ইসলামিক উপদেশ মূলক কথা | ইসলামিক উপদেশ বাণী SMS ও গল্প
ইসলামিক উপদেশ মূলক কথা | ইসলামিক উপদেশ বাণী SMS Pictures And Story
মৃত্যু নিয়ে ইসলামিক উক্তি
[আল-হিলইয়া, ১/৬১]
.
কারণ, বলা হয়েছে-- কবর হলো আখিরাতের প্রথম মানযিল। এখানে যে বেঁচে যাবে, বাকি সব স্থানেই সে বেঁচে যাবে। এখানে যে ধরা খাবে, সামনে বারবার সে ধরা খাবে।
.
রাতেে বেলা সূরা মুলক পড়ুন। খুবই সংক্ষিপ্ত একটি সূরা। ২৯ তম পারা এই সূরা দিয়ে শুরু হয়েছে। এই সূরা কবরের আযাব থেকে রক্ষা করবে মর্মে হাদিস এসেছে।
আমল করতে আলসেমি বাধা দিবে না।
যখন তখন আমল করে ফেলবেন।।
হাটতে হাটতে,শুয়ে শুয়ে।
● "হায়! আমি যদি মাটি হয়ে যেতাম।" (সূরাহ নাবা, আয়াত : ৪০)
● "হায়! যদি পরকালের জন্য কিছু করতাম।" (সূরাহ ফজর, আয়াত : ২৪)
● "হায়! আমাকে যদি আমার আমলনামা না দেওয়া হতো।" (সূরাহ আল-হাক্কা, আয়াত : ২৫)
● "হায়! আমি যদি ওকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করতাম।" (সূরাহ ফুরকান, আয়াত : ২৮)
● "হায়! আমরা যদি আল্লাহ ও আল্লাহর রাসূল ﷺ এর আনুগত্য করতাম।" (সূরা আহযাব, আয়াত : ৬৬)
● "হায়! আমি যদি রাসূল ﷺ এর পথ অবলম্বন করতাম।" (সূরাহ ফুরকান, আয়াত : ২৭)
● "হায়! আমিও যদি তাদের সঙ্গে থাকতাম, তা হলে বিরাট সফলতা লাভ করতে পারতাম।" (সূরাহ আন-নিসা, আয়াত : ৭৩)
● "হায়! আমি যদি আমার রবের সঙ্গে কাউকে শরীক না করতাম।" (সূরা কাহফ, আয়াত : ৪২)
● "হায়! এমন যদি কোনো সুরত হতো ― আমাদেরকে আবার দুনিয়াতে পাঠানো হতো, আমরা আমাদের প্রভুকে মিথ্যা প্রতিপন্ন না করতাম আর আমরা হতাম ঈমানদারদের শামিল।" (সূরাহ আনআম, আয়াত : ২৭)
যুবকদের প্রতি ৭৫টি নসীহত - কোরান হাদিস থেকে
নিম্নে কতিপয় মূল্যবান ইসলামী নসীহত সন্নিবেশিত করা হল। নছীহতগুলো দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ের সাথে সংশ্লিষ্ট। যেমন- ইবাদত-বন্দেগী, লেন-দেন, আদব-শিষ্টাচার, চরিত্র-ব্যবহার ইত্যাদি। যে মুসলিম যুবক প্রয়োজনীয় ও উপকারী বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, আমরা সে যুবকের প্রতি তার স্মরণের উদ্দেশ্যে এ নছীহতগুলো পেশ করছি। আর স্মরণ মুমিনদের উপকারে আসবে। আমরা আল্লাহর দরবারে আশা রাখি- যে ব্যক্তি এগুলো শুনবে বা পাঠ করবে আল্লাহ তাকে উপকৃত করুন। যে ব্যক্তি এগুলো লিখবে বা প্রচার করবে বা আমল করবে তাকে সুমহান প্রতিদান ও পুরস্কারে ভূষিত করুন। তিনি আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং তিনিই সর্বোত্তম কর্ম সম্পাদনকারী।
নছীহতগুলো নিম্নরূপ:
২. যাবতীয় কথা, কাজ ও আচার-আচরণে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ অনুসরণ করবে।
৩.আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করবে। যাবতীয় নির্দেশ পালন এবং নিষেধ থেকে দূরে থাকতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবে।
