বাংলা ইসলামিক পোস্ট | পর্দা করতে গেলে খাটের নীচেও ঢোকা লাগে! | বাংলা গল্প

বাংলা  ইসলামিক পোস্ট | পর্দা করতে গেলে খাটের নীচেও ঢোকা লাগে! | বাংলা গল্প  অনলাইন

প্রেম না, বিয়ে করুন। 


খুব স্টাইলিশ একটা মেয়ে যখন নিজেকে মুসলিমাহ্‌ হিসেবে ভাবতে শুরু করে তখন যে জিনিসটা মথায় কাজ করে তা হলো, "আমাকে পর্দা করতে হবে।"
একজন মুসলিমাহ্‌ এর কাছে পর্দা করে গায়ে জড়ানো বোরখাটা কোনো আউটফিট না। এটা কোরআনের একটা আয়াত যা সে তার গায়ে জড়িয়ে নেয়। আল্লাহ্‌ এর কালাম, মালিকের আনুগত্ব।
খুব কাক ফাটা রোদে, সে চাইলেই এই ভাড়ি বোরখাটা খুলে ফেলতে পারে। আশেপাশের অনেক শুভাকাঙ্কি তাকে এই পরামর্শ দেয়ও। তবু সে তা করে না। কেন? কারণ, নিজেকে আবৃত রাখার আদেশ যে তার রব তাকে দিয়েছেন।


অথচ, এই মেয়েটাই হয়তো এক সময় জিন্স, টপস্‌ পড়ে ভার্সিটিতে যেতো। হয়তো তার নখ কখনোই কেউ নেইল পলিশ ছাড়া দেখেনি। হয়তো তার ঢঙঢাঙ করা প্রফাইল পিকে শত শত লাইক হতো, সুইট কিউট অসাম কমেন্টে ভরপুর থাকতো।
কি তাকে সেই জীবন থেকে ফিরিয়ে এনেছে? কি তার শখের নেইল পলিশ দেয়া বন্ধ করালো? কিসের কারণে তাকে জিন্স ছেড়ে ভাড়ি কালো বোরখা পড়তে হলো?
তার রবের আদেশ।
কোথায় যেন পড়েছিলাম, মেয়েদের দুর্বলতা হলো তার সৌন্দর্যের প্রশংসা। সত্যিই কি তাই? সত্যি? একজন মুমিনাকে যদি আপনি বলেন, "তুমি পর্দা করা শুরু করার আগে তো তোমাকে দেখেছিলাম। খুব সুন্দর তুমি!"
কি মনে হয়, সে খুশিতে গদগদ হয়ে যাবে? নাহ্‌! কখনোই না। সে নিজের মধ্যে নিজেকে কুঁকড়ে নিবে। আজন্মের দলা পাকানো কান্না তার গলার কাছে এসে জমাট বাঁধবে।
কেন?
এই মেয়েটাকেই তো এক সময় যদি কেউ "খুব সুন্দর লাগছে" বলতো সে মিষ্টি হেসে জবাব দিতো "থ্যাংক ইউ"।
এখন কেন এই নীরব কান্না?
এই কষ্ট অসন্মানের। তার রব তাকে যে সন্মান দিয়েছেন সেই সন্মান নিয়ে কেন কিছু কীটপতঙ্গ খেলা করবে!?
একজন মুমিন হয়ে মুমিনাদের আগে সন্মান করতে শিখুন তারপর জীবনসঙ্গী বানানোর কথা ভাববেন।
লেখাঃ নুসরাত জাহান মুন



পর্দা করতে গেলে খাটের নীচেও ঢোকা লাগে!

ঈদের দিন প্রতিবেশী এক ভাই এসেছিলেন বাসায়।
আমাকে নাকি অনেক বছর ধরে দেখেন না, তাই-
ডাকাডাকি করছিলেন।
আমি সামনে যাবনা এটা আম্মা এবং আপু উনাকে
বুঝাচ্ছিলেন কিন্তু কে শুনে কার কথা!
আন্দাজি কিসের পর্দা করে বলে উনি নিষেধ সত্ত্বেও -
প্রতি ঘরে ঘরে উঁকি দিচ্ছিলেন।
.
বাধ্য হয়ে খাটের নীচে ঢোকা ছাড়া আমার
আর কোন উপায় ছিলনা.......
আমি জানি সামনে না যাওয়াতে উনি
অপমানবোধ করেছেন...
এমন অপমানবোধ আরো অনেকে করেন.....
আমার নিজের কাজিনরাই মাঝে মাঝে
অভিমান করে!!
.
আর কোনদিন বাসায় আসবেনা বলেও শাসায়....
(তবে নিজের লোকেদের একটা ব্যাপার ভাল লাগে তা হল তারা সামনাসামনি কটু কথা বলে, টিজ করে কিন্তু আড়ালে অনেক প্রশংসা করে...)
কিন্তু তারপরও আমার কি করার আছে?
আমি যার দাসত্ব করি সেই মালিক যদি আমাকে
অনুমতি না দেন গায়রে মাহরামের সামনে যেতে
তবে আমার কি করার থাকতে পারে!
যার হাতে আমার জীবন-মরণ, যার কাছে
আমাকে ফিরে যেতে হবে!
আমার সমস্ত কর্মফল নিয়ে তাঁর অবাধ্যতা
করে কি নিজের ধ্বংস নিজেই ডেকে আনব?
নিজ ভাল তো পাগলেও বুঝে........
আমি কেন বুঝবনা???
পর্দার গুরুত্ব যে বুঝেনা তাকে তা বুঝানো বেশ কঠিন।
.
গায়রে মাহরাম থেকে আড়ালে থাকা,
বাইরে গেলে ফুল প্যাকেট হয়ে বের হওয়া,
পূর্ণ পর্দার সাথে জীবন যাপন করা চাট্টিখানি কথা
না.!
এভাবে চলতে গেলে অনেক কষ্ট করতে হয়,
নিজের ভাল লাগার অনেক কিছু থেকে দূরে থাকতে হয়!
অনেক স্যাক্রিফাইস করতে হয়!
তবু অনেক টিজ শুনতে হয়!
আমার আম্মাকে প্রায়ই শুনতে হয়-
আপনার মেয়ের বিয়ে ক্যামনে দিবেন!
এই মেয়ের তো কিছুই দেখা যায়না....
ভূতের মত চলাফেরা করে...
কেউ সরাসরি আমাকেই বলে- এই মেয়ে, জামাই
পাব কই আমরা?
এই বয়সে এগুলা করতে কে বলেছে?
--
আমার সরল স্বীকারোক্তি- আমার আল্লাহ
বলেছেন....
তখন কারো মুখে কথা থাকেনা....
কিছু প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে হয়, চুপ থাকতে হয়!
কিন্তু মনের মাঝে একটা ব্যাপার ঘুরপাক খায়-
এরা পর্দার সাথে বিয়ে কে কেন টেনে আনে?
পর্দা করার জন্য যদি বিয়ে না হয় তো না
হোক....তাতে আফসোস নেই!!!
©মারজানা ইসরাত
Next Post Previous Post