Bangla Islamic Quotes With Pictures | Bangla Hadis And Quran Ayat photos Download 2024
There are many types of wallpapers available but good quality Islamic writing wallpapers are not available everywhere. What is available on the net is not a good quality picture.
In today's post, I am uploading more than 100 good quality Islamic pictures or wallpapers. Although the pictures are taken from different sources, I follow those pages regularly so I can say that the writings are also trustworthy (at least to me till now).
- Islamic Quotes Images 2024
- Bangla Islamic Quotes Pictures Download
- Bangla Hadis Pics
40+ Bangla Islamic Quotes With Pictures
All Pics Are Collected From:
- Thinktwice.online
- Raiyan_media
- Iqrabd122
- Dailyzikr.bd
কত রকমের ওয়ালপেপার ই তো পাওয়া যায় কিন্তু ভালো মানের ইসলামিক লেখা ওয়াল পেপার কিন্তু সবখানে পাওয়া যায় না। নেটে যেসব পাওয়া যায় তা ঠিক একটা ভালো কোয়ালিটির ছবি বলা যায় না।
আজকের এই পোস্টে ১০০ টার বেশি ভালো মানের ইসলামিক ছবি কিংবা ওয়ালপেপার আপলোড করছি। ছবি গুলো বিভিন্ন উৎস থেকে নেওয়া হলেও আমি সেসব পেজ নিয়মিত ফলো করি তাই বলতে পারি লেখা গুলোও বিশ্বস্ত ( অন্তত এখন পর্যন্ত আমার কাছে)
44 Islamic Quotes Images
Bangla Hadis And Quran Ayat photos
পর্দা করে নাচাও যায়(!)
পর্দায় থাকা মানে অপ্রয়োজনীয় গন্ডিকে আকড়ে ধরা এটা যেমন ভুল পর্দায় থেকে সব কিছু করা যাবে এটাও তেমন ভুল।
উভয় প্রান্তিকতা রিমুভ করে শরয়ী সীমাবদ্ধতাকে আকড়ে ধরাটাই মূল।
বর্তমান কিছু বোরকা পড়ুয়া মেয়েদের ধারণা হলো স্ক্রীনটা ঢেকে সবকিছুই করা যায়!এন্ড কিছু ওয়েজরা চিৎকার করে এটা বলেও বেড়ায়।অথচ মেয়েরা তাদের শরীর প্রদর্শন করতে পারবেনা এখানে যেমন ইসলামি সীমাবদ্ধতামূলক নির্দেশনা রয়েছে তেমন প্রত্যেকটা কর্মেই সীমাবদ্ধতা, গন্ডি রয়েছে সেটাকে কোনভাবেই জন্যই অতিক্রম করা সমীচীন হবেনা।বোরকা পরেওনা বোরকা ছাড়াওনা।
একটা ইসলামি হুকুম হলো, আপনি যেমন ইসলামি কোন আদেশ নিষেধ কে অমান্য করতে পারবেননা তেমনি এমন কোন কাজও করতে পারবেননা যা করলে ইসলামি কোন দিক-নির্দেশনা পালনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় বা কোন হুকুম ছুটে যাওয়ার আশংকা হয় অথবা কখনো কখনো ছুটেও যায়।
যেমন একটা উদাহরণ, গান শোনা যাবেনা এটা ইসলামের হুকুম। যদি এমন হয় ফেইসবুক চালালে আপনি গান না শুনে থাকতে পারেন, ফেইসবুকে ঢুকলেই আপনি গান শুনে ফেলেন তাহলে আপনার জন্য ফেইসবুকও চালানো যাবেনা।
তো অনেকেই ভাবেন বোরকা পরে সব কিছু করা যায়। এটা মনে করে এমন কিছু করতে থাকে যেটা শরয়ী গন্ডিকে অতিক্রম করে বহু-দূর চলে যায়।হয়তো ডাইরেক্টলি ইসলামের বিভিন্ন হুকুম অমান্য করতে থাকে বা এমন কাজ করতে থাকে যাতে বিভিন্ন হুকুমের ক্ষেত্রে ত্রুটি হতে থাকে।
