ইসলামিক ছবি পিকচার বাংলা | ইসলামিক লেখা পিকচার ছবি বাংলা 2024 Download
বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলাদা আলাদা বাংলা লেখা দিয়ে সাজানো ডিজাইন করা ইসলামিক ছবি।
ছবিতে ডিজাইনারদের নাম দেওয়া আছে তাই শেয়ার করলে ক্রেডিট দিয়েন।
আমাদের ডিজাইন এর ছবি গুলো শেয়ার করলে ক্রেডিট না দিলেও চলবে।
পৃথিবীর নিরবতা
নেই কোলাহল
শহর জুড়ে শূন্যতা
কালো মেঘের ঢল ...
বেঁচে থেকেও নেই প্রাণ
আজ পৃথিবীর বুকে
কতো কোটি জনস্রোত
নিমিষেই গেলো থমকে
ক্ষমা করো ওগো দয়াল
সকল মুমিনকে
রাখো সুরক্ষিত আমাদের
তোমার আশ্রয়ে....
-ক্ষমা চাই
-ইয়াছমিন মাছুমা
|
হাদিসের দোয়া ছবি |
|
কোরানের আয়াতের ছবি |
|
রাগ নিয়ে হাদিস |
|
বাংলা দোয়া ছবি |
০১ ইসলামিক লেখা পিকচার
হাদিসে এসেছে, ‘‘যে ব্যক্তি নিজ আমলনামা দেখে খুশি হতে চায়, সে যেন বেশি করে ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে।’’ [সহিহুল জামি’: ৫৯৫৫, সিলসিলা সহিহাহ: ২২৯৯]
.
অন্য হাদিসে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘সুসংবাদ তার জন্য, যে তার আমলনামায় অনেক বেশি ইস্তিগফার পেয়েছে।’’ [সহিহুল জামি’: ৩৯৩০]
.
ইস্তিগফার করা যায় তিন ভাবে:
.
(১) জিহ্বার মাধ্যমে ইস্তিগফার:
শুধু জিহ্বার মাধ্যমে যে ইস্তিগফার করা হয়, সেটির মর্যাদা কম। তবে, তা ইস্তিগফার হিসেবে গণ্য হবে।
.
(২) অন্তরের মাধ্যমে ইস্তিগফার:
এটি আল্লাহর নিকট উঁচু মর্যাদার ইস্তিগফার। অন্তরে গুনাহের জন্য অনুতপ্ত হওয়া এবং আল্লাহর নিকট মনে মনে ক্ষমা চাওয়া।
.
(৩) অন্তর ও জিহ্বার সমন্বয়ে ইস্তিগফার:
এভাবে ইস্তিগফার করা সর্বোত্তম ও সর্বোৎকৃষ্ট। এতে অন্তরে গুনাহের জন্য অনুশোচনা করা হয় ও মুখ দিয়ে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়।
.
ইস্তিগফারের সময় তিনটি বিষয় মনে রাখুন: (রামি হানাফি মাহমূদের আরবি প্রবন্ধ থেকে ভাবানুবাদ)
.
(১) আপনি মহাশক্তিশালী সত্তা আল্লাহ্ তা‘আলার অবাধ্যতা করেছেন, অথচ আপনি অতি ক্ষুদ্র এক সৃষ্টি।
.
(২) আপনি আল্লাহর দেওয়া নিয়ামত (যেমন: চোখ, কান, হাত, পা, সম্পদ ইত্যাদি) ব্যবহার করে আল্লাহরই অবাধ্যতা করেছেন। এটি অনেক বড় অকৃতজ্ঞতা।
.
(৩) আপনি জানতেন, গুনাহ করে আল্লাহর অবাধ্যতা করছেন। তিনি আপনাকে দেখছেন, এটা জানার পরও আপনি তার অবাধ্যতা করেছেন, কোনো পরোয়া করেননি। মানুষের সামনে আপনি গুনাহ করতে লজ্জাবোধ করেন অথচ আল্লাহকে লজ্জা করেননি।
.
