ইসলামিক পিকচার ইমেজ বাংলা Download ২০২৪ | বাংলা ইসলামিক ছবি ফটো ও কিছু গল্প ইতিহাস
ইসলামিক পিকচার Download ২০২৪ | বাংলা ইসলামিক ছবি ফটো। কোরআন ও হাদিসের ছবি ডাউনলোড
ইসলামিক পিকচার
কোরানের আয়াতের ছবি - কোরানের ছবি
সুতরাং বোনেরা সাবধান! গুণগুণ করে গানের কলি গাইতে যাবেন না। গীবত, তোহমৎ এবং মিথ্যা বলা একদম ছেড়ে দিন। ডিস লাইনটা কেটে দেয়া যায় না? অনৈসলামিক কথা যেন মুখে উচ্চারিত না হয়। আর ঝগড়া? কখনোই না। সবরে থাকবেন অবিচল। মনে রাখবেন, পেটে কিন্তু কান পেতে আছে আপনারই সন্তান। তাঁর ফিতরাত ওসবে অভ্যস্ত নয়। আপনার থেকে ভালো কিছু শোনার আশায় কান খাড়া করে আছে বাড়ন্ত সোনামণিটি।
সন্তান গর্ভে আসার পরপরই মূল প্যারেন্টিং শুরু হয়। মা'কে থাকতে হয় সদা সতর্ক। অথচ আমরা বাচ্চা ভূমিষ্ঠের পরই পরিচর্যা শুরু করি। আর এ কারণেই হয়তোবা সোনার মতো সন্তান পাচ্ছি না। ভালো ফসল পেতে হলে বীজতলায় বীজ রোপণ করার পর থেকেই দেখভাল শুরু করতে হয়।
সবসময় জিকিরে থাকার চেষ্টা করুন। মারিয়াম আ.-য়ের মা যে দুয়াটি করতেন সেই একই দুয়া আপনিও করতে থাকুন।
رَبِّ إِنِّي نَذَرْتُ لَكَ مَا فِي بَطْنِي مُحَرَّرًا فَتَقَبَّلْ مِنِّي ۖ إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
(সূরাঃ আল ইমরান, আয়াতঃ ৩৫)
কুরআনের সাথে একটা অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক গড়ে তুলুন। অবসরটা কুরআন পাঠ করে কাটান। পেটে আলতো করে ম্যাসেজ করুন আর উত্তম কথামালা আওড়াতে থাকুন। শিক্ষণীয় কোন ঘটনা বলুন বা শুনুন। সারাক্ষণ নসীহা দিতে থাকুন। আগত সন্তানের জন্য তো দুয়া করতেই হবে। জানেনই তো, সন্তানের জন্য মা-বাবার কৃত দুয়া আল্লাহ কবুল করেন।
হাদিসের ছবি পিকচার ২০২৪
বাংলা ইসলামিক ছবি ডাউনলোড ২০২৪
বাংলা ইসলামিক ছবি ফটো ২০২৪
.
এভাবে কত মহান ব্যক্তিদের কত মহান স্বপ্ন যে অধরাই থেকে গেছে, তার কোনো হিসাব নেই। সুতরাং প্রিয় ভাই ও বোন আমার! এই কণ্টকাকীর্ণ দুনিয়ার জীবনে প্রত্যাশার পারদে লাগাম দাও, না হয় জীবনে প্রচুর হতাশ হতে হবে। দুনিয়ার জীবনটা এমনই যে, এটি তোমার পুরো অস্তিত্বকেই ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেবে। আসল শান্তি আখিরাতে; চিরসুখের জান্নাতে। তোমার সকল আশা-আকাঙ্ক্ষাগুলো জমিয়ে রাখো সেই সময়টির জন্য। একটি আশাও আল্লাহ্ অপূর্ণ রাখবেন না।
.
‘‘সেখানে (জান্নাতে) তোমরা যা চাবে তাই পাবে৷ আর, যে জিনিসেরই আকাঙ্ক্ষা করবে, তাই লাভ করবে৷’’ [সূরা ফুসসিলাত, আয়াত: ৩১]
.
