বদ নজর বা মুখ দোষ এর ব্যাপারে হাদিস ও এর চিকিৎসা দোয়া ও উপায় সমূহ

বদ নজর বা মুখ দোষ এর ব্যাপারে হাদিস ও এর চিকিৎসা দোয়া ও উপায় সমূহ । বদ নজর সম্পর্কে ইসলাম 


ইসলামে বদ নজর (evil eye) বলতে কি আদৌ কিছু আছে? থাকলে এর প্রতিকার কী?

জি, বদ নজর একটি সত্য বিষয়। এটার উপর বিশ্বাস রাখা ফরজ। কারণ এটি অসংখ্য বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এটি অস্বীকার করা কুফরি।


.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমরা বদ নজর থেকে রক্ষা পেতে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো। কেননা বদনজর সত্য।’’ [ইবনে মাজাহ: ৩৫০৮, (সহিহ)]
.
আল কুরআনেও বদনজরের প্রসঙ্গ এসেছে একাধিক স্থানে। তার একটি নিচের আয়াতে—
.
‘‘(ইয়াকুব আ.) বললেন, হে আমার প্রিয় সন্তানগণ! তোমরা (শহরে) কোনো একটি প্রবেশ পথ দিয়ে (একসাথে) সবাই প্রবেশ করো না বরং বিভিন্ন প্রবেশপথ দিয়ে প্রবেশ করো। আমি তোমাদের আল্লাহর পক্ষ থেকে আসা কোন বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারবো না।’’ [সূরা ইউসুফ, আয়াত: ৬৭]
.
ইসলামের শ্রেষ্ঠ মুফাসসিরগণ তথা কা’ব, মুজাহিদ, যাহহাক, কাতাদা এবং সুদ্দি (রাহিমাহুমুল্লাহ) বলেছেন যে, ইয়াকুব (আ.) বদ নজরের ভয়ে এমনটি বলেছিলেন। কেননা তার সন্তানরা খুবই সুন্দর সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন। বদনজরের ক্রিয়া বাস্তব। তবে, একই সাথে তিনি এটিও বলেছেন যে, এ ব্যবস্থা আল্লাহর তাকদিরকে প্রতিহত করতে পারবে না। তিনি যা চাবেন তাই হবে। [ইমাম ইবনু কাসির, তাফসিরুল কুরআনিল আযিম: ২/৪৮৫]
.
বদ নজর কত ভয়ানক বিষয় তা নিচের দুটো হাদিস থেকে সহজে বোঝা যায়।
.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘বদ নজর মানুষকে কবর পর্যন্ত পৌঁছে দেয় এবং উটকে ডেগচি পর্যন্ত।’’ [সহিহ আল জামে’: ১২৪৯ (সহিহ)]
.
অন্যত্র তিনি বলেন, ‘‘বদ নজর (এর খারাপ প্রভাব) সত্য। এমনকি যদি কোন বস্তু তাকদিরকে অতিক্রম করতো, তবে বদ নজর তা অতিক্রম করতো। সুতরাং তোমাদের যখন (এর প্রভাবমুক্ত হওয়ার জন্যে বিশেষ) গোসল করতে বলা হয়, তখন তোমরা গোসল কর।’’ [সহিহ মুসলিম: ২১৮৮, সহিহ বুখারি: ৫৭৪০]
.
অতএব, বদ নজর থেকে বাঁচতে বিশেষ গোসল করতে হবে (যা উপরের হাদিসে এসেছে) এবং শরিয়তসম্মত ঝাড়-ফুঁক করতে হবে।
.
আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বদ নজর থেকে বাঁচার জন্যে ঝাড়-ফুঁক করার নির্দেশ দিতেন।’ [সহিহ বুখারি: ১০/১৭০, সহিহ মুসলিম: ২১৯৫]
.
সহিহ আকিদা ঃ বিশুদ্ধ ঈমান ৮ম পর্ব 
পূর্বের সকল পর্বের লিংক কমেন্টে।
.
বদ নজরের বাস্তবতা ও এর প্রতিকার নিয়ে সিরিজ আকারে আরো পোস্ট আসবে ইনশাআল্লাহ্। মূল কথা হলো, বদনজর একটি সত্য বিষয়, এতে বিশ্বাস রাখা ফরজ। এটি অস্বীকার করা কুফরি।
.
