FB Caption Bangla Attitude
15. ভাই আমাকে নিয়ে বিচার করার আগে নিজেকে আয়নায় একবার অন্তত দেখ ,
দেখবি নিজেকে নিয়ে বিচার করতে ইচ্ছা করবে
16.তুই ভালোবাসিস আর নাই বাসিস আমি তো আমার মতো
relax আছি আর সারা জীবন থাকবো
17.তুই যদি আমাকে ভদ্র ভেবে থাকিস তাহলে একটাই কথা
বলবো দেখে এসে pogo মারাশ কেন ওগো
18.বাহানা বানিয়ে লাভ নেই থাকার হলে থাকিস নাহলে ফুট নিজের রাস্তা দেখিস
19.আমার dp দেখে লুচির মতো ফুলবি নাকি মোমের মতো গোলবি
জানিনা তবে আমি sure আফসোস একবার হলেও করবি
20.হাই প্রোটিন যেমন সবার সহ্য হয় না
তেমন আমাকে handle করার মতো তোর এখনো age হয়নি
21.আমি তোমার প্রিয় Hello হতে চাই
ওও হো দুর্ভাগ্য বসত আমি তোমার কঠিনতম Good By
DP caption অনেক পড়লেন এখন একটু জীবন নিয়ে চিন্তা করুন। কিসের পিছনে দৌড়াচ্ছেন? লাভ কি? গন্তব্য কোথায়?
➤ভারতীয় অভিনেতা ইরফান খান মারা গেছে। বলিউডের নিবিষ্ট দর্শক বাংলাদেশীদের কাছে ইরফান খান পরিচিত নাম। হয়তো দেশী নির্মাতার সিনেমায় অভিনয়ের কারণে অনেকে তার প্রতি কিছুটা টানও অনুভব করে। অভিনেতা ইরফান খানকে নিয়ে অনেক লেখা হয়েছে। আরো হবে। আমি মানুষ ইরফান খানকে নিয়ে দুটো কথা বলি।
.
অন্য অনেক মুসলিম নামওয়ালা ভারতীয় অভিনেতার মতো ইরফান খানও তার পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে হিন্দুস্তানের মেজরিটি হিন্দুদের খুশি করার চেষ্টা করেছে। কখনো মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা পূজো করেছে। কখনো পুরোহিতের পরামর্শে নিজের নামের বানান বদলেছে।
.
পাশাপাশি ইসলাম ধর্ম নিয়েও সে নানান আপত্তি আর অভিযোগ তুলেছে। ঈদুল আযহায় পশু যবেহ করা নিয়ে আপত্তি তুলেছে। মনের পশু বড় পশু টাইপ, যুক্তি দিয়েছে। রমাদ্বানে রোযা রাখার বিরুদ্ধে বলেছে। সেই সাথে এখনকার সময়ে নিরীহ মুসলিম হবার ওয়াজিব আমল, সন্ত্রাসবাদের জন্য মুসলিমদের দোষারোপ করার কাজটাও করেছে। কিন্তু এতোকিছুর পরও বেঁচে অবস্থায় সে তাদের মন পায়নি। তারা কখনো তাকে নিজেদের একজন মনে করেনি। সবসময় ‘অপর’ ভেবেছে। সন্দেহের চোখ দেখেছে। আর মৃত্যুর পর তারা উৎসব করেছে। তাকে শূয়োর বলে গালাগালি করেছে। যাদের বোঝার ক্ষমতা আছে তাদের জন্য এখানে শেখার অনেক কিছু আছে।
.
আমাদের অনেকের মধ্যে একটা ধারণা আছে যে কাফিররা ইসলামকে বোঝে না তাই মুসলিমদের ঘৃণা করে। আমরা মনে করি ঠিকঠাক বোঝানো গেলে সবাই বুঝি মুসলিম হয়ে যাবে। কিংবা আমরা যদি মনমতো ব্যাখ্যা করে ইসলামকে ‘আধুনিক সময়ের উপযোগী’ করে তুলি তাহলে বোধহয় মানুষ আমাদের মেনে নেবে। আমাদের মধ্যে অ্যাকসেপ্টেড হবার একটা তীব্র তাড়না কাজ করে।
.
