ইসলামিক ফেসবুক পোস্ট ও ছবির কালেকশন ২০২৪

 ইসলামিক ফেসবুক পোস্ট ও ছবির কালেকশনঃ ইসলামিক লেখা স্ট্যাটাস 

যা যা পাবেন পোস্টেঃ

  1. ইসলামিক লেখা বিভিন্ন পোস্ট
  2. ইসলামিক ছবি
  3. ইসলামিক ছোট লেখা স্ট্যাটাস ও পিকচার  
✉"অনবরত পাপ আপনাকে দরিদ্র ও হতাশ বানিয়ে ছাড়বে।"
-ইবনুল কাইয়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ)
[আল ফাওয়াইদ, পৃ ৩৪০]


আমি যা বুঝি

১। জুলুমের সময় কেউ পাশে আসবে না। জুলুমের পরেও কেউ বিচার করবে না। যে সমাজ চলে আবু জাহেলের কথায় সে সমাজে আবু লাহাবের বিচার হয় না। উতবা শাইবা যে সমাজে কর্নধার, ওলিদ ইবনে মুগিরার বিচার করবে সেই সাহস কার?

কথা সহজ। কুত্তার কাছে কুত্তার বাচ্চার বিচার দিয়ে লাভ নেই।


২। আল্লাহ ছাড়া আর কোনো রক্ষাকারী নেই। তার কাছেই চাইতে হবে আশ্রয়। নিয়মিত আল্লাহর কাছে নিরাপত্তার দোয়া করতে হবে। নিরাপত্তার নিয়তে নিয়মিত সদকার আমল চালাতে হবে। হেফাজতের যে দোয়াগুলো আছে, ইয়াকিনের সাথে এগুলো পাঠ করতে হবে।


৩। পরিবারের মহিলা সদস্যদের নিয়ে পর্দার পরিবেশে ভ্রমনকেও আর নিরাপদ মনে করছি না। প্রচন্ড জরুরত না হলে নারীদের ঘরে থাকাই আবশ্যক। পশুদের অরণ্যে ঘরে থাকাই নিরাপদ। আল্লাহ যদি দয়া করে জান্নাত দান করেন, অনেক ঘুরা যাবে।


৪। আল্লাহ না করুক, কোনো বিপদ যদি আসেই, প্রতিরোধ উত্তম। ঘরে অন্তত দা বটির ব্যবস্থা তো থাকেই। জালেমের রক্তে এগুলোকে ধোয়ার ব্যবস্থা যদি থাকে, তাহলে তাইই করতে হবে।

