনঃ কদম ফুলের ছবি
অসম্ভব সুন্দর দেখতে এই ফুলটি গোলাকৃতির নরম তুলতুলে, ভেতরটা মাংসল এবং শক্ত। সূর্যের রূপ নিয়ে মেঘলা দিনে গাছের ডালে পাতার ফাকে ফাকে কদম ফুল উকি দিতে থাকে।কদমের বৈজ্ঞানিক নাম Neolamarckia cadamba।
চমৎকার দেখতে এই ফুলের আছে অসাধারণ ঔষধি গুন।কদম গাছের ছাল ও পাতা ব্যথা উপশমে কার্যকরী। কদমের ছাল জ্বরের ওষুধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। কৃমির সমস্যা থাকলে কদম পাতার রস খেতে পারেন।মুখে ঘায়ের জন্যও কদম পাতার রস কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
বেলী ফুলের ছবি ডাউনলোড
বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও জন জীবনের সাথে খুব নিবিড় ভাবে মিশে আছে বেলী ফুল।সাহিত্যের পাতায় নায়িকার খোপায় বেলী ফুলের সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে প্রায় বেশিরভাগ লেখকের কলমের আচরে। বেলী ফুলের বিশেষত্ব এর সুগন্ধে।রজনীগন্ধা ফুলের ছবি ও পিক ডাউনলোড
বাংলাদেশের অন্যতম অর্থকরী ফুল রজনীগন্ধা।বিয়ে বাড়ি হোক বা কোনো সামাজিক অনুষ্ঠান অথবা হতে পারে কোনো সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, রজনীগন্ধা ফুল ছাড়া এসব অনুষ্ঠানের কথা চিন্তাই করা যায় না।লম্বা ডাটা যুক্ত, ফানেল আকৃতির ছোট সাদা সাদা ফুলের মন মাতানো গন্ধ যে কারোরই মন কাড়বে।অসাধারন ঘ্রান আছে বিধায় সুগন্ধি তৈরিতে এই ফুলের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।জনপ্রিয় এই ফুলটির আছে বেশ কয়েকটি প্রচলিত নাম, যেমন: “নিশিগন্ধা", “তরোয়াল লিলি" ইত্যাদি।- দেখুনঃ রজনীগন্ধা ফুল
রজনীগন্ধা চিরহরিৎ ভেষজ উদ্ভিদ।এর ডাঁটার দৈর্ঘ্য সাধারনত ৭৫-১০০ সেমি হয়।বানিজ্যিক ভাবে উৎপাদিত জনপ্রিয় এই ফুলের আছে বেশ কয়েকটি জাত।তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো :পার্ল, বম্বে, ক্যালকাটা, সিংগল মেক্সিকান,ডবল পার্ল ইত্যাদি।
মোটামুটি সারা বছরই রজনীগন্ধা ফুলের উৎপাদন ভালো হয়।তবে শীতের সময় উৎপাদন কিছুটা কম হয়।অন্যান্য ফুলের মতো বীজ ব্যবহার করে এই ফুলের বংশবিস্তার করার কোনো সুযোগ নেই।রজনীগন্ধার কন্দ রোপন করে নতুন চারা তৈরি করা হয়। মার্চ- এপ্রিল মাস কন্দ লাগানোর উপযুক্ত সময়।
বিয়ের মরশুমে বাজারে গোলাপ ও গাঁদা ফুলের পাশাপাশি রজনীগন্ধার প্রচুর চাহিদা থাকে।তাই বর্তমানে রজনীগন্ধা চাষে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে এবং বানিজ্যিক ভাবে তারা লাভবান হচ্ছে।
জুঁই ফুল পিক ২০২৪
বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে জুই ফুল খুবই জনপ্রিয় একটি ফুল।সাদা রঙের মাঝাড়ি ছোট আকৃতির এই ফুলের মন মাতানো সৌরভ যে কারো মন ছুয়ে দিবে।বাড়ির ছাদ,বাগায় আঙিনা,বারান্দায় শখের বসে অনেকেই জুঁই ফুলের গাছ রোপন করে থাকে।বিয়ে বাড়িতে ঘর সাজাতে, মালা তৈরি করতে জুঁই ফুল ব্যবহার করা হয়।দারুণ সুগন্ধ ও ভেষজ গুণাবলির কারনে আতর,সাবান,শ্যাম্পু,ক্রিম,তেল ইত্যাদি প্রসাধনী সামগ্রী তৈরিতে জুঁই ফুলের ব্যবহার রয়েছে।জুঁই ফুলের আছে অসংখ্য ঔষধি গুন।জুঁই ফুলের ঘ্রান মানসিক চাপ কমায়।পেট ব্যাথা,ডায়াবেটিস, স্ট্রোক, লিভারের সমস্যা সহ ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগের চিকিৎসায়ও জুঁই ফুলের ব্যবহার রয়েছে। জুঁই ফুল অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে,চুলের বৃদ্ধিতেও এর কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়া ছাড়াও পৃথক দূরপ্রাচ্যের দেশগুলোতেও বিভিন্ন রঙের ও বিভিন্ন বৈচিত্র্যের জুঁই ফুল ফোটে এবং দেশ ভেদে এই ফুলের বিভিন্ন ধরনের ব্যবহার রয়েছে।
হাসনাহেনা ফুলের ছবি
সাদামাটা ধরনের, চমৎকার সুগন্ধে ভরপুর, সাদা রঙের ফুল হাসনাহেনা। বাড়ির আনাচে কানাচে,ঝোপে ঝাড়ে যেখানেই ফুটুক না কেন তীব্র সুগন্ধ ছড়িয়ে এটি তার উপস্থিতি জানান দেবেই।বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ও দারুণ ঘ্রানের কারণে ফুল প্রেমীরা বাড়ির উঠোনে শখ করে দু একটা হাসনাহেনা রোপন করে।হাসনাহেনা রাতে ফোটে।তাই রাতের অন্ধকারে হাসনাহেনার গন্ধে পুরো বাড়িতে অন্য রকম একটি পরিবেশ সৃষ্টি হয়।লোকমুখে প্রচলিত আছে যে বাড়িতে হাসনাহেনা গাছ থাকে ঐ বাড়িতে সাপ আছে।কিন্তু এই কথার কোনো ভিত্তি নেই।
হাসনাহেনা ফুলের স্থায়ী নিবাস ওয়েস্ট ইন্ডিজে।এর বৈজ্ঞানিক নাম: ( Cestrum nocturnum Solanaceae). হাসনাহেনার বেশ কয়েকটি ইংরেজি নাম রয়েছে। যেমন : night-scented cestrum,night-blooming jessamine, lady of the night, , night-scented jessamine অথবা poisonberry।
ভরা বর্ষায় হাসনাহেনার পুরোপুরি ফুল ফোটে,তাছাড়া শীত বাদে সারাবছরই গাছে কম বেশি ফুল থাকে।হাসনাহেনার সাধারণত পাঁচটি পাপড়ি হয়।ফুল ফোটার ৫/৬ দিন পর্যন্ত ফুল সতেজ থাকে এর পর শুকিয়ে ঝড়ে পড়ে।কলম পদ্ধতিতে এর বংশ বৃদ্ধি করা হয়।
হাসনাহেনা ফুলের আছে বেশ কিছু ঔষধি গুন।আমাশয় নিরাময়ে,জ্বর দূর করতে,ক্রিমি নিরাময়ে হাসনাহেনার ব্যবহার রয়েছে।
জবা ফুলের ছবি
প্রকৃতির নৈসর্গিক রূপ নিয়ে ভোরের সূর্যের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকে ফুটিয়ে তোলে জবা।বাংলাদেশের খুবই জনপ্রিয় ফুল এটি।এই ফুলটি সাধারণ রক্ত জবা বা রক্ত কুসুম নামেই পরিচিত। বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে বাড়ির আঙিনায় শখের বসে জবা গাছ রোপন করা হয়।সবুজ পাতার মধ্যে টকটকে জবা মাথাচাড়া দিয়ে দুলতে থাকে- সে এক অপরূপ দৃশ্য।পাঁচটি পাপড়ি যুক্ত এই চমৎকার ফুলটি চীনা গোলাপ নামেও বেশ পরিচিত।
