স্বামী স্ত্রী : স্বামী স্ত্রী নিয়ে হাদিস,কুরআনের আয়াত,সম্পর্ক এবং স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম (মেগা পোস্ট)
স্বামী স্ত্রী নিয়ে হাদিস,কুরআনের আয়াত, এবং স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম ও ভালোবাসার গল্প
স্বামী স্ত্রী হাদিস
উচ্চারণঃ- বিসমিল্লাহি আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ্-শাইত্বানা ওয়া জান্নিবিশ্-শাইত্বানা মা রাযাক্বতানা
স্বামী স্ত্রীর সহবাসের নিয়ম
স্বামী স্ত্রীর মিলন হাদিস
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক
এক বৃদ্ধার সাক্ষাৎকার। যিনি তাঁর স্বামীর সাথে
সফলতার সাথে কাটিয়ে দিলেন দীর্ঘ পঞ্চাশটি
বছর। তাদের জীবন শান্তিতে ভরপুর ছিল।
ঝগড়া তো দুরের কথা, দাম্পত্য জীবনে কখনো কথা কাটাকাটি পর্যন্ত হয়নি। একজন সাংবাদিক এই বৃদ্ধার কাছে তার পঞ্চাশ বছরের স্থায়ী সফলতা রহস্যের ব্যপারে জানতে চাইলেন।
.
-কি ছিল সে রহস্য? মজার মজার খাবার বানানো?
দৈহিক সৌন্দর্য? বেশী সন্তান জন্ম দেয়া? নাকি
অন্যকিছু?
.
বৃদ্ধা বললেন, দাম্পত্য জীবনের সুখ-শান্তি প্রথমত আল্লাহর ইচ্ছা অতপর স্ত্রীর হাতেই। একজন স্ত্রী চাইলে তার ঘরটাকে জান্নাতের টুকরো বানাতে পারেন আবার চাইলে এটাকে জাহান্নামেও পরিনত করতে পারেন।
.
-কিভাবে? অর্থ দিয়ে?
-তা তো হতে পারে না। কেননা অনেক অর্থশালী
মহিলা আছেন, যাদের জীবনে দুঃখ-দুর্দশার শেষ
নেই, যাদের স্বামী তাদের কাছেই ভিড়তে চাননা।
.
-সন্তান জন্ম দান?
-না, তাও নয়। কারন, অনেক মহিলা আছেন, যাদের
অনেক সন্তান আছে, অথচ স্বামী পছন্দ করেন না।
এমনকি এ অবস্থায় তালাক দেওয়ার নজির কম নয়।
.
-ভাল খাবার বানানো?
-এটাও না, কারণ অনেক মহিলা আছেন, যারা রান্না
বান্নায় বেশ দক্ষ, সারা দিন রান্না ঘরে কাজ করে,
অথচ স্বামীর দুর্ব্যবহারের সম্মুখীন হন।
.
তার কথায় সাংবাদিক বিস্মিত হয়ে গেলেন,
বললেন,তাহলে আসল রহস্যটা কি?
বৃদ্ধা বললেন, যখনই আমার স্বামী রেগে গিয়ে
আমাকে বকাবকি করতেন, আমি অত্যন্ত সম্মান
দেখিয়ে নিরবতা অবলম্বন করতাম এবং অনুতপ্ত হয়ে
মাথা দুলিয়ে তার প্রতিটি কথায় সায় দিতাম।
সাবধান! বিদ্রুপের দৃষ্টিতে কখনো চুপ হয়ে থেকো
না, কেননা পুরুষ মানুষ বিচক্ষণ হয়ে থাকে, এটা
সহজেই বুঝতে পারে।
.
সাংবাদিক: ঐ সময় আপনি ঘর থেকে বের হয়ে যান
না কেন?
-বৃদ্ধা: সাবধান! সেটা কখনো করবেন:না।
তখন তিনি মনে করবেন, আপনি তাঁর কথায় বিরক্ত হয়ে পালাতে চাচ্ছেন।আপনার উচিত, চুপ থেকে ওর প্রতিটি কথায় হা সুচক সায় দেওয়া, যতক্ষণ না তিনি শান্ত হন। অতপর আমি তাকে বলি, আপনার শেষ হয়েছে? এবার আমি যেতে পারি? তারপর আমি চলে যাই, আর আপন কাজে লেগে যাই। কারন চিৎকার করে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন,তার বিশ্রাম প্রয়োজন।
.
সাংবাদিক: এরপর কি করেন? এক সপ্তাহ খানেক
তার থেকে দূরে থাকেন, এবং কথা বলা বন্ধ রাখেন
নিশ্চয়?
বৃদ্ধা: সাবধান! এ ধরনের বদভ্যাস থেকে দূরে থাকুন।
যা দুধারা তরবারির চেয়েও মারাত্মক। স্বামী যখন
আপনার সাথে আপোষ করতে চান তখন যদি আপনি তার কাছে না যান, তখন তিনি একা থাকতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। কখনো কখনো এ অবস্থাতাকে প্রচন্ড জিদের দিকে ঠেলেদেবে।
.
সাংবাদিক: তাহলে কি করবেন তখন?
বৃদ্ধা: দুই ঘন্টা পর এক গ্লাস দুধ বা এক কাপ গরম চা
নিয়ে তার কাছে যাই,আর বলি, নিন, এগুলো খেয়ে
নিন,আপনি খুব ক্লান্ত। এসময় তার সাথে অত্যন্ত
স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলি? তারপর তিনি বলেন,
রাগ করেছো? আমি বলি, না।তারপর, তার দূর্ব্যবহারে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং স্নেহ ও ভালবাসার কথা বলেন।
.
সাংবাদিক: আপনি কি তার কথা তখন বিশ্বাস
করেন?
বৃদ্ধা: অবশ্যই। কেন নয়? শান্ত থাকা অবস্থায় যা
বলেন তা বিশ্বাস না করে, রাগান্বিত অবস্থায় যা
বলেনতা বিশ্বাস করব?
.
সাংবাদিক: তাহলে আপনার ব্যক্তিত্ব?
বৃদ্ধা: আমার স্বামীর সন্তুষ্টিই আমার ব্যক্তিত্ব।
আমাদের স্বচ্ছ সম্পর্কই আমাদের ব্যক্তিত্ব। আর
স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোন ব্যক্তিত্ব থাকেনা। যার
সামনে তুমি পুরোপুরি ভাবে বস্ত্রমুক্ত হয়েছ, তার
কাছে কিসের ব্যক্তিত্ব?
.
.
ধন্য তুমি হে নারী! যদি তোমাকে বানানো হয়েছে প্রিয়তমা স্ত্রী, মমতাময়ী মা, ধরনীর বুকে পুরুষের সর্বোত্তম নেয়ামত। তুমি যদি মহান রবের অতি মহত সৃষ্টি না হতে, তাহলে তোমাকে জান্নাতের হুর বানানো হতো
না, যা আল্লাহ তার অতি প্রিয় বান্দাদের দান
করবেন পুরস্কার হিসেবে।
.
