মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন ছাড়ার উপায়, ক্ষতি, এবং বিস্তারিত
মাস্টারবেশন বা হস্তমৈথুন ছাড়ার উপায় - যেসব ভাইয়েরা মাস্টারবেশন ছাড়তে পারছেন না তাদের জন্য।
.
২. দৃষ্টির হেফাজতের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকা। এর ফলে আল্লাহ এমন ঈমান দান করবেন, যার মিষ্টতা অন্তরে অনুভূত হবে।
এছাড়াও ৩ প্রকার চোখ, যাদেরকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না বলে হাদিসে এসেছে, তাদের এক প্রকার হলো গাইরে মাহরাম থেকে দৃষ্টির হেফাজতকারী চোখ।
.
৩. নেককারদের সোহবত অর্জন করা। না পারলে অন্তত সালাফদের কিতাবাদির মাঝে নিজেকে ডুবিয়ে রাখা। প্রত্যেকদিন কুরআনের একটি নির্দিষ্ট অংশ অবশ্যই তাফসীরসহ পড়ার চেষ্টা করা।
গোপন গুনাহ থেকে বাঁচতে
.
৪. অবসর সময়গুলোতেও ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করা। দ্বীনি বা, দুনিয়াবি যেকোনো উপকারী কাজে। এতে করে খারাপ চিন্তভাবনা থেকে অনেকটা বাঁচা যাবে।
.
৫. নির্জনে বেশিক্ষণ থাকলে গুনাহ হয়ে যাবে এমন আশংকা করলে দ্রুত জনসমাগম আছে এমন জায়গায় চলে যাওয়া।
.
৬. এটা চিন্তা করা যে, দুনিয়াতে সামান্য কটা বছর নফসের ইচ্ছার বিরুদ্ধে চলতে ধৈর্যের পরিচয় দিতে পারছি না, তাহলে তখন কি করবো যখন যুগের পর যুগ নফসের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জাহান্নামের আগুনে দগ্ধ হতে হবে?
.
৭. নির্দিষ্ট কোনো কামনা পূরণ করার জন্য মন ব্যাকুল হয়ে গেলে নিজেকে এইভাবে বুঝান যে, জান্নাতে গেলে আমার সব ইচ্ছাই পূরণ হবে, কোনো চাওয়াপাওয়া-ই অপূর্ণ থাকবে না। ততদিন পর্যন্ত না হয় একটু ধৈর্য ধরি!
.
৮. পরকালের বিশালতার তুলনায় দুনিয়ার ক্ষুদ্রতা উপলব্ধি করুন। পঞ্চাশ হাজার বছরের তুলনায় মাত্র পঞ্চাশ বছর সময় কিছুই নাহ।
কুরআনের ভাষ্যমতে, সেদিন মনে হবে দুনিয়াতে হয়ত এক সকাল অথবা, সন্ধ্যা অবস্থান করেছিলাম মাত্র।
.
৯. ঐ ব্যক্তিটির কথা চিন্তা করুন, যে দুনিয়াতে সবচেয়ে বেশি বিলাসিতা আর জাঁকজমকপূর্ণ জীবন যাপনের সুযোগ পেয়েও জাহান্নামের এক মুহূর্ত অবস্থানের কারণে আল্লাহর কসম করে বলবে সে দুনিয়াতে চক্ষুশীতলকারী কোনো কিছু দেখেনি।
.
১০. এটা চিন্তা করা যে, গুনাহে লিপ্ত থাকা অবস্থাতেই যদি আমি মারা যাই, তাহলে তো ঐ অবস্থাতেই আমাকে আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে। আর সুযোগ পেলেই যে নির্জনে হারামে লিপ্ত হয়, তার ব্যাপারে হাদিসে এসেছে যে, ঐ ব্যক্তির সমস্ত আমল আল্লাহ বিক্ষিপ্ত ধুলিকণার ন্যায় উড়িয়ে দিবেন।
.
১১. এই আয়াতটির ব্যাপারে ভাবা- "তারা মানুষের কাছে লজ্জিত হয় এবং আল্লাহর কাছে লজ্জিত হয় না।" [নিসাঃ ১০৮]
.
