[১]
“Sorry নীলা। আম্মুকে রাজী করাতে পারিনি। আমার জব হওয়ার আগে কিছুতেই আমাকে বিয়ে দিবেন না। তুমি অন্য জায়গায় বিয়ে করে ফেলো।”
শাহেদের মেসেজটা পেয়ে দুই মিনিট চুপচাপ জানালার ধার ঘেষে দাঁড়িয়ে থাকলো নীলা। এমনটা আশংকা করেছিলো সে অনেক আগেই। শাহেদ নীলার ক্লাসমেট। এক বছর আগে শাহেদ নীলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। নীলা রাজী হয় বিয়ের প্রস্তাবে কিন্তু শাহেদকে শর্ত দিয়ে দেয় শাহেদের আব্বু-আম্মু নীলার বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠালেই নীলা আগাবে তাছাড়া হারাম কোনো সম্পর্কে নীলা যাবেনা।
এক বছর ধরে নীলা অপেক্ষার প্রহর গুণে গেছে কিন্তু শেষ অবদি হলোনা। আচমকা দমকা বাতাস এসে জানালায় আঘাত হানলো, জানালা দুম করে লেগে যাওয়াতে নীলার হাত কেটে গেলো। শব্দ পেয়ে ছুটে এলেন নীলার বাবা।
-তোর হাত দিয়ে তো রক্ত পড়ছে, দেখি।
-হাত কেটে গেছে, খেয়াল-ই করিনি। হাত ধুয়ে আসি।
-কি রে মা? কিছু হয়েছে? মন খারাপ তোর?
-বাবা, শাহেদ মেসেজ দিয়েছে। ও আমাকে বিয়ে করবেনা। তুমি আমার জন্য ছেলে খুঁজতে পারো বাবা।
-সে কি! এতো করে বলছিলো তোকেই বিয়ে করবে। হুট করে মানা করে দিলো?
-হ্যা বাবা। হয়তো বাসায় মেনে নেয়নি। আমি তেমন কিছু জানিনা। তুমি আমার জন্য নামাজী ছেলে খুঁজিও বাবা। তুমি তো জানোই আমি দ্বীনদ্বার ছেলেকে বিয়ে করতে চাই।
-বেশ। যা হাত ধুয়ে স্যাভলন লাগিয়ে নে।
নীলা রুম থেকে বের হতেই নীলার বাবার চোখে পানি চলে এলো। নীলা অনেক আশা করে ছিলো শাহেদের জন্য। কিন্তু সব-ই আল্লাহর ইচ্ছা। মেয়ের তাওয়াক্কুল দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলো নীলার বাবা। বাইরে বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো। নীলার বাবা জানালা লাগিয়ে দিলেন।
[২]
-বুঝলেন আজিজ ভাই, যে যুগ চলে এসেছে, টাকা ছাড়া দু-কদম হাঁটাই মুশকিল। আর মেয়ে চাকরি করলে তো আপনার মেয়ের-ই সুবিধা। এখনকার যুগে দুজন চাকরি না করলে হয়? জিনিশপত্রের দাম বেড়ে গেছে বুঝলেন। একজনের রোজগারে সংসার চালানো খুব কঠিন।আবার অনেকেই আছে চাকুরীজীবী বউ সাপোর্ট করেনা। আপনার মেয়ের কপাল। তারা পরহেজগার চাকুরীজীবী মেয়ে খুঁজতেছে। আপনার মেয়ে মা-শা-আল্লাহ পরহেজগার। এখন চাকুরী করাটা মেনে নিলেই মনে করুন এখানে বিয়ে কনফার্ম।
-না ভাই। আমার মেয়ে চাকরি করবে না বলেছে। আমিতো জোর করে মেয়ের বিয়ে দিতে পারিনা। আপনি অন্য ছেলে খুঁজুন।
-এভাবে দশ বছরেও মেয়ের বিয়ের দিতে পারবেন না আজিজ ভাই। আপনার মেয়ে তো মানুষ না, ফেরেশতা খুঁজতেছে।
আজিজ সাহেব ফোন রেখে দিলেন। ঘটকের প্রতি মেজাজ বিগড়ে গেলো তার। রাগে গজগজ করতে লাগলেন তিনি। নীলা বাবার জন্য চা নিয়ে এলো, সাথে আজকের পত্রিকা। বাবার দিকে তাকিয়েই নীলা বুঝতে পারলো ঘটকের ফোন এসেছিলো। বাবার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে দিলো নীলা।
