ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস এর ইতিহাস, গল্প, ছবি ২০২৪
ভ্যালেন্টাইন ডে এর ইতিহাস। ভালোবাসা দিবসের পিকচার, শুভেচ্ছা ২০২৪ ছবি
ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস |
ভ্যালেন্টাইন ডে এর একাধিক ইতিহাস আছে ।কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল নাকি সবই গাল গপ্প তা বুঝা দায়।
চলুন দুই ইতিহাস ই জানিনা। এখানে ৫ টি ইতিহাস সংক্ষেপে তুলে ধরা আছে।
এবং লেখার মাঝে মাঝে ২০ টির বেশি HD ভালোবাসা দিবসের পিকচার বা ছবি পাবেন। ছবি গুলো হারাম কাজে ইউজ নিষিদ্ধ।
তাও যদি হারাম প্রেম ভালবাসায় ইউজ করেন তাহলে তার দায় আপনার। আমি দায় মুক্ত।
ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে এর ইতিহাস
ভালোবাসা দিবস এর ইতিহাস ০১
পাশ্চাত্যের ক্ষেত্রে জন্মদিনের উৎসব, ধর্মোৎসব সবক্ষেত্রেই ভোগের বিষয়টি মুখ্য। তাই গির্জা অভ্যন্তরেও মদ্যপানে তারা কসুর করে না। খৃস্টীয় এই ভ্যালেন্টাইন দিবসের চেতনা বিনষ্ট হওয়ায় ১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ভ্যালেইটাইন উৎসব নিষিদ্ধ করা হয়। ইংল্যান্ডে ক্ষমতাসীন পিউরিটানরাও একসময় প্রশাসনিকভাবে এ দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানিতে বিভিন্ন সময়ে এ দিবস প্রত্যাখ্যাত হয়। সম্প্রতি পাকিস্তানেও ২০১৭ সালে ইসলামবিরোধী হওয়ায় ভ্যালেন্টাইন উৎসব নিষিদ্ধ করে সেদেশের আদালত।
ভ্যালেন্টাইন ডে ইতিহাস ঃ ২০২৪ সাল
ভালোবাসা দিবস |
১৪ ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবস কেনো?
ষ্টীয় ইতিহাস মতে, ২৬৯ খৃষ্টাব্দের কথা।সাম্রাজ্যবাদী, রক্তপিপাষু রোমান সম্রাট
ক্লডিয়াসের দরকার এক বিশাল সৈন্যবাহিণীর। এক
সময় তার সেনাবাহিনীতে সেনা সংকট দেখা দেয়।
কিন্তু কেউ তার সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে রাজি
নয়। সম্রাট লক্ষ্য করলেন যে, অবিবাহিত যুবকরা
যুদ্ধের কঠিন মুহূর্তে অত্যধিক ধৈর্যশীল হয়। ফলে
তিনি যুবকদের বিবাহ কিংবা যুগলবন্দী হওয়ার উপর
নিষেধাজ্ঞা জারী করেন।
যাতে তারা
সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অনীহা প্রকাশ না
করে। তার এ ঘোষণায় দেশের যুবক-যুবতীরা ক্ষেপে
যায়। যুবক সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের এক ধর্মযাজকও
সম্রাটের এ নিষেধাজ্ঞা কিছুতেই মেনে নিতে
পারেননি। প্রথমে তিনি সেন্ট মারিয়াসকে
ভালবেসে বিয়ের মাধ্যমে রাজার আজ্ঞাকে
প্রত্যাখ্যান করেন এবং তার গীর্জায় গোপনে বিয়ে
পড়ানোর কাজও চালাতে থাকেন। একটি রুমে বর-বধূ
বসিয়ে মোমবাতির স্বল্প আলোয় ভ্যালেন্টাইন ফিস
ফিস করে বিয়ের মন্ত্র পড়াতেন। কিন্তু এ বিষয়টি
এক সময়ে সম্রাট ক্লডিয়াসের কানে গেলে সেন্ট
ভ্যালেন্টাইনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। ২৭০