১২. নিজেকে এটা মনে করিয়ে দেয়া যে, এখন যদি সংযমী হয়ে না চলি, তাহলে আমাকে আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছে যে, আযাব এসে গেলে আমাকে আর সাহায্য করা হবে না।
"নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি তার প্রতিপালকের নিকট অপরাধী হয়ে উপস্থিত হবে, তার জন্য নির্ধারিত রয়েছে জাহান্নাম। আর ঐ জাহান্নামে সে মরবেও না, বাঁচবেও না।" [ত্বোয়া-হাঃ ৭৪]
➤মাস্টারবেশন বন্ধ করার উপায়
১. প্রথমে Chrome/google browser এ যাবেন এবং
Search অপশনে গিয়ে "google". লিখে সার্চ করবেন।
২. সার্চ দেয়ার পর প্রথমে যে সাইটটি আসবে ওইটাতে ক্লিক করে ওপেন করবেন।
৩. উপরে বাম পাশে ৩টা ডট আছে ওইখানটাই টাচ করবেন এবং কয়েকটা অপশন পাবেন।
অপশন গুলো এমন করে setting করে নিবেন।
*save searches
2. savesearch Filters
* Filters explicit result
3. Video
* Do not autoplay
নিচে Save বাটনে ক্লিক করে দিবেন। - Nadim M. Utsho
১৩. নারী ফিতনার ব্যাপারে স্মরণ রাখতে হবে, সবচেয়ে সুন্দরী মহিলাটিও শীঘ্রই মারা যাবে এবং পোকামাকড়ের খাদ্যে পরিণত হবে।
লস্ট মডেস্টির ভাইদের এই লেখাটি মুখস্থ রাখা এবং নিজেকে প্রায়ই স্মরণ করিয়ে দেয়া-
দাঁত না বাজলে দুর্গন্ধ বের হয়,বগল থেকে বিশ্রী গন্ধ আসে, চোখে পেচুক জমে, সাবান না দিলে ময়লার আস্তরণ পরে।
টয়লেটে যেতে হয়, তোমার নাকে সর্দি আসে। ৩০-৩৫ বছর বয়স হলেই মেদ জমে হিপোপটোম্যাস হয়ে যাবে,
একদিনতো চুল পেকে যাবে,চামড়া ঝুলে যাবে, ফোঁকলা দাঁতের দাদী নানী হবে।
তারওপর স্বর্ণ,মনিমুক্ত
সেখানে যাবার রাস্তা দুনিয়াতে নিজের বাড়ি যাবার পথের চাইতেও ভালোভাবে চিনব।
প্রাসাদের কাছাকাছি যাবার পরে অসাধারণ একটি দৃশ্য দেখে আমি থমকে যাব। আমার হার্টবিট মিস হবে। পা ভারী হয়ে যাবে, নড়াচড়া করতে পারব না।
৪০ বছর পলকহীন চোখে তাকিয়ে উপভোগ করব জান্নাতী স্ত্রীর সৌন্দর্য। এমন সৌন্দর্য, এমন রূপ যা দুনিয়ার কোনো কিছুর সাথে তুলনা করা যায়না।"
- পর্ণগ্রাফির উপকারিতা (নাই)
- পর্ণগ্রাফির ইতিহাস
- পর্ণোগ্রাফি ঠিকানা
- খারাপ ছবি দেখার শাস্তি
- পর্ণগ্রাফি কি
- পন দেখার কুফল
- পর্ণগ্রাফির ভয়াবহতা
- বাংলাদেশে পর্ণোগ্রাফি
যেসব ভাইয়েরা চাইলেও মাস্টারবেশন ছাড়তে পারছেন না
তাদের অবশ্যই সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে নিজেকে বিয়ের জন্য উপযুক্ত করা আর আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
কিন্তু যাদের এরকম সুযোগ আসলেই অনেক কম, তারা কী করবেন? অনেকেই আছেন বারবার মাস্টারবেশন ছেড়ে দিচ্ছেন আবার কয়েকদিন পর পর আবার করে ফেলছেন।
আবার অনেকেই ছেড়ে দেওয়ার প্রতিজ্ঞাও করতে পারছেন না, তার আগেই আরেকবার করে ফেলছেন। এক্ষেত্রে সমাধান কী ?
