বাদশা আলমগির বা আওরঙ্গজেবঃ একজন ইনসাফ কারি শাসক
সম্প্রতি ‘The Wire Urdu’- তে প্রকাশিত একটি আর্টিকেলে চোখ আটকে গিয়েছিল। আর্টিকেলটির শিরোনাম ‘আওরঙ্গজেব, ইক শাখস অওর ফার্জি কিসসে’ (ব্যক্তি আওরঙ্গজেব আর তার ব্যাপারে প্রচলিত বানোয়াট কাহিনীগুলো)।
আওরঙ্গজেব, যিনি কিনা বাদশাহ আলমগীর নামেও পরিচিত, এমন এক ব্যক্তি যিনি মুঘল শাসকদের মধ্যে সবচেয়ে নিষ্ঠা ও সততার সাথে রাজ্য পরিচালনা করেছেন, কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে ইতিহাস নিয়ে যাদের কাজ, তারা তার সাথে জুলুম করার কোনো সুযোগই ছাড়েন নি।
দ্য ওয়ার উর্দুর পুরো লেখাটি একটি বইয়ের ওপর ভিত্তি করে লেখা। বইয়ের নাম ‘Aurangzeb: The Man and the Myth’। লেখিকা Audrey Truschke। আমেরিকান প্রফেসর। যেখানে উপমহাদেশের সকল ধর্ম-বর্ণের লোকজন আওরঙ্গজেবকে নিয়ে হেন কথা নেই যা লিখেনি, সেখানে ভদ্রমহিলা কী লিখতে পারেন তা ভাবতে খুব কল্পনাশক্তির প্রয়োজন ছিলো না। তবে ১৪০ পৃষ্ঠার ছোট এই বইতে আমি যা ভেবেছিলাম, লেখিকা তার উল্টো কথাই লিখেছেন। আওরঙ্গজেবকে একজন নিষ্ঠুর শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠার যে অসততা এ উপমহাদেশের ইতিহাসবেত্তারা দেখিয়েছেন তা যে সত্য থেকে বহু দূরে তিনি সে বিষয়ে খুব জোরালো মন্তব্য করেছেন।
ভারতের সেকুলাররা যাকে এককথায় পূজা করে সেই জওহরলাল নেহরু তার ‘The Discovery of India’- বইতে আওরঙ্গজেবের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, আওরঙ্গজেব সময়ের ঘড়িকে পেছনে নিতে চিয়েছিলেন (এ দেশের সেকুলারদের ভাষায় বললে মধ্যযুগে নিতে চেয়েছিলেন), কিন্তু তিনি তা করতে পারেন নি, উল্টো সময়ের ঘড়িকে ভেঙ্গে একেবারে স্থির করে দিয়েছিলেন। Audrey Truschke, নেহরুর এমন বিরূপ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, হয়তো নেহরুর কাছে আওরঙ্গজেব ‘too Muslim to be a king’- ছিলেন।
কিন্তু কথা হচ্ছে, আওরঙ্গজেবকে নিয়ে সবার মনে এতো বিদ্বেষ কেন? সেকুলার থেকে শুরু করে উগ্রহিন্দু এমনকি অনেক মুসলিমও তাকে খুব একটা পছন্দ করে না। কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা যেসব ঘটনার কথা বলেন, সেটা বাস্তবতার নিরিখে কতোটুকু সত্য তা তারা একবার ভেবেও দেখতে চায় না। তবে এটাও ঠিক আওরঙ্গজেবের মতো একজন শাসক, যিনি কিনা মুঘল রাজাদের মধ্যে ইসলামের সবচেয়ে নিকটবর্তী ছিলেন, তার ইসলামি মূল্যবোধ অবশ্যই সেকুলার ইতিহাসবেত্তা এমনকি অনেক তথাকথিত মুসলিমদের মূল্যবোধের সাথে মিলবে না এটাই তো স্বাভাবিক।
আবার অনেক ইসলাম ইতিহাসবেত্তারাও আওরঙ্গজেবের ইতিহাস লিখতে গিয়ে ততোখানিই লিখেছেন, যতোখানি তাদের ন্যারেটিভের সাথে খাপ খায়। তাই তাদের কল্যাণে আমরা জানি আওরঙ্গজেব প্রচণ্ড সৎ শাসক ছিলেন। কুরআনের কপি তৈরী করে আর টুপি সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আবার সাহসীও ছিলেন। হাতির মাঝখান থেকে এক ছেলের জীবন বাঁচিয়েছিলেন। সালাতের ব্যাপারে খুবই মনোযোগী ছিলেন।