ধন্য তুমি হে নারী! শৈশবে
পিতার জান্নাতের প্রবেশদ্বার, তারুণ্যে স্বামীর
দ্বীনের পরিপূরক, মাতৃত্ব
জান্নাত হবে তোমার পায়ের নীচে!
স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে কুরআনের আয়াত
বর্ণনা করেন, রাসুলে আকরাম (সাঃ)
বলেনঃ গোটা দুনিয়াই
সম্পদে পরিপূর্ণ। এর
মধ্যে সবচেয়ে উত্তম সম্পদ
হলো পূর্ণবতী স্ত্রী। (মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইয়া (রাঃ) বলেন,
রাসুলে আকরাম (সাঃ) ইরশাদ
করেনঃ যে ব্যক্তির চরিত্র ও আচরণ
সবচাইতে উত্তম, ঈমাদের
দৃষ্টিতে সে-ই পূর্ণাঙ্গ মুমিন।
তোমাদের মধ্যে সেই সব লোক উত্তম,
যারা তাদের স্ত্রীদের
কাছে উত্তম। তিরমিযী)
হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) এর
বর্ণনা মতে, রাসুলে আকরাম (সাঃ)
বলেনঃ কোন স্ত্রী লোক যদি এমন
অবস্থায় মারা যায় যে, তার
স্বামী তার উপর সন্তুষ্ট,
তবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
তিরমিযী)
হযরত আবু হুরাইয়া (রাঃ) এর
বর্ণনা মনে, রাসুলে আকরাম (সাঃ)
বলেনঃ আমি যদি কোন
ব্যক্তিকে অপর কোন ব্যক্তির
সামনে সিজদা করার জন্য নির্দেশ
দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে নির্দেশ
দিতাম তার
স্বামীকে সিজদা করার জন্য।
(তিরমিযী)
হযরম মু’য়াজ ইবনে জাবাল (রাঃ) এর
বর্ণনা মতে, রাসুলে আকরাম (সাঃ)
বলেনঃ যখনই কোন নারী তার
স্বামীকে দুনিয়াতে কষ্ট
দিতে থাকে, তখনই (জান্নাতের)
আয়াতলোচনা হুরদের মধ্যে তার
সম্ভাব্য
স্ত্রী বলেঃ (হে অভাগিনী!)
তুমি তাকে কষ্ট দিওনা। আল্লাহ
তোমায় ধ্বংস করুক! তিনি তোমার
কাছে একজন মেহমান। অচিরেই
তিনি তোমাকে ছেড়ে আমাদের
কাছে চলে আসবেন। (তিরমিযী)
উসামা ইবনে যায়েদ বর্ণনা করেন,
রাসুলে আকরাম (সাঃ)
বলেনঃ আমার
অনুপস্থিতে আমি পুরুষদের জন্য
মেয়েদের চাইতে বেশী ক্ষতিকর
ফিতনা (বিপর্যয়) আর রেখে যাইনি।
(বুখারী ও মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন,
রাসুলে আকরাম (সাঃ) ইরশাদ
করেনঃ কোনো ব্যক্তি যদি তার
বিছানায় স্বীয় স্ত্রীকে ডাকে;
কিন্তু
স্ত্রী তাতে সাড়া না দেয়ায়
স্বামী তার উপর অসস্তুষ্ট হয়ে রাত
কাটায়, তাহলে ফেরেশতারা ভোর
পর্যন্ত তার প্রতি অভিশাপ বর্ষণ
করতে থাকে । (বুখারী ও মুসলিম)
হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) বর্ণনা করেন,
স্বামী বাড়ীতে উপস্থিত
থাকা অবস্থায় তার
অনুমতি ছাড়া স্ত্রীর পক্ষে (নফল)
রোযা রাখা বৈধ নয় । তার
অনুমতি ছাড়া কোন ব্যক্তিকে তার
ঘরে ঢোকার অনুমতি দেয়াও তার
(স্ত্রীর) জন্য বৈধ নয়। (বুখারী ও
মুসলিম)
উপরোক্ত হাদিসগুলো রিয়াদুস
সালেহীন বই থেকে সংগ্রহ
করা হয়েছে। (পৃষ্টা নং ১৮৯)
- পবিত্র কোরআন ও হাদিস এর বাণী
স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসার গল্প
.
'সময়' - ক্ষেত্রবিশেষে অনেক বড় একটা গিফট।
.
'আজ সারাদিন কাজের বেশ চাপ ছিল, এখন আমি টায়ার্ড। এখন একবারেই কানের কাছে ক্যান ক্যান করবানা' — দিনশেষে ঘরে ফিরে হয়ত এটাই হয় স্ত্রীর উদ্দেশ্যে আপনার আমার প্রথম কথা।
.
তারপর হয়ত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন বা খবরের কাগজটা হাতে নেন, অথবা টিভি ছেড়ে রিমোট নিয়ে বসেন। অথবা ফেসবুকটা লগিন করে বসে যান। বিশ্বাস করুন এমন রুটিন মোটেও হওয়া উচিত নয়। এভাবে নিজেই আপনি নিজ হাতে আপনার দাম্পত্য জীবন টা কে ধ্বংস করছেন।
.
এমন হওয়া উচিত ছিল যে- আপনি ঘরে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে একটু আপনার স্ত্রী এর সাথে একাকী বসবেন, টিভির রিমোট নয় বরং তার হাতটা ধরে সারাদিনের খবরা খবর জিজ্ঞাসা করবেন, তার অভিযোগ গুলো শুনবেন, মোবাইল নয় বরং তাকে মনযোগ দিবেন।
.
দেশের খবর বা খেলার খবর কিংবা নীল সম্রাজ্যে (ফেসবুকে) কে কী করল তার খবর রাখার থেকে আপনার রাব্বাতুল বাইতের (ঘরের রানী) খবর রাখা আপনার জন্য বেশি জরুরী এবং ফরজ।
.
সে আপনার অনুপস্থিতিতে সারাদিন আপনার ঘর, আপনাদের সন্তান কে আগলিয়ে রেখেছেন, সন্তানকে স্কুলে নিয়ে গিয়েছেন, আপনার জন্য রান্না করেছেন, আপনি এসে শোবেন বলেই বিছানা টা গুছিয়ে রেখেছেন এভাবে আপনার অনেক হক আদায় করেছেন যেগুলোর অনেক কিছু করতেই তিনি বাধ্য নন বা তার উপর ফরজ করা হয়নি। সন্তান থাকলেও আপনার স্ত্রীকে আলাদা ভাবে সময় দিন প্রতিদিন নির্দিষ্ট কিছু সময়। শুধু আপনি আর আপনার স্ত্রী। আর কেউ না।
.
যদি অভিযোগও করে তেল নাই, লবণ নাই, কারেন্ট বিল দেওয়া বাকী হ্যান ত্যান তাও মনযোগ দিয়ে শুনুন। একটা হাসি দিন৷ সেই লজ্জা পাবে। 'শুধু আমি বলেই তোমার সাথে সংসার করে গেলাম' — এটা আমাদের সবার স্ত্রীদের ডিফল্ট সেটিংস। এসবে কিছু মনে করা যাবে না।
.