জবা ফুল সাধারণত গ্রীষ্মকাল ও শরৎকালে ফোটে।
জবা ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম : Hibiscus rosa-sinensis
ইংরেজি প্রচলিত নামগুলো হলো : shoeblackplant, China rose, hibiscus, , Hawaiian hibiscus।
- দেখুনঃ রক্ত জবা ফুলের ছবি
জবা ফুল সাধারণত টকটকে লাল বর্ণের হয়।এছাড়াও গোলাপী, সাদা , হলুদ সহ নানা বর্ণের জবা ফুল পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে বহুল পরিচিত জবার জাতগুলো হলো: রক্ত জবা, ঝুমকা জবা, পঞ্চমুখী জবা, বহুদল জবা, হাইব্রিড জবা, হলুদ জবা ইত্যাদি।
জবা ফুলের সৌন্দর্যের পাশাপাশি এর আছে বিভিন্ন ভেষজ গুণাবলি। শীতে ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে জবাফুল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখে।চুলপড়া নিরাময়ে,চুলকে কালো রাখতে জবা ফুলের ব্যবহার করা হয়। অতিরিক্ত প্রস্রাবের সমস্যা সমাধানেও জবা ফুলের কার্যকরী ভূমিকা রয়েছে।
বকুল ফুলের পিক
বাংলাদেশের গ্রামে,মাঠে,হাটে,ঘাটে খুবই সহজলভ্য ও জনপ্রিয় ফুল বকুল।দেখতে যেমন অসাধারণ সুন্দর তেমনি এর মন মাতানো সৌরভ।বকুল ফুল অনেক দিন হয়ে গেলেও পঁচে না, বরং শুকিয়ে অন্যরকম এক সৌরভ ছড়ায়। তাইতো বকুল ফুলের মালা তৈরি করে রেখে দেওয় হয়। বকুল ফুল খুব ছোট ছোট হয় এবং দেখতে অনেকটা তারার আকৃতির। একসাথে গাছে ফুটে থাকলে মনে হয় আকাশের এক ঝাক তারা এসে গাছে ঝুলে আছে।একসাথে এতো ফুল ফোটে যে গাছে ফুল ছাড়া কোনো পাতা দেখা যায় না।বকুল ফুলের অনন্য সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কবি সাহিত্যিকরা রচনা করেছেন অসংখ্য গান,কবিতা ও উপমা।বকুল ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম Mimusops elengi।বাংলাদেশে আঞ্চলিক ভাবে এই ফুল বাকুল, বাকাল,বুকাল, বকুল, বহুল, ইত্যাদি নামে পরিচিত।
বাংলাদেশ সহ ভারত, শ্রীলংকা, বার্মা, ইন্দো-চীন, থাইল্যান্ড, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি অঞ্চলে বকুল ফুল জন্মায়।
বকুল গাছ মাঝারি আকৃতির চিরহরিৎ বৃক্ষ। এই গাছ সাধারণত ১৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়।ফুল খুবই ছোট হয়,বড়জোর ১ সে.মি.। বকুল ফুল বসন্তের শুরুতে ফোটা শুরু করে এবং পুরো শীত পর্যন্ত গাছে ফুল থাকে।
সৌন্দর্যের প্রতীক ফুল
"ফুল" শব্দটাই কেমন এক অদ্ভুত মায়ায় ভরা। ফুল পছন্দ করে না এমন লোক হয়তো খুজে পাওয়া যাবে না। নিজস্ব সৌন্দর্য, রঙ এবং গন্ধে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করার এক বিশেষ গুন আছে ফুলের। জাত ভেদে ফুলের রয়েছে আলাদা আলাদা বিশেষত্ব।নানা রঙের ও গন্ধের ফুলে সমৃদ্ধ আমাদের এই বাংলাদেশ। তাইতো সারাবছর জুরে কোনো না কোনো ফুলের সৌন্দর্যে রূপসীর মনোমুগ্ধকর সাজে সজ্জিত থাকে এই দেশ।