ধ্বংসাত্মক দৃষ্টি প্রথম পর্ব
.

বদ নজর কীভাবে লাগে? এটি কি চোখের ব্যাপার, নাকি অন্তরের? হিংসা এবং বদ নজরের মাঝে পার্থক্য কী?
.
প্রথমে একটি হাদিস জেনে রাখি:
.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমাদের কেউ যখন  নিজের মধ্যে অথবা তার সম্পদের মধ্যে বা তার ভাইয়ের (অর্থাৎ, যে কারো) মধ্যে বিস্ময়কর কিছু দেখতে পায়, তখন যেন সে আল্লাহর কাছে বরকত কামনা করে। কারণ নজর লাগার বিষয়টি সত্য।’’ [ইবনুস সুন্নী, আমালুল ইয়াউমি ওয়া লাইলাহ: পৃষ্ঠা ১৬৮, হাকিম: ৪/২১৬ কালিমুত ত্বইয়িব: ২৪৩, হাদিসটি সহিহ]
.
হাদিস থেকে বোঝা গেলো, নিজের নজর নিজের দিকেই লেগে যেতে পারে। হাফিয ইবনুল কায়্যিম (রাহ.)-ও একই কথা বলেছেন। [যাদুল মা‘আদ: ৪/১৬৭]
.
এবার আসি, বদ নজর কীভাবে লাগে? এর বাস্তবতা কী? এটা কীভাবে কার্যকর হয়?
.
ইমাম ইবনুল কায়্যিম (রাহিমাহুল্লাহ্) বলেন, ‘‘আল্লাহ মানুষের শরীর ও আত্মায় বিভিন্ন প্রকারের ক্ষমতা ও প্রাকৃতিক ক্রিয়াশীল বিষয় দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। আর এদের ভেতর একে অপরকে প্রভাবিত করার ক্ষমতাও দিয়েছেন। কোনো জ্ঞানী ব্যক্তি শরীর ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে আত্মার প্রতিক্রিয়া অস্বীকার করতে পারে না। কেননা এটা এমন একটি বিষয়, যা আমরা দৈনন্দিন জীবনে দেখি ও অনুভব করতে পারি। যেমন মানুষের চেহারা লাল রং ধারণ করে, যখন তার দিকে কোন লজ্জাকারী ব্যক্তির দৃষ্টি পড়ে। তেমনিভাবে ভয়ের কিছু দেখলে হলদে রং ধারণ করে। আর লোকজন বাস্তবে দেখতে পেয়েছে যে, বদ নজরের জন্যে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে।
.
আর এসব আত্মার প্রভাবে হয়ে থাকে। যেহেতু চোখের সাথে আত্মার গভীর সম্পর্ক রয়েছে, এজন্য এটাকে চোখ লাগা বলা হয়। কিন্তু চোখের নিজস্ব এমন কোন প্রভাব নেই বরং প্রতিক্রিয়া কেবল আত্মার মাধ্যমে হয়ে থাকে। বদনজর কখনও যোগাযোগে হয় আর কখনও সামনাসামনি হয়। কখনও দৃষ্টিপাতে, আবার কখনও আত্মার দ্বারা ঘায়েল করে। আর কখনও এর প্রভাব বদ দু‘আ ও তাবিজের মাধ্যমে হয়ে থাকে। কখনও আবার ধ্যানের মাধ্যমে হয়।
.
পূর্বে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে যে, বদ নজর কেবল দৃষ্টির দ্বারা হয় না বরং কখনও অন্ধ ব্যক্তিরও বদ নজর লাগে। সেটি এভাবে যে, তার সামনে কারো প্রশংসা বর্ণনা করা হয় আর সেটি শুনে অন্ধ ব্যক্তির আত্মা সেই প্রশংসিত ব্যক্তির উপর প্রভাব বিস্তার লাভ করে। এটা একটা বিষাক্ত তীরের ন্যায়, যা বদ নজরকারী ব্যক্তির আত্মা হতে বের হয়ে অন্য ব্যক্তির উপর আঘাত হানে।
.
