রোজার ৩০ দিনের ৩০ টি আমল ও কিছু দোয়ার ছবি পিকচার ২০২৪
রোজার ৩০ দিনের ৩০ টি আমল ও কিছু দোয়া | রোজার মাসের বিশেষ কিছু আমল সমূহ
ইফতারের হাদিস সম্মত দুয়া। যারা পারিনা মুখস্থ করে আমল করি।
রমাদান এর কিছু সুন্নাহ ও দোয়া
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলে,
ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ
সুব্হানাল্ল-হি ওয়াবিহামদিহী
আমি আল্লাহর সপ্রশংসা পবিত্রতা ঘোষণা করছি
তার পাপসমূহ মুছে ফেলা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা জবানে সহজ, মীযানের পাল্লায় ভারী এবং করুণাময় আল্লাহ্র নিকট অতি প্রিয়। আর তা হচ্ছে,
ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ، ﺳُﺒْﺤﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ
সুব্হানাল্ল-হি ওয়া বিহামদিহী, সুব্হানাল্ল-হিল ‘আযীম
আল্লাহ্র প্রশংসাসহকারে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি। মহান আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি”।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “আল্লাহ্র নিকট সর্বাধিক প্রিয় বাক্য চারটি, তার যে কোনটি দিয়েই শুরু করাতে তোমার কোনো ক্ষতি নেই। আর তা হলো,
ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ، ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛْﺒَﺮُ
সুবহানাল্ল-হি ওয়ালহাম্দু লিল্লা-হি ওয়ালা ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াল্লা-হু আকবার
আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “সূর্য যা কিছুর উপর উদিত হয় তার চেয়ে এগুলো বলা আমার কাছে অধিক প্রিয়।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“তোমাদের কেউ কি প্রতিদিন এক হাজার সওয়াব অর্জন করতে অপারগ?”
তাঁর সাথীদের মধ্যে একজন প্রশ্ন করে বলল, আমাদের কেউ কী করে এক হাজার সওয়াব অর্জন করতে পারে?
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যে ব্যক্তি ১০০ বার বলবে,
ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ
সুবহা-নাল্ল-হ
আল্লাহ পবিত্র-মহান।
তার জন্য এক হাজার সওয়াব লেখা হবে অথবা তার এক হাজার পাপ মুছে ফেলা হবে।”
যে ব্যক্তি বলবে,
ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ﻭَﺑِﺤَﻤْﺪِﻩِ
সুব্হানাল্লা-হিল ‘আযীম ওয়াবিহামদিহী
মহান আল্লাহর প্রশংসার সাথে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি
তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হবে।”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
“ওহে আব্দুল্লাহ ইবন কায়েস! আমি কি জান্নাতের এক রত্নভাণ্ডার সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করব না?”
আমি বললাম, “নিশ্চয়ই হে আল্লাহর রাসূল।”
তিনি বললেন, “তুমি বল,
ﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
লা হাউলা ওয়ালা কূওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ
সর্বশ্রেষ্ঠ দো‘আ হল,
ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ
আলহামদু লিল্লাহ
সকল প্রশংসা আল্লাহরই
আর সর্বোত্তম যিক্র হল,
ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ
লা ইলাহা ইল্লাল্লহ
আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই।
...
অতএব তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ করব । [সুরা বাকারা : ১৫২]
...
