রোজার ১৫ টির বেশি আমল যা আপনি এই রমজানে করতে পারেন
রোজার ১৫ টির বেশি আমল যা আপনি এই রমজানে করতে পারেন | Romjan er Amol
.
১. প্রতিদিন ন্যূনতম ৪ রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া ও কিছু সময় আন্তরিকভাবে দু‘আয় কাটানো। শেষ রাতের দু‘আ ও ইস্তিগফার আল্লাহর ভীষণ পছন্দ।
.
২. সারা মাসে কমপক্ষে কুরআনের একটি খতম পরিপূর্ণ করা। রাতের বেলা কিছু সময় তিলাওয়াত করা। রাতের তিলাওয়াতের মর্যাদা অনেক বেশি।
.
৩. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আওয়াল ওয়াক্তে (ওয়াক্তের শুরুতেই) পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে আদায় করা। ধীরে-সুস্থে তারাবির সলাত আদায় করা। বাসার নারীদেরও জামাতে শরিক করানো। (তাঁদের কাতার হবে সবার শেষে)
.
৪. গুনাহ থেকে বাঁচা: বিশরষত রোযা অবস্থায় চোখ, কান এবং জিহ্বা দিয়ে কোনো ছোট গুনাহও না করা। যথাসাধ্য অনলাইন থেকে দূরে থাকা। টিভিতে ইসলামি অনুষ্ঠানগুলো দেখা যাবে। তবে, এর বেশি কিছু না। মনের সংকীর্ণতা দূর করে উদারচিত্তে সবাইকে ক্ষমা করে দেওয়া। বিনিময়ে আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করে দিবেন। কুরআন ও হাদিসে এই ওয়াদা আছে।
.
৫. সারা মাসে অন্তত একবার সকল আত্মীয়ের কাছে ফোন করে তাদের খোঁজ নেওয়া। আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করা সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফরজের একটি।
.
৬. প্রতিদিন অন্তত তিন ঘণ্টা সময় কুরআনের তিলাওয়াত, হিফয, অর্থ ও তাফসির পাঠে ব্যায় করা। সম্ভব হলে সম্মিলিতভাবেও এই কাজটি করা যায়।
.
৭. সাধ্যানুযায়ী পুরো মাস জুড়ে অসহায় ও দরিদ্রদের দান-সদাকাহ্ করা। এক্ষেত্রে নিজ আত্মীয়দের প্রাধান্য দেওয়া। এটিই ইসলামের নির্দেশনা।
.
৮. রামাদানের শেষ দশ দিনে (ও রাতে) ইবাদাতের জন্য কোমর বেঁধে নামা এবং লাইলাতুল কদর তালাশ করা; শুধু ২৭ তম রাত্রিতেই নয়।
.
৯. সাহরি ও ইফতারে খাবারের অপচয় না করা এবং খাবার নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা, কথা-বার্তা ও হৈ-হুল্লোড় না করা। খাবার তৈরিতে বাসার মা-বোনদের যথাসাধ্য সহযোগিতা করা ও কোনো খাবার পছন্দ না হলে মেজাজ না হারানো।
.
১০. নামাজের পর, সকাল-সন্ধ্যায় ও ঘুমের সময়ের মাসনুন যিকরগুলো গুরুত্বের সাথে পড়া। চাশতের নামাজে অভ্যস্ত হওয়া।
.
১১. সারা মাস তাওবাহ্ এবং ইস্তিগফারে লেগে থাকা। সাহরি ও ইফতারের সময়ে কিছুক্ষণ দু‘আ করা। এ দুটো সময়ে দু‘আ কবুল হয়। জেনে রাখবেন, রামাদানে মুমিনের প্রধান টার্গেটই হলো, নিজের গুনাহ মাফ করানো।
.
১২. গিবত, গান শোনা, নাটক-মুভি দেখা, পর্নোগ্রাফি, কুদৃষ্টি, কুধারণা, হিংসা, অহংকার এসব গুনাহ্ যারা ছাড়তে পারছেন না, বরং এগুলো জীবনের সাথে মিশে গেছে ও অভ্যাসে পরিণত হয়েছে, তারা রামাদানের দীর্ঘ এক মাসের কঠিন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নিজেদের সংশোধন করে নিতে পারেন। যারা অনলাইনে গেইম খেলায় আসক্ত তারাও নিজেদের ঝালাই করে নিতে পারেন।
.
১৩. আমরা এক ভয়াবহ দুর্যোগের মধ্যে আছি। কেউ জানি না, তাকদিরে কী আছে। সুতরাং এই রামাদানই হতে পারে আমাদের অনেকের জীবনের শেষ রামাদান। সেটি মাথায় রেখে হাসি-ঠাট্টা, ফূর্তিবাজি ও গতানুগতিক উদ্দেশ্যহীন জীবনযাপন বাদ দিয়ে যথাসাধ্য তাকওয়া, বিনয় ও গাম্ভীর্যের সাথে এমনভাবে এই রামাদান কাটানো, যেন সবাই মৃত্যুপথযাত্রী।
.