- িম্রান রাইহান 

✉দুঃখ,কষ্ট ও হতাশার সব কিছু থেকে পরিত্রাণের উপায় আল্লাহর অভিমুখী হওয়া।

জীবনে যা হারিয়ে যায়,তার চেয়ে অনেক বেশিগুন ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষমতা আমাদের রবের আছে।সমস্যা হল আবেগী মন রিপ্লেসমেন্ট চায় না।বরং ঘুরেফিরে একি বৃত্তের চারদিকে ঘুরতে ভালোবাসে।মেক্সিমাম কষ্ট গুলোর কারণ আমরা নিজেরাই।আমরাই নিজেদের দুঃখ গুলোকে বাড়িয়ে দেই।
.
জীবনে ভাব্বেন, না কিছু হয়নি,এমন প্রতিনিয়ত ই হয়,অনেকের জীবনেই হচ্ছে।দেখবেন মনের অজান্তেই আপনার মন ভালো হয়ে গেছে।যদি একবার ভাবেন সব কেন আমার সাথেই হয়??আমার সাথেই কেন এমন হল??এইগুলা ভাবা শুরু করলেন মানে নিজেকে অতল গহবরে ইচ্ছে করে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।যেখান থেকে বের হওয়া টাফ।কারণ শয়তান চায় ই মানুষ হতাশ হয়ে আল্লাহকে ভুলে যাক।তাই হতাশ হবেন না।শয়তানকে সুযোগ পেতে দিয়েন না।
.
পৃথিবীতে কে সুখী???কেউ না।দুনিয়া শান্তিও সুখের জায়গা না।আপনার দৃষ্টিতে সবচেয়ে সুখী মানুষটিও কত বড় পরীক্ষার সম্মুখীন সেটা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।কারো বাহ্যিক জীবন দেখেই সুখী মানুষের সার্টিফিকেট আপনি দিয়ে দিলেই কেউ সুখী হয়ে যায় না।বড় কিছু অপূর্ণতা আছেই মানুষের জীবনে।কিন্তু তারপরেও কিছু মানুষ খুব ভালো থাকে।তার কারণ কি জানেন??তারা তার রবের উপর ভরসা করে এগিয়ে চলে, নতুন সোনালী ভোর দেখবে বলে।
.
আমাদের পরিকল্পনা মাফিক সব হবে এমন না।কিন্তু যখন খারাপ কিছু ঘটেই যাবে,তখন আল্লাহর উপর ভরসা করে এগিয়ে যেতে হবে।ইনশাআল্লাহ একদিন রাতের অন্ধকার দূর হয়ে সুন্দর একটা ভোর আপনি দেখবেন ই।
.
সেই সুন্দর ভোরের জন্য ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করতে হবে,চেষ্টা করতে হবে।কেউ আমাদের চেইঞ্জ করতে পারবে না,চেইঞ্জ হওয়ার ট্রাই আমাদের ই করতে হবে।
.
গুনাহ ছেড়ে আল্লাহর অভিমুখী হন।ইনশাআল্লাহ অনেক বিপদের মাঝেও আল্লাহ আপনাকে স্থির রাখবেন।হতাশ হয়ে যাবেন না।
.
কেউ একজন ভালোবাসার জন্য কাঁদে,সেই ভালোবাসার জন্য খাওয়া ছেড়ে দেয়।অথচ হাজারো মানুষ আছে যারা একমুঠো খাবারের জন্য হাঁ করে তাকিয়ে থাকে।একটুখানি আশ্রয়ের জন্য কাঁদতে থাকে।আমরা আমাদের উপর নিয়ামতের শোকরিয়া আদায় করতে পারিনা।আমরা বিশ্বের যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকালেই বুঝতে পারি আল্লাহ আমাদের কত ভালো রেখেছেন।
.
সব সময় না পাওয়ার হিসেব নিয়ে যারা ব্যস্ত থাকে, তারা কখনো সুখী হয় না।বরং অনেক না পাওয়ার মাঝে যারা অল্প একটু পাওয়াতে খুশি হয়ে আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করে,তারাই খুব সুখী হয় জীবনে।যাদের কে হতাশা স্পর্শ করে না।বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর কাছেই কান্নাকাটি করে।
.
অল্পে তুষ্টে থাকার মাঝে প্রশান্তি আছে।অধিক যাদের চাহিদা তারা কখনো তৃপ্তি পায় না।অভিযোগ করা থেকে বিরত থাকুন।নিজের নেয়ামত গুলো নিয়ে এক্টু ভাবুন।পাশের মানুষ গুলোর কি আছে,আপনার কি নেই, সেটার হিসেব না মিলিয়ে।বরং অন্যের কি নেই, আল্লাহ আপনাকে কি দিয়েছেন,সেটার হিসেব করুন।ইনশাআল্লাহঅনেক কিছু না পেলেও একটা অন্তরে প্রশান্তি থাকবে।
.
প্রশান্ত হৃদয় আল্লাহকে অভিযোগ করেনা।আল্লাহ আমাদের অন্তরে প্রশান্তি দান করুন।আমীন।আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ দান করুন।আমীন।মুমিন কখনো হতাশ হয় না।
.
দুনিয়ার সামান্য জীবন নিয়ে এত হতাশা!!!অথচ আমাদের ফিক্সড জীবনে আমরা এখনো পৌঁছাইনি।আল্লাহফিক্সড জীবনের হতাশা থেকে হেফাজত করুন।আমীন।আখিরাতে যারা হতাশাগ্রস্ত হবে সেটাই হবে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়।আল্লাহ রক্ষা করো স্থায়ী বিপর্যয় থেকে।আমীন ইয়া রব্বাল আলামীন
.
" আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল আ-ফিয়াতা ফিদদুনিয়্যা অল আ-খিরাহ "
Jannat Raz (Ahliya Manzurul Karim)