আর এই তীরের লক্ষ্য বস্তু কখনও সঠিক হয় আবার কখনও হয় না। এর একটি উদাহরণ এমন, যেমন কোন আক্রমণকারী এমন বক্তির উপর যদি আক্রমণ করে, যার গায়ে সুরক্ষিত যুদ্ধবর্ম থাকে, তবে আঘাতে তার শরীর আহত হবে না। তেমনি যদি দু‘আ পড়ে সে সুরক্ষিত থাকে, তবে বদনজরের ক্রিয়া হবে না। আর যদি খালি গায়ে থাকে (অর্থাৎ, দু‘আ না পড়ে) তবে আঘাত তার শরীরে হবে। কখনও এমন হয় যে, তীর ব্যবহারকারীর তীর শত্রুর উপর আঘাত না হেনে বরং তীর ব্যবহারকারীর শরীরকেই উল্টো আঘাত করে বসে। তেমিনভাবে কখনও বদ নজর যে লাগায় উল্টো তার উপর আঘাত হানতে পারে। আর কখনও বা অনিচ্ছায় বদ নজর লেগে যায়।
.
অতএব এর প্রকৃতি হলো বদ নজরকারীর আশ্চর্য হয়ে চোখ লাগানো এরপর তার নিকৃষ্ট আত্মা তার অনুসরণ করে, যা তার বিষাক্ত দৃষ্টিকে সহযোগিতা করে। কখনও মানুষ নিজেকেই বদনজর মেরে থাকে, কখনও তার ইচ্ছার বাইরেও বদনজর লেগে থাকে।’’ [যাদুল মা’আদ থেকে সংক্ষিপ্তাকারে: ১/১৬৫, এই অংশটুকু ruqyahbd dot org সাইট থেকে নেওয়া। কিছুটা পরিমার্জিত]
.
হিংসা এবং বদ নজর একই ধাঁচের হলেও দুটোর মাঝে পার্থক্য আছে। তার একটি পার্থক্য হলো: প্রত্যেক বদ নজরকারীই হিংসুক, কিন্তু প্রত্যেক হিংসুকই বদ নজরকারী নয়। ইমাম ইবনুল কায়্যিম রাহিমাহুল্লাহ্ এমনটি বলেছেন।
.
মূলত বদ নজরকারী বেশি ভয়ানক। তবে, সব সময় তার এই জঘন্য নজর ইচ্ছাকৃত হয় না। অনিচ্ছা সত্ত্বেও সে তার নজর দিয়ে মানুষের ক্ষতি করে বসে, এমনকি নিজেরও। আর হিংসুকের হিংসা তার নিজের মাঝেই সীমাবদ্ধ থাকে। এর দ্বারা কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না।
.
তাই, বদ নজর যাতে না লাগে, সেজন্য অগ্রীম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হয়। পরবর্তী পোস্টে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে ইনশাআল্লাহ্। এই পোস্টেই দিতাম। কিন্তু বেশ বড় হয়ে গেছে লেখাটি।
.
ধ্বংসাত্মক দৃষ্টি  দ্বিতীয় পর্ব
প্রথম পর্বে বদ নজরের সত্যতা নিয়ে দালিলিক আলোচনা করা হয়েছে। কমেন্টে পাবেন লিংক।
.
Tasbeeh



নিজের বদ নজর থেকে নিজেকে এবং অন্যকে হেফাজত করতে যে আমল করবেন (বিষয়টি প্রত্যেকের জানা দরকার)
.
আমরা গত পোস্টেই বলেছিলাম যে, বদ নজর দ্বারা ব্যক্তি নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অর্থাৎ, নিজের খারাপ নজর দিয়ে নিজের স্বাস্থ্য, সন্তানাদি এবং সম্পদের ক্ষতি করতে পারে! পাশাপাশি এরকম অন্যেরও ক্ষতি করতে পারে। সেজন্য নিজের বা অন্যের সন্তানাদি, মাল-সম্পদ, ক্ষেত-খামার, বাগান, গাছ-পালা, গবাদি পশু কিংবা অন্য কোনো জীব বা জড় বস্তু দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলে, সাথে সাথে এর জন্য বরকতের দু‘আ করা জরুরি।
.
