গোসল কখন ফরজ হয়, গোসল ফরজ হওয়ার কারণ এবং দোয়া ও ছবি
গোসল নিয়ে কথা বললে প্রথমেই বলতে হবে আসলে গোসল কি?
দেহের কোন অংশ ধুলে গোসল হবে এসব, তাই না?
চলুন Wiki থেকে জেনে নিই গোসল এর সংজ্ঞা ,
গোসল কি?
"ইসলামের পরিভাষায়, গোসল হল সমস্ত দেহ ধৌত করার মাধ্যমে পূর্ণ পবিত্রতা অর্জনের একটি পন্থা। কথিপয় ধর্মীয় উপাসনা এবং আচার-আনুষ্ঠান পালনের পূর্বশর্ত হচ্ছে গোসল। সকল প্রাপ্তবয়স্ক মোসলমান নর-নারীর যৌনসঙ্গম , যৌনস্থলন (যেমন : বির্যপাত), রজস্রাবঃ সমাপ্তির পর, সন্তান প্রসবের পর এবং স্বাভাবিক কারণে মৃত্যুর পর গোসল করা ফরজ (বাধ্যতামূলক) হয়। তাছাড়া, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পূর্বে, ঈদের নামাজের পূর্বে, এহরামের পূর্বে, হজ্জের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময়,অজ্ঞান হওয়ার পর সচেতন হলে অথবা আনুষ্ঠানিকভাবে কেঊ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার পূর্বে গোসল করা মুস্তাহাব (উৎসাহিত করা হয়)।
- Wiki"
গোসল কখন ফরজ হয় ?
আলহামদুলিল্লাহ।
গোসল দুই ধরণের হতে পারে: ন্যূনতম বা জায়েয পদ্ধতি, পরিপূর্ণ পদ্ধতি।
জায়েয পদ্ধতিতে মানুষ শুধু ফরযগুলো আদায় করে ক্ষান্ত হয়; সুন্নত ও মুস্তাহাব আদায় করে না। সে পদ্ধতিটি হচ্ছে: পবিত্রতার নিয়ত করবে। এরপর গড়গড়া কুলি ও নাকে পানি দেওয়ার সাথে গোটা দেহে পানি ঢালবে; সেটা যেভাবে হোক না কেন; শাওয়ারের নীচে, সমুদ্রে নেমে, বাথটাবে নেমে ইত্যাদি।
আর গোসলের পরিপূর্ণ পদ্ধতি হচ্ছে: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে গোসল করেছেন সেভাবে গোসলের সকল সুন্নত আদায় করে গোসল করা। শাইখ উছাইমীনকে গোসলের পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে জবাবে তিনি বলেন: গোসল করার পদ্ধতি দুইটি:
প্রথম পদ্ধতি: ফরয পদ্ধতি
সেটা হচ্ছে– গোটা দেহে পানি ঢালা। এর মধ্যে গড়গড়া কুলি ও নাকে পানি দেয়াও রয়েছে। সুতরাং কেউ যদি যে কোনভাবে তার গোটা দেহে পানি পৌঁছাতে পারে তাহলে সে বড় অপবিত্রতা মুক্ত হয়ে পবিত্র হয়ে যাবে।
যেহেতু আল্লাহ্ তাআলা বলেছেন: “যদি তোমরা জুনুবি হও তাহলে প্রকৃষ্টভাবে পবিত্রতা অর্জন কর।”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬]
দ্বিতীয় পদ্ধতি: পরিপূর্ণ পদ্ধতি
সেটা হচ্ছে– নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেভাবে গোসল করতেন সেভাবে গোসল করা। যে ব্যক্তি জানাবাত (অপবিত্রতা) থেকে গোসল করতে চায় তিনি তার হাতের কব্জিদ্বয় ধৌত করবেন। এরপর লজ্জাস্থান ও লজ্জাস্থানে যা লেগে আছে সেসব ধৌত করবেন।