মাদ্রাসা থেকে আসা অনেকে ভার্সিটি পড়ুয়াদের কাছে অ্যাকসেপ্টেড হতে চায়। প্র্যাকটিসিং হবার পর সমাজের কাছ থেকে ব্যাকডেইটেড ডাক শোনার ভয়ে অনেকে ‘আমিও আধুনিক’ প্রমাণে ব্যতিব্যস্ত হয়। অনেকে হিন্দুত্ববাদীদের কাছে নিজেদের নিরামিষ মুসলিম প্রমাণ করতে চায়, আবার অনেকে সাদা চামড়ার কাছে নিজেদের ‘মডারেট’ প্রমাণে ইসলামকে বদলায়। ওদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠার তাড়নায় আমরা নিজেদের ভেঙ্গেচুড়ে বদলাই। অন্য মুসলিমদের খাটো করি। গালি দেই, বিশ্বাসঘাতকতা করি। আমরা নিজেদের কাফিরদের দলে ভাবতে পছন্দ করি। ঐ দলে জায়গা পাবার জন্য রীতিমতো প্রতিযোগিতা করি। নিজের ঐতিহ্য, নিজের পরিচয় নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করি। ইসলামকে মনমতো বিকৃত করি। ওদের চোখে দুনিয়াকে দেখতে শিখি। আমরা ভাবি, আমরা যদি আমাদের মুসলিম পরিচয় ভুলে থাকি তাহলে ওরা মনে হয়ে ভুলে থাকবে।
.
কিন্তু দিনশেষে সবটুকু পণ্ডশ্রম। ওরা কখনো মেনে নেয় না। মেনে নেবেও না। ওরা ভুলে না, ভুলবেও না। দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ মানুষটির ব্যাপারে ওদের দৃষ্টিভঙ্গি দেখুন। রাসূলুল্লাহ ﷺ এর ব্যাপারে সঠিক যে তথ্যগুলো কাফিরদের সামনে আছে, সেগুলোও তারা ঘৃণা করে। তারা রাসূলুল্লাহ ﷺ –কে ঘৃণা করে, তাঁর শিক্ষাকে ঘৃণা করে। কুরআনের হুকুমকে ঘৃণা করে। সাহাবাদেরকে (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুম) ঘৃণা করে। তারা আল্লাহ্ ও রাসূলের কথা মানতে রাজি না। যদি দুনিয়ার বুকে শ্রেষ্ঠ মানুষ, শ্রেষ্ঠ মুসলিম তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য না হয় তাহলে আমি-আপনি কী এমন করতে পারি যাতে তারা আমাদের গ্রহণ করে নেবে?
.
কাফিরকে সন্তুষ্ট করা, তার সাথে খাপ খাইয়ে চলা, তার মন পাওয়ার চেষ্টা করা ইসলামের দিক থেকে ভুল তো বটেই, বুদ্ধিবিবেচনার দিক থেকেও অর্থহীন। এটা এমন ইনভেস্টমেন্ট যেখানে কখনো সফলতা আসবে না। বার বার ছাড় দিতে হবে, নিজেকে অপমানিত করতে হবে, আল্লাহ্র সাথে নাফরমানী করতে হবে, কিন্তু সৃষ্টি তবু সন্তুষ্ট হবে না। পরিপূর্ণভাবে কুফরকে গ্রহণ করা ছাড়া আর কিছুতে কুফফার সন্তুষ্ট হয় না।
- Asif Adnan ভাই
সাহেদ বা পাপিয়াকে নিয়ে যদি একটু বিস্তারিত চিন্তা করি-
তবে দু’জনের মধ্যে কিছু মিল আছে -
- দু’জনই সরকারী কাজ পেতো,
- রাষ্ট্রের প্রভাবশালীদের সাথে উভয়’ই ঘনিষ্ট ছবি আছে
- দুইজনই সুন্দরী নারী পুষতো।
আমার এক ঘনিষ্ঠ লোক আছে, যে সরকারের বিভিন্ন প্রজেক্টের টেন্ডার ধরে।
তার দাবী হলো- সরকারী কোন কাজ পাইতে গেলে দায়িত্বশীলকে শুধু অর্থ ঘুষ দিয়ে আজকাল বাগে আনা যায় না, সুন্দরী নারীও সাপ্লাই দিতে হয়। সুন্দরী নারীর সাথে ১ রাত ঘুমাইতে দিলে যে কাজ পাওয়া যায়, কোটি টাকা ঘুষ দিয়েও সে কাজ পাওয়া যায় না। সচিব-আমলা থেকে সরকারের এমপি-মন্ত্রী কেউ নারী লোভ সামলাইতে পারে না, তবে সবাই সবার থেকে জিনিস নেয় না, নির্দ্দিষ্ট চ্যানেলে নেয়, তাই সবাইকে ধরাও সহজ নয়।
মূলতঃ সরকারের গুরুত্বপুর্ণ্ ব্যক্তিদের এইসব দুর্নীতি বা নারী লোভ হচ্ছে রাষ্ট্রের ছিদ্র। যে ছিদ্র দিয়ে ঢুকে যে কেউ রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে হ্যাক করতে পারে, ব্যবহার করতে পারে নিজ স্বার্থে।
অনেকে আমার লেখা পড়ে প্রায় জিজ্ঞেস করে,
ভাই ডেমোক্র্যাটিকরা তো কেউ ক্ষমতায় নেই, তবে তারা এত ক্ষমতা পায় কিভাবে?
