Bangladesh Fish Picture Photo Download [মাছের ছবি]
Bangladesh Fish Picture Photo Download
ইলিশের নামে ক্রেতারা খাচ্ছেন বিষ !
দেখতে হুবহু ইলিশ মাছের মতোই। রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্রেতারা পদ্মার ইলিশ বলে ক্রেতার কাছে চড়া দামে বিক্রি করছেন। বেশ বড় ও চকচকে রুপালি রং দেখে ক্রেতারাও খুশি মনে কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন। তবে রান্নার পর পদ্মার ইলিশের স্বাদ তো দূরের কথা খেতে একেবারেই বিস্বাদ, উটকো গন্ধ। মাছ সম্পর্কে আরো জানতে আমাদের বাংলাদেশের মাছের পরিচিতি ও ছবি পোস্টটি দেখুন।Bangladesh Fish Pictures From Facebook
ক্রেতারা জানেন না ইলিশ মাছের নামে গাঁটের টাকা খরচ করে তারা কিনে খাচ্ছেন বিষ। দেশের বাজারে এ মাছটি চন্দনা বা চাদিনা নামে বিক্রি হচ্ছে। এক শ্রেণির মুনাফা লোভী ব্যবসায়ী সমুদ্র ও আকাশ পথে আমদানি করে প্রতিদিন দেশের বাজারে বিক্রির জন্য ইলিশ মাছের নামে নিয়ে আসছে বিষ। Fish Pictureবাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্ম সচিব) মাহবুব কবীর মিলন জানান, হুবহু ইলিশ মাছের মতো দেখতে একই মাছ কলম্বো সাদ ও গিজার্ড সাদ নামে আমদানি করা হচ্ছে।
দেশীয় বাজারে চান্দিনা বা চাদিনা নামে বিক্রি হওয়া এ দুটি মাছে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হেভি মেটাল উপাদান পাওয়া গেছে। বাজার থেকে ক্রেতারা টাকা দিয়ে প্রকারান্তরে বিষ কিনে খাচ্ছেন। Fish Photos
তিনি জানান, স্বাভাবিক মাত্রায় মাছে (এমজি/কেজি) লেড এর পরিমাণ শূন্য দশমিক ৩ ভাগ হলেও ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় ৫ গুণ বেশি সীসা (১ দশমিক ৫৫৯ ও ১ দশমিক ৬৯৯ (এমজি/কেজি) পাওয়া গেছে। এছাড়া দ্বিগুণের বেশি ক্যাডমিয়াম (সিডি) পাওয়া গেছে। মাছের ছবি ডাউনলোড
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিয়ানমার, ফিলিপাইন ও ওমান থেকে আমদানিকৃত কথিত এ ইলিশ মাছ দেশের বাজারে আসছে।
মিয়ানমার থেকে আনা মাছ টেকনাফে ভ্যাট কাষ্টমস্ কমিশনার কার্যালয় ও অন্যান্য দেশ থেকে আসা মাছ চট্টগ্রাম ও ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আসছে। বেশি মুনাফাজনক হওয়ায় এ মাছ দেদার আমদানি হচ্ছে। Bangladeshi Fish
মাছের ছবি
বাংলাদেশের স্বাদু পানির মাছ এক থুইট্টা এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। কাপ্তাই অঞ্চলের কর্ণফুলী নদীসহ এ মাছটি এক সময় দেশের বিভিন্ন নদী-নালা, হাওর-বাওর, খাল-বিলে পাওয়া গেলেও এখন খুব একটা চোখে পড়ে না।
এ মাছের নিচের চোয়াল খুবই লম্বা কিন্তু উপরের চোয়াল ছোট ও ত্রিকোণাকার, অনেকটা ভাঙ্গা বলে মনে হয়। এ কারণে একে এক থুইট্টা বলা হয়।
দাঁত অতি ক্ষুদ্রাকার। দেহ গোলাকার এবং পৃষ্ঠদেশ প্রায় সোজা। মাছটির মোট দৈর্ঘ্য মাথার দৈর্ঘ্যের ৩.২-৩.৩ গুণ। এ মাছটির চোখ গোলাকার এবং বেশ স্পষ্ট। দেহ চকচকে রূপালী বা ঈষৎ কালচে রং এর হয়ে থাকে এবং দেহ পার্শ্বে একটি পরিষ্কার সাদা বা লালচে ডোরা দাগ থাকে।
জলজ আগাছা সমৃদ্ধ কর্দমাক্ত আবাসস্থল এদের পছন্দ।
প্রবাহমান পানির উপরের স্তরে বসবাসকারী এ মাছটি ভেসাল জাল, ঠেলা জাল, ধর্ম জাল, খেপলা জাল ইত্যাদি দিয়ে ধরা হয়।
ফসলের জমিতে অতি মাত্রায় রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার এবং নদী-নালা, খাল-বিলের প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হওয়ায় এ মাছটি আজ আমরা হারাতে বসেছি। তবে হাওর অঞ্চলে এখনো এদের উপস্থিতি চোখে পড়ে।
বাংলাদেশ ছাড়াও মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, লাউস, কম্বোডিয়া, মালয়েশিয়া, চীন এবং ফিলিপাইনে এ মাছ পাওয়া যায়।
প্রজাতিটি রক্ষায় জলজ পরিবেশ সংরক্ষণের কোন বিকল্প নেই।