মহান রব আমাদের এই তেরোটি কাজ সঠিকভাবে করার তাওফিক দিন, আমাদের গুনাহগুলো ক্ষমা করুন এবং তাঁর সন্তুষ্টির সাথে কবরবাসী করুন।
.
[আজ রাতে রমাদানের ২৪ ঘণ্টার একটি ভারসাম্যপূর্ণ রুটিন পোস্ট করা হবে ইনশাআল্লাহ্। আশা করি, উপকৃত হবেন।]
.
#Tasbeeh
রমাদ্ব-নে কি করব আমি???
রমাদ্ব-ন আমাদের দরজায় কিন্তু আমরা অধিকাংশ এখনো চিন্তা করিনি আমরা কি কি আমল করব! একটা অতি সত্য কথা কি জানেন টার্গেট বা লক্ষ্য ছাড়া কিছু হয় না। আপনি টার্গেট করুন আপনি দিনে ৫০০ বার দুরুদ পড়বেন, দেখবেন দিন শেষে ঠিকিই আপনি ৫০০ বার দুরুদ পড়ে ফেলেছেন কিন্তু আপনি যদি কোন টার্গেট ছাড়া দরুদ পড়ার নিয়্যাত রাখেন তো দিনশেষে দেখবেন আপনার ৫ বারও দুরুদ পড়া হয়নি! হ্যাঁ এটাই বাস্তবতা! তাহলে? কি ভাবছেন আপনি??তারাবী,,তাহাজ্জুদ, ইশরাক,চাশত, আওয়াবীন সহ প্রতিদিন ১৫০ রাকাত নামাজের টার্গেট করুন, দেখবেন দিন শেষে আপনি ঠিকিই ১০০ রাকাত নফল পড়ে ফেলেছেন! আপনি টার্গেট করুন সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ইত্যাদি জিকির প্রতিদিন ১৫০০ বার করে পড়বেন। তাহলে দেখবেন আপনি প্রতিদিন মিনিমাম হাজার বার করে জিকিরগুলো পড়ে ফেলেছেন!
রমাদ্ব-ন মানেই আমলের উৎসব, রমাদ্ব-ন হলো নিজেকে জাহান্নাম থেকে মুক্তির পাসওয়ার্ড!
রমাদ্ব-নের সাথে কোরআনের সম্পর্ক এমন দেহের সাথে আত্মার সম্পর্ক যেমন!
আমরা তো নিজেদের মুসলিম পরিচয় দেই, কুরআনকে মুহাব্বাত করার বুলি আউড়াই কিন্তু কখনো কি কুরআনের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থ বুঝে পড়েছি?
হায় আফসোস!!
আমাদের অধিকাংশ নয় বরং প্রায় ১০০% মানুষের উত্তর হবে 'না'। আমাদের জন্য এটাই সুযোগ চলুন টার্গেট করি অন্তত একবার হলেও প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত অর্থসহ বুঝে পড়বেন, আর পড়ব-জানব সেটা মানার নিয়্যাতে।
কুরআন অনুধাবন করতেন, বুঝতেন!
এক আমল করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলে একঘেয়েমি দূর করার জন্য নতুনভাবে অন্য আমলের দিকে নিজেকে ধাবিত করতেন।এভাবে ইবাদাতে লিপ্ত থাকতেন।
“মুয়াল্লা বিন ফজল বলেছেন:
হে আল্লাহ, আমাকে রমাদ্ব-ন পর্যন্ত হায়াত দান করুনএবং রমাদ্ব-নকে আমার জন্য নিরাপদ রাখুন এবং আমার কাছ থেকে তা গ্রহণ করুন,
(লাতায়েফুল মাআরিফ পৃষ্ঠা:১৪)
ভাবুন!!
জানুন!!!
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা রমাদ্ব-ন এর মাহাত্ম্য কিভাবে বর্ননা করেছেন?
রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রমাদ্ব-নের প্রতি গুরুত্ব কেমন ছিল?
সাহাবাহে কেরামদের রমাদ্ব-ন কিভাবে কাটত?সালাফগণ রমাদ্ব-নকে কিভাবে মুল্যায়ন করতেন?
অথচ আমাদের অবস্থা কি? আমাদের কেমন হওয়া উচিত? ফিকির করুন এই রমাদ্ব-ন থেকে আমরা কিভাবে উপকৃত হতে পারব!
কিভাবে নিজের নফসকে শেকলবদ্ধ করবেন? কিভাবে আমল বাড়াবেন?
কেমন ছিল আমাদের সালাফদের রমাদ্ব-ন এসব বিস্তারিত জানার জন্য শাইখ আহমেদ মুসা জিবরীল হাফিঃ এর 'ধূলিমলিন উপহার রমাদান' নামক লেকচার সিরিজ শোনার অনুরোধ রইল।
টার্গেট পুরনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হোন!!