✉চোখের এক ফোঁটা পানির অজানা কাহিনী।

ইংরেজিতে Tears। বাংলাতে অশ্রু, নেত্রজল, নয়নজল, চোখের পানি, নয়ননীর ইত্যাদি। আরবিতে دَمْع।
১.
প্রতিমুহূর্ত আমাদের চোখ দুটো সিক্ত থাকে। চোখের উপরিভাগে অবস্থিত লেক্রিম্যাল গ্লান্ড (Lacrimal gland) থেকে অবিরত বিশেষ ধরনের লিকুইড বের হতেই থাকে। বয়স ভেদে দৈনিক ৫-১০ আউন্স লেক্রিম্যাল গ্লান্ড থেকে অশ্রু নির্গত হয়। American Academy of Ophthalmology-এর মতে বৎসরে ১৫-৩০ গ্যালন অশ্রু উৎপন্ন হয়। আর তাতেই আইবল লুব্রিকেটেডেট হয়। চোখের অভ্যন্তর পানিময় থাকে বিধায় আমরা মাথা না ঘুরিয়েও যেদিকে ইচ্ছা সেদিকেই চোখের মণি ঘুরাতে পারি। এছাড়া কন্টিনিউয়াসলি নির্গত এই অশ্রুর কারণে চোখ থাকে পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং রোগহীন।
এই প্রকারের অশ্রুকে বলা হয় Basal Tears। মৌলিক নেত্রবারি।
২.
হঠাৎ চোখে কিছু পড়লে নয়ন দুটো পানিতে টলমল করে। চোখের সীমানা ছাপিয়ে গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ে নয়নজল। পেঁয়াজ কাটলে চোখ থেকে অবারিত পানি ঝরে। বেমক্কা খোঁচা লাগলে পানি পড়ে। অথবা অন্যকোনো কারণে চোখে আঘাত লাগলে লেক্রিম্যাল গ্লান্ড প্রচুর পরিমাণ অশ্রু নির্গত করে। প্রয়োজনের কয়েকশো গুণ বেশি। কেন এতো বেশি অশ্রু উৎপন্ন হয়, জানেন? চোখ যাতে ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তজ্জন্য লেক্রিম্যাল গ্লান্ড বিরামহীন প্রচুর পরিমাণে অশ্রু নির্গত করতে থাকে। পুরো চোখকে মুহূর্তেই ধুইয়ে মুছে সাফ করে ফেলে। সেই মুহূর্তে যদি পানি দিয়ে চোখ ভরে না যেতো তাহলে চোখের বারোটা বেজে যেতো।
এই প্রকার অশ্রুকে বলা হয় Reflex Tears।
৩.
দুঃখ পেলে আমরা কাঁদি। নিশ্চুপে কাঁদি, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদি, চেঁচিয়ে কাঁদি। চোখের পানি দিয়ে গা ভাসিয়ে ফেলি। আবার খুব বেশি আনন্দিত হলেও কিন্তু আমরা কেঁদে ফেলি। যন্ত্রণা বা রোগশোকের ব্যথার কারণেও কাঁদি। কান্নার সময় প্রচুর পরিমাণে অশ্রু ঝরে।
এই প্রকারের অশ্রুকে বলা হয় Emotional Tears। এই ইমোশনাল অশ্রু উপরের দুই প্রকারের অশ্রু থেকে সম্পূর্ণ বিপরীত। অন্যান্য প্রাণীর ব্যাসাল এবং রিফ্লেক্স অশ্রু থাকলেও ইমোশনাল অশ্রু নেই। শুধু মানুষেরই ইমোশনাল অশ্রু ঝরানোর সুযোগ রয়েছে। এটা মানুষের বিশেষত্ব।
এই ইমোশনাল অশ্রুর গঠনও ভিন্ন। এই প্রকারের অশ্রুতে প্রায় ১৫০০ প্রকারের প্রোটিন থাকে। থাকে ইলিক্ট্রোলাইট। একারণে চোখের পানি জিহ্বায় লাগলে তিতা লাগে। কারণ, তাতে সোডিয়াম থাকে। এছাড়া অন্যান্য হরমুন তো থাকেই। কাঁদলে স্ট্রেস কমে। দুঃখের পারদ নিচে নামে। দেহটা আবার নরমাল ফর্মে ফিরে যায়। দেহাভ্যন্তরে জমে যাওয়া কষ্টের জঞ্জাল অশ্রুর স্রোতের তোড়ে টিকতে পারে না। বের হয়ে যায়। আল্লাহ বের করে দেন। কষ্টের সময় কাঁদতে না পারলে শোক জমে মানুষ পাথর হয়ে যায়। তাইতো বলি, অতিকষ্টে পাথর।
এই ইমোশনাল অশ্রু নিয়ে গবেষণা এখনো চলমান। তবে উদ্দেশ্য নিরূপণ এখনো বহুদূরে। তবে অধিকাংশ গবেষক এই মর্মে একমত, ইমোশনাল অশ্রু অন্যের থেকে সহানুভূতি, ক্ষমা এবং সাহায্য চাওয়ার খুব শক্তিশালী সিগনাল।
বাচ্চারা কাঁদলে মা-বাবারা দৌড়ে কাছে যান। আদরে আদরে আহ্লাদিত করে ফেলেন।
স্বজনহারা ব্যক্তি যখন হাউমাউ করে কাঁদে তখন আমরা তার প্রতি যারপরনাই সহানুভূতিশীল হই। কখনো আমরাও তার সাথে কেঁদে ফেলি।
দুঃখিত ব্যক্তি যখন কেঁদেকেঁদে সাহায্য চায় তখন আমরা সাহায্য করতে আপ্রাণ চেষ্টা করি। অন্তরটা মোমের মতো বিগলিত হয়।
আর অপরাধী বান্দা যখন তার রবের দরবারে হাত তুলে ক্ষমা চেয়েচেয়ে অঝোরে অশ্রু ঝরায়, বা কান্নার ভাব ধরে তখন তার রব প্রচণ্ড খুশি হন। মাফ করে দেন পাপী বান্দাকে। রহমতের চাদরে জড়িয়ে নেন। কল্যাণের তাবুতে ঠাঁই দেন। সাকীনাহ বর্ষণ করেন।
আল্লাহর ভয়ে বান্দার চোখ থেকে গড়িয়ে পড়া এক ফোঁটা পানি জাহান্নামের আগুন নেভাতে সক্ষম। সেই এক ফোঁটা পানি সাধারণ পানি নয়; প্রায় ১৫০০ প্রজাতির দেহসার সমৃদ্ধ অত্যধিক শক্তিশালী ইমোশনাল অশ্রু।
আল্লাহর রাসূল ﷺ বলেন,
"আল্লাহ কাছে দুটো ফোঁটার চেয়ে প্রিয় আর কিছু নেই। তন্মধ্যে একটি হল, আল্লাহ ভয়ে ফেলা (ইমোশনাল) অশ্রু ফোঁটা।" (তিরমিজি-১৬৬৯)
অন্যান্য প্রাণীকে যে অশ্রু দেননি সেটিই দিয়েছেন মানুষদেরকে। এটা আমাদের কল্যাণেই দিয়েছেন। গহীন রাতে, নিভৃতে, নির্জনে, যখনতখন ইমোশনাল অশ্রু ফেলে দয়াময়ের কাছে ক্ষমা চাওয়ার সিগনাল দেওয়ার জন্যই দিয়েছেন। এক ফোঁটা পানিও আমার জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামাত। এই নেয়ামতের যথাযথ ব্যবহার করে উন্নত এবং সুখময় পরকাল কামাই করে নিতে না পারলে আমাদের চেয়ে হতভাগা আর কারা?
দেহ ভাবনা: Nazrul Islam