#Tasbeeh
ইসলাম ই বিজয়ী। আমরা থাকলেও কিংবা না থাকলেও। আজ বা কাল
কিন্তু সমস্যা হল অন্য জায়গায় । আপনি যদি স্ট্যালিন ,লেনিনকে কাটছাঁট করে বর্তমান যুগের জন্য উপযোগী করেনও (ওই যেমন ডেমোক্রেটিক সোশিয়ালিজম) ,খুব বেশি সমস্যা হবে না ।
ইসলামিক উপদেশ কথা - ০২
.
এর পরের কাহিনীটাই আমাদের আলোচনার মূল পয়েন্ট। এই ঘটনায় এলাকার সবাই আফসোস করতে লাগলো, ‘ইশ! মাত্র একটা দিনের জন্য হলো না’, ‘আহা রে, কেমন সময়ে ছেলেটা মইরা গেল!’, ‘ভাগ্যটা কত খারাপ তার! ভোগ করে যেতে পারল না’ ইত্যাদি। তার মা কেঁদে কেঁদে বেহুঁশ! আত্মীয়-স্বজনের অবস্থাও একই।
.
এবার বলুন, এসব হিতাকাঙ্ক্ষী (?) লোকেরা কি একবারও তার জন্য এভাবে চিন্তা করেছে যে, ইশ! ছেলেটা একটু পরই সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে!? মুনকার-নাকির প্রশ্নের উত্তর নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে!? কবরের নির্জনতা তার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে!? একবারও কি তারা এই লোকটির চিরস্থায়ী আখিরাতের সুখ-শান্তির কথা চিন্তা করেছে? তারা শুধু ক্ষণিকের দুনিয়াবি ‘অপূর্ণতা’ নিয়েই হতাশায় কাতর হয়েছে। সে বিসিএস ক্যাডার হলে তারা হয়তো তাকে নিয়ে গর্ব করতে পারতো, বুক ফুলিয়ে চলতে পারতো, মাঝেমধ্যে বিভিন্নভাবে উপকৃত হতে পারতো। এই তো!
.
ব্যাপারটা তাহলে কী দাঁড়ালো? এককথায় বলতে গেলে—স্বার্থপরতা! হজম করতে কষ্ট হলেও ব্যাপারটা এমনই। এটাই বাস্তবতা। দুনিয়ায় চলার পথে আমাদের বাহ্যিক শুভাকাঙ্ক্ষীর অভাব নেই, কিন্তু চিরস্থায়ী আখিরাতে আমাদের ভালো-মন্দ নিয়ে কয়জন ভাবে? এটির গুরুত্ব কি কম?
.
দুনিয়াটা এমনই। প্রকৃতপক্ষে কেউ আপন নয়, এক আল্লাহ ছাড়া। তবে বাস্তবে আমাদের সবচেয়ে পর তিনিই! আমাদের হাবভাব এমনটাই বলে। একজন সালাফ (পূর্বসূরি নেককার ব্যক্তি) বলেছিলেন, ‘‘দুনিয়াকে ততটুকুই গুরুত্ব দাও, যতটুকু সময় তুমি এখানে কাটাতে চাও। আর আখিরাতকে ততটুকুই গুরুত্ব দাও, যতটুকু সময় তুমি সেখানে থাকতে চাও।’’
.
শিক্ষা নেওয়ার জন্য একটি উদাহরণই যথেষ্ট।
ম্যালকম এক্স মোটেও মিথ্যা বলেননি। ইসলাম সকল বর্ণবাদকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়ে গেছে সেই ১৫০০ বছর আগেই।
.
বিদায় হজ্বের ভাষণে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্টভাবে ঘোষণা দিয়েছেন, ‘‘হে মানুষ! নিশ্চয়ই তোমাদের রব একজন। তোমাদের বাবা একজন। তোমরা সবাই আদম-সন্তান। মনে রেখো! আরবের ওপর কোনো অনারবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই এবং অনারবের ওপর কোনো আরবের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। কোনো কৃষ্ণাঙ্গের ওপর শ্বেতাঙ্গের শ্রেষ্ঠত্ব নেই এবং কোনো শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করা যায় কেবল তাকওয়া তথা আল্লাহ-ভীতির মাধ্যমে।’’ [মুসনাদ আহমাদ: ২৩৪৮৯]
.