যুদ্ধের ময়দানে সালাতের ওয়াক্ত হয়ে গেলে ময়দানের মাঝেই সালাত আদায় করতেন। ছিলেন পবিত্র কুরআনের হাফেজ। তাও হিফজ সম্পন্ন করেছেন সিংহাসনে আরোহণের পরে, চল্লিশ বছর বয়সে। আল্লামা ইকবাল তার প্রশংসায় বলেছিলেন, আওরঙ্গজেব ছিলেন মূর্তির রাজত্বে একজন ইব্রাহিম। তারপর ঐ কবিতাটি তো ছোট থাকতে আমরা সবাই মুখস্ত করেছি- বাদশাহ আলমগীর, কুমারে তাহার পড়াইতো এক মৌলভী দিল্লীর....।
এতে আওরঙ্গজেবের পাপ-পঙ্কিলতামুক্ত এক দরবেশটাইপ ইমেজ আমাদের সামনে তৈরী হয় যা পুরোপুরি সত্যি না। আওরঙ্গজেব অন্যান্য মুসলিম শাসকদের মতোই ধর্ম ও রাজত্ব মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেলে অনেক সময় রাজত্বকেই প্রাধান্য দিতেন।
আবার, সেকুলার এবং উগ্র হিন্দুবাদি ইতিহাসবেত্তারা সত্য-মিথ্যার মিশ্রণে তার এমন দানবাকার ইমেজ তৈরী করেছেন, যা পড়লে মনে হয় তিনি ভারতবর্ষের তো বটেই, পুরো পৃথিবীর সবচেয়ে নিষ্ঠুর শাসকদের একজন ছিলেন।
আওরঙ্গজেবের জীবন যে নিষ্ঠুরতা ছিলো তা বলাই বাহুল্য। পিতা শাহজাহান শুরু থেকেই তার বড়ো ভাই দারাকে বেশি ভালোবাসতেন। শাহজাহানের চোখেই দারাই ছিলো ভবিষ্যতের সম্রাট। দারার বিয়েতে তিনি সে সময়েই ৩২ লাখ টাকা খরচ করেছিলেন। প্রিন্স হিসেবে আওরঙ্গজেব, শাহজাহানের দ্বারা অনেক সময়েই বাধার সম্মুখীন হতেন যার পেছনে কলকাঠি নাড়ত দারা।
এছাড়া শাহজাদা দারা অদ্ভুত সব বিশ্বাস লালন করতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, হিন্দুধর্ম, ইসলামধর্ম সবই হক্ব। সবই মুক্তির দিকে নিয়ে যায়। দারার এসব বিশ্বাসের কারণেই হয়তো অনেক আধুনিক ইতিহাসবেত্তারা ‘আওরঙ্গজেব না হয়ে দারা মুঘল সম্রাট হলে কেমন হতো’- এমন ফ্যান্টাসিতে আজো ভোগেন।
দারার এসব আচরণ আওরঙ্গজেবকে তার পিতা ও ভাইয়ের প্রতি অনেক রুষ্ট করেছিলো। তাই শাহজাহান অসুস্থ হবার সংবাদ পাবার পর তিনি তার তিন ভাইয়ের সাথেই যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। তাদের পরাজিত করেন, দিল্লীর রাজপথে লাঞ্ছিত করেন, তারপর হত্যা করেন। একমাত্র শাহ সুজা বার্মায় পালিয়ে বাঁচেন। যেহেতু শাহজাহানের সমর্থন ছিলো দারার প্রতি, তাই দিল্লী হাতে পাওয়ার পর আওরঙ্গজেবের কাছে শাহজাহানকে বন্দী করা ছাড়া অন্য উপায় ছিলো না। কিন্তু যেভাবে তিনি শাহজাহানকে বন্দী করেছিলেন, তা তার ইমেজকে সবসময়ের জন্য বেশ প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
আওরঙ্গজেব যদি শাহজাহানের সাথে একটু দয়ার আচরণ করতেন, তবে সম্ভবত সবার নিকট তার শ্রদ্ধার পারদ আরো উঁচুতে থাকতো। কারণ, রাজত্ব দখল করা নিয়ে ভাইদের হত্যা করা রাজাদের কাছে নতুন কিছু ছিলো না। আওরঙ্গজেবের জায়গায় যদি তার অন্য কোনো ভাই সিংহাসনে বসতো, তবে তারাও ভিন্ন কিছু করতো না। এমনকি শাহজাহান নিজেও তার দুই ভাইকে হত্যা করেছিলেন। আওরঙ্গজেবের দাদা জাহাঙ্গীরকেও তার এক ভাইকে পরোক্ষভাবে হত্যার জন্য দায়ী করা যায়। তবে আওরঙ্গজেব যে কেবল ভাই কিংবা বাবার সাথে এমন করেছেন তা কিন্তু না। তিনি রাজত্বের ব্যাপারে খুবই সজাগ থাকতেন।