খৃষ্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি সৈন্যরা ভ্যালেন্টাইনকে
হাত-পা বেঁধে টেনে-হিঁচড়ে সম্রাটের সামনে
হাজির করলে তিনি তাকে হত্যার আদেশ দেন।
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস
ঘটা করে পালিত হতো রোমীয় একটি রীতি। মধ্য
ফেব্রুয়ারিতে গ্রামের সকল যুবকরা সমস্ত মেয়েদের
নাম চিরকুটে লিখে একটি পাত্রে বা বাক্সে জমা
করত। অতঃপর ঐ বাক্স হতে প্রত্যেক যুবক একটি করে
চিরকুট তুলত, যার হাতে যে মেয়ের নাম উঠত, সে
পূর্ণবৎসর ঐ মেয়ের প্রেমে মগ্ন থাকত। আর তাকে
চিঠি লিখত, এ বলে ‘প্রতিমা মাতার নামে তোমার
প্রতি এ পত্র প্রেরণ করছি।’ বৎসর শেষে এ সম্পর্ক
নবায়ন বা পরিবর্তন করা হতো। এ রীতিটি কয়েকজন
পাদ্রীর গোচরীভূত হলে তারা একে সমূলে উৎপাটন
করা অসম্ভব ভেবে শুধু নাম পাল্টে দিয়ে একে
খৃষ্টান ধর্মায়ণ করে দেয় এবং ঘোষণা করে এখন
থেকে এ পত্রগুলো ‘সেন্ট ভ্যালেনটাইন’-এর
প্রেরণ করতে হবে। কারণ এটা খৃষ্টান নিদর্শন, যাতে
এটা কালক্রমে খৃষ্টান ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে
যায়।
৫। ভালবাসা দিবসের উৎপত্তি কিভাবে
প্রাচীন রোমে দেবতাদের রাণী জুনোর সম্মানে ১৪
ফেব্রুয়ারি ছুটি পালন করা হতো। রোমানরা বিশ্বাস
করত যে, জুনোর ইশারা-ইঙ্গিত ছাড়া কোন বিয়ে
সফল হয় না। ছুটির পরদিন ১৫ ফেব্রুয়ারি
লুপারকালিয়া ভোজ উৎসবে হাজারও তরুণের মেলায়
র্যাফেল ড্র’র মাধ্যমে সঙ্গী বাছাই প্রক্রিয়া চলত।
এ উৎসবে উপস্থিত তরুণীরা তাদের নামাংকিত
কাগজের সিপ জনসম্মুখে রাখা একটি বড় পাত্রে
ফেলত। সেখান থেকে যুবকের তোলা সিপের
তরুণীকে কাছে ডেকে নিত। কখনও এ জুটি সারা
বছরের জন্য স্থায়ী হত এবং ভালবাসার সিঁড়ি বেয়ে
বিয়েতে গড়াতো।
ঐ দিনের শোক গাঁথায় আজকের এই "ভ্যালেন্টাইন
ডে"।
ভালোবাসা দিবস ছবি |
৬। ভ্যালেন্টাইন ডে গল্প
পৌত্তলিক(অগ্নি উপাসক রোমের পৌরাণিককাহিনীতে রোমিউলাস নামক এক ব্যক্তি ছিল।
একদা রোমিউলাস নেকড়ের দুধ পান করায় অসীম
শক্তি ও জ্ঞানের অধিকারী হয়ে প্রাচীন রোমের
প্রতিষ্ঠা করেন।
রোমানরা এই পৌরাণিক
কাহিনীকে কেন্দ্র করে ১৫ই ফ্রেব্রুয়ারী উৎসব
পালন করত। উৎসবের দিন তারা একটি কুকুর ও একটি
পাঠা বলি দিত। দুজন শক্তিশালী যুবক বলির রক্ত
সারা গায়ে মাখতো এবং পরে তা দুধ দিয়ে ধুয়ে
ফেলত। অত:পর সেই দুই শক্তিশালী যুবকের নেতৃত্বে
শহরে প্যারেড অনুষ্ঠিত হতো। সেই দুই যুবক তাদের
হাতে থাকা চামড়ার রশি দিয়ে সম্মুখে আগত যে
কাউকে আঘাত করত। রোমান নারীরা এই আঘাত
আনন্দচিত্তে গ্রহণ করতো। কেননা তারা বিশ্বাস
করত, এর ফলে তারা ভবিষ্যতে বন্ধ্যাত্ব থেকে রক্ষা
পাবে, আর বন্ধ্যা মহিলারা তাদের অনুর্বরতা থেকে
মুক্তি পাবে। তাদের উৎসবের আরেকটি অংশ ছিল
বিবাহযোগ্যা নারীদের নাম লিখে কতগুলো
কাগজের টুকরো রাখা হবে। অত:পর, যে ব্যক্তি, যে
নামের টুকরো তুলত সেই মেয়েটির সাথেই পরবর্তী
এক বছর কাটাতো । এই এক বছর তারা পরস্পরকে
