ইসলাম এর শত্রুদের চিনবেন কিভাবে? কারা মুসলিমদের বন্ধু ও শত্রু?
ইসলাম এর শত্রুদের চিনবেন কিভাবে?কোরান হাদিস এর দলিল অনুযায়ী মুসলিমদের শত্রু ও বন্ধু
শত্রু চেনার মাইওপিয়া
মাইওপিয়া তো বোধ হয় চেনেন - কাছের জিনিস ঠিক দেখলেও দূরের জিনিস ঝাপসা দেখা।
একেবারে সামনে থেকে খোঁচা দেওয়া শত্রুদের চিনতে পারলেও এদের যারা বৈধতা দেয়, এদের যারা সুরক্ষা দেয়, এদের সুরক্ষার জন্য যারা আমাদের মুসলিমদের জান ও মালের ক্ষতি করে, তাদেরকেই কেন যেন বেশিরভাগই চিনতে পারি না।
এরপর এদেশে সমকামিরা একবার নিউজে এল কোন এক ক্লাবে একত্রিত হওয়ার সময় পাবলিকের হাতে ধরা খেয়ে। সেবার তো পাবলিকের মার থেকে বাঁচানোর জন্য পুলিশ ওদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বাঁচিয়ে দিয়েছিল।
আর এখন রবির স্পন্সর করা আইমান সাদিকের প্লাটফর্ম ‘টেন মিনিটস স্কুল’ এগোচ্ছে ওদের সেক্যুলার-প্রগ্রেসিভ এজেন্ডা নিয়ে।
ইতোমধ্যে ওদের এক কুলাঙ্গারের সমকামিতা নিয়ে দেওয়া স্ট্যাটাস নিয়ে ঝড় উঠেছে।
এরকম গর্হিত ঘটনার পর টেন মিনিটস স্কুল আর আইমান সাদিক নিয়ে কথা বললেও এদের মুরিদরা এসে বিভিন্ন যুক্তি দেখাচ্ছে।
এই ঘটনাকেই সামনে রেখে খুব সাদামাটাভাবে শত্রু-মিত্রের একটা ধারণা দিই।
কিন্তু আপনার যখন প্রাথমিক পর্যায়ের মাইওপিয়া কেটে যাবে, তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে সমকামিতা, লিবারেল-ইরতিদাদি আদর্শ ইত্যাদির জন্য
পাবলিক প্লাটফর্ম যারা তৈরি করে দিচ্ছে,
এসমস্ত এজেন্ডার যারা ফান্ডিং করছে,
এসমস্ত এজেন্ডার কর্মী ও সমর্থকদের ফেইসভ্যালু যারা বাড়াচ্ছে
তারা আরও আরও বেশি, নয়তো অন্তত সমান পর্যায়েরই দোষী।
কারণ ফাইশা কিংবা ইসলামবিদ্বেষ প্রচারের স্কোপটা তারাই করে দিচ্ছে। আর ইসলামে ইরতিদাদ কিংবা ফাহিশা প্রচারের মতো কাজে ন্যুনতম সাহায্যকারীর বিধান প্রচারকারীর মতোই।
এই ব্যাপারটা স্পষ্ট হলে আপনি বুঝতে পারবেন যে, রবি, টেন মিনিট স্কুল প্রতিষ্ঠান কিংবা আইমান সাদিক - কেউ ধোয়া তুলসিপাতা তো নয়ই - বরং সমান মাত্রার অপরাধী।
স্থানীয় তাগুত প্রশাসন একেতো আল্লাহর আইনকে ছুঁড়ে ফেলেছে। আর এখন ইসলামি মূল্যবোধের সাথে সাংঘর্ষিক, চূড়ান্ত মাত্রার ফাহিশা ছড়ানো লোকদেরও রাষ্ট্রই নিরাপত্তা দিচ্ছে।
কখনও তারা পুলিশের গ্রেপ্তারে নিরাপত্তা দিচ্ছে, কখনও এইসব এজেন্ডার মূল হোতাদেরকে চাপাতির স্বাদ পাওয়ানো মুজাহিদদের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ শুরু করছে,