এরপর পরিপূর্ণ ওযু করবেন। এরপর মাথার উপর তিনবার পানি ঢালবেন। এরপর শরীরের অবশিষ্টাংশ ধৌত করবেন। এটাই হচ্ছে পরিপূর্ণ গোসলের পদ্ধতি।[ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম থেকে সমাপ্ত, পৃষ্ঠা-২৪৮]
দুই:
জানাবাত (অপবিত্রতা) এর গোসল ও হায়েযের গোসলের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তবে, অপবিত্রতার গোসলের চেয়ে হায়েযের গোসলে মাথার চুল অধিক প্রকৃষ্টভাবে মর্দন করা মুস্তাহাব। অনুরূপভাবে নারীর রক্ত প্রবাহিত হওয়ার স্থানে সুগন্ধি ব্যবহার করাও মুস্তাহাব যাতে করে দুর্গন্ধ দূর হয়ে যায়।
ইমাম মুসলিম (৩৩২) আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: “আসমা (রাঃ) একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে হায়েযের গোসল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল। তিনি বললেন, তোমাদের কেউ পানি ও বরই পাতা নিয়ে সুন্দরভাবে পবিত্র হবে। তারপর মাথায় পানি ঢেলে দিয়ে ভালভাবে রগড়ে নিবে যাতে করে সমস্ত চুলের গোড়ায় পানিপৌঁছে যায়। তারপর গায়ে পানি ঢালবে।
এরপর একটি সুগন্ধিযুক্ত কাপড় নিয়ে তা দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করবে। আসমা বলল: তা দিয়ে কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে? তিনি বললেন, সুবহানাল্লাহ! তা দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করবে। অতঃপর আয়েশা (রাঃ) তাঁকে যেন চুপিচুপি বলেন দিলেন, রক্ত বের হবার জায়গায় তা ঝুলিয়ে দিবে।
অতঃপর তিনি জানবাত (অপবিত্রতা) এর গোসল সম্পর্কেও জিজ্ঞাসা করেন। তিনি বললেন: পানি দ্বারা সুন্দরভাবে পবিত্র হবে। তারপর মাথায় পানি ঢেলে দিয়ে ভাল করে রগড়ে নিবে যাতে চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছে যায়। তারপর গায়ে পানি বইয়ে দিবে। আয়েশা (রাঃ) বলেন: আনসারদের মহিলারা কতই না ভাল! দ্বীনি জ্ঞানে প্রজ্ঞা অর্জনে লজ্জাবোধ তাদের জন্য বাধা হয় না।”
এতে দেখা গেল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হায়েযের গোসল ও জানাবাতের গোসলের মধ্যে চুল রগড়ানো ও সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে পার্থক্য করেছেন।
গোসল করার দোয়া
তিন:
জমহুর আলেমের মতে, ওযু ও গোসলের সময় বিস্মিল্লাহ্ পড়া মুস্তাহাব। আর হাম্বলি মাযহাবের আলেমগণ বিস্মিল্লাহ্ পড়াকে ওয়াজিব বলেছেন।
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন: হাম্বলি মাযহাব মতে, ওযুতে বিস্মিল্লাহ্ পড়া ওয়াজিব। তবে এই মর্মে সরাসরি কোন দলিল নেই। কিন্তু তাঁরা বলেন: ওযুতে যেহেতু ওয়াজবি; সুতরাং গোসলে ওয়াজিব হওয়া আরও বেশি যুক্তিযুক্ত। কেননা গোসল বড় পবিত্রতা।