যাচাই করার সময় পেত।পরবর্তী বছরের এই একই দিনে
হয় তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতো নতুবা একই নিয়মে
নতুন সঙ্গী গ্রহণ করত। পরবর্তীতে রোমানরা
খ্রীস্টানদের দখলে আসে এবং তাদের অনেকেই
খ্রীস্টধর্ম গ্রহণ করে। খ্রীস্টান ধর্মযাজকরা এই
অনৈতিক, অশ্লীল বিবাহ-বহির্ভূত ব্যবস্থা বাতিল
করেন।
৭। ভালবাসা দিবসের কাহিনী ০১
তিনজন খ্রিস্টান শহীদের নাম অনুসারে দিনটিপালন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত যত জন সেন্ট
ভ্যালেন্টাইনের নাম জানা যায় তাদের মাঝে
সবচেয়ে প্রাচীন আলেকজান্দ্রিয়ার
ভ্যালেন্টাইন। তিনি সম্ভবত ১০০-১৫৩ সময়ে ছিলেন।
বিশপ আব রোম পদের জন্য সে সময় তিনি ছিলেন
শক্তিশালী প্রার্থী। তিনি মনে করতেন অর্থের
বিনিময়ে পরকালে দায়মুক্তির চেয়ে বাসর ঘর
অনেক ভাল। তবে প্রকৃত ভ্যালেন্টান কে ছিলেন এ
নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে। এবং সেই তর্কের
মীমাংসা এখনও হয়নি।
ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা |
৮. ভালবাসা দিবসের কাহিনী ০২
আগেরগুলোর থেকে এইটা একটু অংশে আলাদা।প্রাচীন রোমে খ্রিস্টধর্ম তখন মোটেও জনপ্রিয়
ছিল না। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের শাস্তি দেওয়া
হতো। একদিন রোমের এক কারাপ্রধান তার অন্ধ
মেয়েকে ভ্যালেন্টাইনের কাছে নিয়ে এলেন
চিকিৎসার জন্য। ভ্যালেন্টাইন কথা দিলেন তিনি
তার সাধ্যমতো চিকিৎসা করবেন। চিকিৎসা চলছিল।
হঠাৎ একদিন রোমান সৈন্যরা ভ্যালেন্টাইনকে
বেঁধে নিয়ে গেল। ভ্যালেন্টাইন বুঝতে
পেরেছিলেন, খ্রিস্টান হওয়ার অপরাধে তাকে
মেরে ফেলা হবে। ২৬৯ (কারও মতে ২৭০)
খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি রোম সম্রাট
ক্লডিয়াসের আদেশে ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড
কার্যকর করা হয়। তার আগে ভ্যালেন্টাইন অন্ধ
মেয়েটিকে বিদায় জানিয়ে একটি চিরকুট
লিখেছিলেন। কারাপ্রধান চিরকুটটি দিলেন
মেয়েকে। তাতে লেখা ছিল, 'ইতি তোমার
ভ্যালেন্টাইন।' মেয়েটি চিরকুটের ভেতরে বসন্তের
হলুদ ত্রৌকস ফুলের আশ্চর্য সুন্দর রং দেখলো। তার
অন্ধ দু'চোখে তখন ঝলমলে আলো।
৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে
পোপ জেলাসিয়ুস ফেব্রুয়ারি ১৪ তারিখ
ভ্যালেন্টাইন্স ডে ঘোষণা করেন। সেই থেকে
ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন করছে মানুষ। আরেকটি
সম্পূর্ণ ভিন্নমত আছে। এই মতের লোকেরা বলেন,
ভ্যালেন্টাইনের সঙ্গে প্রিয়জনকে ভালোবাসার
বার্তা পাঠানোর আদৌ কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রাচীনকালে মানুষের বিশ্বাস ছিল, ১৪ ফেব্রুয়ারি
হলো পাখিদের বিয়ের দিন। পাখিরা বছরের
দ্বিতীয় মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডিম পাড়তে বসে।
আবার কেউ বলেন, মধ্যযুগের শেষদিকে মানুষ