✉ অন্ধকার বাংলাদেশে নারীদের আত্মরক্ষাঃ

উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান রাদি. বনু নাজ্জার গোত্রের সদস্য ছিলেন। সম্পর্কে রাসূল ﷺ-এর দুধ সম্পর্কীয় ফুফু। হুনাইন যুদ্ধে তিনিও অংশগ্রহণ করার অনুমতি পান। তাঁর দলে ছিলেন আরও কয়েকজন সাহাবিয়্যাহ। তখনকার যুদ্ধে মায়েরা যেতেন যুদ্ধাহতদেরকে নার্সিং করতে। ফাস্ট এইডের দায়িত্ব প্রধানত মহিলা সাহাবিয়্যাহদের কাঁধেই ছিল। তবে প্রয়োজনে তাঁরাও জ্বলে উঠতেন স্ব-মহিমায়। উহুদ যুদ্ধে তো উম্মে আম্মারাহ রাদি. তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। যুদ্ধমাঠে অত্যধিক ক্ষিপ্রতা, দূরদর্শিতা, সাহসিকতা এবং আপসহীনতার কারণে যারা ইতহাসের সেরা নারী যোদ্ধা হিসাবে স্থান করে নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে উম্মে সুলাইম বিনতে মিলহান রাদি. অন্যতম।

হুনাইন যুদ্ধের সময় তিনি গর্ভবতী ছিলেন। তবুও যুদ্ধে যাওয়া থেকে বিরত থাকেন নি। স্বামী আবু তালহা রাদি.-এর সঙ্গে যুদ্ধে যান। একই উটে স্বামীর পিছনে ছিলেন। আবু তালহা রাদি. তাঁর দ্বিতীয় স্বামী। প্রথমজনের নাম মালিক বিন নদর। সে মুসলিম ছিল না; ছিল ঈমানেকর্মে মুশরিক। আপন স্ত্রীর ইসলাম গ্রহণের খবর শুনে রাগেক্ষোভে বাড়ি ছেড়ে সিরিয়াতে চলে যায়। কিছুদিন পর সেখানেই মারা যায়। সেই ঘরেই জন্ম নিয়েছিলেন বিখ্যাত সাহাবী আনাস বিন মালিক রাদি.। স্বামীর রাগ করা, বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া এবং শেষমেশ দ্বিতীয় বিয়ে করা নিয়ে অসাধারণ ইতিহাস রয়েছে। একজন নারী কতো বুদ্ধিদীপ্ত হলে ঘটনার মোড় ক্ষণেক্ষণে ঘুরাতে পারেন, উম্মে সুলাইম রাদি-এর জীবনকর্ম না পড়লে বোঝা যাবে না। যাক সে কথা। তিনি হুনাইন যুদ্ধে গোপনে সাথে করে একটি বড় ছুড়ি নিয়ে যান। বোরকার ভেতরে লুকিয়ে। স্বামীও জানতেন না।

