তথাকথিত আধুনিক উদারমনা ফ্রান্স এর ইসলাম বিদ্বেষ আর নোংরা ঘৃণার চেহারার ইতিহাস
মুসলিমদের উপর ফ্রান্স এর জুলুম ও গণহত্যা
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাত্র কিছুদিন আগে, চলতি মাসের প্রারম্ভে সব শিষ্টাচার ভেঙে একটি প্রধান ধর্মের বিরুদ্ধে যে ঘৃণাবাক্য উচ্চারণ করেছেন তা এই জামানায় অনেকের কাছেই অপ্রত্যাশিত। তিনি ‘ইসলাম’কে সমগ্র ‘পৃথিবী’র জন্য ‘সংকট’ হিসেবে অভহিত করেছেন।
আরও কয়েকবছর আগে ২০১৫ সালের দিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইসলামকে পরিমার্জনের আলাপ তুলে ‘মৌলবাদী ইসলাম’ নাম দিয়ে মূলত মূলধারার ইসলামের বিরুদ্ধেই প্রকাশ্য ‘যুদ্ধ ঘোষণা’র কথা বলেছিলেন।
ফ্রান্সে পর্দার উপর আঘাত হানার রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টা সেই ১৯৮১ সাল থেকেই চলছে। কিন্তু এখানেই ফ্রান্সের ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের ইতিহাস শুরু নয়। বরং মুসলমানদের দ্বিতীয় সারির মানুষ হিসেবে (আদতে শত্রু হিসেবে) ট্রিট করার ইতিহাস মুসলিম বিশ্বে ফরাসি উপনিবেশ স্থাপনের কাল থেকেই খোলাসা।
সেকালের ফ্রান্সের তামাম ইতিহাস জুড়ে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও বর্বরতা ছেয়ে আছে।
তারা জোরপূর্বক ৯৯ শতাংশ মুসলমানের দেশ আলজেরিয়াকে ১৩২ বছর দখল করে রেখেছিল। এই সময়ে জামা কাংশোয়াসহ প্রধান প্রধান প্রায় সবগুলো মসজিদগুলোকে গীর্জায় পরিণত করেছে।
মুসলমানদের ফসলি বাগানগুলোকে ফলের মওসুমে তারা আগুনে পুড়িয়ে দিত। ১৫ লাখেরও অধিক লোককে তারা শহীদ করেছে। মাদ্রাসাগুলোকে বন্ধ করে দিয়েছিল। কোরআন শিক্ষা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
শুধু আলজেরিয়া নয়,
- মরক্কো,
- তিউনিসিয়া,
- সুদান,
- মালি,
- নাইজেরিয়া,
- সোমালিয়া,
- লেবানন,
- ইয়ামানে
যেই মুসলিম ভূমিতেই ফ্রান্স প্রবেশ করেছে সেখানেই সে মসজিদ, মাদ্রাসা আর ইসলামের উপর আঘাত করেছে।
ফ্রান্সে কেবল গত এক বছরেই ১,০৪৩ টি ইসলামোফোবিক ঘটনা ঘটেছে। যেখানে ২২ টিরও অধিক মসজিদে হামলার ঘটনাও আছে।
এবার ফ্রান্স রাষ্ট্রীয় বন্দোবস্তে আল্লাহ্র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ব্যাঙ্গচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করেছে। যদিও আগে ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে হয়েছে তবে তাতেও অবশ্য রাষ্ট্রীয় মদদ ছিল।
এই হচ্ছে ইউরোপের ধর্মনিরপেক্ষতা!
এরপরও দুনিয়ার মুসলমান শাসকেরা একটা বাক্য উচ্চারণের সাহস করছে না! আহা! আমরা মুসলমানের সন্তানেরাও এসব নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিকার বোধ করি না!
আমাদের কিছুই করার ক্ষমতা হয়ত নাই- কিন্তু অন্তরের দহন তো কম হবার কথা নয়! সেই দহন কি আদতেই আছে? কতখানি? রাসুলের প্রতি ভালোবাসা ঈমানের শর্ত। নিজের ঈমানকে পরীক্ষা করে নিতে আর কোনও প্যারামিটার দরকার নাই!