এই তিনটি বিষয় মাথায় রেখে যখন ইস্তিগফার করা হবে, তখন সেই ইস্তিগফারে ব্যাকুলতা থাকবে এবং আল্লাহর কাছে কবুলের সম্ভাবনা বাড়বে ইনশাআল্লাহ্। আর, অবশ্যই নিজের খাবার ও পোষাক হালাল হতে হবে এবং কবুল হওয়ার দৃঢ় বিশ্বাস রেখে ইস্তিগফার করতে হবে।
.
#ইস্তিগফার_অপার_সম্ভাবনার_দ্বার (পর্ব: ৭) [সমাপ্ত, আলহামদুলিল্লাহ]
.
আমরা মোট ৭ টি পর্বে ইস্তিগফার সিরিজ সমাপ্ত করতে পেরেছি, এর তাওফিক আল্লাহই দিয়েছেন। আগের পর্বগুলোতে খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়েছে। বিশেষত: ইস্তিগফারের পরিচয়, পদ্ধতি, ইস্তিগফারের সময়, ইস্তিগফারের বাক্যসমূহ, ইস্তিগফারের ফজিলত ও ইস্তিগফারকেন্দ্রিক কিছু প্রশ্নের উত্তর। পড়ে নিতে পারেন। কমেন্টে সবগুলোর লিংক একত্রে পাবেন।
.
#Tasbeeh
০২ ইসলামিক ছবি
০৩ ইসলামিক পিকচার
০৪ ইসলামিক ছবি বাংলা
০৫ ইসলামিক লেখা পিকচার
০৬ ইসলামিক প্রোফাইল পিকচার - ইসলামিক পিকচার 2024
০৭ কুরআনের পিকচার - ইসলামিক পিকচার download
ইসলামিক পিকচার download
০৮ ইসলামিক বাংলা লেখা ছবি
০৯ ইসলামিক ইমেজ
কয়েকটা বইয়ের গ্রুপে দেখলাম ২০১৯ এ পড়া সেরা বই হিসেবে কেউ কেউ চিন্তাপরাধ - এর নাম বলেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ্ই তাঁর বান্দাদের গুনাহ এবং দুর্বলতা ঢেকে রাখেন। তবে আমাদের কাজগুলোর মাধ্যমে দ্বীনের কতোটা খেদমত হচ্ছে, বইগুলো আসলে মুমিনদের জন্য কতোটা উপকারী হচ্ছে, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত না। ওয়াল্লাহু ‘আলাম। তবে আজ এমন একটা বইয়ের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি যেটার গুরুত্ব এবং উপকারীতা নিয়ে সন্দেহের কোন সুযোগ নেই। এটা এমন একটা বই, ২০১৯ এ প্রকাশিত সব বই মিলিয়ে যেটার সমান হবে না।
.
বইটার নাম জানানোর আগে, কোন প্রেক্ষাপটে বইটা লেখা হয়েছিল, সেটা নিয়ে কিছু কথা বলা যাক।
.
"শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ তাঁর জীবনে মোট ৭ বার বন্দী হয়েছিলেন। প্রথমবার বন্দী হন ৬৯৩ হিজরিতে। আসসাফ আন-নাসরানি নামের এক খ্রিষ্টান রাসুলুল্লাহ ﷺ--এর অবমাননা করেছিল। এ ঘটনার পর সেই সময়কার আরেকজন বিখ্যাত আলিম যায়নুদ্দিন আল-ফারিকির সাথে দেখা করেন ইবনু তাইমিয়্যাহ। দুজনে মিলে সেই এলাকার শাসকের কাছে গিয়ে আসসাফের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বলেন। আমির আশ্বাস দিলেন, তিনি বিষয়টি দেখবেন।
.