হঠাৎ আবু তালহা রাদি.-এর দৃষ্টিতে ছুড়িটি ধরা পড়ে। চকচকানো ডেগার দেখে আবু তালহা রাদি. আশ্চর্যান্বিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ
তুমি ছুড়ি আনলে কেন?
কোনো অসভ্য মুশরিক যদি আমার কাছে ভিড়ার চেষ্টা করে তখনই ছুড়ি দিয়ে তার মাথাটা গলা থেকে আলাদা করে ফেলব।
আবু তালহা রাদি. রাসূল ﷺ-এর কাছে গিয়ে স্ত্রীর ছুড়ি আনার সংবাদটি দিলে তিনি মুচকি হাসলেন।
এই আধুনিক জাহিলিয়াহর যুগেও হায়েনাদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে মা-বোনদের আত্মরক্ষামুলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। আজ প্রত্যেকটা জনপদ রাক্ষসখোক্কসে ঠাসা। নিরাপত্তা নেই কোথাও। ঐসব রাক্ষস যখন খেতে আসবে তখনই গলা চেপে ধরতে হবে। 'বাঁচাও বাঁচাও' বলে নিজেরা আর চিৎকার না করে তাদেরকে গোংরানির অবস্থায় নিয়ে যেতে হবে। ভয় পেয়ে লাভ নেই।
- Nazrul Islam


✉ ভণ্ড নারিপ্রেমি ও ধর্ষণ এর বিচার চেয়ে লোক দেখানো লাফালাফি

চিল্লানি থামান। যথেষ্ট হয়েছে। 'ধর্ষকের বিচার চাই' বলে গলা ফাটানো বন্ধ করুন। ন্যাকামি বাদ দিন। আপনাদের বিশ্রী বহুরূপের সাথে পরিচয়ের পালা মোটামুটি শেষ।
আমি যদি বলি, ধর্ষকদেরকে ইসলামি আইনে বিচার করো। অগণিত মানুষের উপস্থিতিতে কিংবা লাইভ টেলিকাস্ট করে উপযুক্ত শাস্তি দাও। তখন আজকের প্রতিবাদীরাই আমাকে ট্যাগাবে। সেকেল, অমানবিক, বর্বর, অমানুষ, বন্যমানুষ বলে গালিগালাজ করবে। বিশ্ব মাতবররা হিউম্যান রাইটসের দোহাই দিয়ে ধুইয়ে দেবে।
এই এরাই আবার সময়ে সময়ে ধর্ষকদের বিচার চায়। হাস্যকর। খুবই হাস্যকর। যারা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবির বিরুদ্ধে মানবাধিকারের জিকির তোলে ওদের প্রত্যকই ধর্ষকগোষ্ঠী তৈরির ইন্টারনাল কারিগর। ধর্ষণ খেলার ইন্টেরিওর মেন্টর।
যারা ধর্ষণের কঠিন শাস্তি বাস্তবায়নের পক্ষে তাদেরকে সমর্থন জানানো তো দূরের কথা, প্রত্নতাত্ত্বিক যুগের বাসিন্দা মনে করে।
আপনাদের একটু লজ্জা থাকা উচিত। একদিকে বিচার চান, অন্যদিকে কঠিন বিচারের কথা উঠলে ধর্ষকদের পক্ষে দালালি শুরু করে দেন। অমানুষ এবং বর্বর তো আপনারাই। ছায়া ধর্ষক তো আপনারাই।
এই লজ্জাহীন সমাজে অবিচার, অনিয়ম, ধর্ষণ, খুন, দুর্নীতি তো মাথাচাড়া দিয়ে উঠবেই।
শুনুন! ইসলামি আইন ছাড়া এসব অপকর্ম বন্ধ করার দ্বিতীয় কোনো অপশন নেই। ধারেকাছে কল্পনা করা যায়, এমন বিকল্পও নেই। পথ একটাই—ধরো, আনো, মারো।
- Nazrul Islam