উদাহরণে যায়,বর্তমানে পর্দানশীন অনেক মেয়েরাই বিজনেস করছেন, বিজনেস করতে গিয়ে মাঝে মাঝে লাইভে আসেন মুখ ঢেকে।তারা ভাবেন মুখ তো ঢাকা ই আছে পর্দা তো করছিই কিন্তু তারা জানেনা যে তারা স্বরের পর্দা লঙ্ঘন করছে।এন্ড তারা বিজনেসের খাতিরে অনেক ননমাহরামদের সাথে অপ্রয়োজনীয় কথা বা আলাপে যুক্ত হয়ে যাচ্ছেন।এমনও জানি পর্দানশীন মেয়ে কিন্তু বিজনেস করতে গিয়ে হারাম রিলেশনশিপে লিপ্ত হয়ে গেছেন।
বিজনেসটা কিন্তু প্রবলেম না।প্রবলেম হচ্ছে বিজনেসের গন্ডি থেকে বেড়িয়ে যাওয়া।আপনি পর্দায় থেকে বিজনেস করতে পারবেন কিন্তু গন্ডি টপকাতে পারবেননা।যদি এমন হয় বিজনেস করতে গেলে আপনি সীমাবদ্ধতা ঠিক রাখতে পারেননা তখন বিজনেসটাও আপনার জন্য অনুচিত হয়ে যাবে।
আবার অনেকেই বিজনেস করতে গিয়ে স্বামীর খেদমত,শশুড়-শাশুড়ীর দেখা-শোনা এগুলোতে অনেকটা অনাগ্রহী হয়ে যায় এন্ড ত্রুটি-বিচ্যুতি হতে থাকে অনাবরত।
ক্রিকেট খেলা প্রবলেম না সীমাবদ্ধতা অতিক্রম প্রবলেম।সো ঐ মায়ের ক্রিকেট খেলা দেখে যারা বিপ্লবী চেতনার মোটিভেশান লাভ করছেন তারা এই বিষয়টা খেয়াল রাখবেন।
পর্দায় থেকে সবকিছু মেয়েরা করতে পারে এই শ্লোগানে যেন আপনার সবকিছু হারিয়ে না যায়
শুভ-কামনা আপনার জন্য।বেস্ট অফ লাক।
- Omar Faiyaz (ফাইয়ায)
শালীন, সুন্দর ও পরিশীলিত বোরখায় আবৃত একজন মা ও সন্তানের ক্রিকেট খেলার ভাইরাল ছবিটি দেখে অন্য অনেকের মতো মুগ্ধ হতে পারিনি। প্রথম আলো থেকে ইসলাম প্রিয় মুসলিম কমিউনিটির একটি বড় অংশের কাছে ছবিটি তাদের জীবনে দেখা শ্রেষ্ঠ ছবিগুলোর কাতারে আসলেও আমাদের কাছে আসেনি। এর পেছনে অনেক কারণ আছে।
মা ছেলের খেলাটি নিছক শরীরচর্চা বা বিনোদনের অংশ ছিলো না, সেটিকে বলা যেতে পারে ক্যারিয়ার বিল্ডআপের প্রশিক্ষণ। অর্থাৎ ছেলেটিকে পেশাদার ক্রিকেটার বানাতে চাচ্ছেন আর সেজন্য ছেলেকে হেল্প করেন তিনি। অর্থাৎ শিশুটি মিডিয়ায় প্রভাবিত হয়ে সাকিব, তামিম হবার স্বপ্ন দেখছে আর মা'ও ছেলের সে স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করছেন। ঘটনাটি আমাদের বর্তমান পরাজিত উম্মাহর মায়েদের দৃষ্টিভঙ্গি ও মনন বুঝতে সহায়ক হবে। দুঃখজনক বাস্তবতা হলো পোশাকে পর্দা করা মায়েরাও এখন ছেলেকে আবু বকর রা., ওমর রা., খালেদ রা., সালাউদ্দিন বানানোর স্বপ্ন না দেখে , স্বপ্ন দেখছেন কীভাবে নিজের ছেলেকে একজন সাকিব, তামিম, মুশফিক বানানো যায়। [এখন অনেক নারী-পুরুষ পাওয়া যায় যাদের লেবাসে দিন আসলো মননে যথাযথভাবে ইসলাম প্রবেশ করেনি]