যার কারণে পুত্র আকবর বিদ্রোহ করলে তাকেও তিনি ক্ষমা করেন নি। তাড়া করে দেশ ছাড়া করেছেন। অনেকে জেনে হয়তো অবাক হবেন, আওরঙ্গজেবের মেঝো ছেলেও পিতার মতো দুই ভাইকে হত্যা করে সিংহাসনে বসেছিলেন।
তবুও পিতার প্রতি আওরঙ্গজেবের এমন আচরণ ভারতবর্ষের ইতিহাসে অপ্রতুল ছিলো। বলা হয়ে থাকে, শাহজাহান, নবি ইউসুফের উদাহরণ দিয়ে দয়াভিক্ষা চেয়েও আওরঙ্গজেবের কাছ থেকে নিস্তার পান নি। আওরঙ্গজেবের এমন আচরণে আশেপাশের মুসলিম শাসকরাও মনোক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন। সে সময়ের মক্কার গভর্নর আওরঙ্গজেবকে চিঠি পাঠিয়ে তিরস্কার করে বলেছিলেন, আপনি মোটেও আলমগীর নন, আপনি পেদারগীর (ফার্সিতে আলমগীর মানে পুরো পৃথিবীতে যার আধিপত্য রয়েছে, আর পেদারগীর নামে পিতার ওপর যার আধিপত্য আছে। ফার্সিতে পেদার মানে পিতা)।
আওরঙ্গজেবের ব্যাপারে সবচেয়ে বড়ো যে অভিযোগটা সেকুলার ইতিহাসবেত্তারা করেন, তা হচ্ছে তিনি হিন্দুবিদ্বেষী ছিলেন। এ অভিযোগটি সর্বৈব মিথ্যা। উল্টো তার সময়ে রাজদরবারে হিন্দু কর্মচারী নিয়োগ ৫০% বেড়ে গিয়েছিলো। যার দক্ষতা আছে, তাকেই তিনি নিয়োগ দিতেন। সে কোন ধর্মের, বর্ণের, বংশের- তা তিনি বিবেচনা করতেন না। তিনি কিছু মন্দির ধ্বংস করেছেন সত্যি, কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায় তিনি তো চাইলে হাজার হাজার মন্দির ধ্বংস করতে পারতেন, কয়েকটি করলেন কেন। উল্টো দেখা যায়, তার আমলে অনেক মন্দিরের জন্য সরকারি জমি দেয়া হয়েছে। তিনি মন্দিরের নিরাপত্তার জন্য প্রহরী নিয়োগ দিয়েছিলেন। Audrey Truschke তার বইতে দেখিয়েছেন মন্দির ধ্বংসের পেছনে যতোটা না ধর্মীয় কারণ ছিলো, তার চেয়ে বেশি ছিলো রাজনৈতিক কারণ। আওরঙ্গজেবের জায়গায় কোনো মারাঠা কিংবা রাজপুত রাজা থাকলে তারাও একই কাজ করতো। ইতিহাস বলে, তারা এমন কাজ করেছেও।
আওরঙ্গজেবের সম্পর্কে বলা হয়, তিনি জোর করে মানুষকে মুসলিম বানাতেন। প্রায় ৪০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার যার অধীনে ছিলো, যিনি ৫০ বছর ভারতের সম্রাট ছিলেন, তার ব্যাপারে এ অভিযোগ সত্যি হলে আজকের ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরাই হতো, হিন্দুরা নয়।
আওরঙ্গজেব হিন্দু-মুসলিমদের ওপর ইনসাফের সাথে বিচার করতেন। তার ব্যাপারে আরো বলা হয় তিনি হোলি, দিওয়ালি নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু এটা বলা হয় না কেন তিনি নিষিদ্ধ করেছিলেন। এসব উৎসবের দিন রাজ্যে কেমন লুটতারাজ, বিশৃঙ্খলা হতো তা কখনো উল্লেখ করা হয় না। তার সম্পর্কে এটাও বলা হয় না, তিনি শুধু হোলি, দিওয়ালি নয়, নওরোজ (নববর্ষ), মুহাররমের মিছিল, এমনকি দুই ইদের সময়ে বেশি হইহুল্লোড় করাও নিষিদ্ধ করেন।