হয়ত একবারেই সফল হবেন না, বারংবার চেষ্টা করতে হবে, খেয়াল রাখতে হবে যেন টোয়েনের সিগারেট ছাড়ার মত না হয়।
আপনাকে মনস্থির করতে হবে এবং দাতে দাঁত চেপে একটি একটি দিন পার করতে হবে।
অনেকেই আছেন কোনোদিন ছড়তে পারবেন না বা হঠাত করে ফেলবেন এই ভয়ে শুরুই করতে পারেন না।
ভাই, একবার মনস্থির করে শুরু করুন, এক একটি দিন পার হলেই শুকরিয়া করুন।
যদি কয়েকদিন পরে হয়েই যায়, আবার অপরাধবোধ আপনাকে ঘিরে ধরবে। তখন আগের থেকে শক্তভাবে কিছুদিন আবার পার করার চেষ্টা করুন। ইনশাল্লাহ আল্লাহ নিজে আপনার সহায় হবেন।
প্রথমে ছোট এবং পরে আস্তে আস্তে বড় মাইলস্টোন টার্গেট সেট করুন, সফল হলে নিজেকে পুরষ্কার দেন।
হতে পারে আপনার যে চকোলেট বা চিপস ভালো লাগে, সেইটা এই উপলক্ষে শুকরিয়া করে কিনে ফেলেন।
আর যদি হঠাত করেই করে ফেলেন, সেক্ষেত্রে ২০ রাকাত নামাজ পড়ে ক্ষমা চাইতে হবে।
এইসব ক্ষেত্রে নিজের প্রতি ১০০ ভাগ সৎ থাকতে হবে। ২০ রাকাত নামাজে তড়িঘড়ি করে শেষ না করে আস্তে আস্তে ধীরেসুস্থে পড়েই আপনাকে আল্লাহর কাছে মাফ চাইতে হবে।
আজ পাপ করছেন বলে কি নামাজ/রোজা কিছুই করবেন না?
প্রথমদিকে যখন যে কয় রাকাত পারেন পড়ার চেষ্টা করেন, সুন্নাত সবসময় না পারেন শুধু ফরজগুলো পড়ে শুরু করেন।
এমনকি আপনি যদি ভুলবশত পাপ করেও ফেলেন, তার পরের ওয়াক্তেই আপনি নামাজে বসে পড়ুন। আল্লাহর কাছে সাহায্য চান।
মাস্টারবেশন আপনার কন্সেন্ট্রেশন বা মনযোগের ক্ষমতার মারাত্মক ক্ষতি করে, নামাজ সেইটা রিকভারি করে।
আপনার দেহের সবকিছু নিয়ে যত্ন নিবেন কিন্তু নিচে যে একটা মেশিন আছে, তার কথা ভুলে যাবেন।
কখনোই দেহ এবং মস্তিস্ক অলস রাখা চলবেনা। প্রতিদিন অবশ্যই ব্যায়াম (জিমে যেয়ে করা লাগবে এমন না), হাটাহাটি (সবচেয়ে কার্যকরী) বা ফুটবল খেলার চেষ্টা করতে হবে।
আপনি যদি আপনার সর্বোচ্চ পরিমাণ শারীরিক পরিশ্রম করার অভ্যাস করতে পারেন তাহলে ওসব বাজে চিন্তা আপনার মনে স্থান পাবেনা ইনশাআল্লাহ।
যে সময়টা অলসভাবে কাটিয়ে বাজে চিন্তা ভর করার সুযোগ দেন, পারলে তখন্ই বের হয়ে বাইরে হাটাহাটি বা দৌড়ানো শুরু করুন, ক্লান্ত না হওয়া পর্যন্ত থামবেন না।
এটা আমার ক্ষেত্রে অনেক উপকারে এসেছে আল্লাহর রহমতে, ফলাফল গত দুই দিনে আমি ১৭ কিমি পায়ে হেঁটে ঘুরে ফেলেছি।
অলস মস্তিস্ক শয়তানের কারখানা। এই যে অনেকদিন আপনি না করে চেপে রাখছেন, এই সময়ে আপনি কি করবেন?