রুগি দেখার উপকারঃ Nazrul Islam
১.
সুযোগ পেলেই রোগী দেখতে যাবেন। এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাহ। অনেক অনেক সওয়াব। সত্তর হাজার ফেরেশতা আপনার জন্য রহমতের দুয়া করবে। এই সুবর্ণ সুযোগটা হেলায় হারাবেন না।
২.
ভিতরে অহংকার চলে আসলে দ্রুত নিকটস্থ কোন হাসপাতালে চলে যান। নিবিড়ভাবে দেখুন মানুষের অক্ষমতা। অনুভব করুন মানুষের শক্তিহীনতা। একটু জ্বরে কেমন কাবু হয়ে গেছে লক্ষ্য করুন। সুতরাং এই অহংকার করে কী লাভ?
৩.
রোগীকে নগদ টাকা দিয়ে সহযোগিতা করার চেষ্টা করুন। বহুদিন ধরে চলা অনুপকারী রুসুম বাদ দিন। সুস্থ হলে ফলের ঝুড়ি নিয়ে যাবেন। অসুস্থ হলে মধুও তিতা লাগে। ফলটলে টাকা না ঢেলে সেই টাকাটা গোপনে রোগীর চিকিৎসা ব্যয় খাতে দিয়ে আসুন। প্রেসক্রিপশনটা হাতে নিয়ে বাকি দিনের ওষুধ কিনে দিয়ে আসুন। অনেক উপকার হবে। 'মানুষ কী বলবে"-এই ট্যাবুটা ভাঙুন। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
৪.
নিজ স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হোন। অখাদ্য খেয়ে জীবনকে বরবাদ করে দেবেন না। বিড়ি-সিগারেট, তামাক-জর্দা এখনই ত্যাগ করুন। মদ গাঁজায় আসক্ত থাকলে তওবা করুন। অভিশপ্তদের তালিকা থেকে নাম কাটান। মনে রাখবেন, এই দেহ আপনার নয়; জাস্ট আল্লাহর দেয়া আমানত। সুতরাং আমানতের খেয়ানত করবেন না।


শান্তিতে নোবেল ও পশ্চিমা শয়তানি

ট্রাম্প নোবেল প্রাইজের জন্য প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছেন।
ইসরাইলের নেতানিয়াহু শান্তিতে নোবেল প্রাইজের জন্য নমিনেটেড হয়েছেন।
রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন মনোনীত হয়েছেন।
এসব খবর দেখার পর একটা জটবাঁধা ধোঁয়াশা কাটল। যারা বিশ্বময় আগুন জ্বালাতে পারে তারাই নোবেল প্রাইজের জন্য বিবেচ্য হতে পারে। যত্রতত্র অশান্তি সৃষ্টি করতে পারঙ্গম ব্যক্তিরাই নোবেল কমিটির প্রশান্তির খোরাক। এই ধরেন তারা খুশিতে, আনন্দে, ফুর্তিতে জালিমদের হাতে নোবেল ধরিয়ে দেয়।
সুতরাং নোবেল প্রাইজ নিয়ে লাফানোর কিছু নেই। ঐ কমিটির গোপন স্লোগান হচ্ছে, "মুসলিম মারো, নোবেল জিতো।"
- Nazrul Islam


নগ্নতা - অসভ্য আধুনিক নারী

এই যে আমাদের বোনেরা যে ধরনের পোশাক পরেন তা কি সভ্যতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ? আর্মপিট সহ স্পর্শকাতর অঙ্গ খোলা রেখে সভ্য হওয়া যায়? মর্মান্তিক ব্যাপার হচ্ছে, এখন অর্ধোলঙ্গও বলা যায় না। পঞ্চাশ ভাগের বেশিভাগ অংশ তারা অনাবৃত রাখে। এই খোলার হার দিনদিন বাড়ছে বৈ কমছে না।

এমন পোশাক পরিহিতা বোনদেরকে সভ্য বলে ধরে নেয়া যায় না। আমাজান বনের গহীনে বসবাসরত মানুষেরা পুরোটা খোলা রাখে আর জমকালো আধুনিক শহর-গঞ্জের মানুষেরা পুরোটা ঢাকে না।
অধিকাংশ খোলা রাখে। আর যতটুকু ঢাকে তাও আবৃতের হুকুমে পড়ে না।

মাত্রাতিরিক্ত টাইটের কারণে শরীরের ভাঁজ দশ হাত দূর থেকেই পরিদৃষ্ট হয়। এমন কাপড় না পরলে তেমন কিছু যায় আসে না। এ হিসাবে তাদেরকে পুরোপুরি অসভ্য বলতে আপত্তি থাকলেও অর্ধেক অসভ্য বলাতে বাধা থাকার কথা নয়। তবে কোনক্রমেই সভ্য বলা যায় না। যারা সভ্য বলবে তাদের হয়ত সভ্যতার সংজ্ঞা জানা নেই। অথবা সেও অসভ্য।

অসভ্যতার এই ক্রমবিকাশ সভ্যতাকে ম্লান করেই যাচ্ছে। পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রে আজ শুধু মৌল ছেঁড়ার কটকট শব্দ। চোখের জেনা থেকে কে বাঁচতে পারছে, বলুন! পশ্চিমা অসভ্যদের অনুসরণের শেষ কোথায়?
- Nazrul Islam


ক্রিপ্টোকারেন্সি নির্ভর এমএলএম থেকে সাবধান!