আফসোস, আমরা তো কেবলই দুনিয়াকেই বেছে নিয়েছি! আহ! কা’বার রব্বের শপথ, ইতিহাসে মুসলমান আগে কখনো এত অসহায় ছিল না। আল্লাহ্ আমাদের অক্ষমতাকে ক্ষমা করুন।
ও আমাদের প্রতিপালক! এই অক্ষম নির্লজ্জ গোলামের তো আপনার কাছে দোআ করা ও ক্ষমা চাওয়া ব্যতিত আর কিছুই করার নাই!
হে মহামহিম, অসীম ক্ষমতার অধিকারী, আমরা কেবলই আপনার মুখাপেক্ষী। আপনার প্রেরিত পুরুষ, সর্বশ্রেষ্ঠ যে নবী, তাঁর ইজ্জত আপনিই রক্ষা করুন।
ইয়া রাব্বাল কা’বা! এই উদ্ধত ফরাসি জাতি ও তার নিকৃষ্ট শাসকদের হিদায়াত ও বুঝ দিন। কিন্তু যদি তারা প্রকৃতই বক্র আর মোহরবিশিষ্ট অন্তরের অধিকারী হয় তবে তাদের ধ্বংস করুন। তাদের উপর আসমান ও জমিন এক করে দিন।
তাদের পর্বতসমূহকে উপড়ে ফেলুন। ভূমির ভারসাম্যতা বিনষ্ট হোক। সমুদ্র তাদের উপর আছড়ে পড়ুক। বাতাস ও আগুন তাদের গ্রাস করুক। আকাশ ও মাটি থেকে পানিকে সরিয়ে দিন। তাদের উপর দূর্ভিক্ষ আরোপ করুন।
আদ ও ছামুদ জাতির মত তাদের ধ্বংস করুন। সাবায়ীদের মত তাদের চাষযোগ্য ভূমিসমূহকে অনাবাদী ও রুক্ষ করে দিন। তাদের ফলসমূহকে তিক্ত করে দিন। আমালেকা জাতির মত তাদেরকে পরাজিত করুন। বনী ইসরাইলের মত তাদেরকে রাষ্ট্রহীন করে দিন।
ইয়া রাব্বুল আলামিন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন। দয়া করুন। আমাদের ঐক্য ও মর্যাদাকে ফিরিয়ে দিন।
অবিরত দুরুদ ও সালাম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ সে নবীর উপর!
আমাদের অনাগত বংশধরেরা তাঁর জন্য কুরবান হোক। আমাদের পিতা ও মাতা তাঁর সম্মানে কুরবান হোক। ফিদাকা আবি ওয়া উম্মি, ইয়া রাহমাতাল্লিল আলামিন।
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
- Arju Ahmad
ফ্রান্স মোহাম্মদ সা. কে গালাগালি করে, বিকৃত কার্টুন এঁকে বাকস্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে চায়। অথচ ফ্রান্সে ইহুদি নিয়ে ১ লাইন বক্তব্য দিলে এন্টি সেমিটিজম আইনে সাথে সাথে গ্রেফতার। এটা সেক্যুলারদের কী ধরনের বাকস্বাধীনতা? সেক্যুলাররা নৈতিকভাবে চরম অসৎ ও পরাজিত।
- Redwan Kabir Shuvro
সমস্ত ফ্রেঞ্চ নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করে ফ্রেঞ্চ দুতাবাসে তালা মেরে দিতে হবে: Muhammad Sajal
যখন মুসলমানদের ক্ষমতা ছিল, তখন তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল না। তখন দুনিয়ায় কোটি কোটি মুসলিম ছিল না। উমাইয়া আমলে খিলাফতের মোট জনসংখ্যার দশ শতাংশের কাছাকাছি ছিল মুসলিম। আব্বাসীয়্যা আমলের মাঝামাঝিতে খিলাফতের মোট জনসংখ্যার চল্লিশ শতাংশ ছিল মুসলিম। কেবলমাত্র আজ থেকে চারশো বছর আগে ইতিহাসে প্রথমবারের মত মুসলিমরা তাদের শাসিত ভুখন্ডে(মরক্কো থেকে ফিলিপাইন) সংখ্যাগরিষ্ঠ মিল্লাত হয়ে ওঠে। তাও সেটা সব অঞ্চলে ছিল না। হিন্দুস্তান-বাঙ
তার মানে, মুসলিমদের যে সময় সংখ্যা কম ছিল তখন তারা দুনিয়া শাসন করতে পেরেছে। বিষয়টা সংখ্যা বা শক্তির না, বিষয়টা ঈমানের ও আল্লাহর সাহায্যের সাথে জড়িত।
