দোয়া করার পরেও দোয়া কবুল হয়না, এখন আমি হতাশ। করনীয় কি
দোয়া করার পরেও দোয়া কবুল হয়না, এখন আমি হতাশ। দোয়া কবুল না হওয়ার কারন সমূহ
দোয়া কবুল হওয়ার কিছু শর্ত ঃ ইসলাম প্রশ্ন উত্তর
আলহামদু লিল্লাহ।.
দোয়া কবুল হওয়ার বেশকিছু শর্ত রয়েছে। যেমন:
১. আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কাউকে না ডাকা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইবনে আব্বাস (রাঃ) কে উদ্দেশ্য করে বলেন: “যখন প্রার্থনা করবে তখন শুধু আল্লাহ্র কাছে প্রার্থনা করবে এবং যখন সাহায্য চাইবে তখন শুধু আল্লাহ্র কাছে সাহায্য চাইবে।”[সুনানে তিরমিযি (২৫১৬), আলবানী ‘সহিহুল জামে’ গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন]
এটাই হচ্ছে আল্লাহ্র বাণীর মর্মার্থ “আর নিশ্চয় মসজিদসমূহ আল্লাহ্রই জন্য। কাজেই তোমরা আল্লাহ্র সাথে অন্য কাউকে ডেকো না।”[সূরা জিন্, আয়াত: ১৮] দোয়ার শর্তগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। এ শর্ত পূরণ না হলে কোন দোয়া কবুল হবে না, কোন আমল গৃহীত হবে না। অনেক মানুষ রয়েছে যারা নিজেদের মাঝে ও আল্লাহ্র মাঝে মৃতব্যক্তিদেরকে মাধ্যম বানিয়ে তাদেরকে ডাকে। তাদের ধারণা যেহেতু তারা পাপী ও গুনাহগার, আল্লাহ্র কাছে তাদের কোন মর্যাদা নেই; তাই এসব নেককার লোকেরা তাদেরকে আল্লাহ্র নৈকট্য হাছিল করিয়ে দিবে এবং তাদের মাঝে ও আল্লাহ্র মাঝে মধ্যস্থতা করবে। এ বিশ্বাসের কারণে তারা এদের মধ্যস্থতা ধরে এবং আল্লাহ্র পরিবর্তে এ মৃতব্যক্তিদেরকে ডাকে। অথচ আল্লাহ্ বলেছেন: “আর আমার বান্দারা যখন আপনাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে (তখন আপনি বলে দিন) নিশ্চয় আমি নিকটবর্তী। দোয়াকারী যখন আমাকে ডাকে তখন আমি ডাকে সাড়া দিই।”[সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬]
২. শরিয়ত অনুমোদিত কোন একটি মাধ্যম দিয়ে আল্লাহ্ তাআলার কাছে ওসিলা দেয়া।
৩. দোয়ার ফলাফল প্রাপ্তিতে তাড়াহুড়া না করা। তাড়াহুড়া করা দোয়া কবুলের ক্ষেত্রে বড় বাধা। হাদিসে এসেছে, “তোমাদের কারো দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তাড়াহুড়া করে বলে যে: ‘আমি দোয়া করেছি; কিন্তু, আমার দোয়া কবুল হয়নি”[সহিহ বুখারী (৬৩৪০) ও সহিহ মুসলিম (২৭৩৫)]
সহিহ মুসলিমে (২৭৩৬) আরও এসেছে- “বান্দার দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল করা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দা কোন পাপ নিয়ে কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা নিয়ে দোয়া করে। বান্দার দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল করা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দা ফলাফল প্রাপ্তিতে তাড়াহুড়া না করে। জিজ্ঞেস করা হল: ইয়া রাসূলুল্লাহ! তাড়াহুড়া বলতে কী বুঝাচ্ছেন? তিনি বললেন: বলে যে, আমি দোয়া করেছি, আমি দোয়া করেছি; কিন্তু আমার দোয়া কবুল হতে দেখিনি। তখন সে ব্যক্তি উদ্যম হারিয়ে ফেলে এবং দোয়া ছেড়ে দেয়।”