হ্যাঁ, আওরঙ্গজেব অনেক কিছুই নিষিদ্ধ করেছেন যা আজকের তথাকথিত আধুনিক বিশ্ব মেনে নিতে পারবে না। তিনি পতিতাবৃত্তি নিষিদ্ধ করেছিলেন, নিষিদ্ধ করেছিলেন মদ খাওয়া, গাজা খাওয়া, নাচ-গান, অশ্লীলতা। মুরতাদের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করেছিলেন। তিনি হিন্দুদের অপর জিজিয়া কর আরোপ করেছিলেন, যেটা যে কোনো মুসলিম শাসকই করবে। কিন্তু এর বিনিময়ে তাদের নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। সত্যি বলতে যা যা নিষিদ্ধ করার জন্য আজকের পৃথিবীতে একজন সেকুলার ইতিহাসবেত্তা তাকে ঘৃণা করবে, ঠিক একই কারণে একজন মুসলিম তাকে ভালোবাসবে।
Audrey Truschke তার বইতে আওরঙ্গজেবের ব্যাপারে মিথ্যাচারের জন্য সেকুলার লেবাস ধারণকারী ইসলামবিদ্বেষী লেখকদের দায়ী করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে তারা ফার্সি থেকে অনুবাদের সময় কখনো ইচ্ছে করে, কখনো অজ্ঞতার কারণে ভুল করেছে। সত্যি বলতে সে সময়ের ফার্সি ডকুমেন্ট পড়তে যে দক্ষতা প্রয়োজন, তা এ সময়ে খুব কম মানুষেরই রয়েছে। আমাদের দেশের সেকুলার ইতিহাসবেত্তাদের অবস্থা তো আরো খারাপ।
তারা উর্দু, হিন্দি, ফার্সি- কিছুই জানেন না। ইংলিশ যে কেমন জানেন তা তাদের অনুবাদ পড়লেই বোঝা যায়। দেশ বাদ দিয়ে উপমহাদেশে তাকালে অবশ্য অনেক পণ্ডির ব্যক্তিদের দেখা মেলে। উপমহাদেশে আওরঙ্গজেবের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি যিনি লিখেছেন তার নাম যাদুনাথ সরকার। তার ৫ খণ্ডের বই রয়েছে কেবল আওরঙ্গজেবের ওপর। পূর্ব-পশ্চিমের সব ইতিহাসবেত্তারা তার কথাই শেষ রায় হিসেবে মেনে নিয়েছে লম্বা সময় ধরে। কিন্তু লেখিকা উল্লেখ করেছেন, যাদুনাথ সরকার ইতিহাস লিখতে গিয়ে অনেকসময় অসততা করেছেন এবং মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তিনি তার সাম্প্রদিয়ক আচরণ থেকে বের হতে পারেন নি।
আওরঙ্গজেব মুঘল সাম্রাজ্যকে এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন, যে তিনি নিজেও জানতেন তার পরবর্তীরা তা বৃদ্ধি করা তো দূরের কথা, ধরেও রাখতে পারবেন না। সম্রাটের শেষ দিনগুলো তাই গভীর অনুশোচনায় কেটেছে। যে সাম্রাজ্যের জন্যে তার হাতে এতো রক্ত লেগে আছে সে সাম্রাজ্য বেশিদিন টিকবে না ভেবে যেমন কষ্ট পাচ্ছিলেন, পাশাপাশি ভয় পাচ্ছিলেন কীভাবে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করবেন তা ভেবেও। আওরঙ্গজেবের যা ভেবেছিলেন হয়েছিলোও তাই। তার মৃত্যুর মাত্র ৩০ বছর পরে পারস্যের নাদির শাহ যখন দিল্লী লুট করে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন মুঘল সাম্রাজ্য সবার কাছে তামাশার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
আমাদের ভারতবর্ষের ইতিহাস থেকে আজকে আওরঙ্গজেবকে মুছে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যে রাস্তাঘাটে তার নাম আছে সে নাম বদলে ফেলা হচ্ছে। সবার কাছে তাকে উপস্থাপন করা হচ্ছে একজন ভিলেন হিসেবে। এমন একজন ভিলেন যিনি আকবরের মতো ধর্মকে জগাখিচুড়ি বানাতেন না, যাকে মুঘল সাম্রাজ্যের হারুনুর রশীদ বললে খুব একটা ভুল হবে না।
মজার ব্যাপার, ভুলিয়ে দেয়ার এতো চেষ্টা করার কারণেই হয়তো মৃত্যুর ৩০০ বছর পরেও তিনি সবচেয়ে আলোচিত মুঘল বাদশাহ। আমাদের বাদশাহ আলমগীর।
- Shihab Ahmed Tuhin