৪. আল্লাহর নিকট খাঁটি ভাবে তওবা করবে। বেশী বেশী ক্ষমা প্রার্থনা করবে।
৫. তোমার কথা ও কাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর সূক্ষ্ম দৃষ্টির কথা স্মরণ রাখবে। জেনে রাখ আল্লাহ্ তোমাকে দেখেন এবং তোমার হৃদয়ের গোপন খবরও তিনি জানেন।
৬. আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাকুল, কিতাবসমূহ, নবী-রসূলগণের প্রতি এবং শেষ দিবস ও তকদীরের ভাল-মন্দের প্রতি দৃঢ়ভাবে ঈমান পোষণ করবে।
৭. বিনা দলীলে কারো তাক্বলীদ বা অন্ধ অনুকরণ করবে না।
৮. ভাল কাজে প্রতিযোগিতা করবে।
৯. (রিয়াযুস্ সালেহীন) কিতাবটি সংগ্রহ করবে। নিজে পড়বে পরিবারের অন্যদেরকেও পড়ে শোনাবে। ইমাম ইবনুল কাইয়েমের (যাদুল মাআদ) গ্রন্থটিও সংগ্রহ করার চেষ্টা করবে। (কিতাব দুটি বাংলায় পাওয়া যায়।)
১০. প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সকল নাপাকি থেকে সর্বদা পবিত্র থাকবে।
১১. জামাতের সাথে মসজিদে গিয়ে প্রথম ওয়াক্তে নামায আদায় করতে সচেষ্ট থাকবে। বিশেষ করে এশা ও ফযর নামায।
১২. দুর্গন্ধযুক্ত খাদ্য পরিত্যাগ করবে। যেমন- কাঁচা পিয়াজ, কাঁচা রসূন। এবং ধুমপান করে নিজেকে এবং মুসলমানদেরকে কষ্ট দিবে না।
১৩. জামায়াতের বিশেষ ফজিলত হাসিলের লক্ষ্যে সর্বদা জামায়াতে নামায আদায় করবে।
১৪. ফরয যাকাত আদায় করবে। যাকাত দেয়ার ক্ষেত্রে হক্বদারেদের ব্যাপারে কৃপণতা করবে না।
১৫. আগে ভাগে জুমআর নামাযে যাওয়ার চেষ্টা করবে। দ্বিতীয় আযানের পর মসজিদে আসার অভ্যাস পরিত্যাগ করবে।
১৬.ঈমানের সাথে আল্লাহর নিকট প্রতিদান পাওয়ার আশায় রমযানের রোযা পালন করবে। এর মাধ্যমে তোমার পূর্বাপর যাবতীয় পাপ ক্ষমা করে দেয়া হয়।
১৭. শরীয়ত সম্মত কোন ওজর ব্যতীত রমযান মাসের কোন একটি রোযাও পরিত্যাগ করবে না। অন্যথা গুনাহগার হয়ে যাবে।
১৮. রমযানের রাতগুলোতে কিয়াম করবে বিশেষ করে লায়লাতুল ক্বাদরে-ঈমান ও প্রতিদানের আশায় কিয়াম করবে। যাতে করে তোমার পূর্বকৃত পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হয়।
১৯. যদি সামর্থবান হয়ে থাক তবে দ্রুত হজ্ব-ওমরার উদ্দেশ্যে বায়তুল্লাহর দিকে সফর কর। দেরী করা থেকে সাবধান হও।
২০. পবিত্র কুরআন অর্থসহ পড়ার চেষ্টা কর। কুরআনের আদেশ পালন কর, নিষেধ থেকে দূরে থাক। যাতে করে প্রভুর দরবারে কুরআন তোমার পক্ষে দলীল হয় এবং কিয়ামত ময়দানে তোমার জন্য সুপারিশ করে।
২১.সর্বদা আল্লাহ তায়ালার জিকিরে মশগুল থাকবে- প্রকাশ্যে-গোপনে, দাঁড়ানো, বসা ও শোয়াবস্থায়-সর্বদাই। আল্লাহর জিকির থেকে কখনো গাফেল হবে না।
২২. যিক্রের মজলিসে (ইলমী অনুষ্ঠানে) বসবে। কেননা এধরণের মজলিস জান্নাতের বাগান।
২৩. হারাম এবং গোপন বিষয় দেখা থেকে তোমার দৃষ্টিকে নত রাখবে। সেদিকে দৃষ্টিপাত থেকে সর্বদা সাবধান থাকবে। কেননা নিষিদ্ধ দৃষ্টি হল শয়তানের পক্ষ থেকে একটি বিষাক্ত তীর।
২৪. টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে না। চলাফেরায় কখনো অহংকারী ভাব প্রকাশ করবে না।
