বিয়ের আগে ও পরে বিবাহিত জীবনের জন্য বাংলা ইসলামিক বই এর তালিকা ও লিংক

বিয়ের সময় কি কি দেখে বিয়ে করবেন? বিবাহিত স্ত্রী কিংবা স্বামীর সাথে কেমন আচরন করবেন? কার কি হক কিভাবে পূরণ করবেন এসব জানা সকল কাপল এর জন্য জরুরি।এসব জানতে প্নাকে হেল্প করবে এমন কিছু বই এর লিস্ট। 

বিবাহিত দাম্পত্য জীবনের জন্য ইসলামিক বই ঃ বিয়ের ইসলামিক পোস্ট

নিচে কিছু বই এর তালিকা দিচ্ছি। এই বই গুলো মূলত তাদের  জন্য বেশি দরকার যারা বিবাহ করার ইচ্ছা করছেন কিংবা অলরেডি বিবাহিত। 

 বিয়ের আগে যে বইগুলো আপনার পড়া থাকা জরুরি বলে আমি মনে করি

১/ আই লাভ ইউ (আতীক উল্লাহ হাফিযাহুল্লাহ)

কেমন হতে পারে হালাল প্রেমের চিত্র,
ভালোবাসার আবির মেখে চার চোখের সম্মোহন কীভাবে ঝরাতে পারে পবিত্র প্রেমের বৃষ্টি- গল্পে গল্পে সে কথা জানাতেই আমাদের এবারের আয়োজন “আই লাভ ইউ”।
জনপ্রিয় গল্পকার আতীক উল্লাহর জীবন জাগার গল্প সিরিজের #চতুর্দশী বই
“আই লাভ ইউ”।

Link: I Love You 


২/ ওগো শুনছো (ঐ)

বইটি পড়লে অবিবাহিতদের মনে হবে এখনি বিয়ে করে ফেলি। আর বিবাহিতরা নতুন করে একে অপরের প্রেমে পড়ে যাবেন। জীবন জাগার নিরেট প্রেমের গল্প। যে প্রেম শুধু কাছেই টানে না, জান্নাতেরও পথ দেখায়।
এই বইটিতে মোট ১৭টি গল্প দিয়ে সাজানো।



৩/ দুজন দুজনার (ঐ)

এক ছাদের নিচে একত্রে অনেক বছর বাস করেও কখনও সখনও সঙ্গের মানুষটিকে নতুন লাগে….
এই যে নতুন বিনিসূতোয় সম্পর্কের নতুন মেলবন্ধন, তা কি একশব্দে ব্যক্ত করা যায়?
এমন কিছু চমকে ওঠা, থমকে দেয়া, আবিরমাখা, আবেশছোঁয়া আর ঘোরলাগানো গল্প নিয়ে মাকতাবাতুল আযহারের উপহার ‘দুজন দুজনার’।


৪/ পোশাক, পর্দা ও দেহসজ্জা ( খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহিমাহুল্লাহ)

Free Link: Free PDF  | Buy Paper Link


৫/ আদর্শ দাম্পত্য জীবন (মুফতী যাইনুল আবেদিন)


৬/ কুররাতা আইয়ুন (শামসুল আরেফিন)


৭/ নারী ঘরের রাণী (মাওলানা যুলফিকার আহমাদ)


৮/ সুখময় দাম্পত্য জীবন (ঐ)


৯/ যৌবনের মৌবনে (ঐ)


১০/ প্রিয়তমা (সালাউদ্দিন জাহাঙ্গীর)


১১/ বিয়ে নিয়ে কিছু কথা ( আলী তানতাবী)


১২/ ইউনিভার্সিটির ক্যানটিনে ( ড. আরিফী হাফিযাহুল্লাহ)


১৩/ নারী যখন রাণী (ঐ)

বোনেরা মাসায়েল এর জন্য 'আহকামুন নিসা' বা 'ফিকহুন নিসা' পড়তে পারেন। খুবই উপকারী।


ভাইদের জন্য 'আহকামে যিন্দেগী' মাস্টারপিস।


মোটামুটি একটা লিস্ট দিলাম। এর মধ্যেও যদি শর্ট চান তাহলে বলবো আতীক উল্লাহ, জুলফিকার আহমাদ আর ড. আরিফির বইগুলো একদমই যেন না ছুটে। 


আপাতত এগুলো দিয়ে শুরু করেন। বিস্তারিত লিস্ট দেব ইনশাআল্লাহ।

মনে রাখবেন, " যত বেশি পড়বেন, তত বেশি শিখবেন।"

আল্লাহ হাফেজ  

Aliullah Muhammad


উপরে দেওয়া তালিকা টা Aliullah Muhammad ভাই এর তৈরি করা। আমি এই লিস্ট এর 

সালাউদ্দিন জাহাঙ্গীর, মুফতী যাইনুল আবেদিন, এবং মাওলানা যুলফিকার আহমাদ এই ৩ জন লেখকের কোন বই পড়িনি তাই আমি ( ব্লগ এডমিন) ইনাদের লেখার ব্যাপারে কোন কিছু বলতে পারিনা। ভালো নাকি খারাপ সহিহ নাকি জাল কিছুই জানিনা। তবে ধারনা রাখি ভালো হবে।