আল কুরআনেও একই কথা এসেছে, ‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত, যে সর্বাধিক মুত্তাকি তথা আল্লাহভীরু।’’ [সূরা হুজুরাত, আয়াত: ১৩]
.
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আল্লাহ তোমাদের চেহারা ও ধনসম্পদ দেখেন না বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও আমল দেখেন।’’ [সহিহ মুসলিম: ২৫৬৪]
.
কালো বর্ণের একজন নারী মসজিদে নববিতে ঝাড়ু দিতেন এবং পরিচ্ছন্নতার কাজ আঞ্জাম দিতেন। সেই নারী মারা গেলে সাহাবায়ে কেরাম নবীজিকে খবর দেননি। তাঁরা ভাবলেন, তার মৃত্যুর সংবাদ নবীজিকে দেওয়ার মতো এত গুরুত্বপূর্ণ নয়। কিছুদিন পর নবীজি সেই মহিলার খোঁজ নিলে তারা বলেন, সে তো মারা গেছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তবে কেন তোমরা আমাকে জানালে না? তিনি সেই নারীর কবরের খোঁজ নিলেন এবং সরাসরি সেখানে ছুটে যান। তিনি তার কবরের পাশে পুনরায় জানাযার নামাজ পড়েন। [সহিহ ইবনু খুযাইমাহ: ১২৯৯, আস সুনানুল কুবরা লিল বায়হাকি: ৬৯৮১]
.
বর্ণবৈষম্য নির্মূলের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতা ছিলেন প্রিয়নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি ছিলেন সমাজের নীচু শ্রেণির পক্ষে সর্বাধিক সোচ্চার।
.
বিলাল (রা.) ছিলেন ইথিউপিয়ান নিগ্রো কালো মানুষ; আবার তিনি ছিলেন একজন ক্রীতদাস। অথচ ইসলাম তাঁকে এত মহান মর্যাদাময় করেছে যে, তিনি রাসূলের প্রধান মুয়াযযিন ছিলেন। উমার (রা.)-এর মত সিনিয়র সাহাবি বলতেন, ‘আবু বকর আমাদের নেতা; তিনি আমাদের নেতা বিলালকে (দাসত্ব থেকে) মুক্ত করেছেন।’
.
সমাজের চোখে প্রতিবন্ধীদের অবস্থান বেশ নীচু। অথচ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনার বাইরে যেতেন, তখন অন্ধ সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতূম (রা.)-কে মদিনার শাসনকার্যে নিয়োজিত করতেন। এমনকি তিনি মসজিদে নববিতে ইমামতিও করতেন।
.
ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ও লাভজনক অভিযানটি ছিলো তৎকালীন সুপারপাওয়ার রোমানদের বিরুদ্ধে। সেটির সর্বাধিনায়ক ছিলেন মাত্র ২০ বছর বয়সী তরুণ কৃষ্ণাঙ্গ সাহাবি উসামাহ ইবনু যায়িদ (রা.)। তাঁর সেই বাহিনীতে বিখ্যাত বীর আবু উবাইদাহ (রা.), সা’দ বিন আবি ওয়াক্কাস (রা.)-এর মতো ব্যক্তিরা ছিলেন।
.
#Tasbeeh
বাংলা ইসলামিক বই
লেখক - ডা. শামসুল আরেফিন
সম্পাদক- আসিফ আদনান
শারঈ সম্পাদক- আব্দুল্লাহ আল মাসউদ
প্রকাশক- সমর্পণ প্রকাশন
_____________________
তাহলে, মুক্তিটা আসলে কোথায়?
-মুক্তিটা হচ্ছে ইসলামে।
অথচ, ইসলামে নারীদের অবস্থান সম্পর্কে আমাদের প্রজন্মের মেয়েদের কি ধারনা?