২৫. রেশমের কাপড় বা স্বর্ণের কোন কিছু পরিধান করবে না। কেননা তা পুরুষদের জন্য হারাম।
২৬. মহিলাদের সাদৃশ্য অবলম্বন করবে না। আর তোমার পরিবারের কোন মহিলাকেও পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বন করতে দেবে না।
২৭. দাড়ি ছেড়ে দাও। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমার গোঁফ কাট এবং দাড়ি ছেড়ে দাও।” (বুখারী ও মুসলিম)
২৮. হালাল ছাড়া অন্য কিছু ভক্ষণ করবে না এবং হালাল ব্যতীত অন্য কিছু পান করবে না। তাহলে তোমার দুয়া কবুল হবে।
২৯. খানা-পিনার সময় বিসমিল্লাহ্ বলবে। শেষ করলে আলহামদু লিল্লাহ বলবে।
৩০. ডান হাতে খানা-পিনা করবে। লেন-দেনের ক্ষেত্রে ডান হাতে গ্রহণ করবে এবং ডান হাতেই প্রদান করবে।
৩১. কারো প্রতি জুলুম করবে না। কেননা কিয়ামত দিবসে জুলুম অন্ধকার হয়ে দেখা দিবে।
৩২. মুমিন ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কাউকে সাথী হিসেবে গ্রহণ করবে না। আর তোমার খানা যেন ভাল মানুষ ব্যতীত অন্যে না খায়।
৩৩. সাবধান! ঘুষ খাবে না। নিবেও না দিবেও না, এ ব্যাপারে মধ্যস্থতাও করবে না। কেননা এরূপ যে করে সে অভিশপ্ত।
৩৪. আল্লাহ্কে নাখোশ করে মানুষের সন্তুষ্টি চেও না। কেননা আল্লাহ তাতে অসন্তুষ্ট হয়ে যাবেন।
৩৫. শরীয়ত সম্মত প্রতিটি বিষয়ে নেতৃবৃন্দের আনুগত্য করবে এবং তাদের সংশোধনের জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করবে।
৩৬. সাবধান! কখনো মিথ্যা সাক্ষ্য দেবে না। আর সত্য সাক্ষ্যও গোপন করবে না। (যে ব্যক্তি উহা গোপন করবে তার অন্তর পাপী। আর তোমাদের আমল সম্পর্কে আল্লাহ পরিজ্ঞাত। (সূরা বাকারা-২৮৩)
৩৭. (সৎকাজের আদেশ করবে এবং অসৎকাজ থেকে নিষেধ করবে। আর এক্ষেত্রে বিপদের সম্মুখীন হলে ধৈর্য ধারণ করবে।) (সূরা লোকমান-১৭।) আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা আদেশ করেছেন তাই সৎকাজ এবং তাঁরা যা নিষেধ করেছেন তাই অসৎকাজ।
৩৮. ছোট-বড় সব ধরণের হারাম কাজ পরিত্যাগ কর। কখনো আল্লাহ তায়ালার নাফরমানী করবে না। এক্ষেত্রে কাউকে সহযোগিতাও করবে না।
৩৯.কোন ভাল কাজকেই ছোট মনে করবে না। রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক কোন বস্তু পরিত্যাগ করাটাও একটা ঈমানী কাজ। লজ্জাবোধ ঈমানের অংশ।
৪০. ব্যভিচারের নিকটবর্তী হবে না। আল্লাহ বলেন: ”তোমরা ব্যভিচারের নিকটবর্তী হয়ো না। কেননা উহা অশ্লীলতা এবং খুবই নিকৃষ্ট কাজ।” (সুরা বানী ইসরাইল-৩২)
৪১. পিতামাতার সাথে সাদাচার করবে। সাবধান! তাদের কথা অমান্য করবে না যদি না তারা ইসলাম বিরোধী নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু তারা যদি ইসলাম বিরোধী কাজের নির্দেশ দেয় তবে অবস্থায়ও ভদ্রতা বজায় রেখে তাদের সে নির্দেশ পালন থেকে বিরত থাকবে।)
৪২. আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখবে। এবং তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্নের ব্যাপারে সাবধান হবে।
