বাংলা কবিতা ঃ ৫০+ ভালবাসার কষ্টের ছোট বড় বাংলা কবিতা | Bangla Romantic Love Kobita Image With 50+ Kobita 2024
৫০+ ভালবাসার কষ্টের ছোট বড় বাংলা কবিতা : Bangla Romantic Love Sad Kobita Image Pic Download
বেদনা আমার ছায়া
এই জীবনে কাটবেনা আর
বিষাদের এই মায়া
বাংলা কবিতা সমগ্র সাথে কবিতার ছবি
ক্যালেন্ডারের পাতায়,
জীবন থেকে চলে গেল
একটি বছর বৃথাই।
Rajib Reza
অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকা
এই আমি!!
পারব কি নিজেকে সরাতে
অদ্ভুত এই মায়ার বাঁধন থেকে।
যে মায়া শত ব্যাস্ততার মাঝে
দেয় তারে মনে করে।
শিউলি আক্তার,,,,
Bangla Romantic Kobita Image 2024
তোমাকে ভুলে গেছি সেই কবে!
অথচ পাড়ার লোকেরা দেখে
আমার চোখের নিচে জমেছে
রাতের আঁধারের মতো বেদনার কালি!
তুমি ধরেই নিয়েছো
পুরাতন বছরের মতো তোমাকে ভুলে গেছি।
পাশের বাড়ির পড়শীরা জানে
এখনও মাঝে মাঝে পুরাতন বছরের মতো
প্রতিটি নতুন বছরে ঘুম ভেঙে যায়
বিকট চিৎকারে কেঁপে উঠে পুরো পাড়া।
পড়শীরা আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়ে থাকে
যেন তোমাকে ভুলতে না পারা
সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহ!"
➤Bangla Love Kobita Image
গত হবারই কথা ছিল,
সদা, সর্বদা, সবসময় কথাটা
তার সাথে যায় না
বড্ড বেমানান....
চোখের পাতাতে পাতাতে
ভাসমান স্মৃতিরা
পলকের বিরতিতে
কিছুটা বিশ্রামের আবির্ভাবে
ক্ষণে ক্ষণে আসবে
একটু হাসাবে, একটু চোখ ভেজাবে
এভাবেই চলবে অবিরাম,
হাসাবে, কাঁদাবে, নতুনে পুরনো হবে।
Kobita Pic
Sad Kobita Pic
ভালোটাকেই রেখেছি আকড়ে ধরে
তোমারি সাথে নতুন দিগন্ত পাড়ি দিব বলে....!!
আরো দেখুনঃ
বাংলা ফানি ছবি
কষ্টের কথা ছবি
Love Kobita Photo
➤আমি কবি নই যে,তোকে নিয়ে কবিতা লিখবো।
আমি গায়ক নই যে,
তোকে নিয়ে গান গাইবো।
আমি প্রেমিক
তাই শুধু ভালোবাসবো।
_শাওন
Bangla Romantic Love Kobita Image | Sad Kobita Pic Download 2024
➤আমি জানি তুমি কি ভাবছো,ভাবছো এইবার বুঝি তুমি আমায় হারিয়ে দিলে।
ভুল ধারণা,
একবার পিছনে ফিরে দেখ,
হিসেব মিলিয়ে দেখ,
তোমার হিসাবের খাতাটা আজও শূন্য, কিন্তু আমারটা আমাতেই পরিপূর্ণ।
এর কৃতিত্ব অবশ্য তোমারই।
আগুনে পুড়িয়ে যেমন লোহা শক্ত হয়, রোজ একটু একটু করে তোমার অবহেলার তাপে পুড়ে আজ আমি শক্ত হয়েছি।
তোমার নামে রোজ আবেগ পুষতে পুষতে আজ আমি আবেগের মানে ভুলেছি।
তোমায় দেখে দেখে আজ আমি তোমার পথে হাটতে শিখেছি।
শুনতে পাচ্ছ???
আমি এখন একাই পথ চলতে পারি, মানুষ চিনতে পারি,আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি,এড়িয়ে চলতে পারি, হাসতে পারি,কোনটাতেই এখন আমি তোমাকে খুঁজি না।এখনো বলবে তুমি জিতে গেছো?
পারবেনা বলতে,
কারণ তুমিও জানো আজ আমি কতটা শক্ত হয়েছি।
তোমার ভাগ্য অনেক ভালো জানো?