প্রত্যেক মানুষ চান তার অভিযোগ অভিমান শোনার মত কেউ থাকুক৷ আর মানুষ যাকে সব থেকে বেশি ভালবাসেন তার উপরেই বেশি অভিযোগ করেন, বেশি অভিমান দেখান।
.
আপনিই শুনুন তার অভিযোগ গুলো, এভেন সেগুলো আপনার বিপক্ষে গেলেও। কারন আপনি সু্যোগ না দিলে শয়তান তাকে ওয়াসা দিয়ে হয়ত বাইরের কারো কাছে অভিযোগ গুলো শেয়ার করাবে। এতে আপনার ও তার উভয়েরই ক্ষতি।
.
এখন কিছু প্রশ্ন রাখতে চাই বিবাহিত ভাইদের উদ্দেশ্যে। আমার প্রশ্নগুলো বোনদের পক্ষ থেকে নয় বরং একজন সাংসারিক পুরুষ হিসেবে অপর সাংসারিক পুরুষদের উদ্দেশ্যে।
.
— আপনি শেষ কবে আপনার স্ত্রীর জন্য উপহার হাতে ঘরে ঢুকেছিলেন তাকে চমকে দেবার জন্য? শেষ সারপ্রাইজ কবে দিয়েছেন?
.
— শেষ কবে আপনি আপনার স্ত্রীর জন্য অন্তত কিছু একটা নিয়ে ঘরে ঢুকেছিলেন, একদম নিজ থেকেই, তার কোন আবদার ছাড়াই? হোক না তা ২ টাকার একটা চকলেট বা ৫ টাকার মুড়ি ভাজা!
.
— শেষ কবে আপনি আপনার স্ত্রীকে নিয়ে শপিং এ গিয়েছেন যেখানে আপনার স্ত্রী কেনাকাটার জিনিস বাছাই করতে করতে আপনার মতামত চাইছিল আর আপনি বলছিলেন, "এটা না, ওটা নাও..."? কিংবা তোমাকে এটা না ওটাতে বেশি সুন্দর লাগবে।
.
— শেষ কবে আপনি আপনার স্ত্রীকে বিনা আবদারে বাইরে ঘুরতে নিয়ে গিয়েছিলেন? সামর্থ্যের মধ্যেই একটু খানি লং ট্যুরে?
.
— আপনি দরিদ্র হলে শেষ কবে কাজ থেকে ফিরে বাসায় গিয়েই তাকে নিয়ে বেরিয়ে ২০ টাকার হলেও চপ পেয়াজু খেয়েছেন বা ফুচকা খেতে খেতে আড্ডা দিয়েছেন?
.
— শেষ কবে আপনি আপনার স্ত্রীকে পাশের দোকান থেকে কিছু একটা কিনে দিয়েছিলেন - অন্তত একটা আইসক্রিম?
.
— শেষ কবে তাকে ফুল দিয়েছেন?
.
— আপনার স্ত্রী কোন কসমেটিক্স ব্যবহার করেন তার নাম কেউ বলতে পারবেন? তাকে শেষ কবে নিজে থেকে কসমেটিক্স কিনে দিয়েছেন? সে তো আপনার জন্যই সুন্দর থাকতে চায়।
.
একটু মনে করুন...
.
আফসোসের সাথে সত্যতা স্বীকার করি আমাদের অধিকাংশ ছেলেরই উত্তর গুলো মনে করতে একটু সময় লাগবে। একটু মনে করে দেখতে হবে।
.
আপনার স্ত্রী আপনার থেকে বেশি কিছু চান না, আপনার প্রতি তার আবদারগুলো হয়ত খুবই সীমিত (অবশ্য এটাও ঠিক যে সব স্ত্রীর আবদারই সীমিত নয় এখানে শুধু দ্বীনি স্ত্রীদের চাহিদা ফোকাস করছি)
.
আপনার কাছে আপনার স্ত্রী যা চান তা হলো - আপনার সময়, তার প্রতি আপনার আর একটু বেশি মনোযোগ।
.
খুব কি বেশি এই চাওয়াটুকু?
.
-স্বামী স্ত্রীর ভালবাসা পবিত্রময়, মধুর হোক এ ভালবাসা। Facebook Page
.
বর্তমানে যুবক যুবতীদের অবস্থা হল, তারা পাপাচার করেও পরিতৃপ্ত হচ্ছে না বরং পাপাচারের নিত্য-নতুন পদ্ধতি খুঁজে বেড়াচ্ছে। একদল যুবক যখন নতুন নতুন পাপের মাধ্যমে একদিনে একাধিক বার মহান আল্লাহকে ক্রোধান্বিত করে তুলছে, অন্যদিকে আরেকদল যুবক এই পাপাচার থেকে বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত নফসের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে!
.
দ্বীনের পথে অটল থাকার পাশাপাশি হারাম রিলেশন থেকে বেচে থাকার জন্য বিবাহের কোন বিকল্প নেই! কিন্তু আমরা সবচেয়ে বেশি ভুল করি বিয়ে করার ক্ষেত্রে পাত্রী নির্বাচনে, যার খেসারত সারা জীবন দিতে হয় অভিভাবকের হরেক রকমের চাহিদার জাঁতাকলে চাপা পড়ে কেউ কেউ বাধ্য হয়ে বিয়ে করে নিলেও পরবর্তীতে বনিবনা না হওয়ার কারণে অহরহ তালাক হচ্ছে!
.
তাই ভাইদেরকে বলবো "কেমন সন্তান আপনি দুনিয়াতে রেখে যেতে চান প্রথমে এটা ঠিক করুন। তাহলে সন্তানের মা নির্বাচন করা আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে"! অর্থাৎ যেরকম মা দিবেন, সেরকম সন্তান পাবেন! আপনি মাদারগাছ রোপন করে খেজুর খাওয়ার আশা করা মানেই অরোণ্যরোদন!
মনে রাখবেন একটি খামখেয়ালিপনা সারা জীবন,কবর, আখিরাতের কান্না!
.
বিয়ের ক্ষেত্রে করনীয় ও বর্জনীয়ঃ
উচ্চশিক্ষিতা স্ত্রীদের অধিকাংশই স্বামীদের মুল্যায়ন করেনা! এত পড়ালেখা করার পরেও স্বামীর সংসারে নিজেকে আবদ্ধ করে রাখাকে অনেকটা জেলখানার মত মনে করে! যার ফলে সংসার জীবনে পর্দাপন করলেও চাকুরীর নেশাটা কাটে না! এখন কথা হচ্ছে আপনি তো আর আপনার স্ত্রীর কামাই খাবেন না অথবা তার উপর নির্ভরশীল নন, তাই আপনার স্ত্রীর শিক্ষাগত ডিগ্রী আপনার কাজে আসবে না!
.
অনেকেই বলে থাকেন, বাচ্চাকে পড়ানোর জন্য শিক্ষিত মেয়ে দরকার! আমি তাদের জিজ্ঞেস করি, বাচ্চাকে পড়াতে হলে কি মাস্টার্স পাশ মা লাগবে? আপনার বুঝা উচিত হাইস্কুলেও মাস্টার্স পাশ টীচার অপ্রতুল! মুল কথা হচ্ছে, স্ত্রীর ডিগ্রী আপনাকে সুখী করবে না! আপনার অভিভাবক হয়ত ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,ক্যাডার পুত্রবধূ পেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর ফেলতে পারেন কিন্তু বিশ্বাস করুন ওতে প্রকৃত সুখ নেই বরং হাজারটা উদাহরণ পাবেন এগুলোই (উচ্চশিক্ষা,ডিগ্রী,অত:পর চাকুরী) অশান্তির কারণ হয়েছে!