৪. দোয়ার মধ্যে পাপের কিছু না থাকা। আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা নিয়ে দোয়া না হওয়া; যেমনটি ইতিপূর্বে উল্লেখিত হাদিসে এসেছে- “বান্দার দোয়া ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল করা হয় যতক্ষণ পর্যন্ত না বান্দা কোন পাপ নিয়ে কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা নিয়ে দোয়া করে।”
৫. আল্লাহ্র প্রতি ভাল ধারণা নিয়ে দোয়া করা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমার বান্দা আমার প্রতি যেমন ধারণা করে আমি তেমন।”[সহিহ বুখারী (৭৪০৫) ও সহিহ মুসলিম (৪৬৭৫)] আবু হুরায়রা (রাঃ) এর হাদিসে এসেছে, “তোমরা দোয়া কবুল হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস (একীন) নিয়ে আল্লাহ্র কাছে দোয়া কর।”[সুনানে তিরমিযি, আলাবানী সহিহুল জামে গ্রন্থে (২৪৫) হাদিসটিকে ‘হাসান’ আখ্যায়িত করেছেন]
তাই যে ব্যক্তি আল্লাহ্র প্রতি ভাল ধারণা পোষণ করে আল্লাহ্ তার উপর প্রভুত কল্যাণ ঢেলে দেন, তাকে উত্তম অনুগ্রহে ভূষিত করেন, উত্তম অনুকম্পা ও দান তার উপর ছড়িয়ে দেন।
৬. দোয়াতে মনোযোগ থাকা। দোয়াকালে দোয়াকারীর মনোযোগ থাকবে এবং যাঁর কাছে প্রার্থনা করা হচ্ছে তাঁর মহত্ত্ব ও বড়ত্ব অন্তরে জাগ্রত রাখবে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমরা জেনে রাখ, আল্লাহ্ কোন উদাসীন অন্তরের দোয়া কবুল করেন না।”[সুনানে তিরমিযি (৩৪৭৯), সহিহুল জামে (২৪৫) গ্রন্থে শাইখ আলবানী হাদিসটিকে ‘হাসান’ আখ্যায়িত করেছেন]
৭. খাদ্য পবিত্র (হালাল) হওয়া। আল্লাহ্ তাআলা বলেন, “আল্লাহ্ তো কেবল মুত্তাকীদের থেকেই কবুল করেন”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ২৭] এ কারণে যে ব্যক্তির পানাহার ও পরিধেয় হারাম সে ব্যক্তির দোয়া কবুল হওয়াকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুদূরপরাহত বিবেচনা করেছেন। হাদিসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করেন, যিনি দীর্ঘ সফর করেছেন, মাথার চুল উস্কুখুস্ক হয়ে আছে; তিনি আসমানের দিকে হাত তুলে বলেন: ইয়া রব্ব, ইয়া রব্ব! কিন্তু, তার খাবার-খাদ্য হারাম, তার পানীয় হারাম, তার পরিধেয় হারাম, সে হারাম খেয়ে পরিপুষ্ট হয়েছে তাহলে এমন ব্যক্তির দোয়া কিভাবে কবুল হবে?[সহিহ মুসলিম, (১০১৫)]
ইবনুল কাইয়্যেম (রহঃ) বলেন, হারাম ভক্ষণ করা দোয়ার শক্তিকে নষ্ট করে দেয় ও দুর্বল করে দেয়।
৮. দোয়ার ক্ষেত্রে কোন সীমালঙ্ঘন না করা। কেননা আল্লাহ্ তাআলা দোয়ার মধ্যে সীমালঙ্ঘন করাটা অপছন্দ করেন। আল্লাহ্ তাআলা বলেন, “তোমরা বিনীতভাবে ও গোপনে তোমাদের রবকে ডাক; নিশ্চয় তিনি সীমালঙ্ঘনকারীদের পছন্দ করেন না।” [সূরা আরাফ, আয়াত: ৫৫]