বিশ্বাস করত এদিন থেকে পাখিদের মিলন ঋতু শুরু
হয়। পাখিরা সঙ্গী খুঁজে বেড়ায়। পাখিদের
দেখাদেখি মানুষও তাই সঙ্গী নির্বাচন করে এ
দিনে। কারণ যাই হোক, ভালোবাসা প্রকাশের জন্য
এ দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্ভবত ১৪০০ শতক থেকে
ভ্যালেন্টাইন্স ডে উদযাপন শুরু হয় মহাসমারোহে।
আসলে সব গুলা কাহিনীর দেখবেন অনেক অংশই
কমন।কিছু কিছু জায়গায় ভিন্নতা।
যাই হোক, এবার একটু দেখি বাণিজ্যিজীকরণ
কিভাবে হলো।
Valentine Day'হিসেবে ঘোষণার আগে এ দিনটি
পৌত্তলিক ধর্মীয় উৎসবহিসেবে পালিত হতো। তখন
তারা ফেব্রুয়ারি মাসের ১৩ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত
লুপারকেলিয়া উৎসব পালন করত।
ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন ``Valentine Day'কার্ডে
Cupid-এর প্রতীক ব্যবহার করাহয়। এ দিনে রোমানদের
আরেকটি উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি ছিল, প্রেমের
দেবী জুনুর আশীর্বাদ কামনায় যুবকদের মধ্যে
যুবতীদের বন্টনের জন্য লটারিরআয়োজন। তারাযুবতী
মেয়েদের নামলিখে একটি বাক্সে রাখতএবং
লটারির মাধ্যমে যুবকরা এসে নাম তুলত। লটারিতে
যারসাথে যার নাম উঠত এক বছরের জন্য তারা লিভ
টুগেদার করত। এ ধরনের নানা অনৈতিকতা,
কুসংস্কার ওভ্রান্ত বিশ্বাসে আচ্ছন্ন লটারির
মাধ্যমে যুবতীদের বন্টনের রীতি ফন্সান্স সরকার
১৭৭৬ সালে নিষিদ্ধ করেছিল। ক্রমান্বয়ে এটি
ইতালি, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মান থেকেও
উঠে যায়। ইংল্যান্ডেও এক সময় এটি নিষিদ্ধ
করাহয়েছিল।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আধুনিক সভ্যতার এ যুগে
কুসংস্কারাচ্ছন্
তথাকথিত প্রেমিক উৎসব চালু হলো কিভাবে? ইস্টার
এ হল্যান্ড নামক এক চতুর কার্ড বিক্রেতা কোম্পানি
প্রথম'What Else Valentine'নামে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে
আমেরিকান ভ্যালেন্টাইন ডে কার্ড বানায় এবং
প্রথম বছরই ৫০০০ ডলারেরকার্ড বিক্রি হয়। পরে
সুযোগসìধানীমিডি
ভ্যালেন্টাইন ডে ফুলে-ফেঁপে ওঠে।
বাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইনস ডে
যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান এর মাধ্যমে। এই লোকই বাংলাদেশে সমকামিতা, চটি, অজাচার এর প্রচার প্রসার ঘটানোর পিছনে কাজ করছে।
১৯৯৩ সালের দিকে বাংলাদেশে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের আর্বিভাব ঘটে। যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমান এর প্রবক্তা। পাশ্চাত্যের প্রভাব নিয়ে দেশে এসে লন্ডনি সংস্কৃতির চর্চা শুরু করেন। লন্ডনি সংস্কৃতি না বলে লন্ডনি অজাচার বলায় ভালো।
তিনি প্রথম যায়যায়দিন পত্রিকার মাধ্যমে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস বাংলাদেশিদের কাছে তুলে ধরেন।
ভ্যালেন্টাইন ডে পিকচার |
ভালোবাসা দিবস কবে ?