তুমি থাকতে আমার হৃদয়টা এমন পাথর ছিল না,নইলে প্রতিঘাতে তুমিই চূর্ণ হয়ে যেতে।
তোমার তরে আমি কৃতজ্ঞ আমায় পৃথিবী চিনিয়েছো,নিজেকে
- শবনম
ঢলে পরা স্বপ্নটা যার
গলা ছেড়ে কাঁদে,
সেই জানে জীবনটা তার
জড়িয়েছিল কোন বিবাদে!
বাংলা কবিতা ফুলওয়ালী
- নাজআমি ফুলওয়ালী টোকাই মেইয়ে ছিলেম।
আমি রাস্তার পাশে ইট দিয়া কাগজ বান্দা
বসত ঘরে ঘুমাইতেম।
আজান ভোরে,
আমি ঘুম থেইকে উইঠে ফুলের বাজারে ছুঁইটে যাইতেম।
অনেক দরদাম কইরে,
ফুল কিইনে ঝুপড়িতে ফিরতেম।
মালা গাঁইথতেম, তোরা বানাইতেম।
তারপর বেহান রইদে চাইরখানা পান্তা খেইয়ে,
বড়ো রাস্তার মেড়ে মোড়ে ফুল বেঁইচতেম,
আর ফুল বেঁচা দুইখান পয়সা পাইয়ে।
তাই দিয়ে মায়রে নিয়ে খাইদাই ঘুমাইতেম।
রাস্তার পাশের ওই ঝুপড়ি খানাডারও,
ভারা গুইনতে হইতো গো আমার।
আমি গুইনতেম।
হাঁচা কইতেছি,
কাউরে ঠকাইতেম না।
গাটের পয়সায় পুলিশরেও টোল দিইয়ে,
ফুল বেঁইচতেম।
দৌড়ে দৌড়ে কত ঠেলা ধাক্কা খেইয়ে,
গাড়ির আগে পিছে আগে পিছে কইরে,
ফুল বেঁইচতেম।
ঝুপড়ির মইধ্যে আমার বেরামী মা ডা,
অপেক্ষা কইরতেন।
আমার আর আমার খাওনের লাইগে।
পেটে ঠিকমতো খাওন ছেলো না।
চুলে তেল ছেলো না।
শীতের কাপড় ছেলো না।
ঘুমানোর বিছানাপত্তর কিচ্ছু ছেলো না।
তবু কাউর কাছে কোন অভিযোগ ছেলো না আমার।
কড়কড়ে একটা ভালোবাসার নোট দিয়ে।
একদম নতুন,,
সদ্য ফোটা একটা "তুমি" কিনতে চাই!!
বিন্দু বিন্দু করে জমানো ভালোবাসা,,
আর অনুভূতির বিনিময়ে।
আমি একটা "তুমি" কিনতে চাই!!
,,
💞নিরবতা
সে হাত ছেড়ে দিও না তার বিশ্বাস ভেঙে।
থেকো না জমে মনের আঙিনায়;
বেদনাহত সময়ের গান
মিশে যাক কুয়াশায়।
মনের পাখি মনে
থাকেনা সবসময়।।
আকাশ জুড়ে উড়ে শঙ্খচিল
রোদ্দুরে বসে ঝাপটায় ডানা
উড়ে যায় শেষে দূর নীলিমায়।
মনের পাখি মনে
থাকেনা সবসময়।।
সৌরভ নেই বাগানের ফুলে
নদী বয়ে যায় দুই কূল ভেঙে
বনানী সে আর ডাকেনা ভালোবাসায়।
মনের পাখি মনে
থাকেনা সবসময়।।
সময়ের সুরে কর ডাকাডাকি
ফিরে এসো তুমি ভালোবাসা সুখ
বেঁচে থাক স্বপ্নেরা অপার আশায়।
মনের পাখি মনে
থাকেনা সবসময়।।
মুনতাসির রাসেল
জিয়া হল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
জানালার পাশে,
মন ছুটে চলেছে
ওই দূর আকাশে।
আঁধারে ঘেরা চারিপাশ;
নীরবতা যে ডাকছে আমায়,
ঝিঁঝিঁরাও আজ নিঃসঙ্গতায়,
স্মৃতিরা যেন বাতাসে মিলায়,
ভুলো মন ফের অতীতে হারায়,
কীসের খুঁজে মন শূন্যে হারায়?