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘তোমাদের কেউ যখন নিজের মধ্যে অথবা নিজ সম্পদের_মধ্যে বা তার ভাইয়ের মধ্যে (অর্থাৎ, অন্য কারো মধ্যে বা অন্য কারো সম্পদের মধ্যে) বিস্ময়কর কিছু দেখতে পায়, তখন যেন সে আল্লাহর কাছে বরকত কামনা করে। কারণ নজর লাগার বিষয়টি সত্য।’’ [ইবনুস সুন্নী, আমালুল ইয়াউমি ওয়া লাইলাহ: পৃষ্ঠা ১৬৮, মুসতাদরাক হাকিম: ৪/২১৬, ইবনু তাইমিয়্যাহ, কালিমুত ত্বইয়িব: ২৪৩, হাদিসটি সহিহ]
.
➤ আলিমগণ বলেন, বরকতের দু‘আ হিসেবে ‘আল্লাহুম্মা বা-রিক ফীহি/ফীহা’ পাঠ করা যায়।
.
➤ বরকতের দু‘আ ছাড়াও বিশেষ একটি যিকর আছে, যেটি পড়া উচিত ঠিক সময়ে। সে ব্যাপারে কুরআনে এসেছে, “যখন তুমি তোমার বাগানে প্রবেশ করলে, তখন কেন ‘মা-শা-আল্লাহ, লা ক্বুও ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বললে না?” [সুরা কাহফ, আয়াত: ৩৯]
.
অর্থাৎ, তুমি বাগানে প্রবেশ করে ‘মা শা আল্লাহ, লা ক্বুও-ওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ বললে না কেন? তাহলে তো তোমার বাগান বদ নজরের কারণে নষ্ট হতো না। (আলিমগণ এভাবে তাফসির বা ব্যাখ্যা করেছেন উপরের আয়াতটির)
.
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “কোনো পছন্দনীয় বস্তু দেখার পর যদি কেউ বলে—‘মা শা আল্লাহ, লা ক্বুও-ওয়া ইল্লা বিল্লাহ’, তবে কোনো কিছু সেটির ক্ষতি করতে পারবে না।” [মাজমাউয যাওয়াইদ: ৫/২১]
.
অতএব, যখন আমরা এমন কিছু দেখবো—(হোক সেটা নিজের বা অন্যের), যেটা দেখে আমাদের খুব ভালো লাগে, আমরা মুগ্ধ হয়ে পড়ি—তখন বিশেষভাবে দুটো দু‘আ ও যিকর পড়বো।
.
এক. ▬اَللّٰهُمَّ بَارِكْ فِيْهِ\فِيْهَا▬
.
 উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা বা-রিক ফীহি/ফীহা
 অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি তার মধ্যে (তার স্বাস্থ্য, পরিবার বা সম্পদে) বরকত দান করুন।
.
 কোনো পুরুষের জন্য দু‘আ করলে বলতে হবে, ‘আল্লাহুম্মা বা-রিক ফীহি’।
 কোনো নারীর জন্য দু‘আ করলে বলতে হবে, ‘আল্লাহুম্মা বা-রিক ফীহা’।
.
দুই.▬مَا شَاء اللَّهُ لَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّه▬
.
 উচ্চারণ: মা শা আল্লাহ, লা ক্বুও-ওয়া ইল্লা বিল্লাহ
 অর্থ: আল্লাহ যা চেয়েছেন, তাই হয়েছে; আল্লাহ্ ব্যতীত কারো কোনো শক্তি (ক্ষমতা) নেই।
.
কোনো বিস্ময়কর কিছু বা ভালো লাগার বিষয় দেখলে Oh my god! wow! ও মা গো মা! কত্ত কিউট! কী সুন্দর! ইত্যাদি না বলে বরকতের দু‘আ করা উচিত। এগুলো বললেই যে নজর লেগে যাবে, বিষয়টা তেমন না। তবে, সম্ভাবনা থেকে যায়। অতএব, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে চাইলে প্রথমে বরকতের দু‘আ করে নেওয়া উচিত। যেমন: আল্লাহুম্মা বা-রিক ফীহি/ফীহা—দারুণ তো! কিংবা এভাবেও বলা যায়: মা-শা-আল্লাহ! চমৎকার!