আমিরের সাথে কথা শেষে ইবনু তাইমিয়্যাহ ও তাঁর সঙ্গে থাকা লোকজন ফিরে আসছিলেন। এ সময় তাঁরা আসসাফ ও তাকে আশ্রয় দেয়া মুসলিম লোকটিকে আসতে দেখলেন। বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়ে গেল এবং একপর্যায়ে আসসাফের সাথে থাকা মুসলিম লোকটি অন্য মুসলিমদের লক্ষ্য করে বলল, “এই খ্রিষ্টান লোকটি তোমাদের চেয়ে ভালো।” ব্যস, সাথে সাথে শুরু হয়ে গেল দুদলের মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি ও মারামারি। আসসাফ ও তার আশ্রয়দাতা জানে বেঁচে গেলেও বেদম মার খেলো। এ ঘটনার জন্য দায়ী করা হলো ইবনু তাইমিয়্যাহ ও আল-ফারিকিকে। তাঁদের কারাগারে নিক্ষেপ করা হলো এবং তাঁদের ওপর নির্যাতন চালানো হলো। অন্যদিকে খ্রিষ্টান লোকটিকে ছেড়ে দেওয়া হলো, কারণ বন্দী হবার পর সে দাবি করছিল সে মুসলিম হয়ে গেছে।
.
এই বন্দিত্বের ফলাফল হিসেবে কী পাওয়া গেল? বন্দিত্বের এই অল্প সময়ে ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ একটি অবিস্মরণীয় বই লিখলেন। আস-সারিমুল মাসলুল আলা শাতিমির রাসুল। গত সাত শতাব্দীজুড়ে এই গ্রন্থটি রাসুলুল্লাহ ﷺ--এর অবমাননাকারীর ব্যাপারে বিধানের ব্যাপারে সঠিক অবস্থানের প্রতীক ও চূড়ান্ত বিশ্বকোষ হিসেবে ইসলামি বিশ্বে স্বীকৃত। বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসের আলোকে এ বিষয়ের আহকামগুলো এ বইতে অত্যন্ত বিস্তারিত ও সূক্ষ্মভাবে আলোচনা করা হয়েছে। যার কারণে রাসুল ﷺ-এর অবমাননা নিয়ে লেখা বইগুলোর মাঝে এটিই সর্বোত্তম বলে বিবেচিত। এই বইটি আজও আমরা রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করি।" [সূত্র- নবি ইউসুফ (আলাইহিস সালাম) এর পাঠশালা, ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ]
.
আলহামদুলিল্লাহ, বছর সাতেক আগে হন্যে হয়ে খোঁজা এই অবিস্মরণীয় বইটি বাংলায় অনুবাদ হয়েছে – আস সারীমুল মাসলুল আলা শাতিমির রাসুল নামেই, প্রকাশ করেছে Nusus Publication। বইটা নিয়ে লিখতে গিয়ে আজ অনেক কথা মনে পড়ছে। রাসূলুল্লাহ ﷺ--এর মর্যাদার চাইতে একসময় নিজেদের সভ্য-ভব্য-মানবিক হিসাবে উপস্থাপন করা আমাদের কাছে বেশি দামি হয়ে গিয়েছিল। দ্বীনের স্পষ্ট হুকুম, ইমামদের ইজমা চাপা পড়ে যাচ্ছিল ‘শান্তশিষ্ট’ মুসলিম প্রমাণ করার বেপরোয়া ইচ্ছের নিচে। এখনো যে অবস্থা বদলেছে তা না। তবে এখন নিজেদের আসল চেহারা ঢেকে রাখা আবার সহজ হয়ে গেছে। তখনের অবস্থা নানা কারণে অন্যরকম ছিল। হক্বের অনেক দাবিদারকে তখন দেখেছি হক্বকে পেছনে ছুড়ে দিতে। আজকের অনেক সেলিব্রিটি, অনেক বড় ভাই, অনেক উস্তাদ, অনেক বড় লেখককে তখন দেখেছি নিজেদের মূর্খতা অথবা ইচ্ছা অন্ধত্বের প্রমাণ দিতে। ভুলভাল প্রচারণা চালিয়ে যেতে আত্মবিশ্বাসের সাথে। সেই সময় এ বইটার অনুবাদ অনেক খুঁজেছি। বাংলা তো ছিল না-ই, ইংলিশ অনুবাদও নেই। শুধু মূল আরবী আর উর্দু। সে এক ইতিহাস বটে…যাই হোক, তবু আল্লাহ্ তাঁর দ্বীনের জন্য এগিয়ে আসা বান্দাদের নুসরত করেছেন, এবং আল্লাহই তাঁর বান্দাদের জন্য যথেষ্ট।
.
