বাটিক থ্রিপিস, শাড়ি, চাদর এবং জামার ডিজাইন ছবি, দাম। Batik Design Dress Online Sell Buy Bangladesh

বাটিক ড্রেসের সাথে আমাদের দেশের মোটামোটি সব মেয়েরাই কম বেশি পরিচিত। দামে সাশ্রয়ী, পরে আরাম দেখতে সুন্দর হওয়ায় বাটিক থ্রিপিস, বাটিক শাড়ি সহ অন্যান্য জামা নারীদের মধ্যে জনপ্রিয়। এখন অনেকেই বাটিক জামার বিজনেসের সাথে জড়িত হচ্ছে। অনলাইনে অনেক সেলার বাটিক ড্রেস সেল করে থাকে।  আজকে এই পোস্টে আপনাদের কাছে বিভিন্ন  বাটিক ড্রেসের দাম, ছবি, অনলাইনে কোথায় থেকে কিনবেন কিভাবে বাটিকের থ্রিপিস শাড়ির যত্ন নিবেন এসব জানাতে চেষ্টা করবো।

স্বল্প দামে ভালো মানের বাটিকের বিভিন্ন থ্রিপিস পেতে রেশমি আপুর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তিনি খুলনায় বাটিকের থ্রিপিস, বিছানার চাদর সেল করে থাকেন। কম দামের ভিতর রঙ উঠবেনা এমন কাপড় পাবেন তার কাছে। 

আমরা টাকা নিয়ে তার প্রচার করছি না। তার সেল করা ড্রেস সম্পর্কে আমাদের ধারনা আছে এজন্যই আপনাদের কেনাকাটা সহজ করতে একজন অনলাইন সেলারের ঠিকানা দিচ্ছি।

আইডিঃ Reshmi Sharmin ( Khulna)  সারাদেশে হোম ডেলিভারি দেওয়া হয়।

এই পোস্টে ব্যবহার করা সব ছবিই তার থেকে নেওয়া। 


বাটিক জামা - থ্রিপিস, শাড়ি, ওড়না এবং চাদর 

বাটিক নাম শুনলেই প্রথমে যেটা মনে আসে সেটা হলো রঙের খেলা।

বাটিকের কাপড় গুলো তৈরি করা হয় আসলেই রঙ নিয়ে খেলা করার মতো।।এক টুকরো /এক থান সাদা বা রঙিন কাপড়ে রঙ বেরঙের নকশা করা।আগে বাটিক মানেই সবার ধারণা ছিলো কম দামি কাপড় যা কয়েক ধোঁয়ার পরেই শেষ আর ঘুরেফিরে একই ডিজাইন। কিন্তু বর্তমানে বাটিক আর মোমবাটিকে সীমাবদ্ধ নেই।বাটিক এখন বিভিন্ন নামে বিভিন্ন ভাবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

বাটিক দেশী পোশাক হিসাবে যেমন দেশের বাণিজ্যে ভূমিকা রাখছে তেমনিভাবে দেশের বাইরেও সুনাম কুড়িয়েছে।বাটিক নিয়ে এখন বিভিন্ন নামীদামী ব্যান্ডও কাজ করছে।

বাটিক থ্রিপিস, শাড়ি ডিজাইন

বাটিক বলতে আগে কেবলমাত্র মোম বাটিক কেই সবাই চিনতো।তখন বাটিক নিয়ে এতো বেশি কেউ কাজ করতো না আর ডিজাইনও তেমন ছিলো না।প্রচলন ছিলো কম।এখন বাটিকের বিভিন্ন ধরণের ডিজাইন রয়েছে। সেসব ডিজাইন কে নিত্য নতুন ভাবে বিভিন্ন রুপে প্রকাশ করা হচ্ছে। বাটিক ডিজাইনের কিছু নাম নিচে দেওয়া আছে। নাম গুলো জেনে রাখলে ড্রেস চিনতে সুবিধা হবে।
  1. মোম বাটিক।
  2. চুনরি বাটিক।
  3. টাই ডাই বাটিক।
  4. শিবুরি বাটিক।
  5. তুলি বাটিক।
  6. দেবদাস বাটিক।
  7. ব্লক বাটিক।

মোম বাটিক

মোম বাটিক গুলো মোম দিয়ে করা হয়।কাপড়ে বিভিন্ন নকশা করে সে নকশার উপর মোম গলিয়ে লাগানো হয় তারপর মোম শুকালে রঙে ভিজানো হয়।কাপড়ে মোম দেওয়া থাকে যার জন্য সেসব জায়গা তে রং প্রবেশ করতে পারেনা যার জন্য সুন্দর নকশা তৈরি হয়।