হ্যাঁ, এই সময়ে আপনাকে নিজের জন্য কাজ করতে হবে। কিভাবে আপনি নিজেকে বিয়ের উপযোগী করে তুলবেন, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যেতে হবে, ক্যারিয়ারের দিকে মনোযোগ বাড়াতে হবে।
শয়তানের চক্রে বারবার ঘোরা থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে। এভাবেই মুক্ত বাতাসের স্বাদ আবারও আমরা আস্বাদন করব ইনশা আল্লাহ।
মাস্টারবেশন থেকে বাঁচার কিছু সহজ উপায়
১/ উপুড় হয়ে ঘুমাবেন না৷
২/ উলঙ্গ হয়ে ঘুমাবেন না।
৩/ লজ্জাস্থানে যথাসম্ভব হাত লাগানো থেকে বিরত থাকুন।
৪/ মেয়েদের ফেসবুক থেকে অানফ্রেন্ড করুন৷ এমনকি যাদের প্রোফাইলে মেয়ে ফ্রেন্ড বেশি তাদেরও অানফ্রেন্ড করুন।
৫/ শুধুমাত্র পর্ণ নয় বরং নাটক, সিনেমা, মুভি, সিরিয়াল দেখা থেকে বিরত থাকুন।
৬/দৃষ্টির যথাসম্ভব হিফাজত করুন।
৭/মুবাইলে কুরঅান তিলাওয়াত, গজল, ওয়াজ ডাউনলোড করে রাখুন।
৮/ ফেসবুকে অালেম ওলামাদের ফ্রেন্ডলিষ্টে রাখুন।
৯/ ইসলামী পেইজ ও ইসলামী গ্রুপগুলিতে যুক্ত হয়ে থাকুন।
১০/ নিয়মিত নামাজ পড়ুন।
১১/মেয়েদের প্রাইভেট টিওটর হিসেবে পড়ানো বাদ দিন।
১২/নিজেকে কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত রাখুন। কোনো কাজ না থাকলে ইসলামী বই পড়ে সময় পার করুন৷
১৩/ সময় থাকলে তাবলীগে ১২০ দিন অর্থাৎ তিন চিল্লা দিন।
১৪/বিয়ের টার্গেট সেট করুন।
১৫/ হস্তমৈথুনের সামাজিক কুফলের কথা ভাবুন।স্ত্রী অতৃপ্ত থাকলে পরকীয়া করবে, এই কথাটা মাথায় রাখুন৷
১৬/ মাস্টারবেশন এর কারণে বাবা হওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা অাছে, এটি মাথায় রাখুন৷
১৭/ ইউটিউবে বেশি বেশি ইসলামি চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করে রাখুন৷
১৮/ উত্তেজিত অবস্থায় বিছানা থেকে উঠে একটু বাহিরে গিয়ে হাটাহাটি করুন। অথবা
ফেসবুকে লগ ইন করে এই গ্রুপের পোস্টগুলি পড়ুন।
১৯/ অন্যদের মাস্টারবেশন থেকে বিরত থাকতে নসীহত করুন৷ এটা অাপনার নিজের জন্যে টনিক হিসেবে কাজ করবে৷
২০/ কখনোই নিরাশ হওয়া যাবে না৷ নিরাশ হলেন তো হেরে গেলেন৷ যতটা সম্ভব এই বদঅভ্যাসের বিরুদ্ধে নিজের সংগ্রাম চালিয়ে যান৷
২১/ রোজা রাখুন মাঝে মাঝে।
২২/ প্রেম করা বাদ দিন।
২৩/ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে ক্ষমা চাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ গভীর রাতেই এই কুকর্মগুলি সংঘটিত হয়৷
২৪/ প্রতিদিন ১ পারা কুরঅান তিলাওয়াত করুন৷
২৫/নিয়মিত গোসল করুন৷
- প্রত্যাবর্তনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ
পর্ণ থেকে বাচতে চাওয়া এক ভাইয়ের অনুরোধ
বিরত থাকার জন্য অনেক বছর থেকে চেষ্টা করতেছি।কিন্তু কখনোই ৩০-৪০দিন এর বেশি থাকতে পারিনি।একবার করার পর মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয় যে,আর জীবনেও করবনা।
কিন্তু কয়েকদিন পরেই সেই প্রতিজ্ঞার কথা ভুলে যায়।
আগে মোটামুটি মাসে ২-৩ বার করতাম!কিন্তু এখন ওয়াই-ফাই পেয়ে সপ্তাহে দুই-তিন বার করে ফেলতেছি!আমি কোনো মতেই নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারছিনা।হঠাৎ করেই মাথার মধ্যে পর্ণ দেখার নেশা জেগে বসে।তখন আমি আর নিজেকে বিরত রাখতে পারিনা।