.
.
(খ) বংশঃ
বংশ ভাল হওয়া আবশ্যক! কিন্তু বংশ মানে এই নয় যে,তা খান-চৌধুরী এজাতীয় কিছু হতেই হবে! দাদা ব্রিটিশ আমলে ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন কিনা, বাবা সিএসপি অফিসার ছিলেন কি না, চৌদ্দ গুষ্ঠি পাঠান কি না, আত্মীয়দের দুনিয়াবী যোগ্যতা কেমন ইত্যাদি বংশ দেখার প্যারামিটার না! বংশ দেখার মিটার হল দ্বীন। আপনি পাত্রীর পরিবার ও আত্মীয়স্বজনের দ্বীনদারিত্ব দেখুন, তাদের খান্দানে দ্বীনী মেজাজ আছে কিনা, ধরে নিতে পারেন মেয়ের মাঝেও দ্বীনের পাবন্দি আছে। দুই তিন পুরুষ আলিম বা আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে আলিম/দ্বীনের বুঝসম্পন্ন লোক আছে কিনা , এগুলো দেখার বিষয়! তবে এটা জাস্ট ধারণার জন্য!
.
.
(গ) সৌন্দর্যঃ
রূপ একটা ভাইটাল বিষয়! যেহেতু আপনি ভিবিন্ন আজেবাজে ফিল্মে আসক্ত নন অথবা নজরের খিয়ানত করেন নি তাই স্ত্রী সুন্দরী হলে এটা আপনার জন্য প্লাস পয়েন্ট! কারণ, আপনার ঘরেই চাঁদ আছে, তাই বিয়ের পরে রাস্তায় মোমবাতি দেখার আগ্রহ কমে যাবে! তবে এটা আপনাকে ক্ষণিক তৃপ্তি দিতে পারলেও কিন্তু চোখের শীতলতা এর মাঝে নেই, যদি স্ত্রী বেদ্বীন হয়! আল্লাহ না করুন, বউয়ের আগুনঝরা রূপ লাবণ্যই হয়ত আপনার বরবাদির কারণ হতে পারে। চিন্তা করুনতো, বিয়ে করলেন আপনি অথচ কিছুদিন পরে পালিয়ে গেল অন্য কারো সাথে, সেটা আপনার জন্য কতটা লজ্জাজনক!
.
তাই আল্লাহভীরু নারী কালো হলেও সুশ্রী নারী থেকে হাজার গুণ উত্তম! তবে একসাথে যদি দুইটাই পেয়ে যান তাহলে তো আপনার 'চাঁন কপাল'!
.
.
.
"নামাযী মানেই দ্বীনদার" সবসময় এটা নাও হতে পারে!আমাদের সমাজে নারীদের নামায পড়ার চেয়েও পরিপূর্ণ পর্দা করা অনেক কঠিন! বোরকা পড়লেও অধিকাংশ নারী সেটাকে আন্তরিকভাবে আল্লাহর বিধান হিসেবে মেনে নিতে পারেনি! স্টাইলিশ বোরকার দৈনদশার কথা কি আর বলবো!
.
.
শেষ কথাঃ
নিজে আধা দ্বীনদার হয়ে প্রাক্টিসিং মুসলিমাহ খুঁজতে যাইয়েন না অথবা প্রাক্টিসিং মুসলিম হয়েও আধা দ্বীনদার খুঁজিয়েন না! কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘কুফু' বা সাদৃশ্য রক্ষা করতে বলেছেন! দুনিয়াবী বিষয়গুলো যেমন মালসম্পদ, আভিজাত্য, শিক্ষাগত যোগ্যতা, ডিগ্রী এগুলো যেন আপনার চাইতে বেশি না হয়। পরে সমস্যা হতে পরে।
"আপনার লেভেল থেকে ঠিক একটু কম বা কমসে কম সমতা যেন থাকে, বেশি যেন না হয় " এই নীতিটা সবসময় মাথায় রাখবেন!
.
জেনারেল শিক্ষিতরা আলিমাহ কমপ্লিট মেয়ে বিয়ে না করাই সাবধানতা! এটা ইলমের কুফু! পক্ষান্তরে, জেনারেল লাইন থেকে উঠে আসা কোন মেয়ে দাওরা পাশ মুফতী বিয়ে না করাও সাবধানতা! সমস্যা হতে শুনেছি, হলেও কিছু করার নেই! আমার এই কথাগুলো মানতে কষ্ট হতে পারে, কিন্তু এটাই বর্তমান বাস্তবতা, ভোক্তভোগীরা ভাল বলতে পারবেন! তবে ব্যতিক্রম যে নেই তা কিন্তু নয়! বহু ব্যতিক্রম আছে। এটা জাস্ট প্রেক্ষাপট বিবেচনায় রেখে আপাত সতর্কতার একটা ফর্মুলা বললাম আর কি!
.
আপনি গ্রহণও করতে পারেন আবার বর্জনও করতে পারেন!
জায্বাকুমুল্লাহু।
.
লেখক : আখতার বিন আমীর!
.
.
তিনি যুবককে বললেন:
-বিয়েটা আমাদের অসহায় অবস্থার দিকে তাকিয়ে করছো না তো বাবা!
-জ্বি না। আমার বিয়ে করা প্রয়োজন। আপনার মেয়েটাও উপযুক্ত! বাড়ির কাছে ফুল রেখে দূরের বাগানে কেন যাবো! তবে মিথ্যা বলবো না, বিয়েটা হলে আপনাদেরও একটু সুসার হবে, এমন চিন্তাও মাথায় আছে বৈকি! কিন্তু সেটাই মূল কারণ নয়!
-ঠিক আছে বাবা! তোমাকে ছোটবেলা থেকেই চিনি। তুমিও আমাদের চেনো। চেনাজানা কেউ প্রস্তাব দিলে ভরসা লাগে। কারণ তারা তো সব জেনেশুনেই অগ্রসর হবে। যদি কিছু মনে না করো, আরেকটা কথা বলবো!
-জ্বি বলুন
-আমাদের প্রতি দয়া করছো কি না, সেটা কেন জানতে চেয়েছি বলবো?
-অবশ্যই!
.
