সকাল সন্ধা ৭ টি আমল দোয়া যিকির ২০২৪
- সকাল সন্ধ্যার মাসনূন দোয়া
- সকাল বিকালের দোয়া
- সকাল সন্ধ্যায় পড়ার দোয়া
- সকাল সন্ধ্যার যিকির
আয়াতুল কুরসির ছবি
সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার লেখা ছবি
আরো দেখতে পারেনঃ
বর্তমান মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ মুসলমানই (শতকরার হিসেবে ৮০% এর অধিক) কুফরি আকিদা ও বিশ্বাস লালন করে কিংবা সমর্থন করে।
.
বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রেও এইসব কুফরি আকিদা ও বিশ্বাস লালন করার প্রমান মেলে।
.
জেনে হোক আর অজ্ঞতার কারনে হোক অনেকেই কুফরিতে লিপ্ত- অনেকেরই ইমান বিশুদ্ধ নয়।
.
অথচ ইবাদত কবুল হওয়ার পুর্ব শর্ত হলো ইমান বিশুদ্ধ হওয়া। আমাদের রাষ্ট্রীয় সংবিধান সহ আওয়ামীলীগ ও বিএনপি এর মতো সংগঠনের মুলনীতি হলো কুফরি আকিদা ও বিশ্বাস। এই সংবিধানের প্রতি যারা আনুগত্য প্রদর্শন করবে কিংবা এসব মুরতাদ দল ও সংগঠনের সমর্থক কিংবা কর্মী হবে তারা দলগত মুরতাদে পরিনত হবে।
.
একজন মুসলাম কাফের হয়ে যেতে পারে কুফরি আকিদা ও বিশ্বাসের মাধ্যমে যদিও সে নামাজ পড়ে কিংবা লম্বা দাড়ি রাখে। তার এই নামাজ এই রোজা কোনো কাজেই আসবে না যদি ইমান পরিশুদ্ধ না হয়।
.
ভাই আমার! আমলের চেয়েও অধিক গুরুত্বপুর্ন হলো আকিদা শেখা- বাতিল মতবাদ ও শিরক কুফর চিনে তা প্রত্যাখ্যান করা।
.
- "তোমার রব কে? " আমরা কিভাবে এই প্রশ্নের জবাব দিবো যদি আমরা আমাদের রবের সাথে শিরক করি-
.
কিভাবে বলবো আমার দ্বীন ইসলাম- যদি আমরা দ্বীন ইসলামে পরিপুর্ন প্রবেশ না করি আর আমাদের জীবন মরন এই ইসলামের জন্য না হয়।
.
আমরা কিভাবে বলবো- হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের নবী ও রাসুল..! যখন আমরা তার অনুসরন ও অনুকরন না করি।আমাদের জীবনের মাঝে তার সুন্নাহ বাস্তবায়িত না হয়।
.
আমাদের এই তিন প্রশ্নের জবাব খুজে নেয়া জরুরি - যার সঠিক উত্তর না দিতে পারলে আমরা হবো চীরস্থায়ী জাহান্নামী।
.
আর তা হলো:
১) তোমার রব কে?
২) তোমার দ্বীন কি?
৩) আর মুহাম্মাদ (স.) কে?
.
এই প্রশ্নের জবাব খোজা ছাড়া আমাদের কোনো মুক্তি নাই।
.
এই প্রশ্নের জবাব কাফেররাও জানে- তারাও জানে দ্বীন ইসলাম আল্লাহর একমাত্র গ্রহনযোগ্য ধর্ম- তারাও জানে রব হলেন আল্লাহ এবং মুহাম্মাদ স. আল্লাহর রাসুল।কিন্তু এরপরও তারা জবাব দিতে পারবে না।
.
এই প্রশ্নের জবাব মুখস্ত করে দেওয়া সম্ভব না।এর জবাব দিতে হবে জীবনে বাস্তবায়ন করে।
.
যে রবকে আমরা চিনি না তার হুকুম কিভাবে আমরা বাস্তবায়ন করবো?? আসুন রবকে চিনি! তাওহীদ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করি।
.