তবে সঠিক অভিমত হচ্ছে, বিস্মিল্লাহ্ পড়া ওয়াজিব নয়। ওযুর মধ্যেও নয়, গোসলের মধ্যেও নয়।[আল-শারহুল মুমতি থেকে সমাপ্ত]
চার:
গোসলের মধ্যে গড়গড়া কুলি ও নাকে পানি দেয়া অবশ্যই থাকতে হবে; যেমনটি এটি হানাফি ও হাম্বলি মাযহাবের অভিমত। ইমাম নববী এ সংক্রান্ত মতভেদ আলোচনা করতে গিয়ে বলেন: গড়গড়া কুলি ও নাকে পানি দেয়া সম্পর্কে আলেমগণের চারটি অভিমত রয়েছে:
১। ওযু ও গোসল উভয় ক্ষেত্রে এ দুইটি সুন্নত। এটি শাফেয়ি মাযহাবের অভিমত।
২। ওযু ও গোসল উভয় ক্ষেত্রে এ দুইটি ওয়াজিব। ওযু-গোসল শুদ্ধ হওয়ার এজন্য এ দুইটি পালন করা শর্ত। এটি ইমাম আহমাদের মত হিসেবে মশহুর।
৩। গোসলের ক্ষেত্রে এ দুইটি পালন করা ওয়াজিব; ওযুর ক্ষেত্রে নয়। এটি ইমাম আবু হানিফা ও তাঁর সাথীবর্গের অভিমত।
৪। ওযু ও গোসলের ক্ষেত্রে নাকে পানি দেয়া ওয়াজিব; গড়গড়া কুলি করা নয়। এটিও ইমাম আহমাদের অভিমত হিসেবে বর্ণিত। ইবনে মুনযির বলেন: আমিও এ অভিমতের প্রবক্তা।[আল-মাজমু (১/৪০০) থেকে সংক্ষেপিত ও সমাপ্ত]
অগ্রগণ্য অভিমত: দ্বিতীয় অভিমতটি। অর্থাৎ গোসলের ক্ষেত্রে গড়গড়া কুলি করা ও নাকে পানি দেয়া ওয়াজিব। এ দুটি পালন করা গোসল শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত।
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) বলেন:
আলেমদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছেন: এ দুইটি পালন করা ছাড়া ওযুর ন্যায় গোসলও শুদ্ধ হবে না। কেউ বলেছেন: এ দুইটি ছাড়াই গোসল শুদ্ধ হবে। সঠিক হচ্ছে– প্রথম অভিমত। দলিল হচ্ছে আল্লাহ্র বাণী: “প্রকৃষ্টভাবে পবিত্রতা অর্জন কর।”[সূরা মায়েদা, আয়াত: ৬] এ বাণী গোটা দেহকে অন্তর্ভুক্ত করে। নাকের ও মুখের অভ্যন্তরীণ অংশও দেহের এমন অংশ যা পবিত্র করা ফরয। এ কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ওযুর মধ্যে এ দুইটি পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। যেহেতু আল্লাহ্র বাণী: “তোমাদের মুখমণ্ডল ধৌত কর” এর অধীনে এ দুইটিও অন্তর্ভুক্ত হয়। সুতরাং এ দুইটি যদি মুখমণ্ডল ধোয়ার অধীনে পড়ে যায়; যে মুখমণ্ডল ধৌত করা ওযুর ক্ষেত্রে ফরয সুতরাং গোসলের ক্ষেত্রেও এ দুইটি মুখমণ্ডলের অন্তর্ভুক্ত হবে। কেননা গোসলের ক্ষেত্রে মুখমণ্ডলের পবিত্রতা ওযুর চেয়ে তাগিদপূর্ণ।[আল-শারহুল মুমতি থেকে সমাপ্ত]
পাঁচ:
যদি আপনি অতীতে গোসলকালে গড়গড়া কুলি করা কিংবা নাকে পানি দেয়া পালন না করে থাকেন না-জানার কারণে কিংবা যে আলেমগণ এ দুটোকে ওয়াজিব বলেন না তাদের অভিমতের উপর নির্ভর করার কারণে সেক্ষেত্রেও আপনার গোসল সহিহ এবং এ গোসলের ভিত্তিতে আপনার আদায়কৃত নামাযও সহিহ; আপনাকে সে সকল নামায পুনরায় পড়তে হবে না। যেহেতু গড়গড়া কুলি ও নাকে পানি দেয়া সংক্রান্ত আলেমগণের মতভেদ অত্যন্ত শক্তিশালী যেমনটি ইতিপূর্বে আলোচিত হয়েছে।