১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস।- প্রস্তাব দিবস
- গোলাপ দিবস
- চকোলেট দিবস
- ব্লা ব্লা
ভালবাসা দিবসের ক্ষতি
১) ভালবাসা নামের এ শব্দটির সাথে এক চরিত্রহীন লম্পটের স্মৃতি জড়িয়ে যারা ভালবাসার জয়গান গেয়ে চলেছেন, পৃথিবীবাসীকে তারা সোনার পেয়ালায় করে নীল বিষ পান করিয়ে বেড়াচ্ছেন।
গৃহস্বামী যখন দেখল যে, তার জামা পিছন দিক থেকে ছেঁড়া হয়েছে তখন সে বলল, ‘নিশ্চয়ই এটা তোমাদের নারীদের ছলনা, তোমাদের ছলনা তো ভীষণ। হে ইউসুফ! তুমি এটা এড়িয়ে যাও এবং হে নারী! তুমি তোমার অপরাধের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর; তুমিই তো অপরাধী। নগরের কিছু সংখ্যক নারী বলল, ‘আযীযের স্ত্রী তার যুবক দাস হতে অসৎকাজ কামনা করছে, প্রেম তাকে উন্মত্ত করেছে, আমরা তো তাকে স্পষ্ট ভুলের মধ্যে দেখছি। স্ত্রীলোকটি যখন ওদের কানা-ঘুষার কথা শুনল, তখন সে ওদেরকে ডেকে পাঠাল, ওদের জন্য আসন প্রস্তুত করল, ওদের সবাইকে একটি করে ছুরি দিল এবং ইউসুফকে বলল, ‘ওদের সামনে বের হও।’ তারপর ওরা যখন তাঁকে দেখল তখন ওরা তাঁর সৌন্দর্যে অভিভূত হল এবং নিজেদের হাত কেটে ফেলল। ওরা বলল, ‘অদ্ভুত আল্লাহর মাহাত্ম্য! এ তো মানুষ নয়, এ তো এক মহিমান্বিত ফেরেশতা। সে বলল, ‘এ-ই সে যার সম্বন্ধে তোমরা আমার নিন্দা করেছ। আমি তো তার থেকে অসৎকাজ কামনা করেছি। কিন্তু সে নিজেকে পবিত্র রেখেছে; আমি তাকে যা আদেশ করেছি সে যদি তা না করে, তবে সে কারারুদ্ধ হবেই এবং হীনদের অন্তর্ভুক্ত হবে। ইউসুফ বলল, ‘হে আমার প্রতিপালক! এ নারীরা আমাকে যার দিকে ডাকছে তার চেয়ে কারাগার আমার কাছে বেশী প্রিয়। আপনি যদি ওদের ছলনা হতে আমাকে রক্ষা না করেন তবে আমি ওদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ব এবং অজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত হব। তারপর তার প্রতিপালক তার ডাকে সাড়া দিলেন এবং তাকে ওদের ছলনা হতে রক্ষা করলেন। তিনি তো সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।” [সূরা ইউসুফ: ২৩-৩৪]
ভালোবাসা দিবসের পিকচার
ভালোবাসা দিবসের পিকচার |
ভালোবাসা দিবসের পিকচার ০২ |
কীভাবে ব্রেকআপের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে বেদনাদায়ক ব্রেকআপের মাধ্যমে