Ramadan Images Pic 2024 | Ramadan New Cover Pictures For FB Whatsapp Instagram.
আরো দেখুনঃ ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ
Ramadan Images 2024
Ramadan pictures Photos
Ramadan Month Pics 2024
ইদানীং অনেক মুসলিমদের অন্যান্য ধর্ম নিয়ে বহু কথা বলতে শোনা যায়। যা আসলে কুফরী কথা। গতকাল একভাই কথা বলছিলেন তার বন্ধুর ব্যাপারে। বন্ধুটি মোটামুটি ভাল মুসলিম কিন্তু সে শরীয়তের একটি সুস্পষ্ট মাসালায় মন্তব্য করে বসেন, 'যদি আল্লাহ এতে অনুমতি দেন তাহলে আমি বলব তাহলে এটা ইসলামের অনেক বড় ত্রুটি'!!
এর আগেও এক আলোচিত- সমালোচিত বৃদ্ধ নামে মুসলিম প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনে বলেছিল 'ইসলামের অনেক বিধানই ভাল তবে কিছু কিছু বিধানে সমস্যা আছে!!''
গত পরশুর একটি আলোচিত লাইভ অনুষ্ঠানের উপস্থাপক থেকেও শুনলাম ''কোন ধর্মকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই!!'' এর দ্বারা সে কি বুঝাতে চাচ্ছে!??
আমরা কোন ব্যক্তি বিশেষ কে সুস্পষ্ট কারণ ও প্রমাণ ছাড়া তাকফীর করতে পারব না তবে নিচে আমাদের সমাজে প্রচলিত কয়েকটি কুফরী কথা উল্লেখ করছি যা অনেক ভাল ভাল মুসলমানরাও অসতর্কতাবশত ও না জানার কারণে বলে ফেলে-
১. আমার/আমাদের সকল ধর্মের প্রতি আমাদের সমান শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান রয়েছে!!
২. কোন ধর্মকে আসলে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই।
৩. ইসলাম সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম তাই বলে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা জান্নাতে যাবেনা এমন হতে পারেনা।
৪. আমরা আমাদের স্রষ্টাকে আল্লাহ বলি তারা স্রষ্টাকে ভগবান/ইশ্বর/গড বলে এছাড়া কোন পার্থক্য নেই। আমরা সমান!!
৫. মেয়েদের সৃষ্টি করার পর আল্লাহ নিজেও ভাবনায় পড়ে গিয়েছেন!! অথবা মেয়েদের মনের খবর স্বয়ং আল্লাহও জানেন না। (নাউযুবিল্লাহ)
৬. কষ্ট করলে কেষ্ট মিলে! (হিন্দুদের মতানুযায়ী বিষ্ণু দেবের আরেক অবতার কৃষ্ণকে পশ্চিমবঙ্গে অনেকেই কেষ্ট বলে)
৭. অনেক দোকানদারেরা সকাল সকাল কাস্টমার পেতে বলে 'আয় লক্ষ্মী' 'আয় লক্ষ্মী'। কেউ আবার ছেলের বউকে বা নিজের মেয়েকে ঘরের লক্ষ্মী বলে সম্বোধন করে। অথচ হিন্দুদের বিশ্বাস মুতাবেক 'লক্ষ্মী' হচ্ছে ঐশ্বর্য ও ধনরাজির দেবী। অনেকে অশুভ বা খারাপ কিছু হলে 'অলক্ষ্মী' বলে থাকে এটাও কুফরী কথা। যদিও এইসব কথা গুলোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট তাবীল করা যায় এবং আমাদের অনেকেরই আক্বীদাহ এমন হয়ওনা তবুও এসব কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৮. আল্লাহও লাগে আবার ইল্লাও লাগে! ইল্লা হচ্ছে আল্লাহ ব্যতিত যেসকল গাইরুল্লাহর কাছে ইবাদাত করা হয় বা প্রার্থনা করা হয়। অনেকেই ওসীলা বুঝাতে গিয়ে এই কুফরী কথা উচ্চারণ করে। মূলত এটি সম্ভবত বাউল ও চরম ভন্ড পীরেরা আবিষ্কার করেছে। অথচ কোন নবী কিংবা ওলীদের ওসীলা দিয়ে আল্লাহর নিকট দুয়া করা অথবা কোন জিবীত নেককার ওলীদের কাছে নিজের জন্য দুয়া প্রার্থনা করা এবং আল্লাহর সাথে ইল্লা লাগার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
৯. অনেক বিনয় দেখাতে গিয়ে অনেকেই বলে- আমি কাফের আমার তো কোন ঈমান নেই। বরপং আমি কাফেরের চেয়েও অধম। অথচ নিজের ঈমানের ব্যাপারে সন্দেহ করাকেও ফুক্বাহাগন কুফরী বলেছেন।
১০. অমুক তমুক বক্তা, জ্ঞানী বা ব্যক্তিকে সৃষ্টি করতে আল্লাহর অনেক লম্বা সময় ভাবতে গয়েছে, গবেষণা করতে হয়েছে!! (নাউযুবিল্লাহ)