৯. ফরয আমল বাদ দিয়ে দোয়াতে মশগুল না হওয়া। যেমন, ফরয নামাযের ওয়াক্তে ফরয নামায বাদ দিয়ে দোয়া করা কিংবা দোয়া করতে গিয়ে মাতাপিতার অধিকার ক্ষুণ্ণ করা। খুব সম্ভব বিশিষ্ট ইবাদতগুজার জুরাইজ (রহঃ) এর কাহিনী থেকে এ ইঙ্গিত পাওয়া যায়। কারণ জুরাইজ (রহঃ) তার মায়ের ডাকে সাড়া না দিয়ে ইবাদতে মশগুল থেকেছেন। ফলে মা তাকে বদদোয়া করেন; এতে করে জুরাইজ (রহঃ) আল্লাহ্র পক্ষ থেকে কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন হন।
আরো দেখুনঃ
প্রথমে মূল পোস্ট পড়ুনঃ দোয়া করার পরেও দোয়া কবুল হয়না, এখন আমি হতাশ
আমি তীব্র মানসিক কষ্টে আছি। আমি একটা সময় বেশ ভালোই প্রত্যহ ইবাদত করতাম। কুরআন পড়া, জিকির করা, নফল নামাজ পড়া, ইসলামিক লেকচার শোনা আর আল্লাহর কাছে অনেক অনেক দোয়া করা আমার অভ্যাস ছিল। আমি সবসময় আল্লাহর রহমত অনুভব করতাম, যা ই হোক আমার সাথে আল্লাহ আছেন আমার সবসময় ভালো হবে এই ভাবনা টা মনের মধ্যে গাঁথা ছিল। আমি একটা জিনিস ডেসপ্যারেট ভাবে আল্লাহর কাছে চেয়েছিলাম, আমার প্রত্যেকটা দোয়ার অংশ ছিল সেটি। কিন্তু আমার সেই দোয়া টা কবুল হয়নি। এখন এমন এক অবস্থা একমাত্র আল্লাহর মিরাকেল ছাড়া সেটা অসম্ভব। আমি নিজের তরফ থেকে ইফোর্ট আর দোয়া দুইটাই করেছি কিন্তু সব বিফলে গেছে এমন মনে হয়। এটার কষ্ট আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়েছে। আমার ভেতর আল্লাহর প্রতি এক প্রকার অনাস্থার সৃষ্টি করেছে, আল্লাহর প্রতি প্রচন্ড অভিমানে দম বন্ধ হয়ে আসে আমার। (আল্লাহ মাফ করুক) মনে হয় আমার কোন দোয়াই কবুল হবে না, আমি দোয়া করাই ছেড়ে দিয়েছি.. দোয়া না করতে করতে এখন আগের মত দোয়াও করতে পারি না। দোয়া কবুল হওয়ার শর্ত দোয়া কবুল হবে এই ভেবে দোয়া করতে হবে কিন্তু আমার মাথায় ঘোরে দোয়া কবুল হবে না। আমি চাইলেও এই ভাবনা থেকে বের হতে পারি না। আমার সমস্ত ইবাদত কমতে কমতে শুধু পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে এসে গেছে। আমি এটা অনুভব করি আমি খুব খারাপ মুসলিমে পরিনত হয়ে গেছি, মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছি সব মিলিয়ে। এখন আমি আর আল্লাহর রহমত অনুভব করিনা, আল্লাহ আমার সাথে আছেন সেটাও না। আমি এর থেকে মুক্তি চাই। আমি অন্তত আগের আমি টা হতে চাই। বাজে কমেন্ট করে মানসিক চাপ বৃদ্ধি করিয়ে দেবেন না, আমি সাংঘাতিক ডিপ্রেশনে চলে গিয়েছি নাহলে এখানে পোস্ট করতাম না। জাযাকাল্লাহ খাইরান।
- নাসিহাহ গ্রুপ থেকে গুনাহগার বান্দা
জবাব সমূহঃ
বান্দা যা চায় আল্লাহ সেটা দেন তবে অবশ্যই সেটার ভিতর যদি কোন কল্যাণ নিহিত থাকে।
আমার অনেকগুলো মনের আশা পূরণ হয়েছে শুধুমাত্র আল্লাহ কাছে দোয়ার মাধ্যমে চেয়ে।
হ্যা সেটা খুব তারাতাড়ি ও হয় আবার একটু দেরিও হয়,আসল কথা ধৈর্য থাকতে হবে।ইনশাআল্লাহ আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস নিয়ে থাকুন।
নামাজ পড়ুন, পরিবারের সবার সাথে কথা বলুন সময় দিন ডিপ্রেশন ও চলে যাবে ইনশাআল্লাহ।
-Mahfujur Rahman Mahfuj
(২৯:২) মানুষ কি মনে করে যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে, আর তাদের পরীক্ষা করা হবে না?