২)Wi fi
৩)রাত জাগা
৪)ইচ্ছাশক্তির অভাব
বিয়ে করতে আরো ৪-৫ বছর লাগবে।এই ৪-৫বছরে আমি কোনো রকম পর্ণ ও মাস্টারবেশনের ধারে কাছেও না যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছি।আমাকে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুন।
(১ )
ইচ্ছাশক্তিকে দৃঢ় করতে - ঈমানী শক্তি বাড়াতে হবে- যাতে কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে , শয়তানের বিরুদ্ধে জিহাদ করা যায়--
(১) মসজিদে ৫ ওয়াক্ত ছালাতে বিনম্রচিত্ত, একাগ্র ,মনোযোগী হওয়া উচিত,,
(২) কুরআন তেলাওয়াতে যত্নবান হওয়া
(৩) কুরঅান- সুন্নাহ- ছালাফদের মানহাজের অালোকে দ্বীনিবই পত্র বেশীবেশী পড়া-
(৪) দ্বীনদার বন্ধুর সান্নিধ্যে থাকা-
(৫) কুরঅান- বিশুদ্ধ হাদিছভিত্তিক ইসলামী বক্তব্য শোনা
(৬) কবর যিয়ারত করা-- অাখিরাতকে স্মরণ করায় - অন্তরকে নরম করে দেয়
(৭) শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে বাচতে বহুমুখী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া
আর সমস্যার পরিবেশ থেকে দূরে থাকা-
অন্তত রাত্রিবে
লা ফোন থেকে দূরে
থাকা কর্তব্য !
বিশেষভাবে যেসময় ওই সমস্যায় পড়েন,,
রাতজাগা অনেক ক্ষতিকর ,,
রাতে যদি জেগেই থাকা হয়- তবে তাহাজ্জুদ পড়ার অভ্যাস করা যেতে পারে…
কেননা শয়তানই মানুষকে অশ্লীল কাজের নির্দেশ দেয়(প্রমাণ… সূরা বাকারাহ-২৬৯ অায়াত)
শয়তান তো অশ্লীলতা ও মন্দ কাজের নির্দেশ দেয়। (সূরা নূর-২১ অায়াত)
গোপনে অশ্লীলকাজে লিপ্ত হবার পরিণাম ভয়াবহ,, এতে যাবতীয় নেকঅামল ধ্বংস হয়ে যাবে-- (সুনানে ইবনু মাজাহ্)
"অশ্লীলতা মুনাফিকীর অংশ"
"অশ্লীলতা/
**এজন্য প্রথমে প্রয়োজন শয়তানকে দূরে রাখা… সেজন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ নেয়া যায়…
(১)অাউযুবিল্লাহ
(২)গৃহে সূরা বাকারাহ পাঠ…(মুসলিম-- ৭৮০),, রাতে সূরা বাকারার শেষের ২ অায়াত - অায়াতুল কুরসী সঠিকভাবে বুঝে পড়া,,
(৩) ঘুমানোর সময় অায়াতুল কুরসী পাঠ(তিরমিযী --১২০৮)
(৪) গৃহে প্রবেশের সময় সালাম দিয়ে বিসমিল্লাহ বলে প্রবেশ,, এতে শয়তান রুমে থাকতে পারবেনা,,
খাওয়ার সময় শুরুতে " বিসমিল্লাহ " বললে শয়তান অাপনার সাথে খেতে পারবেনা,,
সে দুর্বল হয়ে পড়বে।
(মুসলিম-- ২০১৮)
(৫) ঘর থেকে বের হবার দুআ,,
রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ যখন কোনো ব্যক্তি তার ঘর থেকে বের হওয়ার সময় বলবেঃ ‘‘বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’’
( “আল্লাহ তা'আলার নামে, আল্লাহ তা'আলার উপরই আমি নির্ভর করলাম, আল্লাহ তা'আলার সাহায্য ব্যতীত(পাপ থেকে) বিরত থাকা ও মঙ্গল লাভ করার শক্তি কারো নেই”] তখন তাকে বলা হয়, তুমি হেদায়াত প্রাপ্ত হয়েছো, রক্ষা পেয়েছো ও নিরাপত্তা লাভ করেছো।
সুতরাং শয়তানরা তার থেকে দূর হয়ে যায় এবং অন্য এক শয়তান বলে, তুমি ঐ ব্যক্তিকে কি করতে পারবে যাকে পথ দেখানো হয়েছে, নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে এবং রক্ষা করা হয়েছে।