আল্লাহ্ সকলকে তাঁর পছন্দনীয় ও সন্তোষজনক আমল করার তাওফিক দিন।
আল্লাহ্ই সর্বজ্ঞ।
গোসল এর ফরজ কয়টি ও কি কি
গোসলের ফরজ কাজ হলো তিনটি। এ তিনটি কাজ যথাযথভাবে পালন না করলে ফরজ গোসল আদায় হয় না।
১. কুলি করা । (বুখারি, হাদিস : ২৫৭, ২৬৫, ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৫৬৬)
২. নাকে পানি দেওয়া। (বুখারি, হাদিস : ২৬৫, ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৫৬৬)
৩. সারা শরীরে এমনভাবে পানি পৌঁছানো, যাতে কোনো স্থান শুকনা না থাকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ২১৭)
গোসলের সুন্নত
সুন্নতমতো গোসল করার জন্য নিম্নোল্লিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখা প্রয়োজন, যাতে গোসল পরিপূর্ণ হয়।
১. গোসল আরম্ভ করার আগে বিসমিল্লাহ পাঠ করা। (জমউল জাওয়ামে, হাদিস : ১৩০৭৩)
২. পবিত্রতা অর্জনের নিয়ত করা। (বুখারি, হাদিস : ১)
৩. উভয় হাতকে প্রথমে কবজি পর্যন্ত ধৌত করা। যেমন ওজুতে ধোয়া হয়। (বুখারি, হাদিস : ২৪০)
৪. কাপড় বা শরীরে নাপাকি লেগে থাকলে তা গোসলের আগে ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া। (মুসলিম : ৪৭৪)
৫. গোসলের আগে অজু করা। কিন্তু জায়গা যদি এত নিচু হয় যে পানি জমে যায়, তাহলে পা পরে ধৌত করা। (বুখারি ২৪০, ২৪১)
৬. পুরো শরীরে তিনবার পানি প্রবাহিত করা। (মুসলিম, হাদিস : ৪৭৪, ৪৭৬)
গোসলের প্রকারভেদ
গোসল তিন প্রকার—ফরজ, সুন্নত ও মুস্তাহাব।
গোসল কখন ফরজ হয় : চারটি কারণের একটি পাওয়া গেলে গোসল ফরজ হয়।
১. কামনা পূরণের পর গোসল ফরজ হয়। যেমন—সহবাস, স্বপ্নদোষ বা যেকোনো উপায়ে বীর্যপাত হলে। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৬)
২. নারীদের মাসিক রক্তস্রাব বন্ধ হওয়ার পর পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল ফরজ। (বুখারি, হাদিস : ৩০৯)
৩. মেয়েদের নেফাস (সন্তান প্রসবের পরের রক্ত) বন্ধ হওয়ার পর গোসল ফরজ হয়। (কানজুল উম্মাল ৯/১১০৯)
৪. মৃত ব্যক্তিকে গোসল দেওয়া জীবিতদের ওপর ফরজ। (বুখারি, হাদিস : ১১৭৫)
কখন গোসল করা সুন্নত?
১. জুমার নামাজের জন্য গোসল করা সুন্নত। (তিরমিজি, হাদিস : ৪৮৬)
২. দুই ঈদের নামাজের জন্য গোসল করা সুন্নত। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩০৬)
৩. ইহরামের জন্য। (তিরমিজি, হাদিস : ৭৬০)
৪. হজযাত্রীদের জন্য আরাফায় অবস্থানকালে গোসল করা সুন্নত। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩০৬)
কখন গোসল করা মুস্তাহাব?