আওয়ামী সরকার তাদের বিরোধী শক্তি হয়েও কিভাবে তাদের কথা শুনে ?
তাদের কথামত আইন পাশ করে ?
জনগণ, প্রচলিত বিশ্বাস বা প্রথার বিরুদ্ধে গিয়েও কিভাবে রাষ্ট্রে তাদের মতবাদ জারি হয় ?
এর রহস্য কি ?
আসলে ডেমোক্র্যাটিকরা তাদের বহুদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা থেকে রাষ্ট্রের এই সব ফাক-ফোকরগুলো আয়ত্বে এনেছে। যে ফাকাগুলো ব্যবহার করে রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে হ্যাক করে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করা যায়। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন কর্ম করতে গিয়ে দায়িত্বরতরা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে। ডেমোক্র্যাটিকদের হাতে মিডিয়া থাকায় তাদের সাংবাদিকদের মাধ্যমে এইসব তথ্য বিস্তারিত তাদের আছে আগেই চলে আসে। কিন্তু তারা সবটুকু সব সময় প্রকাশ করে না। কিছু প্রকাশ করে ভয় দেখায়, আর কিছু গোপন রেখে সরকারী সংশ্লিষ্ট প্রভাবশালীর নাকে রশি লাগায়। এরপর সেই রশি ধরে টানাটানি করে তাদের বিভিন্ন স্বার্থ উদ্ধার করে।
যেমন- কক্সবাজারের ডিসি কামাল হোসেন। সে কয়েকদিন যাবত ডোমোক্র্যাটিক বিভিন্ন ইস্যুতে খুব সাড়া দিচ্ছে। যেমন- কক্সবাজার জেলাকে আলাদা লকডাউন দেয়া, সবার আগে মাঠের হাট সীমিত করে অনলাইন হাট চালু করা ইত্যাদি। এই ডিসি কামালের কিন্তু বিরাট দুর্নীতি আছে। কক্সবাজারের মাতারবাড়ি বিদ্যুৎপ্রকল্প ছাড়াও আরো এরকম বড় বড় ৫-৬টা প্রকল্প হচ্ছে। এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে ভূমি অধিগ্রহনে বিপুল পরিমাণ আর্থিক দুর্নীতির সাথে জড়িত এই ডিসি কামাল। কিন্তু সেই তথ্য মিডিয়ায় কিছু প্রকাশ হওয়ার পরই বেশ নরম হয়ে যায় ডিসি কামাল। এখন ডেমোক্র্যাটিকরা তাকে যেদিতে নড়তে বলে, সে সেদিকেই নড়ে। সে ডেমোক্র্যাটিক মিডিয়ার কথা শুনে, ফলে মিডিয়াও তাকে মহান করে প্রকাশ করে। ডিসি কামালের মত এমন বহু উদাহারণ সরকারের টপ-টু বটম অসংখ্য রয়ে গেছে। মূলতঃ এদের ব্যবহার করে ডাইরেক্ট ক্ষমতায় না গিয়েও ডেমোক্র্যাটিক ব্লকরা রাষ্ট্রের মধ্যে তাদের বহু মতবাদ বা আইন জারি করতে পারে, কিন্তু সাধারন মানুষ সেগুলো ধরতে পারে না।
- Noyon Chatterjee