-চা খেয়ে মন ভালো করো বাবা। বিয়ের ব্যাপারে এমন হবেই। এমন তো না একদিনেই বিয়ে হয়ে যাবে। তুমি চিন্তা করোনা।
-আমি চিন্তা করিনা মা। যা অবস্থা চারপাশে এসব দেখেই মন খারাপ হয়ে যায়।বাবা হয়ে তোর জন্য উপযুক্ত একটা পাত্র খুঁজতে পারছি না।
-বাবা! যার সাথে তাক্বদীরে বিয়ে লিখা আছে সে যদি সাত সাগরের ওপারেও থাকে তার সাথেই আমার বিয়ে এমনেও হয়ে যাবে বাবা।এটা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করার কিছু নেই।আমি সবকিছু আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছি। উনি সবকিছু ম্যানেজ করে দিবেন। তুমি চা খাও।
আজিজ সাহেব কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেলেন। কোথায় বাবা হয়ে মেয়েকে সান্তনা দিবেন উল্টা তার মেয়েই সান্তনা দিয়ে গেলো। মেয়েটা তার বড়ই আদরের। একটাই মেয়ে তার। আল্লাহর কাছে প্রতিনিয়ত মেয়েটার জন্য দু'আ করেন তিনি। এখন একজন ভালো পাত্রের হাতে মেয়েকে তুলে দিতে পারলেই চিন্তামুক্ত হবেন তিনি।
[৩]
-চাকরি করতে সমস্যা কোথায় তোর? এতো কষ্ট করে পড়াশুনা করলি আর এখন বলছিস চাকরি করবিনা? চাকরি করলে কি নামাজ পড়া যায় না? পর্দা করা যায়না?
-মা, আমিতো চাকরি করতে পড়াশুনা করিনি। পড়াশুনা করেছি একজন বিবেকবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ হতে। কোনটা ভালো কোনটা মন্দ তা বোঝার জন্য শিক্ষা গ্রহণ করেছি। টাকা-পয়সা ইনকাম করতে তো পড়াশুনা করিনি।
-শোন, এসব বলা অনেক সহজ। বাইরে তো বের হোস না বুঝবি কিভাবে? জীবনে টাকার দরকার আছে বুঝলি।
-আমি জানি মা, টাকার দরকার অবশ্যই আছে। তাই বলে এই শর্তে তো বিয়ে করতে পারিনা যে চাকরি করে স্বামীর হাতে টাকা তুলে দিতে পারলেই সে আমাকে গ্রহণ করবে। যারা পূর্বে থেকেই বলে টাকার খাতিরে বউকে চাকরি করাবে তাদের বিয়ের উদ্দেশ্য আল্লাহকে খুশি করা কিভাবে হয় মা?
তুমি চাকরি করোনি তাই বলে কি আমাদের সংসার পচে গেছে নাকি আমরা অভাবে দিন কাটাচ্ছি? হয়তো ৬-৭ তলা বাড়ি আমাদের নেই কিন্তু সংসারে অশান্তি নেই মা। তোমার পূর্ণ আদরে আমি বড় হয়েছি। ছোটবেলায় তুমি আমাকে এক সেকেন্ডের জন্যও একা ছাড়োনি। ভেবে দেখো চাকরি করলে আমি যদি এতো দ্বায়িত্ব সামলাতে না পারি তখন নিজেই অশান্তিতে থাকব।
- যা ভালো বুঝিস। এমন ছেলে পাবিনা যে কিনা তোর এসব অযথা আবদার মেনে নিবে।
- তুমি এতো ভেবোনা তো মা। আল্লাহর উপরে ভরসা রাখো।
[৪]
মেয়ে আমাদের মা-শা-আল্লাহ পছন্দ হয়েছে কিন্তু গায়ের রং টা একটু কালো। আমাদের ছেলে তো ধবধবা ফর্সা। কালো মেয়ের সাথে বিয়ে হলে লোকে দু-চার কথা শুনিয়ে দিবে।
নীলা চুপচাপ শুনে গেলো। কিন্তু আজিজ সাহেব চুপ থাকতে পারলেন না।
-আপনি কি বলতে চাচ্ছেন? আপনাদের যদি কালো-ফর্সা রং নিয়ে আপত্তি থাকে তাহলে আমার মেয়েকে দেখতে এসেছেন কেন? ঘটক আপনাদের বলেনি আমার মেয়ে দেখতে কেমন?