.
এ তো গেলো, নিজের বদ নজর থেকে নিজেকে এবং অন্যকে হেফাজত করার আমল। পরবর্তী পর্বে আমরা আলোচনা করবো—কীভাবে অন্যের বদ নজর থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়, সে ব্যাপারে— ইনশাআল্লাহ্।
.
ধ্বংসাত্মক_দৃষ্টি  তৃতীয় পর্ব
.
Tasbeeh


কারো বদ নজর থেকে বাঁচতে করণীয়: (সহিহ হাদিস থেকে দু‘আ ও যিকরসহ)

.
﴾১﴿ যে ব্যক্তির কাছ থেকে নজর লাগার আশঙ্কা হবে, তার কাছে নিজের সুন্দর ও চমকপ্রদ কোনো কিছু প্রকাশ করা যাবে না; বরং সেগুলো যথাসাধ্য লুকিয়ে রাখতে হবে। [বাগাবি, শারহুস সুন্নাহ: ১২/১৬৬]

﴾২﴿ কুরআন সুন্নাহয় বর্ণিত বদ নজর ও হিংসা থেকে বাঁচার বিভিন্ন দু‘আ ও যিকর পাঠ করতে হবে এবং আল্লাহর কাছে দু‘আ করার মাধ্যমে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
.
❑ ১ নং আমল: এই বিষয়ে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দু‘আ এটি। সুতরাং এটি গুরুত্ব দিন। দু‘আটি সকাল-সন্ধ্যা এবং ঘুমের আগে পড়তে পারেন। অন্য সময়েও পড়বেন।
.
ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসাইন (রা.)-কে এই বাক্যগুলো দিয়ে আল্লাহর আশ্রয়ে দিতেন—
.
‏ أُعِيذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ
.
[উ‘ইযুকুমা বিকালিমা তিল্লাহিত তা-ম্মাহ, মিন কুল্লি শাইত্ব-নিন ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি ‘আইনিন লা-ম্মাহ (অবশ্যই আরবির সাথে মিলিয়ে শিখবেন, শুধু বাংলা উচ্চারণ পড়ে শিখলে নিশ্চিত ভুল হবে)]
.
অর্থ: আমি তোমাদের দু’জনকে আল্লাহর পরিপূর্ণ বাক্যসমূহের আশ্রয়ে দিচ্ছি—প্রতিটি শয়তান, ক্ষতিকারক প্রাণী ও প্রত্যেক হিংসুটে চোখ (বদনজর) থেকে। [সহিহ বুখারি: ৩৩৭১]
.
➤ যদি আপনি একজন পুরুষকে বা নিজ ছেলে সন্তানকে আল্লাহর আশ্রয়ে দিতে চান, তবে এভাবে পড়বেন, ‘‘উইযুকা বিকালিমা....’’ (শুধু প্রথম শব্দটির পরিবর্তন হবে। বাকিটা হুবহু পড়বেন।)
.
➤ আর যদি কোনো নারীকে বা নিজ মেয়ে সন্তানকে আশ্রয়ে দিতে চান, তবে পড়বেন, ‘‘উইযুকি বিকালিমা....’’
.
➤ আর যদি আপনি নিজে আল্লাহর আশ্রয়ে থাকতে চান, তবে এভাবে বলবেন, ‘‘আউযু বিকালিমা....’’
.
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ
.
[আ‘উযু বিকালিমা তিল্লাহিত তা-ম্মাহ, মিন কুল্লি শাইত্ব-নিন ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়া মিন কুল্লি ‘আইনিন লা-ম্মাহ]
.
❑ ২ নং আমল: সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস সকাল-সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া। ঘুমানোর সময় প্রতিবার পড়া এবং হাতে ফুঁ দিয়ে পুরো শরীরে বুলানো। সম্ভব হলে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরও এই সূরাগুলো পাঠ করা।
.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘সকাল-সন্ধ্যায় সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস তিনবার পাঠ করো; তা হলে সবকিছুর মোকাবেলায় এগুলোই তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’’ [তিরমিযি: ৩৫৭৫, হাদিসটি হাসান]
.