- ইসলাম হল পুরুষবান্ধব, সেকেলে।
আর পশ্চিমা সভ্যতা হল আধুনিক, নারীবান্ধব।
-মেয়েরা ঘরের ভেতর তার মায়ের নিগৃহিত জীবন, আর টিভিতে পশ্চিমের বাঁধনহারা জীবন দেখতে দেখতে বড় হয়েছে। তুলনা করেছে৷ খুব স্বাভাবিক।
'ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ২.০' বইটি গল্পের বই। ৬টি গল্প আছে এতে। তবে গল্পগুলো কোন সাধারন গল্প নয়। জাহিলিয়াত থেকে দ্বীনে ফিরে আসার গল্প। গল্পগুলোই এমনভাবে লেখা হয়েছে যাতে ইসলামের মূল ম্যাসেজটা উঠে এসেছে।
কিন্তু, তিথির বান্ধবীরা নারীবাদীদের দ্বারা প্রভাবিত। তিথি তাদের দ্বীনের দাওয়াত দেয়। ইসলাম সম্পর্কে তাদের প্রশ্নের যথার্থ উত্তর দেয়। একপর্যায়ে একজন দ্বীনদ্বার ছেলের সাথে তিথির বিয়ে হয়ে যায়। গল্পগুলোতে তিথির সাথে অন্যদের সংলাপের মাধ্যমে লেখক নিজের কথাগুলোই তুলে ধরেছেন।
লেখক গল্পের ঢঙে গল্পের চরিত্রগুলোকে দিয়ে নারীমুক্তি, নারীস্বাধীনতা, নারীশিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়নের মত জটিল বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। যেসব বিষয় নিয়ে নাস্তিক, নারীবাদীরা ইসলামকে চ্যালেন্জ করে, সেসব চ্যালেন্জের জবাব তিনি দিয়েছেন খুবই সহজ ভাবে, সেইসাথে দিয়েছেন প্রচুর ইনফর্মেশন। 'নারী অধিকার'- এর উসিলায় পুজিবাদীরা কিভাবে নারীকে ব্যবহার করে, নারীশিক্ষার ধরনটা কেমন হওয়া উচিত, পরিবারে নারীর অবস্থান এসব নিয়ে খুবই সুন্দরভাবে গল্পের ঢঙে উপস্থাপন করেছেন।
১. 'পরিশিষ্ট' অধ্যায়টা ভাল লেগেছে। জানার অনেক কিছু আছে এতে।
২. বইয়ের পাতায় পাতায় প্রচুর রেফারেন্স আছে৷ পাঠকের প্রয়োজন হলে তথ্যগুলো মূল সোর্সের সাথে মিলিয়ে নিতে পারবেন।
৩. বইয়ের কভার, বাইন্ডিং, পেজ মেকাপ খুবই উন্নতমানের।
১. যারা ইসলামকে সেকেলে, পুরুষতান্ত্রিক মনে করেন তাদের জন্য।
২. যারা নারীবাদী, ইসলাম প্রতিপক্ষ ভেবে প্রায়ই এটা সেটা নিয়ে চ্যালেন্জ ছোঁড়েন তাদের জন্য।
৩. যারা ইসলামে নারীর অবস্থান সম্পর্কে কম জানেন, তাদের জন্য।
৪.যারা ইসলামের বিধানকে নারীর উপর জুলুমের কারন মনে করেন তাদের জন্য।
বইটি একবারে পড়ে শেষ না করে প্রতিদিন অল্প অল্প করে পড়বেন। পারিবারিক হালাকায় বইটি একটু একটু করে পড়তে পারেন। ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারনা দূর করতে বইটি যত বেশি সম্ভব মানুষকে পড়তে দিবেন।
ইসলামিক পিকচার ছেলে মেয়ে
জিনার কাছেও যেওনা
এরপরে আমি নামাজ কালাম যখন পড়া শুরু করলাম মসজিদে যেয়ে, সে এই ভালো কাজে আমাকে অনুসরন করলোনা।।দেখা হইলেই শুধু মেয়েদের নিয়া প্যাচাল।।
যাইহোক,একদিন দেখি সে হুট করে হুজুর হয়ে গেলো।।দেখে ভালো লাগলো।।বললাম, কি অবস্থা? প্লান কি??
সে বল্ল,(তখন ফেসবুক ছিলোনা) ভাইয়া ভাবসি আমার আশে পাশের বোন দের আগে দাওয়াত দিবো , তাদের সাথে দেখা করে বলবো,"এসো বোন অশ্লীলতার গন্ডি ছেড়ে এসো ইসলামের ছায়াতলে"...