আফসোসের বিষয় হল সেলিব্রিটি লেখক, বই নিয়ে ফটোগ্রাফি আর ফেইসবুক মার্কেটিং এর যুগে এই অমূল্য রত্নটির খবর অনেকের কাছেই পৌছেনি। চাপা পড়ে গেছে প্রচুর ফেনা আর সস্তা কোলাহলের আড়ালে। আজ যারা হাতের নাগালে বইটি পাচ্ছেন তারা হয়তো কখনোই ঠিক বুঝে উঠতে পারবেন না, বইটা কতো দামী। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, গত বছরে প্রকাশিত কোন একটা বাংলা বই যদি পড়তে চান, তাহলে এ বইটা পড়ুন। যদি এ ফিতনার সময়ে নিজের দ্বীনকে সংরক্ষণ করতে চান, হক্ব ও বাতিলের পার্থক্য বুঝতে চান, যদি সত্য আর মিথ্যার কাফেলাকে চিনতে চান - তাহলে এ বইটা পড়ুন। নিছক ট্রেন্ড ফলো করার বদলে যদি আসলেই দ্বীনের গুরুত্বপূর্ণ ইলম অর্জন করতে চান, আজকের এ সময়ে সত্যের সাথে নিজেকে আবদ্ধ করে নিতে চান, শত বিভ্রান্তির মাঝ থেকে হক্বকে স্পষ্টভাবে চিনে নিতে চান, তাহলে এ বইটি পড়ুন। এটা নিছক তত্ত্ব কথা আর অন্তর নরম করার বই না। আল্লাহ্, তাঁর রাসূল ﷺ- এবং তাঁর দ্বীনের প্রতি নিজের ভালোবাসা যাচাই করে নেয়ার মতো বই।
.
ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ এগিয়ে এসেছিলেন রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সম্মান রক্ষায়। আর শত শত বছর পর তাঁর সংরক্ষিত ইলমের হক্ব আদায় করেছিলেন পৃথিবীর বুকে অপরিচিত আল্লাহর কিছু বান্দা। আল্লাহ্ তাঁদের কবুল করুন, সম্মানিত করুন, নুসরত করুন, হেফাযত করুন। তাঁদের ইস্তিকামাত দান করুন। যারা এ বইটি নিয়ে কাজ করেছেন আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন এ কাজকে বিচারের দিন তাঁদের জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা পাবার, আল-কাউসার থেকে পান করার উপলক্ষ বানিয়ে দিন। এই কাজকে তাঁদের পক্ষ থেকে ওজর হিসেবে আল্লাহ্ কবুল করুন।
.
