নারীবাদীদের বা ফেমিনিস্টদের ঘৃণা করার কারন ঃ যে কারণে নারীবাদীদের ঘৃণা করি…
- নারীবাদীদের ক্ষতিকর দিক
- ফেমিনিস্ট কেনো খারাপ ও বর্জনীয়
[১]কোনো জিনিসের মৌলিক বৈশিষ্ট্যে পরিবর্তন আসলে, সে জিনিসটার পরিচয়ে পরিবর্তন আসে। পরিবর্তন আসে চাহিদায় ও ব্যবহারে। যেমন দুধ অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি প্রাণীজ খাবার। এর মৌলিক একটি বৈশিষ্ট্য হলো এটি তরল। কিন্তু কোনোভাবে এই ফিজিক্যাল কেরেক্টারিকটিসটা যদি পাল্টে যায়, তরল থেকে ঘন হয়ে যায়, তখন সেটিকে আর কেউই দুধ বলে না। মাখন বা ছানা হয়ে যায় সেটি। মাখনের চাহিদা, স্বাদ এবং ব্যবহার দুধ থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। তেমনিভাবে ফুটন্ত পানিতে চা পাতা দেওয়ার পর যখন পানির রঙ-গন্ধ-স্বাদে পরিবর্তন আসে, তখন সবাই সেটাকে ‘চা’ বলে। ‘পানি’ থাকাবস্থায় ঢক ঢক করে গিয়ে খেলেও পানিটা যখন চা হয়ে যায়, তখন সুরুত সুরুত শব্দে সেটাকে গলধঃকরণ করাটা বাঙালির চিরাচরিত স্টাইল।
একজন নারীর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো সে পুরুষের কর্তৃত্বাধীন থাকবে এবং যেসকল বিষয়ে স্রষ্টা পুরুষকে ইউনিক শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন, সেগুলো সে অকপটে স্বীকার করে নিবে। নারীর উপর পুরুষের শ্রেষ্ঠত্ব পুরুষতান্ত্রিক সমাজের সৃষ্টি নয়। এটি সম্পূর্ণ ন্যাচারাল একটি বিষয়। এ শ্রেষ্ঠত্ব স্রষ্টা নিজেই দিয়েছেন। এটিকে ওভারকাম করা কোনো নারীর পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব না। ময়ূরের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।
ময়ূর প্রকৃতির সিলেক্টেড একটি স্পেশাল পাখি। কিন্তু ময়ূরী অর্থাৎ মহিলা ময়ূরের ক্ষেত্রে ঘটনাটা একটু ভিন্ন। কারণ পুরুষ ময়ূরের পেখম তুলা নাচ দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে প্রশংসা করলেও, মহিলা ময়ূরের নাচ কেউই দেখে না। পেখমই নাই, নাচ দেখবে কে? Peahen-র উপরে Peacock-কে এ শ্রেষ্ঠত্ব প্রকৃতি নিজেই দিয়েছে। নারীবাদীদের বলবো, এতে আমাদের পুরুষজাতির কোনো দোষ নাই ভাই।
ফিজিক্যালি পুরুষদের যে শ্রেষ্ঠত্বটা, একজন নারীর জন্য সেটাকে ওভারকাম করতে চাওয়াটা চরম বোকামি এবং হাস্যকর একটা বিষয়। একজন মহিলা যতই হিজাব-নিকাব কিংবা আল্লাহওয়ালা(?) হয়ে ক্রিকেট খেলুক না কেনো, টেইট-আখতার-লী-দের মতো কখনোই সে 160kph+ গতিতে বল ছুড়তে পারবে না-কখনোই না। কিংবা বর্তমানের বাউন্স তারকা জোফরা আর্চার-স্টার্ক, নোর্কিয়া-রাবাদা ও বুমরাহদের মতো গতি ও বাউন্সের অসাধারন মিক্সার তারা কখনোই করতে পারবে না। এখন এটার জন্য যদি তারা ধর্ম কিংবা পুরুষদের গালি দিয়ে গুষ্টি উদ্ধার করে, কিংবা আর্চার-আখতারদের পটেনশিয়াল রেপিস্ট বলে, তাহলে তাদেরকে কী বলবেন?