আয়িশা (রা.) বলেন, ‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রাতে ঘুমানোর সময় তাঁর দু’হাতের তালু জড়ো করে তাতে ফুঁ দিতেন এবং তাতে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করতেন। এরপর দুই হাতের তালু দিয়ে দেহের যেখানে সম্ভব, সেখানে মুছে দিতেন। শুরু করতেন মাথার উপরিভাগ দিয়ে; এরপর চেহারা ও দেহের সামনের অংশ। এই কাজ তিনি তিনবার করতেন।’’ [সহিহ বুখারি: ৫০১৭]
.
উকবাহ্ ইবনু আমির (রা.) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে প্রত্যেক (ফরজ) নামাজের শেষে সূরা ফালাক্ব ও সূরা নাস পড়তে নির্দেশ দিয়েছেন। (সিলসিলা সহিহাতে এসেছে সূরা ইখলাসের কথাও।) [আবু দাউদ: ১৫২৩, হাদিসটি হাসান]
.
❑ তিন নং আমল: বিশেষত সন্ধ্যা বেলায় এটি পড়বেন। এছাড়াও অন্যান্য সময়ে সুযোগ পেলেই পড়বেন। সকালেও পড়বেন।
.
أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
.
[মোটামুটি উচ্চারণ: আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মা-তি মিন শাররি মা খালাক্ব]
.
অর্থ: আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালিমাসমূহের উসিলায় তাঁর নিকট আশ্রয় চাই—তিনি যা সৃষ্টি করেছেন সেগুলোর অনিষ্ট থেকে। [সহিহ মুসলিম: ২৭০৯]
.
❑ ৪ নং আমল: এই দু‘আটি সকাল-সন্ধ্যায় ৩ বার অবশ্যই পড়বেন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দু‘আ। অর্থের দিকে লক্ষ রেখে পড়বেন।
.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যদি কোনো বান্দা প্রতিদিন সকালে এবং প্রতি রাতে সন্ধ্যায় এই দু‘আ তিনবার পাঠ করে, তাহলে তাকে কোনো অনিষ্ট স্পর্শ করতে পারবে না।’’
.
بِسْمِ اللّٰهِ الَّذِىْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهٖ شَيْئٌ فِيْ الْأَرْضِ وَلَا فِيْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ
.
[বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা- ইয়াদ্বুররু মা‘আস্‌মিহী শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা- ফিস্‌সামা-ই, ওয়া হুওয়াস্ সামী-‘উল ‘আলী-ম’]
.
অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি, যে নামের সাথে আসমান ও জমিনে কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারে না। তিনি সব শুনেন ও জানেন। [সহিহুল জামি’: ৫৭৪৫, হাদিসটি সহিহ]
.
❑ ৫ নং আমল: আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত) পাঠ করা।প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় একবার করে পড়বেন এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার পড়বেন। তাহলে শয়তান ও জিন থেকে হেফাজত থাকা যাবে। [বুখারি, আত তারিখুল কাবির: ১/২৮, হাদিসটি সহিহ; সহিহ বুখারি: ২৩১১]
.
❑ ৬ নং আমল: সকাল-সন্ধ্যায় ৭ বার করে এই দু‘আটি মনোযোগ দিয়ে পড়া।
.
আবুদ দারদা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকাল-বিকাল সাতবার এটি বলবে, তার দুনিয়া ও আখিরাতের দুশ্চিন্তা-পেরেশানি সমাধানের জন্য আল্লাহ্ তা‘আলা যথেষ্ট হয়ে যাবেন।’’
.
ﺣَﺴْﺒِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﺗَﻮَﻛَّﻠْﺖُ ﻭَﻫُﻮَ ﺭَﺏُّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ
.
[হাসবিয়াল্লাহু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়া ‘আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুওয়া রাব্বুল ‘আরশিল ‘আযীম]
.
অর্থ: আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। তিনি ব্যতীত কোনো প্রকৃত উপাস্য নেই। তাঁরই উপর আমি ভরসা করি। তিনি মহান আরশের অধিপতি। [ইবনুস সুন্নি, ৭১, সনদ সহিহ; আবু দাউদ: ৫০৮৩]
.