তবে সব এমএলমএমই ধ্বংসের মূল।
বুঝে হোক, না বুঝে হোক–ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি মানুষ ঝুঁকছে। আধুনিককালে অনলাইন জগতে ক্রিপ্টোকারেন্সি হট সাবজেক্ট। রকেট গতিতে মূল্যবৃদ্ধির কারণে উচ্চাকাঙ্ক্ষীরা নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে এর পিছনে পড়ে আছে। বিনা পরিশ্রমে মানুষের অজান্তে যদি রাতারাতি টাকার পাহাড় গড়া যায় তাহলে মন্দ কি!
বাজারে ভিন্নভিন্ন নামে অনেক ক্রিপ্টোর অস্তিত্ব রয়েছে। তন্মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টিকারী ক্রিপ্টো হচ্ছে বিটকয়েন। সাতুশী নামাকাতো ছদ্মনামধারী ব্যক্তির হাত ধরে ২০০৯ সালে বিটকয়েনটি আলোর মুখ দেখে। তখন ধরতে গেলে এর কোনো মূল্যই ছিল না। শুরুতে একজন মাইনার দশ হাজার বিটকয়েন দিয়ে দুটো পিজ্জা কিনতে পারত মাত্র।
অথচ এই অবহেলিত প্রতিটি বিটকয়েনের মূল্য ২০১৩ সালের শেষে এসে দাঁড়ায় ১০১৭ ডলারে। ভাবা যায়!
সেই একই বিটকয়েনের আজকের বাজারমূল্য হচ্ছে, বাংলাদেশী ৮৮৮,৭১৭.৮৪ টাকা। মাত্র একটি বিটকয়েন কেনাবেচা হচ্ছে প্রায় নয় লাখ টাকায়! কী জাদুর দুনিয়া। ২০০৯ সালে যারা পিজ্জা দিয়ে হাজার হাজার বিটকয়েন সংগ্রহ করেছিল তাদের সম্পদ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে তা সহজেই অনুমেয়। এ হচ্ছে দাজ্জালীয় সিস্টেম। চম্বুকের মতো সম্পদ টেনে ব্যক্তি বিশেষের কাছে পুঞ্জিভূত করার অন্যতম হাতিয়ার হতে পারে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি।

বিটকয়েন দারুণ খেলে। মাসের শুরুতে যদি প্রতি বিটকয়েনের মূল্য ৫০০০ ডলার হয় তবে সেই বিটকয়েন মাস শেষ করে ১০০০০ ডলারে উন্নীত হয়ে। পরের মাস আবার শুরু করে ৭০০০ ডলারে। এর গতিপ্রকৃতি বোঝা আমাদের মতো বোকাদের জন্য বেশ কঠিন।
কথা সেটা নয়, মূলকথা হচ্ছে, বিটকয়েনের উত্থান দেখে ইতোমধ্যে অনেক ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে চলে এসেছে। তেমনি একটি হচ্ছে ইথেরিয়াম (Ethereum)। এর যাত্রা শুরু ২০১৫ সালে। এই ক'দিনে বেশ পরিচিতি লাভ করেছে। প্রতি ইথারের বর্তমান বাজার মূল্য ২৮৯৬০ টাকা। আগামী মাসে সেটা গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৪০০০০ টাকায়। লোভের জাল এভাবেই পাতা হয়।

যা বলার জন্য এতো বড় ভূমিকা লেখলাম তা হচ্ছে, ইথেরিয়ামের চতুর মাইনাররা ভিন্ন ফাঁদ নিয়ে এগুচ্ছে। তারা ইথেরিয়াম নির্ভর মাল্টি লেভেল মার্কেটিং শুরু করেছে। সেটার অস্তিত্ব বাংলাদেশেও আছে। শুধু আছে না, শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বেশ প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে। যারা পূর্ব থেকেই এমএলএমে যুক্ত তারাই নতুন করে ক্রিপ্টোকারেন্সি বেইজড মার্কেটিং করছে। আর তাদের কথায় মুগ্ধ হয়ে যুক্ত হচ্ছে উচ্চাকাঙ্ক্ষীরা। এর ফলাফল যে কী ভয়ানক হবে তা যদি এই লোভী শ্রেণিরা ভাবত! না, আমি বিস্তারিত বলতে পারব না। এতো সময় আপাতত আমার নেই।
লোভ চেক দিতে না পারলে আম-ছালা সবই খোয়াবেন। কথাটা মনে রাখবেন
- Nazrul Islam