আল্লাহ তাঁর নবী ﷺ এর শত্রুদের লাঞ্চিত করুন এ দুনিয়াতে এবং আখিরাতে। এবং তারা জেনে রাখুক, এ ধূলো কখনো মিটবার নয়।
- Asif Adnan
শহরে এক নামকরা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন । একদিন সন্ধ্যায় তার চেম্বারে দামী পোষাক পড়া সুন্দরী এক মহিলা এলেন । ডাক্তার এক নজর চেয়ে সমস্যা জিজ্ঞেস করতেই মহিলা বললেন তার অনেক টাকা, অথচ তার কিছুই ভাল লাগে না । তার মনে কোন শান্তি নেই । শান্তি মত একটু ঘুমোতেও পারে না সে । এভাবে আর বেঁচে থাকতে পারছে না সে । তার মনে একটু শান্তি দরকার- যত দামী ঔষধের বিনিময়েই হোক ।
ডাক্তার মুচকি হেসে বললেন, সুখ পেতে টাকা লাগে না । চেম্বারে তখন চা নিয়ে ঢুকলো এক বয়স্ক মহিলা । সে এখানে চা বানায় আর অফিস পরিষ্কার রাখে । ডাক্তার তাকে চেয়ার বসতে বললেন আর জিজ্ঞেস করলেন সে সুখী কি না ?
বয়স্ক মহিলাটি তখন বলতে শুরু করলো । 'আমার স্বামী ছিল বিত্তবান । যৌবনে স্বামী মারা যায় ব্ল্যাড ক্যান্সারে । আমার একটা মাত্র ছেলে তখন ছোট । অনেক কষ্ট করে ছেলেটাকে মানুষ করি । ছেলেটা পাশ করে চাকরিতে ঢুকেছে । মনে হলো সুখ আসা শুরু হলো । হঠাৎ একদিন একটা অ্যাম্বুলেন্সে ছেলের মৃতদেহ পৌছে আমার ঘরে । অফিস থেকে ফেরার পথে ফেরার পথে রোড অ্যাক্সিডেন্টে মারা যায় সে । আমার মনে হলো বেঁচে থেকে আর লাভ কি লাভ ? আমিও মরে যাই । আমার চোখ ভেঁজা থাকত সব সময় । খেয়ে না খেয়ে পড়ে ছিলাম অনেকদিন । কারও সাথে কথাও বলতাম না । একদিন রাতে শীত পড়লো খুব । অনেকদিন পর আমি সে রাতে আমি নামাজে দাড়াই । সিজদায় পড়ে খুব কান্না করি । তারপর ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে যাই ।আমি যখন বাড়ি ফিরছিলাম, অন্ধকারে শীতে কাতর একটা কুকুর ছানা কান্না করে আমার পেছন পেছন আসতে থাকতো । আমার খুব মায়া হলো । বাসায় নিয়ে আমি ওকে গরম কাপড়ে জড়ালাম । ফ্রীজ থেকে খাবার বের করে গরম করে খাওয়ালাম । খেয়েদেয়ে ওটা তখন আনন্দে আমার পায়ে মুখ ঘষছিল । নিজের অজান্তে আমার মুখে তখন হাসি ফুটে উঠল ।
অনেক মাস পর আমি হাসলাম । আমার তখন বোধোধয় হলো সুখ আসলে কি ! আমার পাশের বাসায় একজন অসুস্হ হয়ে পড়েছিল অনেকদিন । আমি দেখতে যাইনি কোনদিন । পরদিন সকালেই আমি তার জন্য নাস্তা বানিয়ে তাকে দেখতে যাই । এরপর থেকে মানুষকে সুখী করে আমি সুখ পাই ।'
সব শুনে দামী পোষাক পড়া সুন্দরী মহিলা তখন খুব কাঁদছিল । তারপর সে বলল 'সুখের সমস্ত উপকরণ তার আছে যা টাকা দিয়ে কেনা যায় । কিন্তু যা নেই তা টাকা দিয়ে কেনা যায় না ।
লিখাটা যখন শেষ করছি তখন সুবেহ সাদিকের নিস্তব্দতা ভেঙে ভেসে আসছে 'আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম' । আসলে আত্মার সুখ পরোপকারে আর ইবা
দতে ।
- Golam Rabbii
আলী বনাত - ইসলামিক শিক্ষা
আলী বনাত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এক ধনী ব্যবসায়ী, যিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং বেঁচে থাকার জন্য মাত্র সাত মাস সময় দিয়েছেন। এই সংবাদটি তার জীবনের দৃষ্টিভঙ্গিকে বদলে দিয়েছিল এবং সে তার শেষ বছরগুলি অন্যের সেবায় নিবেদিত হয়েছিল। ওয়ান পাথ নেটওয়ার্ক দ্বারা উত্পাদিত একটি ভিডিওতে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন যেখানে তিনি তাঁর ক্যান্সারকে 'উপহার' হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর গল্পটি বিশ্বের কোটি কোটি মানুষকে ছুঁয়েছে touched