-বিয়েটা যদি করুণা বা দয়া দেখানোর জন্যে হয়, তখন সেটা আর বিয়ে থাকে না। রাজা-প্রজার সম্পর্ক হয়ে যায়। অবশ্য ব্যতিক্রমী মানুষও আছে।
বিয়ে হয়ে গেলো। মাকে ছেড়ে মেয়েটা স্বামীর ঘরে গিয়ে উঠলো। মায়ের সাথে প্রতিদিন তার দেখা হয়। কথা হয়। মাঝে মাত্র দুতিনটে বাড়ি। প্রথম কয়েকটা দিন দেখতে দেখতে কেটে গেলো। তারপর থেকে রঙ বদলাতে শুরু করলো। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে খোঁটা দিতে শুরু করলো; সে গরীব বলে। তাদের ছেলেকে আরো বড় ঘরে বিয়ে করাতে পারতো। আরো ভালো মেয়ে পেতো। ছেলের মাথায় কী ভীমরতি ধরলো, সে কোথাকার ফকিরনি একটাকে এনে ঘরে তুলেছে। শুরুতে আড়ালে আবডালেই এসব চলতো। নববধূ না শোনার ভান করে থাকতো। আস্তে আস্তে আড় ভেঙে গেলো। কোনোরকম রাখঢাক ছাড়া তার সামনেই কথাবার্তা শুরু হয়ে গেলো। এটুকুতেই থেমে থাকলো না। ঘরের মানুষগুলো স্বামীর কানও ভাঙাতে শুরু করলো। মিছেমিছি অভিযোগ করতে শুরু করলো। প্রতিদিন শুনতে থাকলে কঠিন মিথ্যাকেও সত্য বলে মনে হয়ে থাকে। এখানেও তাই হল। স্বামী প্রথম প্রথম অবিশ্বাসভরে এসব উড়িয়ে দিলেও, পরের দিকে তার মনেও খটকা দেখা দিল। তাইতো! কোনো কারণ ছাড়া তো এত এত অভিযোগ উত্থাপিত হতে পারে না!
.
শুরু হলো স্বামীর পক্ষ থেকেও অভিযোগ। স্বামীর সমর্থন পেয়ে শ্বশুরবাড়ির অন্যরা এবার যেন লাই পেয়ে গেলো। লাগামছাড়া হয়ে গেলো তাদের নির্যাতন। মুখ দিয়ে যা তা বলার পাশাপাশি ঘরের সবকাজ তাকেই করতে দেয়া হল। একটু উনিশ-বিশ হলেই রক্ষে নেই। সারাদিন অমানুষিক খাটনী করার পরও যদি অভিযোগের মাত্রাটা একটু কমতো! মাঝেমাঝে মনে হয়, কাজ করাটাই তার দোষ! কারণ সে কাজ করলে, তারা রাগ ঝাড়ার সুযোগ পায় না! তখন পুঞ্জীভূত রাগ অন্যভাবে প্রকাশ করে।
.
দুপুরের দিকে হাতে তেমন কাজ থাকে না। পুরুষেরা যে যার কাজে থাকে। মহিলারা বিছানায় গড়াগড়ি দেয়। এই ফাঁকে মেয়েটা একছুটে মায়ের কাছে যায়। সমস্ত কষ্ট মায়ের কাছে খুলে বলে। বুকের ভার কিছুটা হলেও কমে। অসহায় বিধবা মা কীই-বা করতে পারেন। মেয়েকে বোবা কান্নামাখা স্বরে সান্ত্বনা দেন। এভাবেই দিন কেটে যায়। কষ্টের মাত্রাও বেড়ে চলে। যে স্বামী রানী করে ঘরে তুলেছিল, সে-ই এখন চাকরানী করে ঘরছাড়া করার চেষ্টা করছে। তাও মিথ্যে অভিযোগে! কিভাবে মানুষটা বদলে গেলো! মিছরি থেকে ধুতরা হয়ে গেলো! আশ্চর্য!
.
মায়ের বয়েস হয়েছে। মেয়ের কষ্ট আর নিজের খাওয়া-দাওয়ার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে, স্বাস্থ্য ভেঙে পড়লো। বিছানায় পড়ে গেলেন। মেয়ে দিনে একবার এসে মায়ের কাজ যতটুকু পারে করে দিয়ে যায়। তার নিজের স্বামীর ঘরে সুখ নেই, মাকে কিভাবে এ-দুর্দিনে সাহায্য করবে? মায়ের মনে ভীষণ কষ্ট, মেয়েটাকে সুখী দেখে যেতে পারলেন না। মেয়ের মনে কষ্ট, মা চলে গেলে কার কাছে মনের ভার লাঘব করবে?
.
মা শীর্ণ দুর্বল হাতটা মেয়ের মাথায় বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন:
-মা রে! আমার আর বেশি দেরী নেই। তোর জন্যে কলিজাটা ফেটে যাচ্ছে। আমি আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। জেনে শুনে কখনো স্বামীর অবাধ্য হইনি! পর্দা ভাঙিনি। নামায-রোজা কাযা করিনি। অজান্তে গুনাহ করে ফেললে, বারবার তাওবা করেছি! আমার জন্যে চিন্তা করিস না।
-তুমি যে আমার শেষ আশ্রয় ছিলে! তুমি না থাকলে আমি কার কাছে যাবো!
-ভুল বললি মা! আমি তোর শেষ আশ্রয় নই রে!
-কে?
-আমি তুই সবারই শেষ আশ্রয় হলেন ‘আল্লাহ’! একমাত্র আশ্রয়ও বটে। আমি নেই তো কী হয়েছে! আল্লাহ আছেন। ছিলেন। থাকবেন। তোর বাবা মারা যাওয়ার পরও আমি সাহস হারাইনি। হতোদ্যম হইনি। যৎসামান্য সঞ্চয় ছিল, ওটা দিয়েই কোনোরকমে দিন পার করে দিয়েছি। ভেবেছিলাম তুই সুখী হবি! মিলল না। তবে তোর সুখী হওয়ার সময় এখনো ফুরিয়ে যায়নি। মাত্র তো দুবছর গেলো। তোর সামনে এখনো দীর্ঘ জীবন পড়ে আছে। অবশ্য আল্লাহ যদি তোকে আগেই কাছে ডেকে নেন, সে ভিন্ন কথা!
-তাই যেন হয় মা, তাই যেন হয়। তুমি বিনা আমি আর পৃথিবীতে থাকতে চাই না!
-পাগলী! এমন কথা বলে না। দুনিয়া কারো জন্যে থেমে থাকে না। যাবার আগে তোকে একটা কথা বলতে চাই!
-কী কথা মা!
-আমি চলে গেলে, তুই নিঃসঙ্গ একাকী হয়ে পড়বি, এটা ঠিক নয়। আগেও তোকে কথাটা বলেছি! একটা কাজ করবি! আমি থাকতে যেমন প্রতিদিন এ-ঘরে আসতি, আমার মৃত্যুর পরও আসবি!
-খালি ঘরে এসে কী করবো! মনটা আরো বেশি খারাপ হবে!
-না হবে না। প্রথম প্রথম কষ্ট লাগলেও পরে ঠিক হয়ে যাবে। ঘরে এসে, আমার জায়নামাযটা বিছিয়ে, দুই রাকাত সালাত পড়ে, আল্লাহর কাছে সব কষ্টের কথা খুলে বলবি। ঠিক আমাকে যেভাবে বলতি, সেভাবে। চোখের পানি ফেলে। মনের সব দুঃখ একসাথ করেই বলবি। তাহলে দেখবি, আমার অনুপস্থিতির অভাব ধীরে ধীরে কেটে যাবে!
.
