"তুমি বিচার কে" বলা নামে মুসলিমদের জন্য কোরান হাদিস থেকে কিছু শিক্ষা | সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজ হতে বাধা প্রদান করা
মুসলিম উম্মাহর বিশাল অংশের ধারনা এমন যে , আমাদের চারপাশে যা কিছু ঘটছে তাতে ইসলামের কিছু বলার নেই ।
প্রকাশ্যে অস্লিলতা, সেচ্ছাচারিতা, আল্লাহ্র দ্বীনের অবাধ্য হওয়া এসব যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপারে। যতই অস্লিলতার প্রচার-প্রসার হোক , মুসলিম উম্মাহর মাঝে প্রকাশ্যে ইসলামের হুকুম আহকামের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা চালানো হোক ।
মুসলিমদের এসব ব্যাপারে নীরব থাকতে হবে। তাদের কিছুই করার নেই । আফটারঅল আল্লাহ্র কাছে তার জবাব সে দেবে?
সে কি করল তার জন্য তোমাকে তো জিজ্ঞাসা করা হবে না !!
.
সুবাহান'আল্লাহ , এসব মুসলিমদের কাছে ইসলাম হচ্ছে শুধু নামায ,রোজার মত ইবাদাত ! এর বাইরে কিছু না ।
এর বাইরে বলার মানেই হচ্ছে তুমি ধমান্ধ , মৌলবাদি । কিন্তু আফসোসের ব্যাপারে হচ্ছে নিজেকে মুসলিম দাবী করা এসব গুড বয় ইমেজ রক্ষা করা মানুষের কখন সময় হয় না ইসলামের ব্যাপারে জানার ।
তারা জানতেও চায় না ইসলামের একটি অপরিহার্য ইবাদাত হচ্ছে "আমর বিল মারুফ ওয়া নাহি আনিল মুনকারের " অর্থাৎ সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজ হতে বাধা প্রদান করা ।
একজনের মুসলিমের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে সে মানুষকে সৎ কাজের দিকে আদেশ করবে এবং অসৎ কাজ হতে বাধা প্রদান করবে ,
.
আল্লাহ্ সুবহানু তায়ালা বলেন ,
.
كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ ۗ وَلَوْ آمَنَ أَهْلُ الْكِتَابِ لَكَانَ خَيْرًا لَهُمْ ۚ مِنْهُمُ الْمُؤْمِنُونَ وَأَكْثَرُهُمُ الْفَاسِقُونَ [٣:١١٠
.
তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত,মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতো,তাহলে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হতো। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো পাপাচারী।
(সূরা আলে ইমরান-১১০)
.
আল্লাহ আরো বলেন ,
.
وَالْمُؤْمِنُونَ وَالْمُؤْمِنَاتُ بَعْضُهُمْ أَوْلِيَاء بَعْضٍ يَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَيَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَيُقِيمُونَ الصَّلاَةَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَيُطِيعُونَ اللّهَ وَرَسُولَهُ أُوْلَـئِكَ سَيَرْحَمُهُمُ اللّهُ إِنَّ اللّهَ عَزِيزٌ حَكِيمٌ
আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তা'আলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী।
[ সুরা তাওবা ৯:৭১ ]
.
রাসুল (সঃ) সেই বিখ্যাত হাদিস আমাদের অনেকেরই জানা ,
.
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন। তোমাদের মাঝে যে ব্যক্তি কোন নিষেধকৃত কাজ দেখে, সে যেন তা হাত দিয়ে প্রতিহত করে, আর যদি সে এতে সক্ষম হয়, তাহলে সে যেন তা মুখ দিয়ে প্রতিহত করে, যদি তাতেও সক্ষম না হয়,তাহলে যে এটাকে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করে, আর এটি ঈমানের সর্বনিম্ন স্তর। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৮৬)
.
কাজেই যারা এই ধরনের কথা বলে যে , কেও প্রকাশ্যে অন্যায় করলে , আল্লাহ্র দ্বীনের হুকুম আহকাম অমান্য করলে তার বিরোধিতা করা যাবে না । বাধা দেওয়া যাবেনা ।
➤দাজ্জাল এর বার্তা প্রচারকঃ মোটিভেশনাল স্পীকার
তাদের সাথে দ্বীনের কোন সম্পর্ক নেই । বস্তুত তো তারা জেনেই হোক কিংবা না জেনেই হোক তারা এই দ্বীনকে নির্বিষ তত্বকথায় পরিনত করতে চায় ।
ইসলামের এক রুপের তারা আবিস্কার করে নিয়েছে যা কেবল মসজিদে আবদ্ধ থাকবে ।
এমন কি মিম্বার থেকেও তাদের সামাজিক , অর্থৈনৈতিক , ব্যাক্তি ,পারিবারিক জীবনের সব দিক নিয়েও কথা বলা যাবে না।
তারা চায় না ইসলাম তাদের জন্য সীমানা নির্ধারণ করে দিক বরং তারা চায় তারা ইসলামের জন্য সীমানা একে দিতে ।
- সাজ্জাদুর রহমান শাওন