চুনরি বাটিক

চুনরি বাটিক গুলো ছোট ছোট পুথি বা কাঠি ব্যবহার করে তা কাপড়ে দিয়ে সুতা প্যাচানো হয়।।এইভাবে ছোট ছোট করে ডিজাইন করা হয়।তারপর রঙে দিয়ে ডিজাইন করা হয়।একই ভাবে বড় করেও চুনরি ডিজাইন করা হয়।

টাই ডাই বাটিক

টাই ডাই বাটিক আর বাটিক করার নিয়ম কিন্তু এক রকম না।দুইটাই ভিন্ন রকমের।টাই ডাই বাটিক টা সুতা পেচিয়ে পেচিয়ে তারপর ডিজাইন তৈরি করা হয়।সুতা দিয়ে কাপড় শক্ত করে প্যাচিয়ে বাঁধা হয় যার জন্য রঙ ভিতরে প্রবেশ করতে পারেনা।তখন সাদা আর বিভিন্ন রঙ মিলে খুব সুন্দর ডিজাইন তৈরি হয়।টাই ডাই বাটিকের প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে।

শিবুরি বাটিক

শিবুরি বাটিকের ডিজাইন করাটা একটু কস্টের। শিবুরি বাটিক করার জন্য আগে সাদা বা এক কালারের কাপড়ে স্কেল দিয়ে দাগ কেটে ডিজাইন করতে হয়,তারপর সেই দাগ অনুযায়ী সেলাই করতে হয়। সেলাই শেষে সুতার এক প্রান্ত ধরে টান দিতে হয়।টান দিয়ে শক্ত করে সুতা পেঁচিয়ে নিতে হয় তারপর রঙে চুবাতে হয়।

তুলি বাটিক

তুলি বাটিক ডিজাইন টা রঙ তুলির মতো করে ডিজাইন করা হয়।।তুলি বাটিকের জামা কাপড়ও মেয়েরা অনেক পছন্দ করে কেনানা বাটিকের ভিতর রঙ তুলি টাইপের একটা ছোঁয়া থাকে।

দেবদাস বাটিক

দেবদাস বাটিক খুবই জনপ্রিয়।এই ডিজাইন গুলো বড় বড় ফুল আর পাতার হয়ে থাকে।বাটিকের ভিতর দেবদাস বাটিকের দামও বেশি হয়।

ব্লক বাটিক

বাটিকের কাপড়ের উপর বিভিন্ন ধরনের ব্লকের নকশা করে বল্ক বাটিকের সুন্দর সুন্দর থ্রিপিস,কুর্তি,শাড়ি তৈরি করা হয়।।

বাটিকের বিভিন্ন পোশাক

বাটিক কাপড় এখন শুধু থ্রিপিসে আটকে নেই।বাটিক এখন হালের ফ্যাশান হয়ে গেছে।বাটিক কাপড় দিয়ে এখন মেয়ে-ছেলেদের সব রকম পোশাক তৈরি করা হচ্ছে।
মেয়েদের বাটিক পোশাক হিসাবে মেয়েদের বাটিকের থ্রিপিস,শাড়ি,কাফতান,শার্ট,টপস,স্কার্ট,ফতুয়া,কুর্তি,
ওড়না,হিজাব,গজ পাওয়া যায়।

কেবলমাত্র বাটিক কাপড় দিয়ে মেয়েদের পোশাক তৈরি করা হচ্ছে তেমন না। ছেলেদেরও এখন বাটিকের বিভিন্ন ধরনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। বাটিকের শার্ট,বাটিকের পাঞ্জাবি,বাটিকের শর্ট হাতার ফতুয়া।
আর বর্তমানে ম্যাচিং করে বাটিকের কাপল সেট তো আছেই।

বাটিকের রঙ

বাটিক মানেই রঙ নিয়ে কাজ।আগে সবার ধারণা ছিলো বাটিক মানেই রঙ উঠবে।কাপড় ভিজানোর পর বালতি ভর্তি রঙ বের হবে।এখন কিন্তু সেই ধারণা একদম ভুল।বাটিক মানেই রঙ উঠে সাদা হয়ে যাবে এমন না।আবার ধোঁয়ার সময় এ পাশের রঙ ওপাশে লেগে একাকার হয়ে যাবে তেমনও না।।

