লেবানন বিস্ফোরণঃ বৈরুত ব্লাস্ট এর কারন ও লেবানন এর ইতিহাস গৃহযুদ্ধ ও ধর্ম
লেবানন দেশ কেমন? লেবানন বিস্ফোরণ বৈরুত ব্লাস্ট এর কারন ও লেবানন এর ইতিহাস গৃহযুদ্ধ ও ধর্ম
লেবাননের বৈরুতে দুদিন আগে যে ক্যাটাসট্রফি টা হলো সেটা নিয়ে একটু স্টাডি করতে বসছিলাম। এক ফাঁকে দেশটা নিয়েও একটু স্টাডি করে নিলাম।
- লেবানন ইতিহাস
- লেবাননের ধর্ম
- লেবানন আয়তন
- লেবানন যুদ্ধ
- লেবাননের জনসংখ্যা
- লেবাননের মেয়েরা
লেবানন বিস্ফোরণ পেছনের কারণ
কিন্তু যাত্রা পথে শিপটিকে বৈরুত পোর্টে স্থান নিতে হয় কারণ শিপটির ওনার পোর্ট ফি দিতে ব্যর্থ হয়।
দুদিন আগে বিস্ফোরণের আগ পর্যন্ত শিপটির অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ভরা কার্গোগুলো এই পোর্টের ওয়াইরহাউজেই পড়ে ছিলো।
কিন্তু সরকার কোন ভ্রক্ষেপও করেনি।
কিন্তু তারপরেও সরকারের পক্ষ থেকে বিন্দুমাত্র কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
১৯৯৫ সালের ওকলাহোমার সিটি বোম্বিং, ২০০২ সালে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বোম্বিং, ২০১১ সালে নরওয়তে হওয়া টেরোরিস্ট বোম্বিং এটাকের মূল অস্ত্র ছিলো মূলত এই অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট।
অথচ সরকার ছিলো নিশ্চুপ। যার ফলাফল আমার দুদিন আগেই দেখতে পেলাম। বিস্ফোরণটি এতো ভয়বাহ ছিলো যে ১৫০ মাইল দূরের সাইপ্রাস থেকে পর্যন্ত লক্ষ্য করা গেছে।
১৩৭ জন মানুষ মারা গেছেন। ১০০ জন মিসিং। ৫০০০ জন আহত। ৩ লাখের বেশি মানুষ ঘরছাড়া।
তারা বলছেন, বৈরুতের এই বিস্ফোরণ ইতিহাসের সবচেয়ে বড় পারমানবিক-বহির্
লেবাননের জনগণ কিন্তু সরকারে বিরুদ্ধে একটি মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েক বছর ধরেই। বিস্ফোরণটি থেকে বেরিয়ে এবার একটু দেশটার সম্পর্কে কিছু কথা জানা যাক।
বিশ্বের ৩য় সর্বোচ্চ ঋণ গ্রহিতা দেশ এই লেবানন। তাদের বর্তমান কারেন্সির রেট এখন ৮৫ শতাংশের নিচে।
বলতে গেলে এমন একজনও সরকারি কর্মকর্তা নেই যে যার কাছে সাধারণ মানুষ একটু সাহায্যের আবেদন করবে।
কিন্তু আমি বলতে চাই এখন তারা যেটা করেছে সেটা ভয়ংকর অপরাধ।''
তারা সরকারি তদন্তের স্বচ্ছতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে।
"আপনারা কেউ যদি আমাদের কে সত্যিই কোন সাহায্য সহযোগিতা করতে চান, কাইন্ডলি সেটা লেবানন সরকার এর কাছে পাঠাবেন নাহ।
সরকার আমাদের সবকিছু চুরি করে নিয়ে গেছে, তারা আপনাদের পাঠানো এই সাহায্য ও চুরি করে নিয়ে যাবে।'
মৃত্যুপুরী তে পরিণত হয়েছে দেশটি। যতই স্টাডি করছি ততই অবাক হচ্ছি। জন্ম থেকেই দেশটি অর্থনীতিতে পিছিয়ে। বর্তমানে যা একটু পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে অর্থনীতি চাঙ্গা হতে শুরু করেছিলো, সেটিও সরকারের নিজস্ব চাহিদা মেটাতেই অদ্ভুতভাবে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।
সাড়ে ১০ হাজার বর্গকিমি এর ছোট একটি দেশ। জনসংখ্যা মাত্র ৬৮ লক্ষ। এই দেশের যে পর্যটন শিল্প আছে তা দিয়েই দেশের প্রত্যেকটা মানুষ তাদের চাহিদা মিটিয়ে কুল না পাওয়ার কথা ছিলো।
আরো আছে সমৃদ্ধ ব্যাঙ্কিং খাত, কৃষি খাত। এছাড়াও ক্যামিকেল, মেটাল প্রোডাক্ট, ট্রান্সপোর্ট ইকুইপমেন্ট উৎপাদনেও দেশটি খুব পরিচিত।
অথচ ৬৮ লক্ষ মানুষের মধ্যে ৩০ শতাংশ মানুষই দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করছে। ৬.২ শতাংশ লোক বেকার। এভাবে চলতে থাকলে আর কয়েকটি বছরের মধ্যে উদ্বাস্তুর মতো ঘুরে বেড়াবে মানুষ।
ভাবতেই কষ্ট লাগে শুধু মাত্র সরকারের কিছু কর্মকর্তার দুর্নীতি, দায়িত্ব অবহেলার কারণে একটি পুরো দেশ, এতগুলো মানুষ আজ ধ্বংসের মুখে।
তথ্যসূত্রঃ
https://
https://
https://
- DefRes Group (লেখকের নাম ভুলে গেছি তাই গ্রুপের নাম দিতে হচ্ছে!)