রয় মৃদু সমীকরণ,
মন করে বিচরণ,
অজনা এক আহবানে।
হয়তো অচেনা এই পথে
খুঁজে চলেছি নতুন পথের ঠিকানা।
তবে কী ক্ষীণ আলো-
পথ দেখাবে!
বুঝতে না পাই,
কত আশা করি
নানা কল্পনা গড়ি,
দিন ফুরোয়-
অপূর্ণতায় তবু আশা ছাড়ি নাকো।
~ইফাজুল ইসলাম
Bangla Romantic Love Kobita Image
———————————
আমাকে চিনতে পেরেছেন?
আমি-
আমি,
থাক নাম বললেও চিনবেন না।
ওয়াসা গলির ১০৭/এ তে ভাড়া থাকতাম।
আপনাদের দু’বাড়ী পর।
ছ’মাস অনেক সাহস করেও
একটি চিঠি লিখেতে পারিনি,
শুধু আপনাকে দিবো বলে।
কেনো যে সাহস হয়নি তখন!!
তবে,
আমি এখন প্রতিদিনই লিখি!!
কবিতাই লিখতে বোধহয় সাহস লাগেনা।
——————————————
রশিদ হারুন
০১/০১/২০২০
কবিতা ও গল্প সাথে প্রেম ভালবাসার রোমান্টিক কবিতা
আমি আর একবার গোলাপ কেনার দিনগুলোতে ফিরতে চাই।
আমি আর একবার ফিরতে চাই,
আমার সব চেয়ে চেনা পথে।
মাঝ দুপুরে এক জোড়া উৎসুক চোখের নীল জানলায়,
আমি আবার ফিরে যেতে চাই।
একটা চেনা বিকেলে,
খুব চেনা ঘ্রানে নাক ডুবিয়ে,
আর একবার বাঁচতে চাই।
অভিমানের সমস্ত প্রাচীর ভেঙে শুধু একবার ফিরতে চাই।
ফিরতে চাই ঠিক প্রথম দেখা নীলার কাছে।
এই সূদুর পরবাসের লাইট ক্যামেরা এ্যাকশন থেকে,
শুধু একটা দিনের ছুটি নিয়ে,
আমি ফিরে যেতে চাই নীল জানলায়।
ঠিক পুরোনো এক রাতের মতো,
হেরে গলার একটা কবিতায়,
পানি করে দিতে চাই সমস্ত অভিমান।
অভিমানের আয়ু কতো বছর?
মাঝে মাঝে খুব জানতে ইচ্ছে হয়।
এক আয়ুষ্কাল ভালোবাসার চেয়েও বেশি?
অভিমানের পাহাড় গলিয়ে আমি আর একবার ফিরতে চাই।
আমার খুব চেনা পথটার ধারে।
নীল জানলার উৎসুক চোখে তাকিয়ে,
কাটিয়ে দিতে চাই এক আয়ুষ্কাল ভালবাসা।
নীলা,
গোলাপ কেনার দিনগুলোতে আমি আর একবার ফিরতে চাই,
শুধু আর একবার ফিরতে চাই...
মুহতাসিম তকী
➤বাংলা কবিতা দেখা হয় না বহুদিন
_____সুলতানা সুমিনা কোন ফোনালাপ,
আর না কোন যোগাযোগ,
সবটাই সম্পূর্ণরুপে বিচ্ছিন্ন।
অথচ কেউ কাউকে ছাড়া বাঁচবো না বলে
যে বুলিটা আওরাতাম।
এখন তা কেবলই নিছক ছেলে খেলা ছাড়া
আর কিছুই মনে হয় না।
বাস্তবতা নামক এই শব্দটা
আমাকে দারুণ ভাবে শিখিয়ে পড়িয়ে নিয়েছে।
এখন আমি তোমাকে ছাড়াই দিব্যি চলছি, ফিরছি
এই তো চলছে জীবন।
যে আহাজারিটা করতাম,
জানো, আজ সেসব মনে পড়লেই খুব হাসি পায়।
আমাদের দেখা হয় না বহুদিন,
না কোন ফোনালাপ,
আর না কোন যোগাযোগ।
মানুষ সত্যিই খুব বোকা
বোকা না হলে কি আর তোমার প্রেমে এতোটা ডুবে যেতাম।
মানুষ প্রেমের ফাঁদে ফেলতে পারে
তোমাকে না দেখলে অজানাই থেকে যেতো।
আমি যখন,রাত জেগে
তোমাকে ফোনের ওপারে সঙ্গ দিতাম
তুমি হাসি দিয়ে বলতে ভালোবাসি রে,
আর আমার বোকা মন আরও তোমার প্রেমে ডুবে মরতো।
আচ্ছা,তুমি প্রেমিক নাকি অভিনেতা?