আর অন্য লেখকদের চিনি এবং ভালো খুব ভালো ধারনা রাখি। শায়েখ আতিক উল্লাহ্‌ কিংবা আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহিঃ) উনারা তো বেশ জনপ্রিয় । অনেকেই চিনেন। আবার শামসুল আরেফিন ভাই উনি তো বেশ কিছু জনপ্রিয় ইসলামিক বই লিখে পরিচিত পাইছে তাছাড়া তিনি সোশ্যাল মিডিয়া তেও সরব একজন।


আমি চেষ্টা করেছি মূল বই কেনার লিংক দিতে। মাঝে ২/১ টা বই এর ফ্রি পিডিএফ লিংক দেওয়া লাগছে কারন অন্য লিংক গুগলের টপে পাইনি। আপনার কাছে যদি মনে হয় কোন বই এর ফ্রি লিংক দেওয়ার অনুমতি লেখক প্রকাশক দেননি কিন্তু সেই বই এর ফ্রি লিংক এখানে আছে তাহলে আমাদের জানালে আমরা উপকৃত হবো।


আমাদের ফেসবুক পেজঃ Banglafeeds.info 


 প্রবাদ আছে, "গোছের স্বামী ভালো নয়"। অর্থাৎ অতি গোছালো স্বামীর সাথে স্ত্রীর মিলমিশটা তেমন ভালো হয়না।

ধরুন, আপনি একজন গোছানো মানুষ। আপনার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়টা সেই ছোট বেলা থেকেই এক নিয়মে চলে আসছে। আপনি সেই নিয়মের বাহিরে যেতে পছন্দ করেননা। (ফজর পড়ে ঘুমানোর অভ্যাস যাদের আছে) ধরুন, আপনি সকালে ঘুম থেকে প্রতিদিন একই সময়ে উঠেন, উঠে আপনার ব্রাশ খুঁজতে হয়না, মানে আপনার ব্রাশ নির্দিষ্ট যায়গায় থাকে। আপনার নাস্তার আইটেম ও নির্দিষ্ট থাকে, এবং সময় মত আপনি নাস্তা টেবিলে না পেলে রাগ করেন। নাস্তার পর আপনি কি করবেন সেটাও আগে থেকেই সেট করা।


অফিসে গেলে, অফিসের কাগজ পত্র অথবা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আপনি রাতেই গুছিয়ে রাখেন, কারন আপনি গোছানো মানুষ। অফিসে যাওয়ার জন্য আপনার নির্দিষ্ট পোশাক আসাক থাকে, এটা কেউ এগিয়ে দিতে হয়না। আপনার জামাকাপড় নির্দিষ্ট যায়গাতেই থাকে, কখনো এদিক সেদিক হওয়াকে আপনি পছন্দ করেন না। আপনার খাওয়া-দাওয়া, উঠা-বসা, সব কিছু আপনার মন মত একটা রুটিনের ভিতরে থাকে; কারন আপনি গোছালো মানুষ।


এতে করে হয় কি, আপনি যাকে বিয়ে করেছেন ওই বেচারি ভালোবাসার যায়গা থেকে যে একটু কর্তৃত্ব দেখাবে, তা আর হয়ে উঠেনা। স্বামীর সাথে স্ত্রীর যেই একটা আত্মার সম্পর্ক গড়ে উঠার কথা, তা আর গড়ে উঠেনা। আপন হয়েও আপনাকে ওর কাছে পর পর মনে হবে। কারন আপনি তো বেচারিকে আপন হওয়ার সুযোগ টাই দিলেন না।


আপনাকে সকালে ঘুম থেকে ডেকে উঠানো, অথবা নাস্তার জন্য ডাকা-ডাকি করা বা নাস্তা নিয়ে আপনার সামনে হাজির হওয়া। আপনার জামা-কাপড় ওর মত করে গুছিয়ে রাখা, আপনার যখন যেটা লাগবে সেটা এগিয়ে দেওয়া। আপনার জন্য তার মন মত করে রান্না করা, মাঝে-মাঝে ওর মত করে আপনাকে গুছিয়ে দেওয়া। ওর যখন ঘুরতে বেরুতে মন চাইবে তখন ঘুরতে নিয়ে যাওয়া। মাঝে-মাঝে স্ত্রীর কথাকে প্রাধান্য দেয়া। এতে করে আপনার সাথে আপনার স্ত্রীর একটা আত্মার সম্পর্ক গড়ে উঠবে। এক সময় অপরিচিত থেকেও আস্তে আস্তে সবচেয়ে কাছের মানুষ হয়ে উঠবে। এমনটাই হওয়া উচিত। তাই আপনার গোছানো ব্যক্তিত্বটা স্ত্রীর সামনে প্লে করবেন না। এতে করে দু'জনের সম্পর্ক মধুময় হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য : এই লেখার সাথে কেউ নিয়মানুবর্তিতাকে মিলাবেন না, কারণ লিখাটি শুধুমাত্র স্বামী-স্ত্রীর আদুরে সম্পর্কের সাথেই সম্পৃক্ত।

লেখা: আব্দুল্লাহ শাকিল।

Next Post Previous Post