(১৭:১১) আর মানুষ অকল্যাণের দোআ করে, যেমন তার দোআ হয় কল্যাণের জন্য। আর মানুষ তো তাড়াহুড়াপ্রবণ।
_______________
১. এই পৃথিবীতে যদি সব কামনা পুরণ হত তাহলে জান্নাতের মূল্য থাকতো না।
২. হতে পারে আপনি যা চেয়েছেন তা আপনার জন্য ভালো নয়। কারণ আমাদের রব আমাদের ভালো মন্দ সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত। উদাহরণস্বরূপ আমি একটা বাড়ি কিনতে চাইলেন দুআ করলে, কিন্তু ওই বাড়িতে গেলে আমি একটা বিপদ করে বসবেন জেনে রহমানুর রহিম আপনার সে বাড়ি কেনার সামর্থ্য নিয়ে ফেলে। এতে আপনার উচিত বরং আল্লহুর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে ধৈর্য ধরা। কারণ আমরা ইলমে গায়েব জানি না, আল্লহ জানেন।
৩. হতে পারে আল্লহ ইচ্ছে করে আপনার ধৈর্য ও ভরসাল পরীক্ষা নিচ্ছেন। অথবা তিনি চান এই দুআর প্রতিফল এখানে না দিয়ে আখিরাতের আরো অনেক অনেক বড় কিছু দেয়ার জন্য নিজের কাছে জমা রেখেছেন।
আল্লহু আ'লাম।
- Jannat is my dream
আপনি যা চেয়েছেন তা হয়তো এখন আপনার জন্য কল্যাণকর নয় তাই আল্লাহ দেননি। যখন তা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে তখন আল্লাহ দিবেন। আপনার উচিত ছিল আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা, তা না করে আপনি হতাশ হওয়ায় শয়তান সুযোগ পায় আপনাকে ভুল পথে নেওয়ার।
যাই হোক আপনি যেহেতু ভুল বুঝতে পেরেছেন তাই এখনও ফিরে আসা সম্ভব।
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান, কখনও আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবেন না।
আল্লাহর রহমত না থাকলে আপনি বেঁচে আছেন কীভাবে? আল্লাহ কি আপনার রিযক এর ব্যাবস্থা করেন না? নিশ্চয়ই করেন।
তাহলে কিভাবে বলেন আপনি আল্লাহর রহমত অনুভব করেন না।
- Muhammad Abdul-Latif
মানুষের ভালো মন্দ কোনটাতে সেটা আল্লাহ মানুষের চেয়ে বেশি জানেন । আপনার জন্য সেই জিনিসটা উত্তম হলে আল্লাহ আপনাকে সেটা দিবেন কিন্তু খারাপ হলে সেটা দিবেন না।
আল্লাহ তায়ালা ৩ ভাবে দুআ কবুল করেন ।
১ সাথে সাথে দিয়ে দেন
২ আপনি যে জিনিসটা চেয়েছেন সেটা আপনার জন্য এখন ভালো না তাই কিছুটা সময় দেরি করে দেন
৩ যে বিষয়ে দুআ করেছেন সেটা আপনার জন্য উত্তম না হওয়াতে হাশরের ময়দানে আল্লাহ তা কবুল করে আপনাকে সাহায্য করবেন।
আমার ব্যক্তিগত জীবনে এমন অনেকবার হয়েছে যে আমি একটা জিনিস চেয়েছি অনেক দুআ করেছি কিন্তু পরবর্তীতে জিনিসটা পাই নি সাময়িকভাবে কষ্ট পেলেও পরবর্তীতে দেখেছি ওই জিনিসটা আমার জন্য ভালো ছিলো না।
একবার একটা ছেলেকে পছন্দ করেছিলাম, কিন্তু আল্লাহর রহমতে সম্পর্কটা হয় নি ।আজ সে এলাকার মাস্তান +চাঁদাবাজ আর আমি একজন পর্দানশীল মুসলিম নারী ।আমাকে আল্লাহর রহমতে প্রায় সবাই সম্মান করে অথচ একদিন আমি এটা কল্পনাই করতে পারি নি।