আমি বললাম,হায়রে এই লাড়কির চিন্তা তোমার মাথা থেকে গেলোইনা।।কাম পাওনা, তুমি ভার্সিটি যেয়ে মেয়েদের সামনে যেয়ে নাটক করে করে ইসলামের দাওয়াত দিবা...এইটা কি ঢং হচ্ছে!!
বর্তমানে ফেসবুকে দেখি অনেক মুসলিম ভাই, নায়িকা মডেল গায়িকা.. যারা ইসলাম থেকে লক্ষ হাত দূরে।।তাদের বিদঘুটে ছবিতে যেয়ে কমেন্ট করছে, বোন ফিরে আসো প্লিজ...।।।
কেন ভাই, তুমি এতো ভালো হলে নিশ্চয় ডরিমনি, নয়া আহসান, খেয়া পিপাসাদের টাইমলাইনেই ঢুকতা না।।কি দরকার, যারা দিনরাত ইসলামের রাস্তায় মেহনত করছে তাদের কাজ কে নষ্ট করে দাওয়া।।।
কোনো মেয়ের ইনবক্সে যদি আপনি জ্ঞান দাওয়ার জন্যও ঢুকেন...জেনে নিবেন সেইখান থেকে সর্বনাশের শুরু।।বরঞ্চ নিজের ফেসবুকে এমন ভাবে থাকুন যেন আপনাকে দেখলে মানুষের মাঝে সম্ভ্রম জাগে।।
একবার এই রকম শুক্রবারে ইস্কাটনের খালি রাস্তায় আমি হাটছিলাম..অপর পাশ দিয়ে একটা মেয়ে আসছিলো, পেছন থেকে কিছু নষ্ট ছেলেপেলে উলটা পালটা ইশারা করছিলো...।।
আমি কোনো হিরোগিরি না দেখিয়ে শুধু চুপচাপ কটমট করে তাকিয়ে ছিলাম এক দৃষ্টিতে।।আর আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ এভাবেই সাহায্য করেন।।।ছেলেগুলা আস্তে করে কেটে পরলো,অথচ আল্লাহ না চাইলে উল্টাও হতে পারতো।।
আপনার আচরন নেকুপুষু বিড়াল মার্কা হলে হবে না ভাই...।।।আমরা লেডিকিলার শাহরুখ, রনবীরের ভক্ত না।।আমরা ইসলামের সিংহপুরুষ উমার ফারুক(রা:) এর অনুসারী।।।
যখন মাথা ণত করে হাটবেন...দেখলে মনে হবে যেন মাটিও যেন আপনার উপস্থিতি বুঝতে পারছেনা,কিন্তু অন্যায় এর বিরুদ্ধে এমন ভাবে প্রতিবাদ করবেন...
যাতে নিপীড়িতের বুকে জেগে উঠে সম্মান, ভালোবাসা,বিশ্বাস..আর ইসলামের জয়জয়কারে কেপে উঠে আকাশ আর বাতাস...যার মালিক একমাত্র আল্লাহ।।
Abu Mus'ab এর লেখা "জিহা দ " না করার ফল |
.
মানুষ যে তাড়না থেকে কোনো কাজ করে সে তাড়না ফিতরাতগত তাড়না। কিন্তু তা কেউ সঠিক খাতে প্রয়োগ করে, আর কেউ বেঠিক খাতে। ধরুন, একজন মানুষের জৈবিক চাহিদা হলো তার সহজাত প্রবৃত্তি। এখন সে চাইলে বৈধ উপায়ে বিয়ের মাধ্যমে তার এই চাহিদা পূরণ করতে পারে, অথবা পারে অবৈধ উপায়ে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে। আসলে আল্লাহ্ এসব প্রবৃত্তি অনর্থক সৃষ্টি করেননি। বরং আমরা যদি সঠিক খাতে আমাদের সহজাত প্রবৃত্তিকে কাজে না লাগাই তবে তা আমাদের অবশ্যই ভুল পথে পরিচালিত করবে।
.
এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়, অথচ অধিকাংশ মানুষ এই বিষয়টি অনুধাবণ করতে ব্যর্থ হন। আমাদের দ্বীনের বিজয়ের স্বার্থে উক্ত বিষয়টি অনুধাবণ করা একজন মুসলিমের জন্য আবশ্যক। যেমন কোনো ব্যক্তিকে আল্লাহ্ অর্থ সম্পদ দান করেছেন, এখন উক্ত ব্যক্তি যদি তার সম্পদ সমূহকে আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় না করে তবে নিশ্চিত ভাবে এই অর্থ তার কাছে পুঞ্জিভূত হবে এবং সে তা খেলাধুলা, আড্ডায়, আমোদ-ফূর্তিতে, কিংবা অনৈতিক কাজে ব্যয় করবে। আর এটাই বর্তমান সমাজের চিত্র।
.
যদি উপর্যুক্ত বিষয় সমূহ অনুধাবন করতে সক্ষম হয়ে থাকেন, তবে নিম্নোক্ত আলোচনাও হৃদয়াঙ্গম হবে বলে আমার বিশ্বাস। আল্লাহ্ কোর'আনে বারবার [জি]হাদ এবং [কি]তালের কথা বলে আমাদের ফিতরাত এবং মজ্জাগত তাড়নাকে ব্যবহার করার বৈধ পথ প্রদর্শন করেছে। আমাদের মন-মেজাজের ভেতর রাগ, ক্ষোভ, শত্রুতা, বিদ্বেষ এসব মানসিকতাকে আল্লাহ্ তা'য়লা কেনো দিয়েছেন তা কি আমরা ভেবে দেখেছি কখনো? কেবলমাত্র আল্লাহর সাথে যারা শত্রুতা করবে, এবং যারা তাঁর মনোনীত রাসূলের বিরোধিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে সমস্ত রাগ, ক্ষোভ, বিদ্বেষ, হিংসা প্রদর্শনের জন্য তথা জিহাদের মাধ্যমে তাদেরকে দমন করার লক্ষ্যে। অথচ আজ আমরা আল্লাহ প্রদত্ত বৈধ উপায় অবলম্বন না করায় নিজেরাই অন্তঃকলহে জর্জরিত, মতানৈক্য আর বিবাদে মুসলিম উম্মাহ আজ নিজেরাই নানা ভাগে বিভক্ত। এই বিভক্তি জিহাদকে বর্জন করার ফল স্বরূপ। কেননা, নিজেদের এই রাগ ক্রোধের তাড়নাকে আমরা যখন মূল শত্রুর দিকে তাক করতে ব্যর্থ হচ্ছি, তখন ফিতরাতের অপপ্রয়োগ করছি নিজেদের মধ্যেই।
.
এই কথার যথার্থতা শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহ.) এর বক্তব্যে সুস্পষ্ট ভাবে দৃশ্যত হয়েছে। তিনি বলেন, “[জি]হাদের দৃষ্টান্ত ওই নলের (পাইপ) ন্যায়, যা ছাদের উপর জমে থাকা পানি সমূহ নিষ্কাশনের জন্য সংস্থাপন করা হয়। এটার প্রয়োজন এই জন্যই যে, যদি তা না করা হয়, তবে ছাদে পানি জমে জমে এক সময় তা চুইয়ে ঘরে প্রবেশ করে। আল্লাহর শত্রুর সাথে মোকাবিলায় রাগ এবং ক্ষোভ প্রদর্শন হলো ওই নল স্বরূপ। এই রাগ-ক্রোধ যদি শত্রুর মোকাবিলায় তথা আল্লাহর রাস্তায় [জি]হাদে বের করে দেয়া না হয় অর্থাৎ শত্রুর সাথে [জি]হাদে লিপ্ত হওয়ার মাধ্যমে তার প্রতি অন্তরে পুঞ্জিভূত ক্রোধ-মানসিকতাক
[তাফসীরে মা’রেফুল কোর'আন]
.
আজকে এর প্রতিফলন-ই আমরা সমাজে দেখতে পাচ্ছি। আল্লাহর দেখানো বৈধ পথে না হাটায় আমরা নিজেরাই দ্বন্দ্বে পড়ে আছি। তাই আসুন কোর’আনের দেখানো বৈধ পথে আমাদের প্রবৃত্তির চাহিদা সমূহ পূরণ করি, এবং আমাদের মানসিকতার প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টায় নিয়োজিত হই, দয়া-ভালোবাসা আর রাগ সমূহকে এর নির্দিষ্ট খাতে প্রয়োগ করি, তবেই আমরা পরিবার-সমাজ-রাষ