নারী নির্যাতন মামলা ও বাস্তবতা

বেশ কয়েকবছর আগে আমাদের এলাকায় দু পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়েছিল পাওনা টাকা নিয়ে। পরের দিন ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি থানায় 'স্ত্রী ধর্ষণ চেষ্টা' মামলা নথিবদ্ধ করে। যাদেরকে আসামী করা হল, তাদের প্রত্যেকেই এলাকার সর্বশ্রদ্ধেয় ব্যক্তি ছিলেন। তাঁরা মুহূর্তেই হয়ে গেলেন বাদীর স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টাকারী। এই হচ্ছে এদেশের সিংহভাগ মামলার ভিত্তি।
কাউকে আইনি জটিলতায় ফেলার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে নারী নির্যাতন মামলা। কারণ, এই মামলাটি বহুক্ষেত্রর জামিন অযোগ্য। কেউ এই মামলায় গ্রেফতার হলে চূড়ান্ত রায়ের পূর্ব পর্যন্ত জেলে থাকতে হয়। জামিন পাওয়া খুবই কষ্টকর। নারী নির্যাতন মামলার তদন্ত খুব দ্রুত সম্পন্ন করতে হয়। ৯০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট পেশ করার আইনি বাধ্যবাধকতা আছে। সুতরাং বিবাদীকে শায়েস্তা করার এরচেয়ে ভালো কোনো উপায় আইনী ধারায় নেই বললেই চলে।
বাংলাদেশে জমিজমা নিয়ে বেশি বিবাদ হয়। অথচ থানায় পৌঁছে সেই ঝগড়াগুলো হয়ে যায় নারী নির্যাতন বা ধর্ষণ। প্রায় ৮০ ভাগ মামলা হচ্ছে নারী নির্যাতন ঘটিত। এই ৮০ ভাগ মামলার ৯০ ভাগই ভুয়া। তদন্তে কোনো প্রমাণ পায় না সংশ্লিষ্টরা। বাহিরের অধিকাংশ দেশে ১০০ ভাগ মামলার সাজা হয়, আর আমাদের দেশে ৮০ ভাগ মামলা ভুয়া হিসাবে প্রমাণিত হয়। এইতো কয়েকদিন আগে একজন ভাই ১৮ বছর জেল খেটে চাচার বয়সে এসে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন।
নারী মুখ ফুটে যদি বলতে পারে, অমুক আমাকে জড়িয়ে ধরেছে তখনই আইনের গাড়ি ৫০০ কি.মি বেগে চলতে শুরু করে। অন্যান্য মামলায় আইন বটমূলে বিশ্রামে থাকে।
পুরুষ! বেশি লাফাইয়ো না। বেশি কথা বললে সাইজ হইয়া যাইবা। কিছু দিলে ভিক্ষুকের মতো নিবা, উল্টাপাল্টা করলে সোজা জেলে যাইবা।
(বিঃদ্রঃ-পোস্টটি উন্নত আদর্শ গ্রহণকারিণী বোনদের জন্য প্রযোজ্য নয়।)
- Nazrul Islam

  1. বাংলা ইসলামিক পোস্ট স্ট্যাটাস
  2. ফেসবুক ইসলামিক লেখা
  3. বাংলা লেখা ইসলামিক ছবি
  4. ইসলামিক ছোট উপদেশ মূলক গল্প লেখা 




এই মুহুর্তে আমি ডিপ্রেশন এর এমন একটা স্টেজে পৌছে গিয়েছি হাতে দুইটা অপসন চলে আসছে। হয় শয়াতানের হাতিয়ার হতে হবে। নয়তো দুয়ার মাধ্যমকে হাতিয়ার করতে হবে। কারন চাওয়া পাওয়ার হিসেব মিলেনা।

বস্তুগত কোন সমস্যা না। এইটা মানসিক সমস্যা। কোন ফয়সালাকে মেনে না নিতে পারার সমস্যা। ধৈর্য হারিয়ে ফেলার সমস্যা। সব কিছু একেবারে একদিনে পেয়ে ফেলার সমস্যা। আমি যেই সমস্যায় পড়ি। মেডিসিন হিসেবে এই একটা আয়াত কে দিয়ে হৃদয় সিক্ত করি।

لَا يُكَلِّفُ اللّٰهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَآ إِنْ نَّسِيْنَآ أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَآ إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِيْنَ مِنْ قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهٖ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَآ ۚ أَنْتَ مَوْلٰىنَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكٰفِرِيْنَ

"আল্লাহ্ কারো উপর এমন কোন দায়িত্ব চাপিয়ে দেন না যা তার সাধ্যাতীত। সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তারই, আর মন্দ যা কামাই করে তার প্রতিফল তার উপরই বর্তায়। ‘হে আমাদের রব! যদি আমরা বিস্মৃত হই অথবা ভুল করি তবে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব! আমাদের পূর্ববর্তীগণের উপর যেমন বোঝা চাপিয়ে দিয়েছিলেন আমাদের উপর তেমন বোঝা চাপিয়ে দিবেন না। হে আমাদের রব! আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না যার সামর্থ আমাদের নেই। আর আপনি আমাদের পাপ মোচন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। অতএব কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।"
( সুরা বাকারাহ, আয়াত- ২৮৬)

- Mahfija Alam Sharmin আপুর লেখা
  vv
Next Post Previous Post