মা চলে গেলেন। মেয়েকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে পরপারে পাড়ি জমালেন। এমন দুর্দিনেও মেয়েটা স্বামীকে পাশে পেলো না। কষ্টগুলো আগের মতোই আছে। সারাদিন হাঁড়ভাঙা খাটুনি। রাতে স্বামীর বকুনি। শুধু দুপুরবেলাটা একান্ত নিজের করে পাওয়া। মায়ের কথামতো আল্লাহর দরবারে ধর্না দিতে শুরু করেছে অসহায় বিপন্ন মেয়েটা। প্রথম দিন তেমন কিছু হয়নি। আসলে আল্লাহর কাছে এভাবে কখনো বলাই হয়নি। নিয়মিত নামাজ-কালাম হয়েছে। বাবা-মা ছোটবেলা থেকেই ইবাদতে অভ্যস্ত করে তুলেছিলেন। কিন্তু আল্লাহকেই শেষ ও একমাত্র আশ্রয় মনে করার মানসিকতাটা কেন যেন গড়ে ওঠেনি। মায়ের মৃত্যুশয্যার মিনতিভরা আখেরী উপদেশ! জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল।
.
মায়ের কাছেও যেসব কথা বলা যেতো না, মায়ের কষ্টের কথা ভেবে রেখেঢেকে বলতে হতো, আল্লাহর দরবারে সেসবের বালাই নেই। যা ইচ্ছে খুলে বলা যায়। আরও অবাক করা ব্যাপার হলো, মায়ের কাছে বলার সময় প্রতিদিন কান্না পেতো না। দুঃখ-কষ্টও একটা অভ্যেসে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু রবের কাছে হাত তুললেই বুকভেঙে কান্না আসে। আগের চেয়ে মনটা বেশি হালকা হয়ে যায়। একটা পাষাণ নেমে যায়।
নেশার মতো হয়ে গেছে। মনটা আকুলি-বিকুলি করে। কখন দুপুর হবে। কখন আল্লাহর কাছে যাবে। এখন শ্বশুর বাড়ির যাতনাকে অসহ্য মনে হয় না। মনটাও হাসিখুশি থাকে। ব্যাপারটা এ-বাড়ির কুটনীদের দৃষ্টি এড়াল না। কী ব্যাপার! মা-মরা মেয়ের মুখে এমন হাসি! তারা নিপীড়নের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিল। কাজ হলো না।
.
এক মহিলা বললো:
-বউকে তার মায়ের বাড়ি থেকে আসার পরই বেশি উৎফুল্ল দেখা যায়! প্রতিদিন সাথে করে ভরা কলসি নিয়ে যায়, আসে খালি কলসি নিয়ে! ব্যাপার কি! ব্যাপারটা সুবিধের ঠেকছে না। তার জামাইকে বিষয়টা তাড়াতাড়ি জানাতে হবে! এমন দুশ্চরিত্রের মেয়ে ঘরের বধূ হয়ে থাকবে! মেনে নেয়া যায় না। আমাদের সোনার টুকরা সহজ সরল ছেলেটা বলেই সহ্য করে আছে! আজ একটা দফারফা করতেই হয়! আরো আগেই খেয়াল করা উচিত ছিল। মা-ও বোধ হয় এমন ছিল। তার কাছেই শিখেছে। কে জানে, মা বেঁচে থাকতেই এসব শুরু করেছিল। এখন আর নিজেকে বশ মানাতে পারছে না! আমাদের সরলতার সুযোগে এই করে বেড়াচ্ছে! দেশে কি দ্বীন-ধর্ম নেই!
ছেলে এলো রাতে। তাকে একান্তে ডেকে ফিসফিস করে সব সালংকারে বলা হলো। ছেলের মাথায় আগুন ধরে গেলো। তাকে সমঝে-সুমঝিয়ে ঠান্ডা করা হলো। ঠিক হলো, আগামী কাল আর অফিসে গিয়ে কাজ নেই। ঘর থেকে অফিসের নাম করে বের হয়ে, সোজা শ্বাশুড়ীর ঘরে গিয়ে লুকিয়ে থাকবে। একেবারে হাতেনাতে ধরা যাবে ‘দুজনকে’।
.
দুপুর হলো। স্বামী অবাক হয়ে দেখলো, স্ত্রী ঝটফট গোসল সারলো। মায়ের রেখে যাওয়া ধবধবে শাদা পোশাকটা পড়লো। সালাতে দাঁড়িয়ে গেলো। তারপর দীর্ঘ মুনাজাতে ডুবে গেলো। একে একে নিজের কষ্টের কথাগুলো বললো। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না করেই, নিজের জীবনে সুখ-শান্তি কামনা করলো। স্বামীর জন্যে দু‘আ করলো। শ্বাশুড়ীর জন্যে দু‘আ করলো। এমন অপার্থিব দৃশ্য দেখে স্বামীর মনটা কেমন যেন হয়ে গেলো। অনুশোচনায়। লজ্জায়। বিবেকের দংশনে।
-লামিয়া! তুমি কতোদিন ধরে এমন করে নামায পড়ছো?
-আম্মুর ইন্তেকালের পর থেকে!
-কী আশ্চর্য! আমি এতটাই নির্দয়-নির্বোধ, একটুও টের পেলাম না! অন্ধ হয়ে অন্ধকারেই ডুবে ছিলাম! তোমার প্রতি যে যুলুম করেছি, তার প্রায়শ্চিত্ত কিভাবে হবে বলো!
-কিছুই করতে হবে না! আগে মনে ভীষণ কষ্ট থাকলেও, আম্মু মারা যাওয়ার পর থেকে, কারো প্রতি কোনো রাগ নেই।
-অবাক করলে! মায়ের মৃত্যুর পর তোমার কষ্ট তো আরো বেশি হওয়ার কথা। আমরা সবাই মিলে যা করেছি!
.
-তেমনি হওয়ার কথা ছিল। হয়নি তার কারণ, আম্মু মারা যাওয়ার আগের দিন আমাকে কাছে টেনে বসিয়ে কিছু উপদেশ দিয়েছিলেন। বিশেষ করে দুটো শব্দ বলেছিলেন। আব্বুও ইন্তেকালের সময় আম্মুর অসহায় বিপন্ন অবস্থা দেখে, শব্দদুটো বলেছিলেন। সাথে ব্যাখ্যা শুনিয়ে সান্ত্বনা দিয়ে গিয়েছিলেন। এজন্য আম্মু শত কষ্টেও নুয়ে পড়েন নি। আপনি যখন বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছিলেন, সেটা ছিল আমাদের জন্যে আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো। আম্মুর দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছিল, এটা আব্বুর উপদেশ অনুযায়ী আমল করারই ফল! পরে অবশ্য কিছু সময়ের জন্যে, আমার কষ্ট দেখে, তার বিশ্বাসে কিছুটা চিড় ধরেছিল। ইন্তেকালের আগে আবার আল্লাহর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস ফিরে পেয়েছিলেন।
.
-শব্দ দুটো কী কী?
-সেগুলো আসলে কুরআনের একটি আয়াতের অংশ! সূরা ‘আলাক’ মানে ইক্বরা-এর শেষ দুটি শব্দ। ‘উসজুদ’ ‘ইকতারিব’ অর্থাৎ ‘সিজদা করো। নিকটবর্তী হও’!