এছাড়া আরো কিছু কাজ করতে পারেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাদিসে বেশ কিছু ফল/ওষধি ও পানীয়কে যেকোনো রোগ-ব্যাধি থেকে প্রতিকারস্বরূপ বলেছেন। সেগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে। যেমন: মধু, কালোজিরা, আজওয়া খেজুর (বিশেষত এটি), যমযমের পানি ইত্যাদি।
.
ঘুমের আগে বিছানা ঝেড়ে নেওয়া, ওযু করে উপরের দু‘আগুলো পড়তে পড়তে ঘুমানো, ডান কাতে শোয়া। টয়লেটে প্রবেশ করার পূর্বে সেই দু‘আটি পড়ে নেওয়া, গোসলের সময় বা টয়লেটের সময় ভেতরে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত না হওয়া।
.
সর্বশেষ পরামর্শ হলো, সবাই ইস্তিগফার ও দরুদে লেগে থাকবেন। সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন (হাদিসে উল্লেখিত) দু‘আগুলো পড়বেন। সবকিছুর সমাধানের জন্য আল্লাহর উপরই ভরসা করবেন। কারণ তিনি ইচ্ছা না করলে কেউ কিছু করতে পারবে না। আর তাকদিরে লেখা না থাকলে কিছুই ঘটবে না।
.
ধ্বংসাত্মক দৃষ্টি  চতুর্থ পর্ব

.
Tasbeeh


বদ নজর থেকে বাঁচার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো বদ নজরের গোসল করা। আজ আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ্।
▬▬▬▬▬▬▬◄❖►▬▬▬▬▬▬▬ 
❑ বদ নজর থেকে বাঁচতে গোসলের দলিল:
.
আয়িশা (রা.) বলেন, (নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে) নজর যে ব্যক্তি লাগিয়েছে, তাকে অজু করতে বলা হতো। আর সেই অজু-করা-পানি দিয়ে নজর লাগা ব্যক্তিকে গোসল দেওয়া হতো। [আবু দাউদ, আস-সুনান: ৩৮৮০]
.
❑ যদি বদ নজরকারীকে চেনা যায় তবে...
.
যে ব্যক্তি নজর লাগিয়েছে, তার সম্পর্কে যদি জানা যায়, তবে একটি বড় পাত্রে তাকে গোসল করাবে এবং সেই পানি নিয়ে রোগীর পিঠে ঢেলে দেবে। তাতে আল্লাহ তা‘আলার হুকুমে সে আরোগ্য লাভ করবে।
.
সাহল বিন হুনাইফ (রা.)-এর ছেলে বলেন, আমার পিতা মদিনার খাররার নামক উপত্যকায় গোসল করার জন্যে প্রস্তুতি নিলেন। যখন তিনি গোসলের জন্যে জামা খুললেন তখন তার শরীরে আমের বিন রাবি‘আর দৃষ্টি পড়ে। যেহেতু সাহল বিন হুনাইফ সুন্দর ও সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন, তাই আমের দেখামাত্র বলে উঠলেন, ‘আজকের মত এমন (সুন্দর) চামড়া আমি কখনও দেখিনি; এমন কি অন্দরমহলের কুমারীদেরও না!’ তার একথা বলার সাথে সাথে সাহল তৎক্ষণাৎ বেহুঁশ হয়ে পড়ে যান এবং কঠিনভাবে রোগাক্রান্ত হয়ে যান। এরপর নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বিষয়টি জানানো হয় এবং বলা হল যে, তিনি তার মাথা উঠাতে পারছেন না।
.