রমজানের বরকতময় মাসে তিনি 29 শে মে 2018 তে ইন্তেকাল করেছেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতি অনুগ্রহ করুন।
আলীর জীবন থেকে আমরা এখানে পাঁচটি পাঠ শিখতে পারি:
১.আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন
আলী বলেন, ক্যান্সার দেওয়ার জন্য তিনি আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ। এটি বলার মতো একটি অদ্ভুত জিনিস বলে মনে হতে পারে তবে তিনি অনুভব করেছিলেন যে এটি তাঁর জীবনের সমস্ত আশীর্বাদকে উপলব্ধি করতে পেরেছিল যা তিনি মর্যাদাপূর্ণ বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন এটি তাজা বাতাস শ্বাস নেওয়ার মতো ক্ষুদ্রতম আশীর্বাদগুলির দিকে চোখ খোলে।
আসুন আমরা সকলেই সক্রিয়ভাবে আল্লাহ আমাদের যে সব কিছু দিয়েছেন তার জন্য কৃতজ্ঞ হওয়ার চেষ্টা করি এবং সৎকর্ম সম্পাদনে এই নেয়ামতগুলি ব্যবহার করি এবং খারাপ কাজকর্মের ক্ষেত্রে অপব্যবহার না করি।
আল্লাহ সুরা ইব্রাহিমের , আয়াতে বলেছেন, “মনে রাখবেন যে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন,“ তোমরা যদি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর তবে আমি তোমাকে আরও বেশি দেব, কিন্তু যদি তুমি কৃতজ্ঞ না হয় তবে আমার শাস্তি সত্যই ভয়াবহ। ”
2. এখনই পরিবর্তন করুন
আলি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শিখে জীবনটা বদলে দিয়েছিলেন। আমাদের আরও ভাল পরিবর্তনের আগে আমাদের জীবনে এমন কিছু হওয়ার জন্য অপেক্ষা না করা। এখনই একটি পরিবর্তন করা যাক।
৩. একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আছে
ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পরে, আলি হাল ছেড়ে দিতে পারতেন এবং ভাগ্যকে পথ চলতে দিতেন। তবে তিনি ইতিবাচক থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং আফ্রিকার লোকদের সহায়তা করার জন্য একটি দাতব্য সংস্থা শুরু করেছিলেন। তার স্বাস্থ্যের অবনতি অব্যাহত থাকায় তিনি ইতিবাচক থেকেও যেতে পারেন।
যখনই আমরা জীবনে বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে যাব, আসুন আমরা সকলেই আলির উদাহরণ অনুসরণ করার চেষ্টা করি এবং ইতিবাচক এবং ধৈর্য ধরে থাকার চেষ্টা করি। ইতিবাচকতা আমাদের কষ্ট এবং ব্যথা মোকাবেলায় সহায়তা করতে পারে।
৪) অন্যের সেবায় জীবন যাপন করুন এবং আপনার উত্তরাধিকার প্রস্তুত করুন
আলী জীবনের শেষ বছরগুলো অন্যের সেবায় বেঁচে ছিলেন। তিনি আফ্রিকার একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন এবং শত শত এতিমদের পাশাপাশি একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে তাঁর দাতব্য মুসলিমদের মাধ্যমে ।
আলি করা সমস্ত দান কাজ তার জন্য সাদাকাহ জারিয়ার (ধারাবাহিক দাতব্য) একটি মাধ্যম হবে যার অর্থ যতক্ষণ না লোকেরা প্রকল্পগুলি থেকে লাভবান হয় ততক্ষণ তাকে পুরস্কৃত করা হবে।
আলি পৃথিবীতে একটি উত্তরাধিকার রেখে গেছেন এবং আমাদের নিজেদের জিজ্ঞাসা করতে হবে, আমরা চলে যাওয়ার পরে আমরা কোন উত্তরাধিকার রেখে যাব? আমাদের কীভাবে স্মরণ করা হবে? আমরা কত হৃদয় স্পর্শ করব?