৪৩.প্রতিবেশীর সাথে ভাল ব্যবহার করবে। তাকে কষ্ট দিবে না। সে কষ্ট দিলে তাতে ধৈর্য ধারণ করবে।
৪৪.সৎ ব্যক্তি এবং ঈমানী ভাইদের সাথে ঘন ঘন সাক্ষাৎ করবে।
৪৫. শুধুমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যেই কাউকে ভালবাসবে। আল্লাহর উদ্দেশ্যেই কাউকে ঘৃণা করবে। কেননা এটা হল – ঈমানের সর্বাধিক মজবুত হাতল।
৪৬. সৎব্যক্তিদের সাথে সময় কাটানোর চেষ্টা করবে। অসৎ সঙ্গ পরিত্যাগ করবে।
৪৭.কোন মুসলিমকে বিপদগ্রস্থ অবস্থায় দেখলে যত তাড়াতাড়ি পারা যায় তার সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাবে এবং তাদেরকে আনন্দিত রাখার চেষ্টা করবে।
৪৮. নম্রতা, ধীর স্থিরতা এবং ধৈর্যাবলম্বন করবে। তাড়াহুড়া পরিত্যাগ করবে।
৪৯. অন্যের কথার মাঝে বাধা সৃষ্টি করবে না। সুন্দরভাবে তা শোনার চেষ্টা করবে।
৫০. জানা-অজানা সকল মুসলিম ভাইকে সালাম দিবে।
৫১. কাউকে গালিগালাজ করবে না। খারাপ ভাবে কারো বর্ণনা দিবে না।
৫২. কাউকে অভিশাপ দেবে না। এমনকি তা যদি চতুষ্পদ জন্তু বা কোন জড় বস্তুও হয়।
৫৩ কোন মানুষের ইজ্জতে কোন প্রকার অপবাদ দিবে না বা তার কুৎসা রটনা করবে না। কেননা এরূপ করা কবিরা গুনাহ।
৫৪.চুগলখোরি করবে না। অর্থাৎ ফ্যাসাদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একজনের কথা অন্যজনকে বলবে না।
৫৫.গীবত করবে না। (গীবত হল তোমার মুসলিম ভায়ের দোষের কথা তার অসাক্ষাতে কারো কাছে বলা)।
৫৬. কোন মুসলিমকে ভয় দেখাবে না এবং তাকে কোন প্রকার কষ্ট দিবে না।
৫৭. মানুষের মাঝে সমঝোতা করার চেষ্টা করবে। কেননা এটা হল একটি উত্তম আমল।
৫৮. জবানের হেফাজত করবে। ভাল কথা বা কাজের কথা বলবে, অন্যথা চুপ থাকবে।
৫৯. সত্যবাদী হও মিথ্যা পরিত্যাগ কর। কেননা মিথ্যা পাপ কাজের রাস্তা দেখায় আর পাপ জাহান্নামে নিয়ে যায়।
৬০. দুমুখো হয়ো না। একই বিষয়ে এদের কাছে এক কথা অন্যদের কাছে আর এক কথা বলবে না।
৬১. আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করবে না। আর সত্য বিষয় হলেও বেশী বেশী কসম করার অভ্যাস করবে না।
৬২. কাউকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করবে না। কেননা তাকওয়ার মানদণ্ড ছাড়া কারো উপর কারো প্রাধান্য নেই।
৬৩.কোন জ্যোতির্বিদ, গণক বা যাদুকরের কাছে যাবে না। তাদের কোন কথা বিশ্বাস করবে না। এতে ঈমানের ক্ষতি হয়।
৬৪. কোন মানুষ বা প্রাণীর চিত্রাঙ্কন করবে না। কেননা কিয়ামত দিবসে চিত্রকরদেরকে সবচেয়ে কঠিন শাস্তি দেয়া হবে।
৬৫.তোমার বাড়িতে কোন প্রাণীর ছবি রাখবে না। কেননা তাতে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না।
কেউ হাঁচি দেয়ার পর আলহামদু লিল্লাহ বললে তার জবাবে ইয়ারহামু কাল্লাহ বলবে।
৬৬. কোন ক্রমেই তাবিজ-কবচ, তাগা ইত্যাদি ব্যবহার করবে না। কেননা এগুলো ব্যবহার করা শিরক।