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সবেমাত্র দ্বীনের দাওয়াত দেয়া আরম্ভ করেছেন। প্রকাশ্যে কাবাচত্বরে সালাত পড়তে শুরু করেছেন। আবু জাহলের এ-নিয়ে ভীষণ উষ্মা! সে সালাত বন্ধ করতে মাত্রাতিরিক্ত তৎপর হয়ে উঠলো! বাধা দিতে এলো। দম্ভভরে বললো:
-তুমি সালাত পড়লে আমি পা দিয়ে তোমার গর্দন পিষে দেব (নাউযুবিল্লাহ)!
আবু জাহলের এই দম্ভোক্তির প্রেক্ষিতেই আল্লাহ তাআলা সূরা আলাকের ছয় নাম্বার থেকে নিয়ে শেষ আয়াত পর্যন্ত নাযিল করেন। প্রথম পাঁচ আয়াত নাযিল হয়েছিল আরো আগে। সেই শুরুতে। হেরা গুহায়।
নবীজি আবু জাহলের কথা শুনে তাকে উল্টো ধমক দিলেন। আবু জাহল তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বলেছিল:
-আমি মক্কায় একা নই। আমার একান্ত বৈঠকে প্রচুর লোক সমাগম হয়। আমি ডাকলেই তারা ছুটে আসবে।
.
নরাধমের এহেন ঔদ্ধত্যের জবাবে আল্লাহ তাআলা পাল্টা হুমকি দিয়েছেন:
-সুতরাং সে ডাকুক তার জলসা-সঙ্গীদের! আমিও ডাকব জাহান্নামের ফেরেশতাদের। হে নবী! আপনি তার আনুগত্য করবেন না। আপনি আমায় সিজদা করুন। তাহলে আপনি আমার আরো নিকটবর্তী হতে থাকবেন!
নবীজি সিজদার মাধ্যমে সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে গিয়েছিলেন। আল্লাহর কাছাকাছি হয়েছেন। আম্মুকেও দেখেছি দিনদিন আল্লাহর আরো কাছে, আরো কাছে যেতে। আমিও সে চেষ্টায় রত ছিলাম এবং আছি। যাতে সব কষ্ট ভুলে থাকা যায়। আর এটা প্রিয়নবীর আদর্শ। সুন্নাত। তার চেয়েও বড় কথা, সরাসরি আল্লাহর দেয়া অব্যর্থ সু-ব্যবস্থাপত্র।
বিয়ে নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই।
জানিনা কে কিভাবে নিবে। আমি বিয়ের ব্যাপারে খুব আগ্রহী ছিলাম, এখন ও আছি। যৌবনের তাড়নায় যন্ত্রনায় বিয়ের চিন্তা করেছিলাম। এবং খুব কঠিন ভাবে ।আমি ভেবেছিলাম, এই ডিপ্রেশন, শুন্যতা সব বউ এর মাধ্যমে পুরন হবে।
এবং ফ্যান্টাসির এর সমুদ্রে পড়ে গেছিলাম।
বাবা মা কে বলেই দিলাম। তারাও রাজি হল।
এখন অপেক্ষা উপযুক্ত পাত্রীর।
কিন্তু বিয়েটাকে আমরা অবিবাহিত রা যেভাবে চিন্তা করি আসলেই কি তাই? আসলেই কি সকল হতাশা, শুন্যতার ওষুধ বউ?
আমি আমার বিবাহিত বন্ধুদের থেকে আমার বিয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেছিলাম। কিন্তু তারা দ্বীনদার ছিলনা। তারা আমাকে দেরিতে বিয়ে করতে বলল। আমি বললাম এখন তো আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে পারছিনা। নারী সংগিনীর এক অভাব আমার ভিতর হাহাকার করছে। আমার ভিতর কত শত স্বপ্ন ভিড় করছে।
.
তাদের সবার উত্তর ছিল এসব হাহাকার, আকাংখা, স্বপ্ন সর্বোচ্চ ৬ মাস-১ বছর থাকতে পারে, তারপর সব স্বাভাবিক। কিন্তু পাপ থেকে মুক্তির জন্য বিয়ে অবশ্যই ভাল। পাপ থেকে মুক্তির জন্য বিয়েটা অবশ্যই করতে পারিস। (আমরা অবশ্যই পাপ থেকে মুক্তির জন্য ই বিয়ে করবো)
কিন্তু আমরা যারা অবিবাহিত,তারা বিয়েটাকে কিভাবে চিন্তা করি??
বিয়ের কথা চিন্তা করলেই আমাদের শরীরে এক ধরনের শিহরন তৈরি হয়, সুখের আবেসে ভেসে যায় কল্পনায়।
কত শত খুনশুটি, সকালে স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরা, হাত ধরা, ঘুরতে যাওয়া, শারীরিক সম্পর্ক ইত্যাদি।
.
এগুলো চিন্তা করলেই আমাদের ভিতর এক অন্যরকম শিহরণ তৈরি হয়। আর তখন ই বিয়ের প্রয়োজন অনুভব করি।
মনে হয় বিয়ের পর এই রকম ই অনুভুতি হবে।
এখন আমি চিন্তা করলাম, যদি বিয়ের পর এমন প্রশান্তি, শিহরন বজায় থাকে তাহলে আমার বন্ধুরা কেন বলল সব স্বাভাবিক, ডাল ভাত।
এগুলো নাকি এখন তাদের কাছে স্পেশাল কিছু না।
চিন্তার বিষয়।
তাহলে চলুন দেখে আসি যে বিয়ের আগের অনুভুতি আর বিয়ের পরের অনুভুতি এক না। সম্পুর্ন আলাদা।
.
রোমান্টিক সম্পর্ক মুলত তিনটি হরমোন এর মাধ্যে হয় -
ডোপামিন (আনন্দের হরমোন)
টেস্টটেস্টরেন (সেক্স হরমোন)
অক্সিটোসিন (ভালবাসা, মায়ার হরমোন)
আমরা যখন কল্পনা করি তখন ডোপামিন আর টেস্টটেস্টরেন রিলিজ হয়। এখানে মুলত হিটলার হলো ডোপামিন।
ব্রেন আমাদের বলে তোমার আনন্দ দরকার। তুমি পর্ন দেখো, হস্তমৈথুন কর, বউ নিয়ে ফ্যান্টাসি করো। তখন ব্রেন সিগ্নাল দেয়।
আর তখন ই আমাদের পর্ন দেখতে, হস্তমৈথুন করতে, বউ নিয়ে ফ্যান্টাসি করতে ইচ্ছা করে। যে নিয়ন্ত্রন করতে পারে সে মন ডাইভার্ট করতে পারে।
আর যে পারে না, সে তখন কন্ট্রোল করতে পারেনা।
যখন আমরা এগুলো করি তখন ব্রেনে ডোপামিন এর বন্যা বইয়ে যায়। আর তখন অনেক মজা, আর শান্তি লাগে।
তাহলে,
ডোপামিন কাজ কি এগুলোই?