মানুষের প্রশংসা করার জন্য আমাদের কিছু করা উচিত নয় তবে আমরা যদি আন্তরিক হয়ে থাকি তবে আল্লাহ মানুষের হৃদয়কে আমাদের ভালবাসতে এবং আমাদের মৃত্যুর পরেও স্মরণে রাখবেন।
আমাদের বিশ্বের পরিবর্তন বা বিশাল দাতব্য সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে না। এমনকি যদি আমরা এক ব্যক্তির জীবনকে স্পর্শ করি তবে এটিও উত্তম উত্তরাধিকার। যদি আমাদের বাচ্চা হয় এবং আমরা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি যে তারা ভাল মুসলমান হয়ে উঠেছে যারা সমাজের পক্ষে উপকৃত হয়, তবে এটি পিছনে ফেলে রাখাও উত্তম উত্তরাধিকার।
৫. জেনে রাখুন জীবন অস্থায়ী
মাত্র সাত মাস বেঁচে থাকার পরেও আলির আর নিজের মালিকানাধীন সুপার গাড়িগুলির আর আগ্রহ ছিল না এবং তিনি তার দুনিয়াবী সম্পদ যেমন তার ব্যয়বহুল ঘড়ি এবং ডিজাইনার পোশাকগুলি উপহার দিতে চেয়েছিলেন যাতে তিনি আখিরার জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে পারেন ( পরবর্তী জীবন).
যদিও এ জাতীয় জিনিস নিয়ে কোনও ভুল নেই, আলী বুঝতে পেরেছিল যে তারা আখিরাতে তার কোন উপকারে আসবে না এবং তিনি সদকায়ে যা কিছু দান করেছেন তা দান করে পরবর্তী জীবনের জন্য প্রস্তুত করতে চেয়েছিলেন।
১১০ নং আয়াতে আল্লাহ সুরা বাকারায় বলেছেন: “এবং তোমরা নামায কায়িম কর এবং যাকাত দাও এবং যা কিছু সৎ কার্যাবলী তোমরা স্বীয় আত্মার জন্যে আগে পাঠাবে, তোমরা তা আল্লাহর নিকট পাবে, তোমরা যা কিছু করছো নিশ্চয়ই আল্লাহ তা' দেখছেন।"
আমি আলি বানাতের কিছু শব্দ দিয়ে শেষ করব,
“যখন ক্যান্সারে আক্রান্ত একজন ভাই মারা গেলেন তখন কবরস্থানে গিয়েছিলাম তখনই এটি শুরু হয়েছিল। এবং আমি কবরস্থানে ছিলাম এবং আমি কেবল নিজেকেই ভাবছিলাম - আপনার যাওয়ার পরে কিছুই নেই। তোমার জন্য এখানে কেউ নেই। মা, বাবা নেই, ভাই নেই বোন, তোমার কাজ ছাড়া। এমনকি আপনার অর্থ আপনার জন্য হবে না। সুতরাং কেবলমাত্র আপনার পক্ষে সেখানে চ্যারিটি হ'ল। এবং এটিই হ'ল একমাত্র জিনিস যা আপনাকে আপনার চূড়ান্ত গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত কবরে সময় সহ ধীরে ধীরে আপনাকে সাহায্য করতে চলেছে "
- IlmFeed.com