আমার জন্য এমন ছেলের প্রস্তাবও এসেছিলো যে বড় রকমের পোস্টে ব্যাংকে চাকরি করছে আমার মা বাবা রাজি হয় নি।
কারণ তারা আমার জন্য সৎ দ্বীনদার আলেম খুঁজছেন।
আর সবকিছু তো বলা সম্ভব না তাই বলতে পারছি না ।শুধু বলব মন খারাপ করবেন না ভরসা রাখুন আল্লাহর উপর ।
এটা একটা পরীক্ষা ঈমানি পরীক্ষা । যখনই এমন পরীক্ষা আসবে মনে করবেন আল্লাহ আপনার মর্যাদা বাড়াতে চাচ্ছেন ।পরীক্ষা ছাড়া মর্যাদাবান হওয়া যায় না ।
ব্যক্তিগত একটা কথা শেয়ার করলাম দয়া করে কেউ সেটা নিয়ে কথা বলে আমাকে লজ্জিত করবেন না ।তখন আমি খুব ছোট ছিলাম , ইলমের সল্পতা ছিলো ।
আল্লাহ তায়ালা সহায় হোক।
- Meherjabin Chandan
ঠিক আপনার মতো অবস্থা আমারো হয়েছিলো একটা জিনিস চেয়ে দু'আ করতাম, দু'আ কবুলের যতগুলো ক্ষেত্র সম্ভব সবগুলোতেই দু'আ করেছিলাম কিন্তু সেটা পাই নাই, তবে এখন উপলব্ধি করি সেটা কোনদিক থেকেই কল্যানকর ছিলো নাহ্, কিন্তু দু'আ করতে করতে আল্লাহর রহমতে কখন যেন আল্লাহর নিকটবর্তী হয়ে যাই, তারপর থেকে যত কঠিন অবস্থাই আসুক না কেন আর ভয় পাই না, মনে হয় এত দুশ্চিন্তার কিছু নাই যেটা কল্যানকর সেটা পাবোই ইনশা আল্লাহ। দু'আ করার সময় দু'আ কবুল হবে না এটা ভাববেন না, বরং এটা ভাববেন যে কল্যানকর হলে অবশ্যই পুরন হবে দু'আ, আর অনেক সময় আপনি দ্রুত কিছু পেতে চান কিন্তু সেটা তখন উত্তম সময় না হওয়ায় আপনাকে দেওয়া হয়না তবে সঠিক সময়ে ঠিক পেয়ে যাবেন। আল্লাহ বলছেন তিনি সেই বান্দার প্রতি তেমন আচরন করেন যে বান্দা তাঁর ব্যাপারে যেমন ধারনা করেন
- Akhi Alamgir
আমার এক বোন আমাকে একদিন বলেছিল,ওর ছোট ভাগ্নির প্রচন্ড জ্বর ...এমন একদিন ওই পিচ্চী বাবুটা খুব বেশি কান্না করছিলো, ঠান্ডা পানি ধরার জন্য। ও এতটুক বলার পর বলেছিল, ওর ভাগ্নি যদি কান্না করে মরেও যায়, তবুও ও ওকে কোনোভাবেই কি তখন ঠাণ্ডা পানি দিত? কখনোই দিত না, কারণ ওকে প্রচন্ড ভালোবাসে বলেই ওর থেকে ওর ক্ষতিকর জিনিস দূরে সরিয়ে রেখেছে। অনেক বড়ো কষ্ট থেকে বাঁচাতে, ছোট কষ্ট না হয় পাক।
আমাদের রব সেখানে কতই না দয়ালু! আল্লাহ্ ই একমাত্র জানেন, যেটা আমরা চাই, সেটা শেষ পর্যন্ত আমাদের আখিরাতের জন্য কেমন। আল্লাহ্ কতই না ভালোবেসে ক্ষতিকর জিনিস আমরা চাইলেও আমাদের তা থেকে বাঁচিয়ে রাখেন। যেটা পেলে আমি হয়তবা চিরকালের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হতাম। আপাতদৃষ্টিতে সেটা বুঝার ক্ষমতা আমাদের মত সামান্য ক্ষুদ্র সৃষ্টির নেই।
তাই আল্লাহর প্রতি আরো কৃতজ্ঞ হতে হবে, তিনি আমাদের রব। কতই দয়ালু রব। আমরা দাস মাত্র, তিনি বাধ্য না কোনো কিছুতেই, আমরাই মুখাপেক্ষী। তারপরও তিনি প্রতিদিন অগণিত জীবনোপকরণ দিয়েই যাচ্ছেন আমাদের।
আল্লাহ্ বলেন --