সব কিছুতেই কি আর চলে হারা যেতা?
মনে আছে তোমার?
কোন একদিন দেখা হয়েছিল আমাদের
সেদিন আচমকা আমাকে দেখে,
কি ভয়টাই না পেয়েছিলে তুমি।
লজ্জায় লজ্জায় লালটি হয়েছিলাম আমি।
তোমার হাতে ছিল মাত্র শেষ করা একটি কমলার ছাল,
তুমি কি আর জানতে?
আমার হৃদয় স্পন্দনের সকল সুর সেদিন হয়েছিল বেতাল।
আমি যত্ন করে কুড়িয়ে এনেছিলাম ছাল গুলো
এখন অবশ্য সেসব শুকিয়ে চুপসে গেছে।
আমার পছন্দের চকলেট গুলো পাঠিয়েছিলে
আমি সেদিনও লজ্জায় সেগুলো ছুঁতে পারছিলাম না
সেগুলো যত্ন করে রেখেছিলাম বালিশের এক কোণে
সব কয় টা রেখে দিয়েছিলাম গুনে গুনে।
যদি কেউ নেয়
এটাই তো ছিল আমার ভয়
এভাবে কেউ যায় ফেলে?
আমাদের দেখা হয় না বহুদিন
না কোন ফোনালাপ,
আর না কোন যোগাযোগ।
তোমাকে কেউ অপছন্দ করে মানে এই না যে তুমি খুব খারাপ। কারো কাছে অপছন্দ হতেই পারে তোমার সব কাজ তার মানে এই নয় যে তুমি তোমার কাজ বন্ধ করে দিবে।
আগে নিজেকে ভালবাসতে শিখো তাহলেই তোমাকে অন্যরা ভালবাসবে।
না, একদমই নয়।
মানুষকে মিথ্যা খুশি করতে পারো না বলে তাদের তোমাকে ভাল না লাগতেই পারে।
তার মানে কি তুমি সত্যি বলা ছেড়ে দিবে!
না, একদমই নয়।
যেখানে তুমি নিচিন্তায় জীবন পার করে দিবে।
তোমার জীবনকে তোমার নিজেকেই সাজাতে হবে।
তাই এখানে প্রতিটি মুহূর্ত তোমাকে লড়াই করে নিজের জীবনকে রাঙাতে হবে।
একটা কথা মনে রেখো, আল্লাহ কাউকে সম্নান দিলে কেউ তাকে ছোট করতে পারে না। তাই কে তোমাকে নিয়ে কি বললো তা না ভেবে নিজের কথা ভাবো।
নিজের ইচ্ছেকে মূল্যায়ন করতে শিখো তবেই জীবনে সুখী হতে পারবে।
কষ্টের কবিতা ২০২৪
তোমায় ভেবে বিনিদ্র নিরালায়।।
সুখ সংখ চিল হবো
তোমায় ভেবে
বিসন্ন মনে গৌধুলির রক্তিম বেলায়।।
তোমায় ভেবে দীর্ঘশ্বাস গুলো
উড়ে যাবে....
ছদ্মবেশী
তোমার বারান্দার দেয়াল.....
তোমার কিছু নীল আমায় দাও
সাথে দিও শুভ্র মেঘ।
আমার বালিশ, বেলকোনি
আর শোবার ঘরের আকাশ।
চুল সাজাবো বেনী গেথে,
আমার খোপার ফুল যে
সেই কবেই শুকিয়ে গেছে।
নিস্তব্দ চার পাশে,
তারা গুলো সাজিয়ে রাখবো
ঘরের দেয়ালে।
আমায় একটু নীল দাও
এখনো কি সকাল হলে চায়ের কাপে আমায় খুঁজ?