তবে বাটিক যেহেতু আলগা রঙ দিয়ে করা হয় তাই প্রথম ধোঁয়া তে তার আলগা রঙ টা বের হয় বা কারিগররা হয়তো কখনো কখনো কাজের চাপে ভালো ভাবে কাপড় শুকাতে পারেনা যার জন্যও প্রথম কয়েক ধোঁয়া তে রঙ যায় তার মানে এই না যে রঙ উঠে ফ্যাকাশে বা সাদা হয়ে যাবে কিংবা কালার ফেড হয়ে যাবে।

বাটিক জামার যত্ন

বাটিক কাপড় গুলো নরমাল প্রিন্টের সুতি কাপড় থেকে একটু আলাদা যত্ন নিলে বেশি ভালো থাকে, রঙ দুইটাই বেশ টেকসই হয়।।
বাটিক জামা এনে প্রথমে একটু বাতাসে বা হালকা রোদে দিয়ে নেওয়া ভালো। যদি কাপড়ের রঙ শুকানো কম থাকে তাহলে তা ভালো ভাবে শুকিয়ে যাবে।

বাটিক কাপড় প্রথম ধোঁয়ার সময় পাঁচ মিনিট লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।
বাটিক কাপড় প্রথম ধোঁয়ার সময় শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে পরবর্তীতেও শ্যাম্পু দিয়ে ধুলে ভালো হবে।
বাটিক ড্রেস ধোঁয়ার জন্য নরমাল ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে।কোনভাবে গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না।

বাটিক কাপড় বেশি সময় ধরে ভিজিয়ে রাখা যাবে না।
বাটিক কাপড়ের জামা কড়া রোদে শুকানো যাবেনা।

উল্টা ভাবে হালকা রোদে দিতে হবে।শুধু বাটিক কেনো যেকোনো পোশাক উল্টো ভাবে রোদে দেওয়া উচিত তাহলে আর কাপড়ের কালার সহজে নষ্ট হয়না।

বাটিক থ্রিপিস শাড়ি অন্য কাপড়ের সাথে মিশিয়ে ধোঁয়া যাবেনা।তাতে করে অন্য কাপড়ে রঙ লেগে যেতে পারে।

বাটিক থ্রিপিস, শাড়ি, ওড়না, চাদর এর দাম

বাটিক কাপড় মানে আগে সস্তা এমন ধারণা ছিলো বর্তমানে বাটিক কাপড় একদম কম দাম থেকে অনেক বেশি দামের রয়েছে। বাটিক কাপড় সস্তার ভিতরেও পাওয়া যায় যার জন্য অনেকে বাটিক কাপড় বেশি পছন্দ করে। বাটিকের বিভিন্ন ডিজাইনের পোশাকের এখন বিভিন্ন ধরনের দাম রয়েছে। ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৪৫০০/৫০০০ হাজার পর্যন্ত রয়েছে।

২৫০ টাকায় বাটিকের ওড়না পাওয়া যায়।
নরমাল মোম বাটিক থ্রিপিস ৩৫০-৫০০ এর ভিতর পাওয়া যায়।
কটু ভালো মানের বাটিক থ্রিপিস ৬৫০-৯০০/১০০০ টাকা।

  • বুটিক্সের টাইডাই বাটিক ১৫০০/১৬০০ টাকা।
  • বল্ক বাটিক ৫৫০-১০০০/১৫০০ টাকা
  • বাটিক সুতি শাড়ি ৪০০-১০০/১২০০ টাকা
  • সিল্ক বাটিক ১৫০০-১৬০০ টাকা।
  • বাটিক চাদর ৪০০-৯০০/১০৫০ টাকা।

এখন বাটিকের ম্যাচিং রুমের ডেকোরেশন সেট পাওয়া যায়, বিছানার চাদর, বালিশের কভার,কুশুন পর্দা সহ তার প্রাইস প্রায় ৩৫০০-৫০০০ টাকা।

কুমিল্লার বাটিক সবচেয়ে বেশি নাম করা।কম পুঁজি তে অনেকে বাটিক নিয়ে ব্যবসা শুরু করে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।আবার নারীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে বাটিকের উপরে প্রশিক্ষণ নিয়ে বাসায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিজ উদ্যোগে ব্যবসা করে সাবলম্বী হচ্ছে।

  1. বাটিক থ্রিপিস ডিজাইন ছবি, দাম ও যত্ন নেওয়ার নিয়ম
  2. বাটিক তৈরির পদ্ধতি
  3. বাটিক জামা
  4. বাটিক শাড়ির দাম এবং অন্যান্য কথা
  5. Batik dress online shop
  6. Batik Dresses for sale
  7. Batik Dress Plus Size

Next Post Previous Post