কয়েকটি অবস্থায় গোসল করা মুস্তাহাব।
১. শাবান মাসের ১৪ তারিখ রাতে। (জামেউল আহাদিস ৩৯/৪৮৬, আলফিকহুল ইসলামী : ১/৪৮০)
২. কদরের রাতে। (বুখারি, হাদিস : ৩৪)
৩. সূর্য ও চন্দ্র গ্রহণের নামাজ এবং বৃষ্টি প্রার্থনার নামাজের জন্য গোসল করা মুস্তাহাব। (আবু দাউদ : ২৯৯)
৪. ভীতিকর পরিস্থিতি, ব্যাপক অন্ধকার এবং প্রচণ্ড মেঘের সময় গোসল করা মুস্তাহাব। (সুরা হাক্কাহ : ৬)
৫. নতুন কাপড় পরিধানের সময়। (তিরমিজি, হাদিস : ২৭২৩)
৬. গোনাহ ক্ষমা চাওয়ার সময়। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪২৪০)
৭. সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের সময়। (তিরমিজি, হাদিস : ২৭২৩)
৮. মদিনা মুনাওয়ারায় প্রবেশের সময়। (দারাকুতনি, হাদিস : ২৭২৬)
৯. মক্কা মুকাররমায় প্রবেশের জন্য গোসল করা মুস্তাহাব। (বুখারি, হাদিস : ১৪৭০)
১০. কোরবানির দিন সকালে মুজদালিফায় অবস্থানের সময় এবং তাওয়াফে জিয়ারাতের জন্য গোসল করা মুস্তাহাব। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৯৯)
১১. মৃত ব্যক্তিকে গোসল দানকারীর জন্য গোসল করা মুস্তাহাব। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৭৪৯)
১২. শিঙা লাগানোর পর। (আবু দাউদ, হাদিস : ২৯৪)
১৩. মাতাল বা বেহুঁশ ব্যক্তির স্বাভাবিক জ্ঞান ফেরার পর। (বুখারি, হাদিস : ৬৪৬)
১৪. ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সময়, যদি সে পাক থাকে তবু গোসল করা মুস্তাহাব। কিন্তু সে যদি নাপাক থাকে, তবে তো গোসল করা ফরজ। (সহিহ ইবনে হিব্বান : ৪/৪২, সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৬)
লেখক : ইসলামী গবেষক (https://www.kalerkantho.com/)
শে ষ - নিচের লেখা পড়ে লা ভ নাই
যখন কেউ সকালে ঠাণ্ডা ঝরনা গ্রহণ করেন তখন অগণিত সুবিধা রয়েছে । শুধু কি? আসুন দেখুন।
স্নান নিজেকে জল এবং সাবান দিয়ে পরিষ্কার করার একটি ক্রিয়াকলাপ। এইভাবে, দিন শুরু করতে শরীর আরও সতেজ হতে পারে।
আরও পড়ুন: পুরুষরা নোংরা না, এই কারণ আমাদের বগল চুল কাটা উচিত
বিভিন্ন উত্স থেকে সংক্ষিপ্ততর একটি শীতল ঝরনার 8 টি সুবিধা এখানে দেওয়া হয়েছে:
1.
ভোর হওয়ার আগে বা ভোর চারটায় ইমিউন স্নান লিম্ফ্যাটিক গতিবিধি বাড়াতে পারে। ঠিক আছে, লিম্ফ্যাটিক কর্মক্ষমতা শ্বেত রক্ত কোষকে দেহে সংক্রমণ এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে উত্সাহিত করতে পারে।
এটি হ'ল ঠান্ডা ঝরনার সুবিধা রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে পারে।
২. উর্বরতা
ভোর হওয়ার আগে একটি শুভ সকাল স্নান করা উচিত । কারণ, সেই সময়ে একজন ব্যক্তির উর্বরতার হার বৃদ্ধি পেতে পারে কারণ পুরুষ টেস্টোস্টেরন এবং মহিলা এস্ট্রোজেন উত্পাদন করার ট্রিগারটি সকালের ঝরনা।
৩.
সকালে চুল স্নান করা সাধারণত বরফ জলের মতোই ঠান্ডা থাকে। ঠিক আছে, ঠান্ডা জল চুলকে অনেক স্বাস্থ্যকর এবং শক্তিশালী করতে পারে আপনি জানেন!
তাই আপনারা যাদের চুল পড়া সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে আপনি এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
৪. রক্ত প্রবাহ
শরীরের নীচের অংশে শীতল জলকে জল দেওয়া মাথার ছিদ্রগুলিকে ময়শ্চারাইজ এবং শক্ত করতে পারে। এটি আরও সহজে মসৃণভাবে রক্ত প্রবাহকে উত্সাহ দেয়।
5. হতাশা
শুধুমাত্র একটি উত্তাপ স্নান যা চাপ মোকাবেলা করতে পারে না, তবে একটি শীতল ঝরনাও করতে পারে। অক্সিজেন শরীরের সমস্ত অংশে মসৃণ প্রবাহিত হওয়ায় এটি ঘটে।
অক্সিজেনের চাহিদা পূরণের সাথে সাথে একজন ব্যক্তির মানসিক চাপ এবং হতাশা হ্রাস করা যায়।
We. ওজন হ্রাস
আপনারা যাদের ওজন নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন, তারা সকালের ঝরনা গ্রহণের সমাধান হতে পারে। সুতরাং, শীতকালে শরীরে ফ্যাট টিস্যু সক্রিয় থাকবে এবং তাপশক্তিতে পরিণত হবে।
Heart. হার্ট
যখন সকালে শরীর ঠান্ডা জল পায় এটি শরীর থেকে একটি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া শুরু করতে পারে। কারণ দেহের শীতল পরিস্থিতি শরীরকে বাইরে থেকে উষ্ণ বাতাসের সন্ধান করে যাতে এটি দেহে অক্সিজেনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
অক্সিজেনের মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে হার্টের কর্মক্ষমতা আরও ভাল এবং স্বাস্থ্যকর হবে
শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য গোসলের 5 টি সুবিধা, হ্যাঁ আর অলস করবেন না!