বিশুদ্ধ আকিদা সম্পর্কে জানতে এই বই গুলো পড়ুন: justpaste.it/aqidahmanhazbook
সময় টিভি ও অন্যান্য মিডিয়ার চক্রান্ত
সময় টিভি যে ফোনালাপ ফাঁস করেছে সেটা ছিল বেটা ভার্সন। পরীক্ষামূলক ব্যবহার। আর একটু নিখুঁত হলেই ব্যাপকহারে প্রচার করা হবে। MimicTechnology (অন্যের কণ্ঠস্বর হুবহু কপি করার প্রযুক্তি)-তে দক্ষতা অর্জনের চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে এসেছে হলুদ এবং এজেন্ট মিডিয়া। সব ঠিকঠাক হয়ে গেলে চলবে প্রফেশনাল ব্যবহার। তখন শুধু তারাই নিরাপদ থাকবে যারা ক্ষমতার পাশাপাশি রাজনৈতিক প্রভাবের অধিকারী। বাকিদেরকে "ফোনালাপ ফাঁস, ভিডিও ফাঁস, কথোপকথন ফাঁস" ইত্যাদি ফাঁসের দড়িতে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হবে। বেত আর চাবুকের মাইর হয়ত উঠে যাবে। শুরু হবে মনস্তাত্ত্বিক রিমান্ড। বড় কঠিন রিমান্ড।
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব শুরু হবে খুব শীঘ্রই। মহামারির পরপরই আমরা নতুন এক আল্ট্রা স্মার্ট যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। জেনেটিক মোডিফাইড খাবার ঢুকে যাবে ঘরেঘরে। ব্যক্তি প্রাইভেসি মাঠে মার খাবে। বিটকয়েন, ক্রিপ্টোকারেন্সি চলে আসবে। সে ব্যাপারে ইনশাআল্লাহ আপনাদেরকে হালকা ধারণা দিব। ইতোমধ্যে চীনের হুয়াওয়ে কোম্পানি ৫ জি চালু করেছে। ৫ জি মানেই মানবসভ্যতার বিষ। নৈতিকতা এবং মানবসভ্যতা ভেঙে খানখান হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ৯০ ভাগের উপর। আপনি আমি ৫ জির বাহ্যিক সুবিধা দেখে বেশ চমৎকৃত হব। কিন্তু এর অন্তর্নিহিত অসুবিধা জানলে যে কেউ চাইবে আধুনিক প্রযুক্তি বিচ্ছিন্ন পাহাড়ি অঞ্চলে চলে যেতে। দাজ্জালীয় ফেতনা ঝড়ো গতিতে হানা দিবে ঘর থেকে ঘরে, ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে। যারা ফেতনার আসল রূপ ধরতে ব্যর্থ হবে তাদের মূল্য দিতে হবে।
বলেছিলাম Mimic Technology নিয়ে। হ্যাঁ, একজন মানুষের কণ্ঠস্বর নকল করা সম্ভব। এমনকি ব্যক্তির হাসিকান্নার শব্দও নকল করার প্রযুক্তিও ইতোমধ্যে বের হয়েছে। সবচেয়ে নিখুঁত প্রযুক্তি আছে কানাডার কাছে। ২০১৭ সাল থেকে কানাডিয়ান Lyrebird নামক প্রতিষ্ঠান Mimic নিয়ে কাজ করছে। তাদের দাবি, মাত্র এক মিনিটেই যে কারোর কণ্ঠস্বর হুবহু নকল করা সম্ভব। যার কণ্ঠস্বর নকল করা হবে তার ভয়েস সফটওয়ারে ডাউনলোড করে নিতে হবে। তারপর যে কথাসমূহ উদ্দিষ্ট ব্যক্তির কণ্ঠে শুনতে চাইবে তা নির্দিষ্ট ঘরে টাইপ করে Minick এপ্লাই করলেই সেই ব্যক্তির কণ্ঠে শোনা যাবে। এ হচ্ছে সাদামাটা ধারণা।
আর এই প্রযুক্তির সাহায্যেই ব্ল্যাকমেইল করা যাবে যে কাউকেই। যেমন সময় টিভি করে দেখিয়েছে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে দাম্পত্যজীবনে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হবে। তখন পারিবারিক বন্ধনের গিঁট একটির পর একটি খুলে যাবে। সবচেয়ে বড় টার্গেট হবে ইসলাম এবং আলেম-উলামা। সাধারণ মানুষদের কাছে তাঁদের ভাবমূর্তি ধারাবাহিকভাবে ক্ষুণ্ণ করে বিশেষ উহ্য উদ্দেশ্য পূরণ করা হবে।
সুতরাং আমাদেরকে প্রথমত ফেতনার স্বরূপ জানতে হবে। ব্যাপক প্রচার প্রসার চালিয়ে যেতে হবে। ভবিষ্যতে এমন ফোনালাপ যদি আমার শত্রুরও ফাঁস হয় তবুও গভীর চিন্তাভাবনা না করে, প্রমাণাদি না পেয়ে মিডিয়াকে সত্যবাদী বলে বিশ্বাস করা মানে ফেতনায় পড়ে যাওয়া। এভাবে মিথ্যাবাদীদের কবলে পড়লে বড় খেসারত দিতে হবে।
- Nazrul Islam