প্রথম আলো-ডেইলি স্টার বা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী'রা এ ছবিটি প্রমোট করার নেপথ্যে অবশ্যই কিছু কারণ আছে। মা ছেলের মধুর পারিবারিক বন্ধন এটা বাঙালি মুসলিম সমাজে খুব পরিচিত একটি বিষয়। এদেশের সিংহভাগ মায়েরা সন্তানকে পশ্চিমাদের মতো ডে কেয়ার সেন্টারে বড় করেন না, নিজেরাই পরম মাতৃস্নেহে বড় করেন। কিন্তু এখানে যে বোরখা পড়া মাকে দেখা গেছে পল্টন ময়দানে হাজারো পরপুরুষের সামনে ছেলের সাথে ব্যাটবল হাতে দৌড়ঝাঁপে মেতে উঠতে। এরকম ঘটনা বাঙালি মুসলিম সমাজে বিরল ও সংস্কৃতি বিরুদ্ধ। কোন লাজুক নারীর পক্ষে কখনোই তা সম্ভব নয়। আর এটাই প্রথম আলো গং দের কাছে খুব উত্তম কাজ মনে হয়েছে।
পশ্চিম এনলাইটেনমেন্টের পর থেকে নারীদের বাইরে বের করার যে প্রজেক্ট চলছে তাতে বাঙালি ধার্মিক নারীদের উৎসাহিত করতে ভালোই ফুয়েল জোগাবে উক্ত ছবিটি। অর্থাৎ বোরকা-হিজাব পড়েও সব করা যায়! টাইপ নারীবাদী প্রচারণার অংশ আরকি।
যাইহোক প্রথম আলোদের ব্যাপারে বেশি কিছু বলার নেই, কিন্তু যারা নিজেদের প্রাকটিসিং মুসলিম দাবি করেন তাদের কারো কারো কাছে এ ছবিটি জীবনে দেখা শ্রেষ্ঠ ছবি মনে হবার হেতু কী? যে মা ঘরে উত্তম পরিবেশে থেকে নিজের ছেলেকে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হবার উপযোগী করে (নির্মল বিনোদন ও শরীরচর্চাসহ) গড়ে তুলছেন সে মায়ের চেয়ে উক্ত মহিলার মাঠে খেলাধুলা আপনার কাছে শ্রেষ্ঠ কাজ মনে হচ্ছে! সে ছবি শ্রেষ্ঠ ছবি মনে হচ্ছে। বোরখা পড়ে হাজারো মানুষের সামনে খেলাধুলা করা খুব উত্তম কাজ, তাই না? আর তিনি যে ছেলেকে পেশাদার ক্রিকেটার বানানো চেষ্টা করছেন তা তো বৈষয়িক দৃষ্টিকোণ থেকেও ৯৯% ছেলেদের জন্য ব্যর্থ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা সর্বোচ্চ ১% প্রশিক্ষণার্থী first-class ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাবে বাকিরাদের ভবিষ্যতে কী! আর এ ১% পার্সেন্টে টিকে গেলেও আখিরাতে এতে লাভ কী ? দুনিয়ার জীবন কী কেবল খেলতামাশার জন্য!
- Monir Ahmed Monir
হিজাব পর্দার নাম, ফ্যাশন না।
আপাদমস্তক বোরকা পরিহিত কিছু বোন যদি জড়ো হয় দ্বীনি তা'লীমের জন্য, সেটা কিন্তু মিডিয়া সহ্য করে না। এমনকি শিক্ষাঙ্গনেও আমরা এর ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞামূলক নানা আচরণ দেখতে পাই। কিন্তু মা ছেলের ক্রিকেটের "বস্তাবন্দী"(!) ছবিটাকে মিডিয়া কেন নারীর উন্নতি হিসেবে দেখাচ্ছে? নির্দিষ্ট ঐ ছবি এবং তার পিছনের ঘটনার চেয়ে এই দৃষ্টিভঙ্গিটা বোঝা আমাদের জন্য জরুরি। পাশ্চাত্য মর্ডানিটির ইসলামীকরণের বিকৃত চিন্তা এর পিছনে জড়িত।
নারীপুরুষ সবাইকেই মহান আল্লাহ তা'য়ালা সৃষ্টি করেছেন। তাদের ফিতরাতও আল্লাহর সৃষ্টি। সুতরাং মানব ফিতরাতের ব্যাপারে তিনিই একমাত্র অবগত। তাঁর দেয়া প্রতিটি বিধানই মানুষের স্বভাবজাত সত্তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি নারী পুরুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য এর প্রতি লক্ষ্য রেখে তাদের ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব ও অধিকার দিয়েছেন। ফলে ইসলাম ব্যতিক্রম যার যার অবস্থানে অবিচল থাকার সাধারণ নির্দেশনা প্রদান করে। বোরকা পরিধান করলেই দায়িত্ব ও অধিকারের শর'য়ী এবং ফিতরী বৈষম্য মুছে যায় না। কোন নারী যদি এমনটা মনে করে তাহলে সে বোরকা পড়েও নারীবাদী চিন্তা লালনকারী হতে পারে।
