মেয়েদের মাসিকের সময় মুড সুইং কি? এবং কেনো এমন হয় ?

মেয়েদের মাসিকের সময় মুড সুইং কি? এবং কেনো এমন হয়  ও করনীয় । 


মেয়েদের সাধারণত Premenstrual syndrome (PMS), Premenstrual dysphoric disorder (PMDD), স্ট্রেস, হরমোনের তারতম্য, মানসিক ও আচরণগত কারণ (বিষণ্ণতা, বাইপোলার ডিসওর্ডার ইত্যাদি), বয়ঃসন্ধি, গর্ভাবস্থা, menopause এ mood swing হতে পারে।


সাম্প্রতিক ভাইরাল ট্রেন্
ড অনুসারে ধরে নিচ্ছি, আপনি PMS চলাকালীন মুড স্যুইং সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে জবাব হচ্ছে- প্রতি মাসে পিরিয়ড শুরুর ১-২ সপ্তাহ আগে থেকে PMS দেখা দিতে পারে। যার অসংখ্য লক্ষণের মধ্যে একটা হচ্ছে মুড স্যুইং।


সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায় না, তবে হরমোনের তারতম্য এর জন্যে দায়ী হতে পারে বলে মনে করা হয়।


করণীয় হচ্ছে PMS সম্পর্কে বিস্তারিত জানা ও সচেতন হওয়া এবং ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে আপনার যে সম্পর্ক, সেই অনুযায়ী এই ব্যাপারে তার সাথে “understanding” তৈরি করা।



আপনি সচেতন হতে চাচ্ছেন, সে জন্যে আপনাকে সাধুবাদ। পর্যাপ্ত জ্ঞান, সচেতনতা এবং understanding এর অভাব যে কত প্রকট, সেটা এই কমেন্ট সেকশন থেকেই বোঝা যাচ্ছে। 


একজন নারীর তীব্র মানসিক দোলাচলে বিহ্বল যন্ত্রণাদায়ক একটা সময় লোকের কাছে নিতান্তই তামাশার বিষয়! Pathetic!
Iffat Samrin Muna

মেয়েদের মাসিকের সময় মুড সুইং কি? এবং কেনো এমন হয় ?

মুড সুইং কি?


এমন খুব কম সংখ্যক ছেলে আছে যারা মেয়েদের মুড সুইং এর ব্যাপারে জানে অথবা জেনেও গুরুত্ব দেয় না! একজন মেয়ে হিসেবে বলছি, আগে না বুঝলেও নিজের সাথে ঘটায় এখন বুঝতে পারছি এই ব্যাপারটা একটা অভিশাপ। 


আপনি যদি কখনো দেখেন আপনার মা, বোন, বান্ধবী, প্রেমিকা, স্ত্রী কিংবা কন্যা অকারনে ইমোশনাল হচ্ছে, অযথা রাগ করছে, কাঁদছে, চিৎকার করছে, ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে যাচ্ছে তখন প্লিজ তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন!

কারন হরমোনাল ইমব্যালেন্স, মেন্সট্রুয়াল সাইকেল সহ বিভিন্ন কারণে বেশিরভাগ মেয়ে মুড সুইং এ ভুগে। হঠাৎ হঠাৎ তাদের বিহেভ পাল্টে যায়। ওভার রিঅ্যাক্ট করে।

আমরা মেয়েটাকে সাইকো বলি। কিন্তু মেয়েটা আসলে সাইকো না। আবেগ, মায়া মমতায় ভরা একটা মানুষ সে। মুড সুইং-এ ভুগা মেয়েগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় প্রাণী। ওরা নিজের সাথে যুদ্ধ করে আপনার আমার সাথে নরমাল বিহেভ করতে চায়। কিন্তু তা মাঝেমধ্যে পেরে উঠেনা। ওভার রিঅ্যাক্ট করে ফেলে। ওরা ইচ্ছা করে এমনটা করেনা। ওদের শরীরে বিভিন্ন প্রকার হরমোনের প্রভাবে ওরা এমন করে। হয়তো সে নিজেও জানে না কিভাবে নিজের মুড সুইং কে হ্যান্ডেল করতে হয়......