1. একটি স্বাস্থ্যকর সংবহন সিস্টেম এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখা
শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য স্নানের 5 টি সুবিধা, হ্যাঁ আর অলস করবেন না!
যতক্ষণ আপনি অধ্যবসায় করে ঝরনা ঝরান ততক্ষণ শরীরের সঞ্চালনটি মসৃণতার গ্যারান্টিযুক্ত। কারণ স্নানের সময় রক্ত মসৃণ প্রবাহিত হবে এবং সমস্যা থেকে বাঁচবে। প্লাস স্নান প্রতিরোধ ব্যবস্থাও জোরদার করতে পারে কারণ যখন আমরা শরীরকে পরিষ্কার করি তখন ব্যাকটেরিয়া অদৃশ্য হয়ে যায়।
2. শ্বাসযন্ত্রের সিস্টেমটি কার্যকর করা
শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য স্নানের 5 টি সুবিধা, হ্যাঁ আর অলস করবেন না!
বাথটাবে ভিজিয়ে বা গোসল করা শ্বাসযন্ত্রের সুবিধাকে সহজ করতে পারে কারণ ডুবে যাওয়া বুক এবং মাথার পিছনে ফুসফুসে অক্সিজেনের ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
৩.পচজনিত সমস্যার জন্য ভাল
শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য স্নানের 5 টি সুবিধা, হ্যাঁ আর অলস করবেন না
হজম বা অত্যধিক ওজনের সমস্যার মতো গোসলের মাধ্যমে হজমের সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে পারে। গোসলের যন্ত্রণা গোসলের মাধ্যমে মুক্তি পেতে পারে এবং শরীরের অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কারণ গোসলের সময় শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা হ্রাস পায় যাতে ডায়াবেটিস রোগীদের পক্ষে ওজন পরিচালনা করা সহজ হয়।
৪. হার্টের স্বাস্থ্যের মান উন্নত করুন
শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য স্নানের 5 টি সুবিধা, হ্যাঁ আর অলস করবেন না!
যখন আমরা উষ্ণ জল দিয়ে স্নান করি তখন হৃদয় দ্রুত বীট হয় এবং হৃদয়ের কার্যকারিতা উন্নত করে। সারা দিনের ক্রিয়াকলাপ করার পরে যখন আপনার শরীর ক্লান্ত বোধ করে তখন আপনি গরম জল দিয়ে স্নান করার চেষ্টা করতে পারেন। এটি পেশীর টান এবং জয়েন্টগুলির সমস্যাগুলিও শিথিল করতে পারে।
৫. মেজাজ উন্নতি করুন
শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য স্নানের 5 টি সুবিধা, হ্যাঁ আর অলস করবেন না!
স্নান সুখের সাথে যুক্ত হরমোন সেরোটোনিনের উত্পাদনের স্তর বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই উত্তরটি কেন স্নানের পরে আমরা প্রায়শই ভাল, সতেজ এবং একটি ভাল মেজাজ অনুভব করি ।
উপরে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য স্নানের কিছু ভাল সুবিধাগুলি জানার পরে, এখন আপনি আর স্নান করতে অলস হতে পারবেন না। আপনি যদি এখনও অলস স্নানের সংস্কৃতি বজায় রাখেন তবে এটি অনেক কিছুই হারাতে চলেছে।