১১. আমি আগে মানুষ পরে মুসলমান!, মানবতাই আমার ধর্ম, মানব সেবাই আমার পরম ধর্ম, আমি আগে বাঙালি পরে মুসলিম! এগুলো সবই কুফরী কথা। কেননা আমরা সবাই আগে মুসলমান, পরে আমাদের জাতিসত্তা। কুরআন ও হাদীস মুতাবেক আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক শিশুকেই ফিতরত ও ঈমান দিয়ে তথা মুসলমান বানিয়ে জন্ম দেন।পরবর্তীতে তার পরিবেশ ও বাবা মা তাকে ভিন্ন মতালম্বী বানান।
১২. সবার আগে/ উপর মানুষ সত্য তাহার উপর কেহই নাই! সবার উপর সত্য একমাত্র আল্লাহ তাহার উপর আর কেহই নাই। এটি মূলত সেক্যুলার যারা আল্লাহতে বিশ্বাসী নয় তাদের স্লোগান।
১৩. ধর্ম যার যার উৎসব সবার!!ধর্মকে কেন্দ্র করে যেই উৎসব হয় সেটা মূলত ঐ ধর্মের বিশেষ উপাসনা। যেমন ঈদুল আযহা ও ফিতর দুইটাই মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব। কিন্তু যদি ঈদের দিন সালাত আদায় না হয় আযহার দিন কুরবানী করা না যায় তাহলে তা আর ধর্মীয় উৎসব থাকেনা। আর এই দুই উৎসবই ইবাদাত ও উপাসনা। তাই অন্যান্য ধর্মের উপসানার উৎসবে যারা আহবান করবে তারা কুফরী করবে।
উদাহরণস্বরূপ, দোলযাত্রায় হলি খেলাই হচ্ছে হিন্দুদের মূল উপাসনা। এ ব্যাপারে বিষ্ণু ভক্ত প্রহলাদের বাবা ও ফুফু হলিকা (যার নামে হলি উৎসব) কে কেন্দ্র কপ্রে অনেক লম্বা ঘটনা রয়েছে। সুতরাং কেউ হলি উৎসব পালন করলে এবং তাতে আহবান করে এটা কুফরী হবে। কেননা এটা হলিকার মৃত্যু ও প্রহলাদের বিষ্ণু প্রেম বিজয়ের আনন্দ প্রকাশ করতে গিয়ে একটি উপাসনার ধরণ।
১৪. পর্দা প্রথা সেকেলে, ক্ষেত-খামার, জঙ্গল, যারা পর্দা পরিধান করে ও দাড়ি রাখে তাদের তারা জঙ্গি!, বোরকাকে জিবন্ত ট্যান্ট বলা (যদি নারীদের পর্দার বিধান হেয় করতে গিয়ে এই উক্তি করা হয়)।
১৫. ইসলামের কোন শাস্তির বিধান অথবা অন্যান্য অকাট্য বিধানকে অনেকেই কথিত বুদ্ধিজীবিদের সুরে সুর মিলিয়ে ব্যাঙ্গাত্মকভাবে বলে- মধ্যযুগীয়, বর্বর, অমানবিক!! এটাও কুফরী।
১৬. অনেক মুসলিম অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের দেখা যায়, অভিনয় করে কোন মূর্তির পূজা করছে, সিজদা করছে বা কোন দেব-দেবীর কাছে প্রার্থনা করছে অথবা কোন শির্কি কুফরী কাজ করছে।এগুলোও কুফর। তারা ভাবছে অভিনয় করার কারণে হয়ত তার ঈমানের কিছু হবেনা কেননা অন্তর ঠিক থাকলেই হয়!! কিন্তু শরীয়তের বাস্তবতা এটাই যে, নাটক সিনেমায় অভিনয় করে এহেন শির্ক ও কুফর করাও কুফরী।
১৭. সব ক্ষেত্রেই নারী পুরুষের সমান অধিকার হতে হবে। অথবা দেখা যায় অনেক নামে মুসলিম নারীরা এমনকি কিছু ইসলামিস্ট ফেমিনিস্টও এই দাবী করে- নারীকে সমান অধিকার না দেওয়া জুলুম!! এই অধিকারের মাঝে তারা মীরাস ও উত্তরাধিকারের অধিকারও নিয়ে আসে!!
১৮. অনেক ভাল মুসলমানদের মুখেও শোনা যায়- আমি জিন, ভুতে বিশ্বাস যাইনা! অথচ জিনে বিশ্বাস করা ঈমানের অংশ। কুরআনে 'জিন' নামে আলাদা সুরাই আছে।
১৯. অনেক নামে মুসলমানদের দেখায় খুব বিপদ ও মুসিবতে কিংবা আতিশয্য অভিমানে আল্লাহকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এগুলাও কুফরী।
২০. মনের পর্দাই বড় পর্দা দেহের পর্দা বলতে কিছু নেই!! ইসলামে মনের ও দেহের উভয় পর্দার ব্যাপারেই গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মনের পর্দা স্বীকার করে কেউ দেহের পর্দার মত ফরজ বিধান কে অস্বীকার করা কুফরী।
আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে এসব কথা ও কাজ থেকে হিফাজত করুন। (চলবে ইনশাআল্লাহ)
- Abdullah Al Mamun