৬৭. প্রতিটি পাপকাজের জন্য অনতিবিলম্বে তওবা করবে। খারাপ কাজ হয়ে গেলেই ভাল কাজ করবে, যাতে উক্ত পাপ মোচন হয়ে যায়। এরূপ বলবে না অচিরেই তওবা করব।
৬৮. আল্লাহ্ তায়ালার ক্ষমা ও করুণার আশাবাদী হও। আল্লাহর প্রতি সুধারণা রাখ।
৭০. আল্লাহ্র শাস্তির ব্যাপারে ভীত-সন্ত্রস্ত থাক। তার শাস্তি থেকে নিজেকে নিরাপদ ভেবো না।
৭১. বিপদাপদে ধৈর্য ধারণকারী হও। এবং সুখের কালে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হও।
৭২. অধিকহারে সৎকাজ করবে। যাতে করে মৃত্যুর পরেও তার ছওয়াব জারি থাকে। যেমন মসজিদ তৈরি করা, ইসলামী জ্ঞানের প্রচার ও প্রসার করা।
৭৩.আল্লাহর কাছে জান্নাত পাওয়ার প্রার্থনা করবে এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় কামনা করবে।
৭৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি অধিকহারে দরূদ পাঠ করবে।
৭৫. সুন্নতি সালাম দিবে। বলবে: আসসালামু ওয়া আলাইকুম। হাত বা মাথা দিয়ে ইশারা করাকেই যথেষ্ট মনে করবে না
‘‘তুমি তোমার জবান অপেক্ষা কানকে বেশি কাজে লাগাও; কেননা তোমাকে দান করা হয়েছে দুটো কান ও একটি মুখ—এই উদ্দেশ্যে যে, তুমি কথা বলার উপর শুনাকে প্রাধান্য দিবে।’’
—সাহাবি আবুদ দারদা (রাদিয়াল্লাহু আনহু)
[সূত্র: ফাফিররূ ইলাল্লাহ: ৩৩৩]
.
এটা তো সবাই জানি যে, কথা বেশি বললে ভুল বেশি হয়। বিশেষত আমরা যারা দ্বীন হিসেবে ইসলামকে মানতে চেষ্টা করি, তাদের জন্য চুপ থাকার অভ্যাস করা অপরিহার্য। কারণ, এটা এমন এক সময়, যখন আপনি কথা বললে, হয় গিবত করে বসবেন অথবা নিজের প্রশংসা করতে শুরু করবেন কিংবা বেহুদা কথায় লিপ্ত হবেন। সাধারণ আলোচনাতেও অশ্লীল বাক্যালাপ, অশালীন ডাবল মিনিংপূর্ণ ইঙ্গিত, শো-অফ, অন্যের মানহানি এগুলো কমন বিষয়। তাই, গুনাহ থেকে বাঁচতে চাইলে চুপ করে থাকা শিখতে হবে।
.
হাদিসে এসেছে, ‘‘যে চুপ থাকলো, সে মুক্তি পেলো।’’ সুতরাং, প্রয়োজন ব্যতীত আমাদের মুখ যেন তালাবদ্ধ থাকে। আমরা আল্লাহর সাহায্য চাই; নিশ্চয়ই এটা বিরাট কঠিন এক কাজ।
.
#Tasbeeh
- ইসলামিক উপদেশ মূলক বাণী
- ইসলামিক উপদেশ sms
পর্ন দেখার জন্য মাথাটা ঘিনঘিন করছে?
গান শোনার জন্য অন্তরটা খুব খচখচ করছে?
লোভনীয় হারাম প্রস্তাবটা নিবেন কিনা দ্বিধায় আছেন?
বন্ধুদের সাথে মুভি থিয়েটারে যাবেন কিনা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন?
স্ত্রী-সন্তানের হারাম চাহিদাগুলো পূরণ করবেন কিনা ভাবছেন?
পর্দা খুলে হালকা মেকাপ করে বান্ধবীদের সাথে বিয়েতে যাবেন কিনা ভাবছেন?
.
আসুন, এক মিনিটের জন্য সবকিছু মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে একটি হাদীস পড়ি।
.
রসূলুল্লাহ ﷺ বলেন, চারটি বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেয়া ছাড়া কিয়ামতের দিন কেউ এক পা-ও অগ্রসর হতে পারবে না:
.
এক. কীভাবে সে তার জীবন কাটিয়েছে।
দুই. ইলম অনুযায়ী কী আমল করেছে।
তিন. সম্পদ কীভাবে অর্জন করেছে এবং কোথায় খরচ করেছে।
চার. কীভাবে সে তার যৌবন কাটিয়েছে।
.