না
ডোপামিন এর কাজ অন্য। এই হরমোন কে বলা হয় রিওয়ার্ড হরমোন।
.
১। আপনি বিরিয়ানী খাচ্ছেন, কোরান তেলয়াত করছেন,নামাজ পড়ছেন, বন্ধুর সাথে আড্ডা দিচ্ছেন, আইসক্রিম খাচ্ছেন, ভাল রেজাল্ট করলেন, চাকরী পেলেন এসব কাজে আপনার ব্রেন স্বাভাবিক ডোপামিন রিলিজ করবে, মানে আপনি স্বাভাবিক আনন্দ পাবেন। মনে করুন ব্রেন মাত্র ১-২ ফোটা ডোপামিন রিলিজ করল। খুব স্বাভাবিক।
.
২। আপনি গাজা খাচ্ছেন, হিরোইন খাচ্ছেন, পর্ন দেখছেন, ফ্যান্টাসি, কল্পনা করছেন তখন ব্রেন প্রচুর ডোপামিন রিলিজ করছে, ধরুন ৮-১০ ফোটা। মানে আপনি প্রচুর আনন্দ পাচ্ছেন। যা স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি।
ঠিক আপনি যখন পর্ন দেখছেন, কোন রোমান্টিক নাটক দেখছেন, বউ নিয়ে কল্পনা করছেন, তখন ব্রেন প্রচুর ডোপামিন রিলিজ করছে আর আপনি প্রচুর আনন্দ পাচ্ছেন।
আর ভাবছেন বিয়ের পর ও হয়তো এমন হবে।
এমন আনন্দ হবে।
কিন্তু যখন বাস্তবে এগুলো করবেন তখন ব্রেন খুব স্বাভাবিক পরিমান ডোপামিন রিলিজ করবে।
তখন ভাববেন, আরে আগে কি ভাবতাম আর এখন কি হচ্ছে?
কল্পনায় বউকে জড়িয়ে ধরে যে মজা পেয়েছেন বাস্তবে দেখবেন আসলে এটা কল্পনার মত এত মজা না।। একদম স্বাভাবিক।
এটা বাস্তবের মত মজা।
.
তখন সব স্বাভাবিক। এখনকার মত এত শরিরে শিহরন দিবে না। ফ্যান্টাসি ও হবে না। একদম স্বাভাবিক, খুব ই স্বাভাবিক।
তখন হতাশ হবেন। হয়তো কেউ কেউ ভাব্বেন কেন বিয়ে করলাম এখন। এগুলো তো কিছুই না।
তাই আমাদের উচিত পাপ থেকে মুক্তির জন্য বিয়ে করা উচিত।
বিয়ের এটা করবেন, ওটা করবেন। এসব ফ্যান্টাসি নিয়ে বিয়ের জন্য লাফিয়ে উঠলে হতাশ হবেন।
নেশা কেটে গেলে আপনিও কেটে যাবেন।
বিঃদ্র ঃ এই পোস্ট টা আমার মত কিছু চিন্তার মানুষের জন্য। আমি আগে ভাবতাম বিয়ে কি না কি। কিন্তু সাইকোলজি পড়ে এই বিষয় গুলা দেখে আমার হুশ ফিরেছে।
এখন আমার এত ফ্যান্টাসি নাই। এখন বিয়ের একটাই উদ্যেশ্য। আল্লাহর সন্তুষ্ট অর্জন, চরিত্র হেফাজত, পাপ থেকে মুক্তির জন্য।
বিয়ে করবেন নিজের মত একজন কে। যার সাথে আপনার মানষিকতা, চিন্তার মিল হয়।
.
চেহারা দেখতে যাবেন না। কারন সুন্দরী, পরি নিয়ে এসে দেখলেন আপনার মানষিকতার সাথে মিলছে না। তখন বউয়ের প্রতি আর ভালবাসা আসবেনা। তখন ডোপামিন আর কাজ করবেনা।
তখন বউ পাশে থাকা সত্বেও কোন অনুভুতি থাকবে না।
ধরুন আপনি একজন দ্বীনদার মেয়ে বিয়ে করে নিয়ে আসলেন, কিন্তু আপনি গান বাজনা, নাচ খুব পছন্দ করেন, আপনি পুরাই উড়াধুড়া, কিন্তু আপনার বউ এমন না। তখন আপনার এবং আপনার স্ত্রীর ও সমস্যা।
তাই আপনি ভাল হলে ভাল মেয়ে বিয়ে করুন।
আর খারাপ হলে আপনার মত একজন কেই বিয়ে করুন।
(মেয়েদের জন্য ও একই ব্যাপার)
.
কল্পনায় সব কিছু সুন্দর, মধুময়, লালায়িত!
- সংগৃহীত (facebook.com/DeendarJibonShongi)
সংসার এ স্বামী স্ত্রীর কথার হালচাল
মহিলারা সাধারণত সমাধানের কথা চিন্তা না করে সমস্যাটা নিয়ে কথা বলতে ভালোবাসে। আসলে, কোনো অসুবিধার কথা বলতে না পারাই তাদের কাছে সমস্যা। এক বার মন খুলে সেই বিষয়ে কথা বলতে পারাই হল তাদের কাছে সমাধান।
6 Things Men Like In Women More Than Good Looks
মতবিরোধ থাকা একটি সম্পর্কের একটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অংশ। তবে, একগুঁয়েমি এবং "আমার পথ বা মহাসড়ক" কেবল দুর্দশার দিকে পরিচালিত করে। এই কারণেই পুরুষরা এমন মহিলাদের প্রশংসা করেন যা উভয় অংশীদারকে সন্তুষ্ট করে এমন কোনও সমাধানের জন্য আলোচনা করতে সক্ষম হন এবং এটি সন্ধান করতে পারেন। এটি শখের ক্ষেত্রে সত্য হতে পারে (অর্থাত্ লোকটি তার মেয়েকে একটি সংগীতায়নে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে একটি ফুটবল খেলায় নিয়ে যায়) তবে বিশেষত যখন শিশুদের একত্রে লালনপালনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি আসে তখন তা কাজে আসে।
3. Confidence
একজন ভাল প্রেমিক তার লক্ষণীয় অন্যকে বিশেষ বোধ করার চেষ্টা করে, তবে তার নিজের যোগ্যতা বোঝে এমন মহিলার চেয়ে যৌনদৃষ্টির আর কিছু নেই। পুরুষেরা খুব সুন্দর চেহারা এবং সুন্দর ব্যক্তিত্বযুক্ত
5. A Sense of Humor
একজন মহিলা ড্রপ-ডেড টকটকে হতে পারে তবে হাসতে হাসতে তার ক্ষমতা না থাকলে সে কখনই কোনও পুরুষের হৃদয়ে স্থান অর্জন করতে পারে না। হাস্যরসের এক দুর্দান্ত বোধ হ'ল মানসিক চাপ হ্রাস করার উপযুক্ত উপায় এবং দম্পতিকে বন্ড করার অনুমতি দেয়। একটি মজাদার রসিকতা বা মাঝে মাঝে ছদ্মবেশী, হালকা মনের প্রান একটি মহিলাকে তার পুরুষের সাথে বড় সময় পয়েন্ট করবে।