যখন আমাদের ক্ষমতা ছিল, তখন ইসলামী দাউলাহর সীমানার ভেতর কোন ভিন্নধর্মী আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অপমান করলে তাকে যথাযথ শাস্তি দিয়েছি। তাকে প্রথমে ইসলামের দাওয়াত দেয়া হয়েছে, তারা তা গ্রহন না করলে সতর্ক করেছি। তাতেও কাজ না হলে তাকে কঠোর শাস্তি দেয়া হয়েছে। যদি কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এই কাজ করেছে বলে প্রমাণ হয়েছে, তাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়েছে।
এই শাস্তিটার গ্রাউন্ড আসে ভালোবাসা থেকে। আপনার স্বামী-স্ত্রীকে
আমরা মুসলিমরা তো আল্লাহর রাসুল মুস্তাফা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমাদের স্ত্রী-সন্তান, ভাই-বোন, বন্ধু-স্বজন, এমনকি বাবা মায়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসার শর্তকে সজ্ঞানে কবুল করে মুসলিম হয়েছি। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে প্রিয় আর কেউ তো আমাদের জন্য নাই। মা-বাবা বা স্বামী-স্ত্রীর অপমানের জন্য যদি আমার রক্ত তাতিয়ে ওঠে তবে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অপমান করলে আমাদের কি হওয়া উচিত?? ঈমানের দাবী কি বলে??
ফ্রান্স রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামোফোবিয়া, ক্রুসেড ও কলোনাইজেশানের নিশান বরদার, তা মেনে নিয়েও ফ্রান্সের সাথে কূটনৈতিক প্রয়োজনে মুসলিম দেশগুলি অর্থনৈতিক-কূটনৈ
শুধু রাষ্ট্রীয়ভাবে শাতিমে রাসুল রাষ্ট্র ফ্রান্সের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার কোন উদ্যোগ হবে না। কারো দিক থেকে তো কিছু দেখছি না।
এখনো আমাদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, এবং ৯০% মুসলিম ট্যাক্সপেয়ারের টাকায় এই রাষ্ট্র চলে। ফ্রান্সের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে ব্যবস্থা নিতে বলার অধিকার এই দেশের মুসলমানদের আছে কিন্তু মুসলমানদের দ্বীনী নেতৃত্ব যাদের হাতে তাদের এখনো খবর নাই।
উলামায়ে কেরাম, দুধে মাখনে থাকেন। আওয়াজ দেয়ার দরকার নাই। শুধু মনে রাখবেন, আপনাদের জন্য সাধারন মুসলিমদের সমস্ত তাযীম-তোয়ায আসে আল্লাহ-রাসুলের প্রতি আপনাদের মুহাব্বাত ও দ্বীনের প্রশ্নে অনড় অবস্থানের জায়গা থেকে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবমাননা প্রশ্নেও যদি আপনাদের না পাওয়া যায় তবে আমরা ধরে নেবো পোলাও-গোশতের ভালোবাসা আর নরম বিছানার মোহ আপনাদের কাছে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের চেয়ে বেশি প্রিয় হয়ে গেছে।
ফ্রান্সের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক-অর্থনৈ
এই বয়কট আসতে হবে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। বাংলাদেশে ফ্রান্সের কোন পন্য ঢুকবে না, বাংলাদেশ থেকে কিছু ফ্রান্সে যাবে না। ফ্রেঞ্চ অর্থায়নে চলা সমস্ত প্রকল্প বাংলাদেশে বন্ধ হয়ে যাবে, সমস্ত ফ্রেঞ্চ নাগরিককে বাংলাদেশ থেকে বিদায় করে ফ্রেঞ্চ দুতাবাসে তালা মেরে দিতে হবে।
প্লিজ, আওয়াজ তুলুন।
অনেক হয়েছে রাসুলের অপমান, আর চাই না।
- Muhammad Sajal