জুম্মা মোবারক HD ছবি | জুম্মা মোবারক ছবি স্ট্যাটাস পিকচার ও পিক ডাউনলোড

হাত পরিষ্কার করতে তো হবেই৷ কিন্তু চোখ নাক মুখকে শতভাগ সেফটি দিবেন কীভাবে? যেখানে ভাইরাস দিব্যি বাতাসে কয়েকঘন্টা স্টে করতে পারে। এমনকি হাতে গ্লাভস, নাকে মাস্ক পরেও যদি থাকেন, আপনার চুল, জামা জুতোয় সে ভাইরাস অবস্থান নিতে পারে৷ বাসায় ফিরে হাত ধুয়ে নিলাম। কিন্তু কিছুক্ষণ পর কানে, কপালে বা চুলে হাত দিলাম। অথবা ড্রেসে। বাসার সুইচ, বাইরে থেকে আনা ব্যাগ, টাকা, কিংবা বাহিরে গিয়ে ব্যবহার করা অরক্ষিত মোবাইল বাসায় এসে ধরলাম। আল্লাহর হুকুম হলে এটুকুই যথেষ্ট আক্রান্ত হতে৷ কারণ এসবগুলোতেই ভাইরাস স্টে করতে পারে৷

সুতরাং শুধু মসজিদ এড়িয়েই বেচে গেলাম, এটা ভাবার যৌক্তিকতা আমি অন্তত দেখি না৷ আমি তাকওয়া কিংবা ধর্মীয় আবেদনের প্রসঙ্গে না গিয়েও যুক্তি ও বাস্তবতার বিচারেই বলছি। ছড়িয়ে যাওয়ার পর এই ভাইরাস থেকে বাচার কোন পথ দেখি না। যা করার ছিল, সেটা ভাইরাস আমদানি করার পূর্বেই করা দরকার ছিল। এখন যত সতর্কতার কথাই বলা হোক, তা আর সুরক্ষা নিশ্চিত করবে না৷

তার মানে কি হাত পা চেহারা ধুব না? কিংবা মিনিমাম সতর্কতা এখতেয়ার করব না? হ্যা, সতর্কতা অবলম্বন করব, করতে হবে কারণ হাদিসে এর নির্দেশ আছে৷ কিন্তু মুমিনদের ভরসা আর নির্ভরতা এই ঠুনকো সতর্কতার উপর থাকবে না। ভরসা তো কেবল আল্লাহ তায়ালার উপর। তার হুকুম হলে, সতর্কতা মেনেও আক্রান্ত হতে পারি। কিংবা আক্রান্ত হয়েও বেচে যেতে পারি। সেক্ষেত্রে সবর করলে, হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী শহীদের মর্তবা। এমনকি হাদিসে এটাকে ঈমানদারদের জন্যে 'রহমত'ও বলা হয়েছে৷

-------

মসজিদের ক্ষেত্রে আমরা যে সাবধানতাগুলো মেনে চলব।

১- ব্যক্তিগত রুমাল দিয়ে নিজের উপরিভাগ ঢেকে রাখা৷ বাসায় এসে রুমালটি ধুয়ে ফেলা।

২- নিজস্ব জায়নামাজ ব্যবহার করা।

৩- ঘনঘন হয়ে না বসা, বরং দূরত্ব রেখে বসা। ও কাউকে হাত দিয়ে স্পর্শ না করা৷

৪- উজু করে মসজিদে আসা। উজুতে পরিপূর্ণ সুন্নাহর প্রতি যত্নবান হওয়া। যেমন, আঙুল খিলাল , নাকে পানি দেয়া ও কুলি করা। আর বিশেষভাবে মেসওয়াকের প্রতি যত্নশীল হওয়া৷ এর সবগুলোই যেকোন জার্ম আর ভাইরাসের প্রবেশ স্থল। আল্লাহর শোকর, উজুর মাধ্যমে এই স্থানগুলোকে পরিষ্কার করার ব্যবস্থা মুসলমানদের পূর্ব থেকেই বিদ্যমান আছে। আমাদের সমস্যা হলো, ডাক্তার আর বিজ্ঞানীদের বলার পর আমরা আংগুল খিলাল করছি, ব্রাশ করছি৷ কিন্তু ইসলামে পূর্ব থেকেই এই নির্দেশনাগুলো থাকা সত্ত্বেও আমাদের মধ্যে তেমন আবেদন তৈরি করতে পারে নি। হায় ঈমানের কমজোরি!

-