(সুনানে অাবু দাউদ--৫০৯৫)
(৬) যিকর (অাল্লাহর স্মরণ) -- তাসবীহ্ তাহলীল দুআ ইস্তেগফার শয়তান থেকে নিরাপত্তার " সুরক্ষিত দুর্গ"(তিরমিযী)
তাই কুমন্ত্রণা অনুভব করলে বেশবেশী যিকর ইস্তেগফার পাঠ করতে পারেন…
(৭)ফজর ও মাগরিবের ফরযের পরে ১০ বার বিশেষ দুআ ---
নবী (সা) বলেন, যে ব্যক্তি মাগরেব ও ফজরের নামায থেকে ফিরে বসা ও পা মুড়ার পূর্বে-
لآ إِلهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الُحَمْدُ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ
‘‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু, অলাহুল হামদু, য়্যুহয়ী অয়্যুমীতু, অহুআ আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর।’’
(অর্থাৎ আল্লাহ ছাড়া কেউ সত্য উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, তাঁরই জন্য সারা রাজত্ব, এবং তাঁরই নিমিত্তে সকল প্রশংসা। তিনি জীবন দান করেন, ও মৃত্যু প্রদান করেন। আর তিনি সর্ববস্ত্তর উপর সর্বক্ষমতাবান।
প্রত্যেক অপ্রীতিকর বিষয় এবং বিতাড়িত শয়তান থেকে (ঐ যিকর) রক্ষামন্ত্র হয়, নিশ্চিতভাবে শির্ক ব্যতীত তার অন্যান্য পাপ ক্ষমার্হ হয়।
(সহীহ তারগীব --৪৭৭)
(৮) সকাল সন্ধ্যায় অর্থসহ,, মনোযোগ একাগ্রতার সাথে সূরা ইখলাছ ফালাক্ব নাস ৩ বার পড়া।
Mohidul Hashan Maruf
TaHsan RaKib
সো ফেসবুক ইউজ করা বাদ দেন...বাটন ফোন ইউজ করেন...যেগুলো দিয়ে জাস্ট কথা বলা যায়...
ফেসবুক একান্তই ইউজ করতে হলে ফোনে এম্বি + টাকা রাখবেন নাহ... ফ্রি ফেসবুক ইউজ করবেন যাতে পিক বা ভিডিও দেখা না যায়...
আর আসল কথা হলো অন্তরে আল্লাহ'র প্রতি ভয় তৈরি করেন...কারণ Death will come without warning...
পিসিতে ফেসবুক ইউজ করলে একটা এক্সটেনশন ইউজ করতে পারেন...Fb Purity নামের ...মোটামোটি কাজ করে...
বাট আমি আপনাকে বল্ব ফেসবুক বাদ দিতে ...একদম না পারলে জিরো ডট ফেসবুক চালান...
আর মোবাইল বাটন মোবাইল ইউজ করেন..আর পিসিতে সালাম ওয়েব ব্রাউজার ইউজ করবেন...
এটা অশ্লীল কন্টেন্ট ব্লক করে দেয়...এটার এন্ড্রয়েড ভার্সন ও আছে...এন্ড্রেয়ে
এপ্স টার নাম "Lock me out" /
আর একচুয়ালি সব আপনার নিজের উপর...কাজে ব্যস্ত থাকেন...নামাজ পড়েন ৫ ওয়াক্ত
...skill develop করেন...ms word,powerpoint er কাজ শিখেন ,...youtube theke 5 mints crafts এর ভিডিও দেখতে পারেন... এটার আপনার আসক্তির পর্যায়ে চলে গেছে...
so it is high time..u took step... আর এভাবে কন্টিনিউয়াস ফোন টিপতে থাকলে শয়তান আপনাকে দিয়ে ইজিলি গোনাহ করিয়ে যাবে...নফসের ধোকায় পড়ে গুনাহ করে ফেল্বেন .
আর Blocksite নামের এপ্স আছে এটা দিয়ে স্পেসিফিক এপ্স ব্লক করে রাখতে পারবেন...বাট Lock me Out বেস্ট...বাট এই এপ্স গুলো ইউজ করলে আপনার বিরক্তি চলে আসবে ফোনের প্রতি...
কারণ এরা ৫ মিনিট পর পর ই এপ লক করে দেয়(সেটিংস এ আগে সেট করতে হবে) আর ফোনের প্রতি বিরক্তি আসলেই ত্ব আপনার জন্য ভালো...