-জ্বী তা বলেছে। কিন্তু আসলে বলছি কি আপনি নাহয় দু-চার ভরি গহনা বেশি দিলেন, তাহলে আমরা সমাজে বলতে পারব যে মেয়ের বাবা মেয়েকে অনেক কিছু দিয়ে পাঠিয়েছে। তখন আর গায়ের রং নিয়ে কেউ মন্তব্য করার সাহস পাবেনা, সবার মুখে কুলুপ এটে যাবে। আমরা আবার সোজা সাপ্টা কথা বলতেই পছন্দ করি, আমাদের মনে প্যাচগোছ নেই বুঝলেন।
-জ্বী বুঝেছি, প্যাচগোছ নেই। আমিও সোজা কথা বলতেই পছন্দ করি। আমি মেয়ে বিয়ে দিতে চাই, বিক্রি করতে না। ২৩ বছর এই কালো মেয়েকে বুকে আগলে রেখেছি, বাকি জীবনটাও পারবো।আপনারা চা খেয়ে আসতে পারেন।
-আপনি কিন্তু আমাদের অপমান করলেন।
-অপমান নিচ্ছেন কেন? সোজা সাপ্টা কথা বলেছি।
নীলা বাবার এই সাহস দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলো। চুপচাপ ড্রয়িং রুম থেকে চলে এলো।
পাত্রপক্ষ চলে গেলে নীলার মা বলতে লাগলেন
-এভাবে আর কতো ছেলে রিজেক্ট করবে। আমাদের মেয়েও যে সর্বেসর্বা তা তো না। গায়ের রং একটু চাপা। সুন্দর মেয়েকে সবাই বিয়ে করতে চায়। কালো মেয়েদের বিয়ে হতে যে একটু সমস্যা হয় এটা তো তোমার অজানা থাকার কথা না নীলার বাবা।
- জানি নীলার মা। কিন্তু তাই বলে মেয়েকে তো পণ্যের মতো অদলবদল করতে পারিনা! কালো রং কে গহনা দিয়ে ঢেকে মেয়ের বিয়ে দিতে পারিনা।
দেখো নীলার মা, আমাদের মেয়েকে আল্লাহ এমন ছেলের সাথে জুড়িয়ে দিবেন তুমি নিজেই তোমার মেয়ের জামাই এর জন্য মন খুলে দু'আ করবে। আল্লাহ নীলার পরীক্ষা নিচ্ছেন। তুমিও সবুর ধরো, আল্লাহকে ডাকো নীলার মা।
[৫]
আজ সাতদিন ধরে বই-এর তাক টা পরিষ্কার করতে চায় নীলা কিন্তু সময় হয়ে ওঠেনা। আজ সময় করে নীলা বই-এর তাকের ধুলা ঝাঁড়তে শুরু করলো। এর মাঝেই টেলিফোন বেজে উঠলো।
-তুই রিসিভ কর মা,আমার হাতে হলুদ লেগে আছে।
-হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।
-ওয়ালাইকুম আসসালাম। আমি নিবিড়।
-এটা কি আজিজ সাহেবের নাম্বার।
-জ্বী। বাবা একটু বাইরে গিয়েছেন। ফিরলে আমি ফোন দিতে বলব।
[৬]
বুঝলে নীলার মা। খুব ভালো একটা ছেলের সন্ধান পেয়েছি। কাল নীলাকে দেখতে আসবে। ছেলের সাথে দেখা করে এলাম। অনেক ধার্মিক। অনার্স ফোর্থ ইয়ারে পড়ে, নীলার ব্যাচম্যাট। ছেলের বাসা থেকেই ছেলেকে বিয়ে দিতে চাচ্ছে। ছেলের মা-বাবা সামনের বছর হজ্জে যাবে তাই এ বছর ছেলের বিয়ের পর্ব সেড়ে ফেলতে চাচ্ছেন।
-সব কিছু বলেছো। নীলা কি কি চায় আর ওদের গায়ের রং এ কোনো আপত্তি নেই তো?
-না নীলার মা। এসব নিয়ে ছেলের নিজেরও কোনো আপত্তি নেই। ছেলে নীলার ব্যাপারে সব ধরনের খোঁজ নিয়েছে। সে নিজেই নীলাকে বিয়ে করতে আগ্রহী হয়েছে।
- আলহামদুলিল্লাহ।কাল কখন আসবেন তারা?
[৭]
সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আছে। আজ নীরব আর নীরবের মা-বাবা নীলাকে দেখতে আসবেন। নীলা দুপুরের আগেই সব কাজ শেষ করে ফেললো। নীরব ছেলেটা কেমন হবে? ঠিকঠাক নামাজ পড়ে কিনা আবার নীলার গায়ের রং নিয়ে তার কোনো আপত্তি থাকবে কিনা এসব ভাবতে ভাবতেই নীলার চোখ বেয়ে পানি পড়তে শুরু করলো। নীলার মা রুমে ঢুকতেই দেখলেন নীলা জানালার ধার ঘেষে দাঁড়িয়ে আছে।
-কিরে নীলা? এখনো বোরখা পড়িস নি? ছেলেপক্ষ তো চলে আসবে!
-কিরে মা? তুই খুশি না এই প্রস্তাবে?