আবার কখনও আইডি হ্যাক হয়েছিল বা সাইবার বুলিং টাইপের কেইস দেখিয়ে মুমিনদেরই হেনস্তা করছে।
এইসব ফাহিশা, সমকামিতা প্রচারকারীরাও কিন্তু স্থানীয় তাগুত প্রশাসনের কাছেই নিরাপত্তা খুঁজছে।
আর এই ব্যাপারগুলো উপলব্ধি করতে পারলে আপনি স্থানীয় মাত্রায় তাগুত প্রশাসনকেই আসল শত্রু হিসেবে উপলব্ধি করতে পারবেন।
এই তাগুত প্রশাসন মুসলিমদের ওপর জুলুম করে নেওয়া ট্যাক্সের টাকা দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী পালে, আবার ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধেই যাবতীয় সোর্স ব্যবহার করে।
আসলে রাষ্ট্রই যখন আল্লাহ্দ্রোহী সেক্যুলার রাষ্ট্র, তখন সমকামিতা, প্রগ্রেসিভ-সেক্যুলার মিশনারি সহ যাবতীয় মাত্রার ইসলাম বিরোধিদের নিরাপত্তা দেওয়াই তো স্বাভাবিক।
আর তখন এইসব মিশনারিরা তাগুতের কাছে নিরাপদ বোধ করাই স্বাভাবিক।]
তখন আপনি বুঝতে পারবেন যে সময়ের উন্নত সাম্রাজ্যের পক্ষ থেকে এইসব সেক্যুলার-লিবারেল আদর্শ আর এগুলোরই জারজ সন্তান সমকামিতা, ট্রান্সজেন্ডার কিংবা অ্যালফাবেট অধিকারের বুলিগুলো পুরো বিশ্বের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এইতো কিছুদিন আগে আমরা যে জানলাম, ব্রুনাইয়ের রাজার অন্দরমহলে অত-তত দাসী-বাদী রয়েছে, এগুলো আমরা কেন জানলাম? কেন সেই নিউজ আরও আগে এল না?
বুদ্ধিমানদের জন্য ব্যাপারগুলো উপলব্ধি করা সহজ। কেননা ব্রুনাই শরীয়াহ আইন অনুযায়ী সমকামিদের মৃত্যুদন্ডের বিধান চালু করেছিল।
সহজকথায় তাদের নিজেদের সেক্যুলার-লিবারেল আদর্শ মেনে না নিলে হাতে, ভাতে আপনাকে মারা হবে। এই সাম্রাজ্যব্যবস্থা এমনই ‘লিবারেল’ নামধারী এক্সট্রিমিস্ট।
এই জামানার ফিরাউন আমেরিকার আদর্শের কথা ভাবলে বুশের কথাই মনে পড়ে যায় - Either you’re with us, or you’re with the terrorists.
এই লড়াইয়ে জিততে হলে, কারেন্ট ওয়ার্ল্ডে ঘটে যাওয়া অনেক চুনোপুঁটির আস্ফালনকে দমাতে হবে ঠিকই। কিন্তু মূল শত্রুদেরকে ভুলে গেলে চলবে না।
মনে রাখবেন, আজকে আফগানিস্তান, সোমালিয়া, মালি - যেসব অঞ্চলেই আল্লাহর শরিয়াহ বাস্তবায়িত হয়েছে, হচ্ছে - কোথাওই এই মূল শত্রুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ছাড়া, রক্তপাত ছাড়া তা সম্ভব হচ্ছে না।
অতএব শত্রু চিনতে ভুল করবেন না, মূল শত্রুকে ভুলে যাবেন না। মনে রাখবেন - শত্রু চেনা হলো টিকে থাকার পূর্বশর্ত।
শত্রু চেনাই হলো যুদ্ধের অর্ধেক প্রস্তুতি। আর শত্রু চেনা হলো বিজয়েরও অর্ধেক।
- - Tanvir Ahmed এর ফেসবুক পোস্ট