আর ভাই উলটাপালটা চিন্তাভাবনা মাথায় আসবে স্বাভাবিক বাট এগুলো মাথায় বেশিক্ষ্ণ থাকে নাহ...
যদি আপনি সুযোগ না দেন...এগুলোর জন্নে ওষুধ আছে...
বিভিন্ন দু'আ আছে...এই গ্রুপে অনেক লিখা আছে এই রিলেটেড.. Humanity পেইজে এ আছে লিখাগুলো...
Md Gias Uddin
কোনো বই আপনাকে এই কাজ থেকে বিরত রাখতে পারবে না। আপনাকেই চেষ্টা করতে হবে এর থেকে বের হয়ে আসতে। মনে রাখবেন গোপনে করা গুনাহের কারনে আপনার সব আমল বৃথা যাবে।
আপনার জন্য পরামর্শঃ
১। আপনি কখনও একা থাকবেন না। মানে যখনই আপনার পর্ণ দেখতে মন চাবে তখনই আপনি আপনার বাবা মাকে সময় দিন যদি পরিবারের সাথে থাকেন আর না থাকলে ফোনে কথা বলুন, অবশ্যই মায়ের সাথে।
২। যখনই আপনার পর্ণ দেখার ইচ্ছা হবে তখনই একবার অজু করে নিবেন। যত কষ্টই হোক!
৩। বেশির ভাগ আমরা মাস্টারবেসন করি রাতের বেলা। তাই রাতের বেলায় যদি মেসে থাকেন তাহলে একা থাকবেন না মানে যতক্ষন ঘুম না আসে ততক্ষন আপনি বন্ধর সাথে থাকুন। পরিবারের সাথে থাকলে বাবা মায়ের সাথে থাকুন।
আর সবচেয়ে বড় কথা মনের ইচ্ছাই বড় ইচ্ছা। আল্লাহকে ভয় করুন কারণ তিঁনি আমাদের গোপন গুনাহের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন
MD Tajul Islam Tusher
বই রিভিউ মুক্ত বাতাসের খোঁজে
নাম:মুক্ত বাতাসের খোঁজে
ভালোবাসা নাও, হারিয়ে যেয়ো না।
হাজারো কৌতহল থেকে মুক্তি পাবার জন্য
"মুক্ত বাতাসের খোঁজে" বইটি পড়ুন।
বইটি আপনাকে দিবে এমন কিছু তথ্য, যা পড়ে আপনি খুঁজে পাবেন নিজেকে এক অন্যভাবে!
বইটি এমন কিছু সুখের সন্ধান দেবে যার আলোতে হয়ত কিছুটা সময় হলেও রাঙাতে চাইবেন।
সেই সাথে যারা সাহিত্য প্রেমি,তাদের যথেষ্ট খুরাক আছে এতে।
তাহলে আর দেরি কেনো!
আর কতকাল ভুল করে ভুল রাস্তায় হেঁটে বেড়াবে উদ্ভ্রান্তের মতো?
আর কতকাল?
বরং এসো খোলা জানালায়।
একঝলক ঠান্ডা বাতাস এসে শীতল পরশ বুলিয়ে দেবে তোমার স্নীগ্ধ মুখটাতে।
বাইরে চেয়ে দেখো ঝকঝকে রোদে ভেসে যাচ্ছে চারদিক, উঠোনকোণের পেয়ারা গাছটার পাতার আড়ালে মিষ্টি সুরে গান গেয়ে যাচ্ছে বুলবুলি,
দূরের ঐ নীল আকাশে ডানা মেলেছে সোনালি ডানার চিল;
হাতছানি দিয়ে ডাকছে তোমায়,
যেনো তুমি বেড়িয়ে পড়ো
মুক্ত বাতাশের খোঁজে....
- হস্ত মৈথুন সম্পর্কে প্রচলিত কিছু ভুল ধারনা
- ইসলামের দৃষ্টিতে হস্ত মৈথুন
- অতিরিক্ত হস্তমৈথূন্য জনিত সমস্যা সমাধান
- মেয়েদের মাস্টারবেশনের উপকারিতা
- বীর্য বের হয় না
- মেয়েদের বীর্য খাওয়ার উপকারিতা
- শুক্রাণু খেলে কি হয়
- বীর্য বাড়ানোর উপায়