-না মা তেমন কিছু না।এমনিতেই চোখে পানি চলে এসেছে। তুমি যাও আমি বোরখা পড়ে তৈরী হয়ে নিচ্ছি।
-মা যতোটুকু শুনেছি, নীরব অনেক ভালো ছেলে আর তোর ব্যপারে খোঁজ নিয়েই তারা আসছেন। তুই চিন্তা করিস না। তোর অপছন্দ হলে আমি তোর বাবাকে বলব তোর বাবা মানা করে দিবেন।
-মা, তেমন কিছু না। ছেলে আমার ব্যাপারে খোঁজ নিয়েছে বুঝলাম কিন্তু আমিতো ছেলেকে চিনিনা। ছেলে কেমন জানিনা আর কি বলব তাই চিন্তা করছিলাম।
-সমস্যা নেই। তোরা নাহয় আজ কথা বল। তুই ও কথা বলে দেখ তোর পছন্দ হয় কিনা।
[৯]
বারান্দায় চেয়ারে নীলা আর নীরব বসে আছে। বাইরে বৃষ্টি পড়ছে তবুও নীরব ঘেমে একাকার। দাঁড়ির ধার ঘেষে ঘাম লেগে আছে। নীরব পাঞ্জাবীর পকেট থেকে রুমাল বের করে ঘাম মুছে নিলো। মাথার টুপিটাও ঠিক করে নিলো দুই হাত দিয়ে। সাদা পাঞ্জাবী আর টুপিতে নীরবকে চঞ্চলহীন বালক মনে হচ্ছে।
- আমি কি আপনাকে নীলা নামে ডাকতে পারি?
-নীলা, আমি আপনার ব্যাপারে সব খোঁজখবর নিয়েছি। আপনার যদি আমাকে কিছু জিজ্ঞাসা করার থাকে তাহলে করতে পারেন। আশা করি আপনার আমাকে অপছন্দ হবেনা।
-আপনি আমাকে আগে থেকেই চিনতেন?
-জ্বী চিনতাম। আমি শাহেদের ফ্রেন্ড। শাহেদের কাছেই আপনার কথা শুনেছি। আমি শাহেদকে অনেক বুঝিয়েছি আপনাকে বিয়ে করে ফেলতে কিন্তু শাহেদ আমার কথা শুনতে নারাজ। চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত শাহেদ বিয়ে করবেনা আর তাছাড়া শাহেদ হয়তো ওর মার পছন্দেই বিয়ে করবে।
আর আমিও মেয়ে খুঁজছিলাম, আপনাকেও আমার পছন্দ হয়ে গেল।
-আপনিও তো লেট করতে পারতেন, চাকুরী পাওয়ার আগেই বিয়ে করছেন যে?
-দেখুন আমার যেমন মেয়ে পছন্দ তার সবকিছুই আমি আপনার মধ্যে পেয়েছি আর রিজিকের চিন্তা তো আমার নয়। ভালো প্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশুনা করেছি এমন তো না বিয়ে করলে পড়াশুনা থেমে যাবে। আমার কোনো আপত্তি নেই বেকার অবস্থায় বিয়ে করতে। শাহেদের মত ভুল আমি করতে চাইনা। শাহেদ কি হারিয়েছে শাহেদ তা জানেনা।
আপনার কি আমাকে অপছন্দ হয়েছে?
[১০]
প্রিয় বাবা,
আজ তোমার নীলার বিয়ে। বাবা জানো আমি অনেক বাবা দেখেছি মেয়ের চাকুরীর জন্য ওয়েট করতে, মেয়েকে কষ্ট করে পড়িয়েছে তাই মেয়ে আগে চাকরি করবে তারপর বিয়ে দিবে। আবার অনেক বাবা দেখেছি যারা মেয়ের বোরখা পড়া মেনে নেয়না, অনেক বাবা বাধ্য হয়েই কালো মেয়েকে জালিমের হাতে তুলে দেয়, দেনমোহরের বোঝা ছেলের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে নিশ্চিত হতে চায় এমন বাবার তো অভাব নেই।
কিন্তু আমি এতোই সৌভাগ্যবতী যে আল্লাহ আমাকে তোমার মেয়ে হিসেবে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন৷সত্যি বাবা, তোমার মতো বাবা প্রতিটা দ্বীনি মেয়ের জন্য একটা কল্পনা। তোমার মতো বাবা প্রতিটা ঘরে থাকলে দ্বীনের পথে হাটতে কোনো মেয়েই হয়তো পিছপা হতোনা।
হয়তো এই কথাগুলো তোমাকে বলতে পারবোনা কখনোই, তাই তোমার ডায়েরীতে চিঠিটা দিয়ে গেলাম। তুমি পড়ে নিও।
▣ গল্প: মা, বাবা এবং বিয়ে
নিশাত মাহিয়াত