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘‘তোমরা কি কারও প্রতি বদ নজরের সন্দেহ করো?’’ উত্তরে লোকজন বললো, ‘হ্যাঁ, আমের বিন রাবি‘আর উপর সন্দেহ হয়।’ এটা শুনে নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ডেকে পাঠালেন এবং তার উপর রাগাম্বিত হয়ে বললেন, ‘‘কেন তোমাদের কেউ কেউ নিজের ভাইকে হত্যা করে? (অর্থাৎ বদ নজর দিয়ে ধ্বংস করে দেয়) তুমি তার জন্য কেন বরকতের দু‘আ করোনি? এখন তার জন্যে গোসল করো।’’ অতঃপর আমের নিজের হাত, চেহারা, দুই পা, দুই হাঁটু, দুই কনুই ও লুঙ্গির আভ্যন্তরীণ অংশ একটি পাত্রে ধৌত করলেন। অতঃপর সেই পানি সাহল বিন হুনাইফের পিঠে ঢেলে দেয়া হলো। এরপর তিনি সাথে সাথে সুস্থ হয়ে গেলেন। [আহমাদ, আল-মুসনাদ: ১৫৯৮০; নাসায়ি, আস-সুনানুল কুবরা: ৭৬১৮]
.
❑ গোসলের বিস্তারিত পদ্ধতি:
.
সাহাবিগণের ছাত্র, বিখ্যাত তাবিয়ি, ইমাম ইবনু শিহাব যুহরি (রাহ.) বলেন, গোসলের পদ্ধতি, যা আমরা আমাদের আলিমগণের কাছ থেকে শিখেছি তা হলো, যে ব্যক্তির কাছ থেকে নজর লেগেছে, তার সামনে এক পাত্র পানি দেওয়া হবে। এরপর সেই ব্যক্তি পানি নিয়ে পাত্রে কুলি করবে। এরপর পাত্রে নিজের মুখ ধুবে। বাম হাতে ঢেলে ডান হাতের কবজি ও ডান হাতে ঢেলে বাম হাতের কবজি পর্যন্ত একবার করে ধৌত করবে। তারপর বাম হাত দিয়ে ডান কনুই এবং ডান হাত দিয়ে বাম কনুইয়ে ঢালবে। এরপর বাম হাতে ডান পায়ে আর ডান হাতে বাম পায়ে ঢালবে। এরপর বাম হাতে ডান পায়ের হাঁটু আর ডান হাতে বাম পায়ের হাঁটুতে ঢালবে। আর এইসকল কাজ যেন সেই পাত্রেই হয়। এরপর লুঙ্গি বা পায়জামার ভেতরের অংশ পাত্রে ধৌত করবে; নিচে রাখবে না। অতঃপর সকল পানি রোগীর মাথায় একবারে ঢালবে। [বায়হাকি, আস-সুনানুল কুবরা: ৯/২৫২]
.
❑ যদি বদ নজরকারীকে শনাক্ত করা না যায়, তবে বিশেষ পানি দিয়ে গোসল করা:
.
প্রথমে সাতটি সবুজ বরই পাতা সংগ্রহ করে পাতাগুলো গুঁড়ো করতে হবে। এরপর গুঁড়োগুলো পানিতে মিশিয়ে সেই পানিতে কিছু আয়াত ও দু‘আ পড়ে ফুঁ দিতে হবে। তারপর রোগী সেই পানি তিনবার পান করবে আর কিছু পানি দিয়ে গোসল করবে।
.
❖ যেসব সূরা ও দু‘আ পড়ে পানিতে ফুঁ দেবে:
.
• দরুদে ইবরাহিম (১ বার)
• সূরা ফাতিহা (১ বার)
• আয়াতুল কুরসি তথা সূরা বাকারার ২৫৫ নং আয়াত (১ বার)
• সূরা কাফিরুন (১ বার)
• সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস (প্রতিটি ৩ বার করে)
• এছাড়াও আরও অন্যান্য কিছু দু‘আ পড়ে তাতে ফুঁ দেবে। সেই দু‘আগুলো আমরা এই সিরিজের ৫ নং পর্বে বিস্তারিত লিখেছি। সাথে উচ্চারণ ও অর্থও দিয়েছি। কমেন্টে দেওয়া লিংক থেকে শিখে নিবেন। 
.
#ধ্বংসাত্মক_দৃষ্টি (৭ম ও শেষ পর্ব)
পূর্বের সকল পর্বের লিংক কমেন্টে দেওয়া হলো। আল্লাহর রহমতে ৭ পর্বে আমরা বদ নজর সিরিজ সমাপ্ত করতে পেরেছি। ফালিল্লাহিল হামদ।
.
#Tasbeeh
Next Post Previous Post