[তিরমিযি: ২৪১৭; দারিমি: ৫৪৬]
.
"আমাদের তুমি সহজ-সঠিক পথে পরিচালিত করো, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।" - সূরা আল ফাতিহা, আয়াত- ৬,৭
ছোট ছোট ইসলামিক উক্তি
➤রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “দুয়া ছাড়া অন্য কিছু মানুষের তাকদীর (বা ভাগ্যের) পরিবর্তন ঘটাতে পারে না, উত্তম আচরণ ছাড়া অন্য কিছু মানুষের হায়াত বৃদ্ধি করতে পারে না। আর মানুষের পাপের কারণে তাকে রিযক হতে বঞ্চিত রাখা হয়।” -[সুনানে ইবনে মাজাহ, মিশকাতঃ ৪৯২৫]
➤আল হাদিস
''মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে কোনো ব্যক্তি মহামারীর সময় নিজেকে ঘরে রুদ্ধ রাখবে ধৈর্যসহকারে, সওয়াবের আশায় এবং এই বিশ্বাস নিয়ে যে, আল্লাহ তার ভাগ্যে যা লিখেছেন এর বাইরে কিছুই ঘটবে না, সে শহীদের মর্যাদা ও বিনিময় লাভ করবে।''
বুখারী শরীফের শ্রেষ্ঠ ব্যাখ্যাকার হাফেজ ইবনে হাজার আসকালানি এই হাদীসের ব্যাখ্যায় লেখেন, ধৈর্য সহকারে, সওয়াবের আশায় ও আল্লাহর উপর ভরসা- এই তিনটি বিষয় ধারণ করে যে ব্যক্তি মহামারীর সময় ঘরে থাকবে, তিনি শহীদের মর্যাদা পাবেন। মহামারীতে তিনি মারা যান অথবা নাইবা মারা যান।
-ফতহুল বারী শরহে বুখারী, ১৯৪/১০।
তোমার মতো এমন অনেক যুবক গত হয়ে গেছে, বিয়ে নিয়ে যাদের ফ্যান্টাসির অন্ত ছিলো না। বউয়ের গায়ের রং কেমন হবে, মাথার চুল কতটুকু লম্বা হবে, চোখগুলো কেমন সুন্দর হতে হবে, পাত্রীর শারীরিক গঠন কতটা মোহনীয় হবে, কল্পনার জগতে সবকিছুই যেন নিপুণভাবে আঁকা ছিলো।
বিয়ের দিনের শেরওয়ানিতে কেমন কারুকার্য হবে, বরযাত্রীর গাড়িটা কয় ধরণের ফুল দিয়ে ডিজাইন করা হবে, সোহাগরাতের বাসরঘরটা ঠিক কীভাবে সাজাতে হবে, একদম সবকিছুই পুঙ্খানুপুঙ্খ প্ল্যান করা ছিলো।
বিয়ের আগ মুহূর্তে হঠাৎ তাদের কাছে 'মালাকুল মাউত' মৃত্যুর ফেরেশতা এসে উপস্থিত হয়ে গেছেন। তার স্বপ্নের সেই রাণীকে আর ছুঁয়ে দেখার সুযোগ হয় নি। বাহারি রঙের ফুল দিয়ে সাজানো বরযাত্রীর সেই গাড়িটায় আর চড়ে বসার সুযোগ সে পায় নি।শাহবাগ থেকে কেনা হরেক রকমের কাঁচা ফুলে সাজানো বাসরঘরের সেই খাটে শুয়ে নববধূকে মধুর আলিঙ্গনের সুযোগ তার হয় নি।
মাসজিদের বারান্দায় পড়ে থাকা চারাপায়া সেই খাটে শুয়ে
মানুষের কাঁধে সাওয়ার হয়ে অন্ধকারাচ্ছন্ন সঙ্কীর্ণ মাটির কবরের নীচে শোওয়ার
মাধ্যমে তার সকল রঙিন স্বপ্নের সমাপ্তি ঘটেছে। হে যুবক! তোমাকেই বলছি
আমি... মন দিয়ে শোনো! দুনিয়া নিয়ে স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দাও! আখিরাত নিয়ে
স্বপ্ন দেখো। কারণ দুনিয়ার স্বপ্ন সত্যি হওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
আখিরাতের স্বপ্ন মিথ্যা হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। যুবক! কী ভাবছো? আখিরাতই
তোমার ভবিষ্যৎ। আর সবকিছু মরীচিকা!মরীচিকা