পুরুষের কর্তৃত্ব স্বীকার করার পাশাপাশি একজন নারীর অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য হলো স্বামী-সংসার-সন্তানাদিকে জীবনের সবকিছুর চাইতে বেশি প্রায়োরিটি দেওয়া। সংসারের প্রয়োজনে কর্মক্ষেত্রে নারী সন্দেহাতীতভাবে অবশ্যই বিচরণ করবে, তবে সেটিকে কখনোই সংসার বা পরিবার ধ্বংসের কারণ বানানো যাবে না। লুঙ্গির গিট্টু খুলে যাচ্ছে দেখেও আপনি লুঙ্গি না সামলিয়ে যদি চোখে সুরমা লাগিয়ে বোযুর্গী দেখাতে চান, তাহলে সেটা নিতান্তই বোকামী।
[২]
নারীবাদীরা পুরুষদের সমান অধিকার চায়। সমভাবে পুরুষদের মতো সবকিছু করতে চায়। এই চাওয়াটার পিছনে মূল কারণটা হলো তাদের মাঝে ‘নারী’ হিসেবে যে মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলো থাকার কথা ছিল, সেগুলোতে পরিবর্তন এসেছে। কোনো একজন নারীবাদী লেখিকা নাকি নারীদের দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে চরমভাবে উদ্বুদ্ধ করেছেন এবং শারীরিক কিছু কারণে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে না পারায় খুবই ক্ষোভ ও আফসোস প্রকাশ করেছেন। দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা পুরুষদের জন্যও নিষিদ্ধ। কিন্তু জন্তু-জানোয়ারদের জন্য প্রস্রাবের নীতিমালা নেই। তাই নারীবাদীদের এই বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তনটা সম্ভবত জন্তু-জানোয়ারের থেকেই এসেছে বলে আমার ধারণা।
যার নূন্যতম সায়েন্স-বায়োলজির জ্ঞান আছে, সে সমকামিতাকে ঘৃণা করবেই। নারী-পুরুষের ফিজিক্যাল রিলেশনশিপের মৌলিক যে দুটি উদ্দেশ্য তা হলো পরিতৃপ্তি লাভ এবং পরবর্তী প্রজন্মের সার্ভাইভাল নিশ্চিত করা-নিজের জেনেটিক বৈশিষ্ট্য পরের প্রজন্মে স্থানান্তরের মাধ্যমে। সহজ ভাষায় বললে, সন্তান উৎপাদন। সমকামিতার দ্বারা সন্তান উৎপাদন অসম্ভব-এটা পাগলেও স্বীকার করবে।
পাশাপাশি ন্যাচারাল পদ্ধতি বাদ দিয়ে সমকামিতার মাধ্যমে কতটুকু যৌনতৃপ্তি পাওয়া যায়, সেটাও অনক বড় একটা বিষয়। অন্যদিকে সমকামিতার কারণে নতুন নতুন যৌনরোগের আবির্ভাব হচ্ছে-যেটাও অনেক বড় একটা কনসার্ন। বিপরীত লিঙ্গ ছেড়ে স্ব-লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণের এই বৈশিষ্ট্য নারীবাদীরা জন্তু-জানোয়ারদের কাছ থেকে নিয়েছে বলেও আমার মনে হয় না। কারণ বন্যপরিবেশে সমকামিতার চর্চা হয়না। সেখানে সবাই স্রষ্টা প্রদত্ত নিজস্ব ইউনিক বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ে সহস্র শতাব্দী ধরে বাস করছে।
-নারীবাদীদের বৈশিষ্ট্য পরিবর্তনের আলোচনাটা সুবিশাল। নিজেদের স্বকীয়তা ছেড়ে তারা নিম্নস্তরের প্রাণীদের থেকে জীবনাচরণ শিক্ষা নেয়। যেমন ধরুন কুকুরের মতো অবাধ ও খোলামেলা যৌনাচার। নিম্নস্তরের এই মানসিকতার কারণে তাদের মধ্যে জেনেটিক এমন এক ধরণের পরিবর্তন এসেছে যে, তারা এখন ‘নারী’ কিংবা ‘মানুষ’ দুটার কোনোটাতেই ক্যাটাগরিবদ্ধ থাকতে চায় না। পাশবিক মানসিকতার কারণে তাদের মধ্যে পশুসুলভ; কখনো কখনো পশুর চাইতেও নিকৃষ্ট আচার-আচরণ লক্ষ্য করা যায়।
সুতরাং খসরু সাহেব নারীবাদীদের প্রচণ্ডরকম ঘৃণা করেন। পাশাপাশি নারীবাদীদেরকে তিনি ‘নারী’ মনেই করেন না। তাদের লিঙ্গ পরিচয় তাদের কর্মকাণ্ডই বলে দেয়। কিছু পুরুষও নারীবাদী হয়-তারা পঞ্চম লিঙ্গের প্রাণী। তাদের নিয়ে কথা বলে মুড নষ্ট করতে চান না খসরু সাহেব।
-মূলকথা হলো, বক্ষভরা স্তন আর তলপেটের নিচে গর্ভাশয় থাকলেই তাকে ‘নারী’ বলাটা সমীচীন নয়। ‘নারী’ স্রষ্টা প্রদত্ত কিছু বৈশিষ্ট্যের সমষ্টি। আর এই বৈশিষ্ট্যে সমষ্টিবদ্ধ নারীদের প্রতিই রইল সম্মান-ভালোবাসা।
- Md. Khosrul Alam