কিন্তু হতে পারে তোমরা এমন কিছু অপছন্দ করো, যা আসলে তোমাদের জন্যই ভালো। আবার তোমরা এমন কিছু পছন্দ করো, যা তোমাদের জন্য খারাপ। আল্লাহ تعالى জানেন, যেখানে কিনা তোমরা জানো না। [আল-বাক্বারাহ ২১৬]
নিশ্চই আমাদের রব ই জানেন। আমরা কিছুই জানি না।
আর কোনো নফল আমলে মন বসুক আর না বসুক, সব চেয়ে সহজ হলো জিকির করা। সময় অসময়ে সারাদিন , ইয়া রব্বী পড়া যেতে পারে। মানে, হে আমার রব।
আশ্চর্য রকমের ভালো অনুভব করবেন খুবি দ্রুত আল্লাহ্ চাইলে। তিনিই তো একমাত্র রব, আমাদের রব কখনো ছেড়ে দেন না বান্দাদের।
- Suriya Hoque Shaon
আমার ও অনেক দোয়া আছে এখনো কবুল হইনি। দোয়ার চাওয়া গুলো স্বাভাবিক না, ঐ আপনার মত মিরাকল ছাড়া সম্ভব না।
কিন্তু হতাশ হতে পারিনা। যখন ই হতাশ হওয়ার মত কোন কথা অন্তরে আসে তখন ই ভাবনায় কিছু কথা নিয়ে আসি যেমন,
আমি তো চোখ এর জন্য দোয়া করিনি তাও তো আল্লাহ্ আমাকে দিছে,
হাতের জন্য দোয়া করিনি আল্লাহ্ তাও আমাকে দিছে।
চাওয়া ছাড়া নিরাপদ আছি চাওয়া ছাড়া ভাল আছি। এত এত পাপ করি আল্লাহ্ চাইলেই তো একটা পাপের জন্য গজবের মধ্যে ফেলতে পারেন তবুও তো আল্লাহ্ নিজ দোয়ায় অনুগ্রহে নিরাপদ রাখছেন।
এই যে আমি আপনি এখানে কথা বলছি এমন ও তো হতে পারতো করোনার কারনে আগেই মারা গেছেন মারা গেছি। হতে পারত না?
লাখ লাখ পরিবার এই করোনায় শেষ, কয়েক লাখ মানুষ মারা গেছে । আচ্ছা এই মারা যাওয়া মানুষ গুলো কি এখন কোন কিছুর জন্যই হতাশ হতে পারে দুনিয়াবি কিছুর জন্য?
চাওয়া ছাড়া দোয়া ছাড়া আল্লাহ্ আমাদের মুসলিম হিসাবে পাঠাইছেন মুসলিম সমাজে বাস করার তৌফিক দিছেন।
এত কিছুর যোগ্য আমরা?
এসব আল্লাহ্র অনুগ্রহেই পাচ্ছি তাও হতাশ হয় কিভাবে বলেন?
- Ali Imam
আপনি নামাজ মনোযোগ দিয়ে আদায় করেন,
আগের মত নত হোন,
আল্লাহর রহমত বাহিরে নয়।
ধৈর্য দরুন।
وَلَنَبْلُوَنَّ
তোমাদেরকে ভয় ও ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি (এসবের) কোনকিছুর দ্বারা নিশ্চয়ই পরীক্ষা করব, ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ প্রদান কর।
সূরা বাকারা ১৫৫
- M Arif Talukder
আসসালামু আলাইকুম
, একদম কষ্ট পাবেন না,হতাশ হবেন না,আল্লাহ যে অনেক অনেক মহান,বিশ্বাস করুন আমার জীবনেও এরকম পরিস্থিতি এসেছে, আর খুব স্বাভাবিক ভাবে সামনেও আসবে,কারণ মানব জীবন সহজ কিন্তু মুমিন জীবন কঠিন,আমারও অনেক কষ্ট হয়েছে কিছু কিছু জিনিস মেনে নিতে,কিন্তু একটা কথাই বার বার শান্ত করেছে, হয়তো আল্লাহ আমার জন্য জীবনে আরও অনেক অনেক বড় কিছু রেখেছেন,যেটা আমার চাওয়া থেকেও মূল্যবান এবং উত্তম, আমি আমার অতীতে যা পায় নি,তা ভেবে এখন শুধুই আলহামদুলিল্লাহ বলতে ইচ্ছে করে, এই ভেবে যে ভাগ্যিস তা পাই নি,না হলে আজ যে অবস্থানে আছি সে অবস্থানে পৌছাতাম কি করে, আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ,
আসসালামু আলাইকুম
- MD Mehedi Raiyan