[১]বুখারী ৬৪০৫; মুসলিম ২৬৯১
[২] বুখারী ৬৪০৪; মুসলিম ২৬৯৪
[৩]মুসলিম ২১৩৭; ২৬৯৫
[৪]মুসলিম ২৬৯৮
[৫]তিরমিযী ৩৪৬৪
[৬] বুখারী ৪২০৬; মুসলিম ২৭০৪
[৭] তিরমিযী ৩৩৮৩;ইবন মাজাহ ৩৮০০
৩০ দিনের ভাল কাজের রুটিন
রোজার আমল এর ক্যালেন্ডার ২০২৪ | ১৫ তম রমজান
রমজানে কি করবো কি করবো না
💙 সংযমের জন্য মুভি দেখা থেকে বিরত থাকার নামই ‘সিয়াম’।
❎ অনাহার থেকে মাথা গরম করে রিকশাওয়ালাকে থাপ্পর দেওয়াকে ‘সিয়াম’ বলে না।
💙 ‘সিয়াম’ তো তাকেই বলে, রিকশাওয়ালাকে তার পরিবারের জন্য ইফতারি কিনে দিয়ে গরিব মুসলিমের মুখে হাসি ফুটায়।
❎ সারাদিন অনাহার থেকে সন্ধ্যাবেলায় গলা পর্যন্ত ডুবিয়ে খাওয়া ‘সিয়াম’ এর শিক্ষা নয়।
💙 ‘সিয়াম’ তো পরিমিতিবোধ শেখায়।
❎ মাথা গরম করে কাউকে গালি দেওয়ার নাম ‘সিয়াম’ নয়।
💙 বরং কেউ গালি দিলে, “আমি রোযা” বলে গালি দেওয়া থেকে বিরত থাকার নামই ‘সিয়াম’।
❎ অবসর পেয়ে “কে সিয়াম রাখে না”, “কার ছেলে-মেয়ে নষ্ট হয়ে গেছে” ইত্যাদিসহ অন্যের গীবত করে সময় কাটানোর নাম “সিয়াম” নয়।
💙 সব ধরনের গীবত করা থেকে বেঁচে থাকার নামই “সিয়াম”।
❎ আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে সেজে-গুজে মার্কেটে ঘুরে বেড়ানো “সিয়াম” এর শিক্ষা নয়।
💙 বরং নিজেকে হেফাজত করা আর চোখের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকাই “সিয়াম” এর শিক্ষা।
❎ আগেভাগে সেহরী খেয়ে নামাজ বাদ দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার নাম “সিয়াম” নয় ।
💙 বরং সব ওয়াক্ত নামাজ পড়ার নামই “সিয়াম”।
💓রমযান হলো মুমিনের জন্য সংশোধন হওয়ার ট্রেনিং কোর্স💓
📚রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ❝ঐ ব্যক্তির জন্য ধ্বংস যে সিয়াম মাস পেল অথচ নিজেকে সংশোধন করতে পারলো না।❞
[বায়হাকি শরীফ]
গুনাহ তেমন করেন নাই। এতো বেশি ইবাদত করেছেন যে, ভাবছেন ফেরেশতারা আপনার জন্য কবরে ফুলের বিছানা বিছিয়ে রাখবে।
কিন্তু মরার পর কবরে গিয়ে দেখলেন ফেরেশতারা হাতে মুগুর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আপনিতো অবাক! বললেন, আমি সারা জীবন এতো এতো ইবাদত করলাম, আর তার পরিবর্তে এসব কি,,,?
ফেরেশতারা বলবে, সারা জীবন যা করেছ সব শিরক আর বিদাত!!
আপনি বলবেন, আমিতো সব বড় হুজুরের কথা মতোই করেছি! তাহলে ভুল কেন হবে,,,?
ফেরেশতারা বলবে তুমি বড় হুজুরের কথা যাচাই কর নাই। সে সত্য বলেছে না মিথ্যা বলেছে,, ভুল বলেছে না সঠিক বলেছে।
আপনি বলবেন, তাহলে আমাকে আর একবার সুযোগ দেয়া হোক। জীবন দিয়ে পৃথিবীতে পাঠানো হোক, আমি যাচাই বাছাই করে সঠিক ইবাদত করে আসব।
তখন ফেরেশতারা আপনাকে ছেড়ে দিবে আপনি আবার পৃথিবীতে এসে ভাল কাজ করে যাবেন তাইতো,,,???
না ভাইরে,, জীবন একটাই, সুযোগ একবারই।
একটু যাচাই বাছাই করে ইবাদত করেন।
অর্থসহ একটু কুরআন-হাদীস পড়েন। কুরআন-হাদীস পড়লে আপনি আলেম বা মূফতি হয়তো হতে পারবেন না। কিন্তু অন্তত এতোটুকু বুঝা শিখবেন কোন আলেম ভুল বা মিথ্যা বলে আর কোন আলেম সঠিক বলে।