ওদের এই মুড সুইং টা বেশিভাগ ক্ষেত্রে তার প্রিয় মানুষগুলার সাথে হয়। এই দেখছেন ও খুব হাসি খুশিই আছে কিন্তু হঠাৎ খেয়াল করে দেখলেন সে অন্যরকম বিহেভ করছে। 


হতে পারে সে আপনার কাছ থেকে মনে মনে কিছু চাইতেছে, কিন্তু সেটা প্রকাশ করতে পারছেনা, ও চায় আপনি বুঝুন তাকে কিন্তু যখন দেখে তার কাছের প্রিয় মানুষটা তার চাওয়াটা পূরণ করবে তো দূরে থাক বুঝতেই পারেনি সে কি চায় তখন সে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না, সেই আশা পূরণ না হওয়ার কারণে নিমিষেই সে পাল্টে যায়।

 করে ফেলে আপনার সাথে ওভার রিঅ্যাক্ট। আবার কিছুক্ষণ পরেই সে ঠিক হয়ে যায় কিন্তু আপনি তার মুড সুইং এর ব্যাপারটা ধরতে পারেন নি বলে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আপনিও করে ফেলেন মিসবিহেভ কিংবা তাকে এড়িয়ে চলেন এতে করে সেই মুড সুইং হওয়া মেয়েটি আস্তে আস্তে সবার থেকে গুটিয়ে নেয় নিজেকে।


তাদের কে ন্যাকা, এইমলেস বলে রূঢ় আচরণ না করে বরং এমন একজন স্বামী  হোন যার কাঁধে মাথা রেখে কাঁদা যায়! যার কাছে মন খুলে কিছু কথা বলা যায়! যখন ওদের সবকিছু ভুল মনে হতে থাকে,,, 



নিজেকেই নিজের আর সহ্য না হয়,,, সবকিছু অর্থহীন মনে হতে থাকে,,, তখন চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করে; বিশ্বাস করেন,, ঐ মুহূর্তে স্রেফ একজন শোনার মানুষের দরকার হয়,,

যে কিনা খুব মনোযোগ দিয়ে ভীষণ অগোছালো আর অর্থহীন কথাগুলো কেবলই শুনে যাবে! হয়তো কথা গুলো বলে সে নিজেকে হাল্কা অনুভব করবে।


বাঙালিরা মুড সুয়িং কে ন্যাকামি মনে করে।তাই তো ডিপ্রেশনে বেশি ভোগে শুধু মানুষিক স্বাস্থ্যের যত্ন না নেয়ার কারনে।
ওদের একটু বুঝুন, দেখবেন ঘনঘন মুড সুইং হওয়া মেয়েটা সাইকো না সেও কিন্তু লক্ষী একটা মেয়ে।🙂
-Collected


মুড সুইয়িং নিয়ে কিছু কথা 


মেয়েদের খুব কমন এবং সাধারন কিন্তু অজানা বিষয় গুলার মধ্যে একটা। মিন্সট্রেশনাল পিরিয়ড বা মাসিক হওয়ার একদিন দুদিন আগে এবং মাসিক শেষ হওয়ার ৭/৮ দিনের মধ্যকার সময়টাকে বলা হয়। 


এসময় গুলাতে প্রচন্ড রকমের শারীরিক এবং মানসিক খারাপ লাগা থাকে। এ সময় টাতে অনেক দুর্বল হয়ে যায় মেয়েরা। 

যেমন মাথা ধরা, ঘাড়ের উপর এবং পিছনে ব্যথা অনুভব করা, মানসিক চাপ হওয়া, অকারনে মন মেজাজ খারাপ হয়ে যাওয়া আরো অন্যান্য রকমের সাইড এফেক্ট হয়।

কি করনীয়?

ঋতুবর্তী এই সময়টা মেয়েদের খুব বিপজ্জনক সময়। খুব ভারী কিছু উত্তোলন করা ঠিক নাহ, প্রচুর পানি খাওয়া, আর যতটা সম্ভব একটু কেয়ারে থাকা উচিত। গরম দুধ খেতে পারলে ভালো হয়। আর পরিবারের লোকজনকেও একটু বুঝতে হবে। এ সময়টাতে খাবারে সতর্ক থাকা উচিত।

বি:দ্র: যে বা যারা ব্যপারটাকে নিয়ে ফাইজলামি করছেন, আপনার ঘরের না কিংবা বোনটাকেও এসময় কেয়ার করবেন। এটা কোন ফাইজলামীর বিষয় নয়। আজকে মুড সুয়িং এর অপশন টা মিন্সট্রেশনাল ওয়েতে আছে বলেই আপনি আমি দুনিয়ার আলো বাতাস দেখতেছি।


একটা মেয়ে কতোটা পেইনের মধ্য দিয়ে যায় সেটা আপনারা যদি না বুঝতে পারেন তাহলে সরি। একজন ভালো স্বামী হওয়ার মতো কোয়ালিটি আপনাদের নেই। শুধুমাত্র নিজের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য রাতে নিজের স্ত্রীকে বিবস্ত্র করলেই ভালো স্বামী হওয়া যায় নাহ। আগে শিখুন বুঝুন। আপনার মা এবং বোনটাও কতোটা পেইন নেয় তখন তো হাসাহাসি করেন নাহ? এখন কেনো করছেন আপনারা?

Muskaan Hayat Khan
Next Post Previous Post