নাকি নতুন মানুষের আদরে আদরে আমার শরিরের গন্ধ ভুলে গেছ?
এখনো কি চায়ে চিনি কম হলে বাড়ি মাথায় তুলো?
নাকি নতুন মানুষের ঠোঁটের কড়া চুম্বনে চিনি ছাড়াই চা এর কাপে চুমুকে চুমুকে বেশ স্বাদ গ্রহন করো!
.
আচ্ছা আমি যে জলরঙ্গের ফ্যাকাসে শার্টগুলো ইস্ত্রী করে স্বযত্নে আলমারিতে তুলে রেখেছিলাম ওগুলো কি তুমি প্রতি রাতে নিয়ম করে দেখো? নাকি তোমার হাজারো রঙ বেরঙের শার্টের ভিড়ে আমার পছন্দের থাক গুলোও ভরে গেছে নতুন কারোর হাতের ছোঁয়ায়।
.
আচ্ছা এখনো কি দুপুরের খাওয়া নিয়ে অনিয়ম করো,নাকি নতুন মানুষ বায়না করে এক সাথে খাবে বলে?অফিসে টিফিন নিয়ে যাও বুঝি, নাকি সময় বের করে বাড়ি ফিরে আসো!
জানত আমিও রান্না করে তোমার অপেক্ষায় থাকতাম তবে তুমি ব্যস্তার অজুহাতে কখনোই আসতে চাইতে না।ফাইলের পর ফাইলে মুখ গুজে থাকতে।
.
এখন ত দেখি চাপ দাড়ি, হাতে ঘড়ি সাথে চিকন ফ্রেমের চশমা পড় অথচ দেখ তোমাকে আমি কতবার বলতাম চাপদাড়িতে তোমাকে বেশ মানায়।তুমি হেসে উড়িয়ে দিতে।হাত ঘড়ি??ধুর এসব আজকাল কেউ পরে নাকি।চশমা আমাকে ঠিক মানায় না বলে এড়িয়ে যেতে।
.
এখনো কি তোমার জ্বর হলে জ্বরের ঘুরে আবলতাবল বকো,নাকি জ্বরের ঘুরে তার হাতদুটোই খুঁজ বারবার।তৃষ্ণায় বুক ফেটে গেলে তুমি কি সব লজ্জা ভেঙে তার পরশ খুঁজো!
নাকি আমার মত সেও তোমার মাথা টিপে দেয়।কপাল জুরে মলম লাগিয়ে দেয়।সে নিশ্চয় আমার মত বোকা নয়।সংসারের প্রতিটা হিসেব নিকেশ সে কড়া হাতেই করে।বাজারের ফর্দে লিখে রাখা এখনো কি টিপ কিংবা চুড়ি আনতে লজ্জা পাও নাকি সে আমার মত এত পাগলামি করে না।
.
জানত আমি বেশ হিংসুটে।তোমাকে কারো সাথে ভাগ করব এটা ভাবলেই প্রচন্ড রাগ হত অথচ তুমি সত্যি ভাগ হয়ে গেছ অন্য কারো সাজানো লেখা কবিতা গল্প উপন্যাসে।
আমি তোমার থেকেও তোমার হতে পারিনি অথচ দেখ তুমি আমার না হয়েও আমারি আছ।
.
জানত তোমাকে ভেবে আজকাল বুকের পাশটার প্রচন্ড ব্যাথা হয় সবার চাপাচাপিতে ডাক্তার দেখিয়ে ছিলাম।বোকা বোকা ডাক্তার গুলা ভালোবাসার ব্যাথা বুঝে না।কাড়িকাড়ি কি সব টেস্ট ফেস্ট দিল।বলল নাকি কঠিন অসুখ হয়েছে।
হা হা হা,,
তুমি নামক শূন্যতার চেয়ে কি বড় কোন অসুখ হতে পারে?
.
ভিষণ যন্ত্রণায় পুড়ে ছাড়খাড় হচ্ছে হৃদয় তুমি ভালো আছ শুনে বুকের ভেতর কেমন জানি একটা স্বস্তি হলো।
তুমি ভালো আছো, জানত আমি ভালো থাকতে পারছি না।
.
দেখা হলো বছর তিনেক পর।আমি এখনো তোমারি আছি শুধু তুমি হলে পর।
.
কথা সঞ্চালিকা: আরত্রিকা সাহা