স্বভাবজাত আঙিনাকে পরিত্যাগ করে হিজাব কিংবা বোরকা কারো ক্ষেত্রে অন্যান্য হারামের টিকেট হয়ে বসেছে। ফলে হিজাব/বোরকা পরিধান করে সব করা যায় কিংবা এটা পরিধান করলে সংশ্লিষ্ট কাজ করাতে কোন সমস্যা নেই- এই ধরণের মনোভাব মুসলিম নারীদের ভিতর ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। মিউজিক স্বতন্ত্র হারাম। পর্দা পরিত্যাগ করা স্বতন্ত্র হারাম। এখন কেউ বোরকা পরে মিউজিক করলে সেটা বৈধ হয়ে যাবে আর কেউ পর্দা লঙ্ঘন করে মিউজিক করলে সেটা হারাম হয়ে যাবে - ব্যাপারটা মোটেও এমন নয়। উভয়ের জন্যই মিউজিকটা হারাম। মিউজিক একটা দৃষ্টান্ত কেবল। সুস্পষ্ট অনেক হারাম বিষয়ে হিজাব/বোরকাধারীর বিচরণ দেখেও এক শ্রেণির মুসলিম গর্বে বুক ভাসিয়ে ফেলে। আর মিডিয়া এগুলোকে উৎযাপন করে নারী অধিকার ও উন্নতির বাস্তবায়ন হিসেবে।
সবশেষে মিডিয়ায় প্রদত্ত আলোচিত সেই মায়ের সাক্ষাতকার নিয়ে কিছু বলা প্রয়োজন বোধ করছি। নির্দিষ্ট ঐ ছবি সমস্যার কিছু না। একজন মা তার সন্তানের বিনোদনের সঙ্গী হতেই পারেন। কিন্তু একজন মা কখনো সন্তানের হারাম ক্যারিয়ার গঠনের সহযোগী হতে পারেন না। ঐ মায়ের ভাষ্যমতে তার ছেলে জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটার হতে চায়। কেবল বিনোদন হিসেবে ক্রিকেট খেলা বৈধতার ব্যাপারে সমস্ত উলামায়ে কেরাম একমত। তেমনিভাবে আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত ক্রিকেট ব্যবস্থা হারাম হওয়ার ব্যাপারেও উলামায়ে কেরাম একমত। এই ক্যারিয়ার কখনো শরীয়তসম্মত নয়। এখানে অনেক নাজায়েজ বিষয় জড়িত।
মুসলিমদের অনেকেই প্রফেশনাল লাইফকে দ্বীনের প্রভাব থেকে মুক্ত মনে করে। ফলে অভিনেতা- অভিনেত্রী, ক্রিকেটারসহ অনেক হারাম ক্যারিয়ারিস্ট মুসলিম ব্যক্তি জীবনে নামাজ রোজা ইত্যাদি ধর্মীয় অনুশাসন পালন করলেও পেশা হিসেবে সুস্পষ্ট হারাম কাজগুলোকে বৈধ মনে করছে। এমন আচরণ সেকুলারিজমেরই প্রভাব। আলোচিত মায়ের ক্ষেত্রেও এমনটা ঘটেছে। তিনি একই সাথে নিজ সন্তানকে কুরআনে হাফেজ বানাতে চান আবার একজন পেশাগত জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটার। এবং এই চিন্তাতে তিনি কোন সমস্যা দেখছেন না। একজন আপাদমস্তক বোরকা পরিহিত মেয়ে এমন চিন্তাকে পজিলিভলি নিচ্ছে, মিডিয়ার কাছে এটাই নারী উন্নতি। কিন্তু ইসলামে এই চিন্তাটাই অধঃপতন। এই চিন্তার স্থান মুসলিম মানসে হতে পারে না। সেকুলার মানসই এর যোগ্য আবাস্থল।
- Iftekhar Sifat